কিটো ডায়েট ও ডা. জাহাঙ্গীর কবির ডায়েট চার্ট

Oziha Noor
0

 

ডায়েট কি? | What's Diet? ডায়েটডায়েট চার্ট কি? | What's Diet chart? ডায়েট চার্ট ওজন কমানোর ডায়েটক্যালরি চার্টকিটো ডায়েট কি? | What's Keto Diet? কিটো ডায়েটডা . জাহাঙ্গীর কবির এর কিটো ডায়েট চার্ট কিটো ডায়েট চার্টডা: জাহাঙ্গীর কবির ডায়েট চার্টডা জাহাঙ্গীর কবির ডায়েট

 প্রিয় গ্রাহক ,আসসালামুআলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি বারাকাতুহু । আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভাল আছেন । আল্লাহর রহমতে আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি। 

আজ আমরা নিয়ে এসেছি আপনাদের সামনে ডায়েট কি? | What's Diet? ডায়েটডায়েট চার্ট কি? | What's Diet chart? ডায়েট চার্ট ওজন কমানোর ডায়েটক্যালরি চার্টকিটো ডায়েট কি? | What's Keto Diet? কিটো ডায়েটডা . জাহাঙ্গীর কবির এর কিটো ডায়েট চার্ট কিটো ডায়েট চার্টডা: জাহাঙ্গীর কবির ডায়েট চার্টডা জাহাঙ্গীর কবির ডায়েট নিয়ে। 

 আশাকরি আপনাদের এই সম্পর্কে তথ্যগুলো পেয়ে এখানে যাবেন। আপনারা এই তথ্যগুলো যদি পেরেই খুশী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাদের প্রিয় মানুষদের সাথে শেয়ার করবেন । ধন্যবাদ! 

     ডায়েট কি? | What's Diet? 

    ডায়েট 

    কথাটি এখন সবার মুখে মুখে। ছোট থেকে শুরু করে বৃদ্ধ, সবাই এই ডায়েট শব্দটা জানেন। নিজে নিজে, ফেসবুক গ্রুপ থেকে বা অন্য কারও কাছ থেকে শুনে বা দেখে আমরা ডায়েট মেইনটেইন করছি এখন। ওজন বেড়ে যাচ্ছে? ব্যাচ শুরু করে দিলাম এগ ডায়েট!  হুটহাট এমন ডায়েট কোনো ভাবেই কাম্য নয়। 


    আসলে কি এই ডায়েট? ডায়েট মানেই কি শুধু ওজন কমানো? 


    আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, একদিন আমার এক নিয়মিত রোগী যে আসতো বাড়তি ওজন কমানোর জন্য। সে একদিন আমাকে বললো ম্যাম আমার মেয়ের বয়স ১৩ বছর, ওর সামনে ভর্তি পরীক্ষা। এই পরীক্ষার এর জন্য বাড়তি ওজন কমাতে হবে। আমি বললাম নিয়ে আসেন, সে আমাকে বললো ম্যাম যদি মেয়ে ডায়েট করে তাহলে তো ওর গ্রোথ কমে যাবে। অপুষ্টিতে ভুগবে।


    তখন আমি খুব অবাক হলাম, এই ভেবে যে আমাদের দেশের সব মানুষ ডায়েট এর অর্থ জানেন না। শুধু সে নয় এমন অনেক মানুষকে জিজ্ঞাসা করলে একি উত্তর পাওয়া যাবে। এটা খুব বেশি অবাক হবারও বিষয় নয়। কারণ আমাদের দেশে এই সেক্টর নিয়ে আমরা সচেতন না। একজন পুষ্টিবিদের কাজ শুধু ওজন কমানো নয়! বা বাড়ানো নয়!


    শিশু যখন মায়ের পেটে থাকে, তখন থেকেই তার ডায়েট মানে পুষ্টি সরবরাহ শুরু হয়ে যায়। এজন্য একজন মায়ের এই সময়ের পুষ্টি তার নিজের এবং বেবির দু’জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তারপর শুরু হয় বাড়তি খাবার দিয়ে ৬ মাসের পর থেকে। এই সময় একটা শিশুর খাবার কেমন হলে, শিশুটি সুন্দর সুস্থভাবে বেড়ে উঠবে সেটা কিন্তু ভাবার বিষয়। শুধু মোটা সাস্থ্য হলেই শিশু সুস্থ নয়! তারপর বাড়ন্ত বয়স, সন্ধি কাল, প্রাপ্তবয়স্ক থেকে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত প্রত্যেকটা মানুষের পুষ্টি ডায়েট দরকার। ডায়েট এই জন্যই বলা হচ্ছে, কোন বয়সে কি খাবার কতটুকু দেওয়া প্রয়োজন সেটা আমরা সবাই জানি না। সব বয়সের পুষ্টি চাহিদা এক নয় আবার সব রোগের পথ্য ও এক নয়।


    রোগের কথাটা আমাদের সবার আগে মাথায় রাখতে হবে। একজনের একাধিক রোগ হতে পারে। যার কারণে খাবার গ্রহণের ব্যাপারে ও সচেতন হওয়াটা খুবি জরুরি। সব রোগের জন্য আলাদা আলাদা। তাই ওজন কমাতে গিয়ে আপনার শারীরিক সমস্যার কথা ভুলে যাবেন না। কারও যদি রক্তে হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা কম থাকে, ভিটামিন ডি কম থাকে, রক্তচাপ কম থাকে। তবে অবশ্যই তাকে নিজে নিজে ডায়েট বানানো থেকে সতর্ক থাকতে হবে। আর ছোটদের ওজন কনানোর ক্ষেত্রে ওজন কমানোর সঙ্গে সঙ্গে তার গ্রোথের কথাও মাথায় রেখেই পুষ্টিবিদরা ডায়েট প্ল্যান করে থাকেন।


    প্রেগ্ন্যাসির সময় অনেকেই ভাবে ডায়েট করা যাবে না। এবার প্রশ্ন হলো ডায়েট মানে কি ওজন কমানো? উত্তর না! তাহলে ভয় কিসের! এই সময় বাচ্চা এবং মা দু’জনের পুষ্টি নিশ্চিত করার জন্য ডায়েট খুবি গুরুত্বপূর্ন। এ সময় একটা শিশুর মায়ের পেটেই ২৫ শতাংশ ব্রেন ডেভেলপমেন্ট হয়। তাই শারীরিক বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে মানসিক বৃদ্ধিও অনেক জরুরি এই সময়ে। এবং শিশু জন্মগ্রহণ এর পরেও মায়ের পুষ্টি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ! মায়ের বুকের দুধের পুষ্টি শিশুর জন্য প্রতিষেধক! রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মায়ের বুকের দুধে খেলেই হবে। আর মায়ের বুকের দুধ এর পুষ্টি কতটুকু পরিপূর্ণ হচ্ছে তা নির্ভর করবে মা কতটুকু পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করবে, তার উপর।


    এবার সবকিছু পড়ে আপনার কি মনে হচ্ছে, ডায়েট মানে কি শুধুই ওজন কনানো! আসুন সবাই সতর্ক হই, অন্যকে সচেতন করি। কারণ সুস্থ্য মানুষ সুস্থ্য দেশ। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ্য থাকুন।


    Diet, মানে কি? ডায়েট বলতে আসলে যেটা বোঝায় সেটা হচ্ছে একজন মানুষ ( বা কোন প্রানী) সাধারনত যে খাবার গুলো গ্রহন করে। ব্যাবহারিক ক্ষেত্রে ডায়েট বলতে যেটা বোঝানো হয়, ওজন কমানো বা অন্য কোন হেলথ রিলেটেড কারনে খাদ্য গ্রহন নিয়ন্ত্রণ করা।

    ডায়েট' শব্দটির অর্থ না খেয়ে থাকা নয়। আপনার শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিমিত ক্যালোরির খাবার খান। খাবারের রাখুন কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিনের ভারসাম্য। ওজন কমাতে হলে প্রথমেই বাদ দিন জাঙ্ক ফুড, ডিপ ফ্রায়েড খাবার ও কোল্ড-ড্রিংক্স।


    ডায়েট চার্ট কি? | What's Diet chart? 

    ডায়েট চার্ট 

     আপনারা কি জানেন নিয়ে ডায়েট চার্ট কি? হয়তো অনেকেই জানেন আবার অনেকেই জানেন না। আপনার অনেকে জানেন ডায়েট মানেই খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেওয়া ,আসলে ডায়েট করার অর্থ কোন একটা ডায়েট চার্ট মেনেই খাবার নিয়ন্ত্রণ করে নিজেকে সঠিক ওজনে নিয়ে আসা। আজ আমরা  আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি সঠিক ডায়েট চার্ট  । আশা করি আপনাদের ডায়েট চার্ট টি কাজে আসবে। যদি ভালো লেগে থাকে আপনারা অবশ্যই ডায়েট চার্ট আপনাদের ভাই বোন মা বাবা ও আত্মীয়-স্বজনদের সাথে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ। 

    শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য স্বাস্থ্য সচেতনরা কতকিছুই না করে থাকেন। বিশেষ করে পরিমিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করে ডায়েট কন্ট্রোল করা এর অন্যতম একটি উপায়। শরীরের বাড়তি ওজন ঝেড়ে ফেলতে ওজন কমানোর ডায়েট বেশ কার্যকর। তবে ডায়েট করতে হবে নিয়মকানুন মেনে, জেনে-বুঝে পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী। নয়তো কাঙ্ক্ষিত সুফল যেমন পাওয়া যাবে না, তেমনি ওজন কমাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

     প্রথমেই আপনাকে মনে রাখতে হবে ডায়েট মানেই না খেয়ে থাকা নয়। ডায়েট মানে পরিমিত পরিমাণে সুষম খাবার গ্রহণ। ডায়েটে পুষ্টিকর খাবার সঠিক পরিমাণে গ্রহণ না করলে কিংবা শুধু কম খেয়ে থাকলে শরীরের ওপর এর প্রভাব পড়বে। ওজন কমানোর প্রয়োজন থাকলে কিংবা নির্দিষ্ট ওজন ধরে রাখতে চাইলে অবশ্যই বয়স, ওজন, উচ্চতা এবং কতটুকু ওজন কমাতে হবে সেই অনুযায়ী ডায়েট চার্ট তৈরি করতে হবে।

    ওজন হ্রাসকারী খাদ্যে ক্যালসিয়াম ও লোহার অভাব ঘটতে পারে। এক্ষেত্রে ডিম ও কলিজা লোহার চাহিদা পূরণ করবে। চেষ্টা করবেন লবণবর্জিত খাদ্য গ্রহণ করতে। এক্ষেত্রে খাবার মেপে মেপে খাওয়ার প্রয়োজন নেই। মোটামুটি একটা হিসাব করলেই চলবে।

     শরবত, কোকা-কোলা, ফান্টা ইত্যাদি মৃদু পানীয়, সব রকম মিষ্টি, তেলে ভাজা খাবার, চর্বিযুক্ত মাংস, তৈলাক্ত মাছ, বাদাম, শুকনা ফল, ঘি, মাখন, সর ইত্যাদি পরিহার করা প্রয়োজন। শর্করা ও চর্বি জাতীয় খাদ্য ক্যালরির প্রধান উৎস। অধিক চর্বিযুক্ত কম ক্যালরির খাদ্যে স্থূল ব্যক্তির ওজন খুব দ্রুত কমে।


    ওজন কমাতে পরিশ্রম ও নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

     সকাল: দুধ ছাড়া চা বা কফি, দুটো আটার রুটি, এক বাটি সবজি সিদ্ধ, এক বাটি কাঁচা শসা। শসা ওজন কমাতে জাদুর মতো কাজ করে।

     মধ্যদুপুরঃ একটি ডিমের সাদা অংশ ও টক জাতীয় ফল।

     দুপুর : ৫০-৭০ গ্রাম চালের ভাত। মাছ বা মুরগির ঝোল এক বাটি। এক বাটি সবজি ও শাক, শসার সালাদ, এক বাটি ডাল এবং ২৫০ গ্রাম টক দই।

     বিকাল : দুধ ছাড়া চা বা কফি, মুড়ি বা বিস্কুট দুটি বা এক বাটি মুজিলি।

     রাত : আটার রুটি দুটা, এক বাটি সবুজ তরকারি, এক বাটি ডাল, টকদই দিয়ে এক বাটি সালাদ।

     দৈনিক এক গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করলে দেহে প্রোটিনের অভাব থাকে না। ৬০ কিলোগ্রাম ওজনবিশিষ্ট ব্যক্তির খাদ্য ৬০ গ্রাম প্রোটিন হলেই ভালো হয়। প্রতিমাসে একদিন ওজন মাপতে হবে, লক্ষ্য রাখতে হবে ওজন বাড়ার হার কম না বেশি। ওজন বৃদ্ধি অসুখের লক্ষণ। মেদ, ভুঁড়ি বা অতিরিক্ত ওজন কোনোটাই সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ নয়। বরং নানা অসুখের কারণ হয়ে দেখা দেয় একথা সব সময় মনে রাখবেন এবং স্বাস্থ্যসচেতন হবেন।

     ওজন কমানোর ডায়েট করার সময় চিনি যুক্ত খাবার, বেশি তেলে ভাজা পোড়া খাবার, মিষ্টি জাতীয় পানীয়, ট্রান্স ফ্যাট যুক্ত খাবার, প্রানিজ ফ্যাট, রিফাইন্ড করা বা চকচকে সাদা ময়দার তৈরি খাবার, মধু বা সিরাপ জাতীয় খাবার, মিষ্টি জাতীয় শুকনা ফল এবং প্রক্রিয়া জাত করা স্নাক ফুড, স্টার্চ যুক্ত সবজি (যেমন- আলু, ভুট্টা, মিষ্টি আলু) কখনই খাবেন না।

     আঁশবহুল খাবার যেমন ডাল, শাক, সবজি, ঢেঁকি ছাঁটা চাল, গমের আটার রুটি, টকফল বেশি খেতে হবে। বেশি বেশি ক্রুসিফেরাস ভেজিটেবিল (যেমন পাতা কপি, ফুল কপি) শিম জাতীয় সবজি, টমেটো, গাজর, পাতাযুক্ত শাক, মশুর ডাল, বাদাম খেতে হবে।

     ওজন কমানোর জন্য স্বাস্থ্য সম্মত ডায়েট এর পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো এবং দৈনিক ৪০ – ৪৫ মিনিট হাটাহাটি বা ব্যায়াম করা দরকার। ওজন কমানোর গতিকে ত্বরান্বিত করার জন্য দৈনিক কমপক্ষে ৮ ঘন্টা ঘুমানো দরকার, কারণ পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের মেটাবোলিজম বাড়িয়ে দেয়।

     সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করার পর কমপক্ষে ২ গ্লাস পানি পান করে নিবেন, আর সারাদিন তো অবশ্যই বেশি বেশি পানি পান করবেনই।


    বানিয়ে ফেলুন নিজের ডায়েট চার্ট :

     অনেকেই আমাদের কাছে ডায়েট চার্ট জানতে চান। উপরের এত হিসাব নিকাশ থেকে তো বুঝতেই পারছেন যে, আসলে কমন ডায়েট চার্ট বলে কোন ব্যাপার নেই। এটি ব্যাক্তির ওজন, বয়স, উচ্চতা, লিংগ ইত্যাদি নানা বিষয়ের উপর নির্ভর করছে।


     ক্যালরি চার্ট বানানোর কিছু টিপস :

     1. প্রতি ২ ঘন্টা পর পর অল্প অল্প খেতে হবে

     2. একটা স্যাম্পল ডায়েট এখানে উল্লিখিত করলাম,


     সকাল ৮টায় রাখুন আটার রুটি, সব্জী, ডিম (সপ্তাহে, কুসুম ছাড়া ৫ দিন ও কুসুম সহ ২ দিন) ।

     সকাল ১০টায় রাখুন গ্রীন টি , আর দুই পিস্ বিস্কিট (কম ক্যালরি যুক্ত বিস্কিট রাখুন, যেমন লেক্সাস)।

     ১২ টায় খান ফল।

     ১:৩০ থেকে ২ টায় খান ভাত, সাথে মাছ/মাংস আর রায়তা / শশা-টক দই এর সালাদ।

     ৪ টায় খান কফি/চা আর দুই পিস্ বিস্কিট।

     ৬টায় এক কাপ দুধ [ ডাবল টোনড দুধ ] ।

     ৮ টায় খান রুটি, সাথে মাছ/মাংস, সব্জী আর রায়তা / শশা-টক দই এর সালাদ।

     ৯ টার খান কোন ফল। লক্ষ্য করে দেখুন আমি কোন পরিমাণ বলিনি। তার কারণ পরিমাণ টা আপনার ওজন কমানোর জন্য দিনে যত ক্যালরি খেতে হবে সেই অনুযায়ী আপনি বের করে নিবেন।


    দুধ

    3. চেষ্টা করবেন আপনি দৈনিক যত ক্যালরি খাচ্ছেন তার ৫০% যেন আসে কার্বোহাইড্রেট থেকে, ২০% প্রোটিন থেকে আর ৩০% ফ্যাট থেকে।


    4. রাতে ঘুমানোর নূণ্যতম ২ ঘন্টা আগ থেকে আর কিছু খাবেন না।


    5. সব্জীর মধ্যে আলু, কাচকলা, কচু ও মুখী, কাকড়ল, মটরশুটি ও গাজর বাদ দিতে পারেন।


    6. ফলের মধ্যে পাকা আম, পাকা কাঠাল, পাকা কলা, খেজুর, পাকা তেতুল, বেদানা, আঙ্গুর, জলপাই, আতাফল, বড়ই, গাব ও পাকা তাল বাদ দিতে পারেন ।


    7. ফ্রীজের ঠান্ডা জল যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন।


    8. দৈনিক ১০ গ্লাস জল খাবেন।


    9. একটা ডায়েরি মেইন্টেইন করুন। সারাদিন কি খেলেন লিখে রাখুন। দিন শেষে ক্যালরির হিসাব মিলিয়ে নিন।


    10. প্রতিদিন একই সময়ে ওজন মাপুন। যেমন সকালে খালি পেটে বা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ দিয়ে। কারণ পেট ভরা না খালি তার উপর ডিপেন্ড করে দিনের একেক সময় একেক রকম ওজন আসে। তাই ওজন কমলো কিনা ঠিক বোঝা যায়না।


    11. মাছ মাংস বা সব্জী ফ্রাই খাবেন না। তরকারি রেধে খাবেন।


    12. মাছ মাংসের ঝোল খাবেন না। ঝোল থেকে তুলে শুধুমাত্র মাংসের টুকরোটা-ই খাবেন।


    ডায়েট চার্ট অনুযায়ী এত কম খেতে না পারলে করতে হবে এক্সারসাইজ :


    আপনার পক্ষে যদি ৫০০ বা ১০০০ ক্যালরি কম খাওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে খাওয়াটা ঠিক মত রেখে ৫০০ বা ১০০০ ক্যালরি ব্যায়াম করে খরচ করে ফেলুন। কোন ব্যায়ামে কত ক্যালরি খরচ হয় তা জানার জন্য “ওজন নিয়ন্ত্রন ও ক্যালরি চার্ট” দেখুন । তাছাড়াও গবেষনায় দেখা গেছে, শুধু ডায়েট করে ওজন কমানোর চাইতে ডায়েট এর সঙ্গে হালকা ব্যায়াম করে ওজন কমানো টা অনেক বেশি কার্যকরী , বলে মনে করা হয়।


    এত কিছুর পরেও ওজন কমছে না কেন ?


    এত কিছু মেনে ওজন নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করার পরেও অনেকের ওজন বাড়েনা। এর জন্য দায়ী হলো Basal Metabolic Rate অথবা BMR। একটা মানুষ যখন সম্পূর্ণ স্থির অবস্থায় ঘুমিয়ে থাকে, তখনও তার শরীর থেকে ক্যালরি/শক্তি খরচ হয়। এই শক্তি আসলে খরচ হয় তার মস্তিষ্ক ও অন্যান্য অভ্যন্তরীন অংগ-প্রত্যংগ যেমন লিভার, কিডনী, হার্ট ইত্যাদি কে সচল রাখতে। প্রতিদিন এই কাজে যেই পরিমাণ শক্তি খরচ হয়, তাকে বলা হয় Basal Metabolic Rate অথবা BMR। একেক মানুষের BMR একেক রকম হয়। গবেষনায় দেখা গেছে মানুষের BMR সর্বনিম্ন ১০২৭ কিলো ক্যালরি থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৪৯৯ কিলো ক্যালরি পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু ঠিক কি কারণে BMR কম অথবা বেশি হয় তা বিজ্ঞানীদের কাছে এখনো পুরোপুরিভাবে স্পষ্ট নয়। মানুষ খাদ্য থেকে যে পরিমাণ শক্তি পায় তার মাত্র ২০% খরচ হয় তার দৈনন্দিন শারিরীক কর্মকান্ডে, ১০% খরচ হয় তার শরীরের প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা বজায় করতে আর ৭০% ই খরচ হয়ে যায় BMR হিসেবে। যার BMR বেশি, সে অনেক খেলেও মোটা হয়না। কারণ খাদ্য থেকে পাওয়া সব শক্তি তার অভ্যন্তরীন অংগ-প্রত্যংগ গুলো কে সচল রাখতেই ব্যয় হয়ে যায়। আর যার BMR কম সে একটু খেলেই মোটা হয়ে যায়, কারণ খাদ্য থেকে পাওয়া শক্তি অভ্যন্তরীন অংগ-প্রত্যংগ গুলো কে সচল রাখার পরেও উদ্বৃত্ত থেকে যায়। যা শরীরে জমা হয় চর্বি হিসেবে।


    আপনার BMR কিভাবে বাড়াবেন ?


    1. নিয়মিত ব্যায়াম করলে BMR আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে

    2. চর্বি যুক্ত খাবার BMR কমায়, সুতরাং পরিহার করতে হবে।


    3. তিনবেলা আপনাকে অবশ্যই পর্যাপ্ত খাবার খেতে হবে। মোটারা যে ভুলটা করেন তা হলো, প্রয়োজনের চেয়েও কম খাওয়া ও দীর্ঘক্ষন না খেয়ে থাকা। দীর্ঘক্ষন যদি পেট খালি থাকে বা আপনি যদি অতিরিক্ত কম খান, শরীরও তো কম চালাক নয়, সেও BMR কে আরো low তে set করে নেয়। সুতরাং, মোটা হলে কম না খেয়ে তিন বেলা পর্যাপ্ত খান। তিনবেলা খাবারের মাঝে মাঝে খিদে পেলে ফল বা সবজী বা লো ক্যালরি ফুড খান। আপনাকে বুঝতে হবে যে খালি পেটে দীর্ঘপক্ষন থাকলে শরীরের কাজ কমে যায়। বরং ২ ঘন্টা পর পর অল্প কিছু খেলে শরীরের অনেক শক্তি খাবার হজম করতে ব্যয় হয়ে যায় (ব্যয় না হলে এই শক্তি চর্বিতে পরিণত হয়ে আপনার শরীরে জমা হত) আর পরবর্তী বেলায় আপনার বেশী খেয়ে ফেলার ইচ্ছাটাকেও দমন করে ফেলে।


    এছাড়াও কিছু ওষুধের কারণেও ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। এর মধ্যে আছে জন্ম-নিয়ন্তর পিল, ডায়বেটিস এর ওষুধ ও বিষন্নতার ওষুধ।

    স্ট্রেস এর কারণে শরীরে হরমোনের ব্যালেন্স নষ্ট হয়ে ওজন বাড়ে বলে গবেষনায় জানা গিয়েছে।

    অতিরিক্ত ঘুমের পাশাপাশি অপ্রতুল ঘুমের কারণেও ওজন বাড়ে বলে গবেষনায় জানা গিয়েছে।

    মহিলাদের মেনোপেজ এর সময় ও ওজন বৃদ্ধি ঘটে।

    কিছু রোগের কারণেও ওজন বেড়ে যায় :


    যেমন হাইপোথাইরয়েডিস (থাইরয়েড হরমোন কম থাকা)

    কাশিং সিন্ড্রোম ( এই রোগে অতিরিক্ত করটিসল হরমোনের প্রভাবে মুখে ও ঘাড়ে চর্বি জমে),

    লিভার ও কিডনীর সমস্যা (এতে শরীরে জল জমে ওজন বাড়ে)

    এসেনসিয়াল ফ্যাটি এসিড ডেফিসিয়েন্সি (এই রোগে শরীরে কিছু ফ্যাটি এসিড এর অভাব দেখা যায় যা কিছু হরমোন তৈরীতে কাজে লাগে। হরমোনের অভাবে শরীরের BMR কমে ওজন বাড়ায়। এই রোগের লক্ষন হলো খুশকী, ত্বক ও চুলের শুস্কতা)।

    সুতরাং ‘ কোন কিছুতেই ওজন না কমলে ডাক্তার দেখান যাতে আপনার এইসব রোগ আছে কিনা তা জানা যেতে পারে।


    অনেকের অভ্যাস আছে, বাইরে গিয়ে একটা বার্গার খেয়ে ফেললেও বাড়িতে এসে আবার ভাত খান। আবার অনেক গৃহিনী তরকারি একটু বেচে গেলে ফেলে দিতে হবে ভেবে খেয়ে ফেলেন। এইসব বদভ্যাস ও ওজন না কমার অন্যতম কারণ।


    কিটো ডায়েট কি? | What's Keto Diet? 

    কিটো ডায়েট

    আপনারা কি জানেন কিটো ডায়েট কি  ? যদি জেনে না  থাকেন তাহলে আপনারা কিটো ডায়েট কি বা কিভাবে কিটো ডায়েট করতে হয় এখান জেনে নিতে পারবেন। আর যদি আপনাদের এই কিটো ডায়েট কি জেনে সুফল  পেয়ে থাকেন    তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন প্রিয় মানুষদের সাথে । 

    বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকরী ও জনপ্রিয় এক ডায়েটের নাম কিটোজেনিক। এই  কিটো ডায়েট অনুসরণ করেন হলিউড কিংবা বলিউডের তারকারাও।


     খুব অল্প সময়ে ওজন কমাতে এই  কিটো ডায়েট এর বিকল্প নেই। এই ডায়েটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো আপনি কখনো দুর্বলতা বোধ করবেন না। কিটো ডায়েট চলাকালীন সময় অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবারগুলোই খাওয়া হয়ে থাকে।

     খুব অল্প সময়ে ওজন কমাতে এই কিটো ডায়েট এর বিকল্প নেই। এই ডায়েটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো আপনি কখনো দুর্বলতা বোধ করবেন না। কিটো ডায়েট চলাকালীন সময় অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবারগুলোই খাওয়া হয়ে থাকে।


     সাম্প্রতিক সময়ে বেশ সাড়া জাগিয়েছেন ড. জাহাঙ্গীর কবির। বিশেষ করে ফেসবুক, ইউটিউব তথা অনলাইন জগতে তার আন্তরিকতাপূর্ণ পরামর্শে খুশি অনেকে। আবার তার দেয়া পরামর্শে অনেকেই ওজন কমিয়েছেন দ্রুত। ড. জাহাঙ্গীর কবির বিভিন্ন ধরনের ডাক্তারি পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বিশেষ করে ডায়াবেটিস, ওজন এবং শ্বাসকষ্ট রোগের।


     ড. জাহাঙ্গীরের মতে, ২৫ শতাংশ প্রোটিন, ৫ শতাংশ কার্ব ও ৭০ শতাংশ ফ্যাটই হলো কিটো ডায়েটের সঠিক অনুপাত। সকালের নাস্তা অবশ্যই দেরি করে খাওয়া উচিত। অর্থাৎ (ফাস্টিং পিরিয়ড) না খেয়ে থাকার সময়টা বাড়াতে হবে। সেইসঙ্গে সয়াবিন বা সরিষার তেলের বদলে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল অথবা কোকোনাট অয়েল ব্যবহার করতে হবে। মাখনও ব্যবহার করতে পারেন। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ( অর্গ্যানিক উইথ দ্য মাদার) অবশ্যই প্রতিদিন পান করতে হবে নিয়ম করে


    তার পরামর্শ অনুযায়ী একটি কিটোজেনিক ডায়েট চার্ট আপনাদেরকে জানানো হলো। কিটো সম্পর্কে এক কথায় বলতে গেলে এই ডায়েট চলাকালীন সময় শর্করাজাতীয় খাবার কম খেয়ে বরং চর্বিজাতীয় খাবারকে প্রাধ্যন্য দেয়া হয়। এই ডায়েট চার্ট অনুসরণ করলে এক মাসে অন্তত ১৫ থেকে ১৭ কেজি ওজন কমবে। জেনে নিন সারাদিনের ডায়েট চার্ট-

    কিটো ডায়েট চার্ট

    কিটো ডায়েট চার্ট

    সকালের নাস্তা


    ১. সকালে ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করে আধা ঘণ্টা হাঁটবেন কিংবা ওয়ার্কআউট করবেন। এক ঘণ্টা ব্যায়াম করতে পারলে ফলাফল আরো ভালো পাবেন।


    ২. ঠিক সকাল ৮ টার সময় এক মগ বুলেট কফি পান করুন। বুলেট কফি যেভাবে তৈরি করবেন-


    উপকরণ: এক চামচ কফি পাউডার, এক চামচ এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েল ও এক চামচ মাখন।  

    প্রণালী: প্রথমে মগে এক চামচ কফি পাউডার নিন। এবার সামান্য পানি নিয়ে ভালো করে মিশ্রণটি তৈরি করুন। অতঃপর সামান্য উপর থেকে মগে পানি ঢালুন। এরপর কোকোনাট অয়েল ও মাখন মিশিয়ে নিন। এরপর পান করুন। 


    ৩. সকাল ১১ টার সময় মাখন দিয়ে দুইটি ডিম পোচ করে নিন। সঙ্গে এক মুঠো বাদাম ওই মাখনেই সামান্য হিমালয়ান পিঙ্ক সল্ট দিয়ে ভেজে নিন। এটাই সকালের নাস্তা। এর বিকল্প হিসেবে ডিমের সঙ্গে টমেটো মিশিয়ে অমলেটও বানাতে পারেন।


    দুপুরের খাবার


    ১. দুপুরের খাবারের পূর্বে ২টার দিকে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার পান করুন। এজন্য হালকা গরম পানিতে এক টেবিল চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার (অর্গেনিক উইথ দ্য মাদার) মিশিয়ে পান করুন। 


    ২. এর দশ থেকে ১৫ মিনিট পরেই করুন লাঞ্চ। এজন্য শাক-বা সবজি পেঁয়াজ মরিচ এমনকি মশলা দিয়ে ভেজে নিতে পারেন। সঙ্গে যেকোনো মাছও থাকতে পারে। তবে অবশ্যই রান্নায় এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে হবে।


    ৩. কিটোজেনিক ডায়েটে বা কিটো ডায়েট প্রচুর পানি পান করতে হবে। এজন্য অবশ্যই প্রতিবার পানি পান করার সময় সামান্য হিমালয়ান পিঙ্ক সল্ট ব্যবহার করতে হবে। দিনে অন্তত ৪ থেকে ৫ লিটার পানি পান করুন।


    বিকেলের নাস্তা


    বিকেল ৫টার সময় এক বাটি শসা খান। সঙ্গে এক কাপ গ্রিন টি খেতে ভুলবেন না যেন! এক মুঠো বাদামও খেতে পারেন।


    রাতের খাবার


    ১. রাত ৮ টার মধ্যেই ডিনার সম্পন্ন করতে হবে। এজন্য দুই পিস মুরগির মাংস ভেজে নিতে পারেন। আবার মাছও খেতে পারেন। সঙ্গে নিন একটি শসা ও গাজর। আপনারা অবশ্যই খাবারগুলো অদল বদল করে খেতে পারেন। এতে একঘেয়েমি আসবে না।


    ২. রাতের খাবারে সবজি খেতে পারেন। এক বাটি সবজির সঙ্গে এক পিস মাংসও খাওয়া যেতে পারে। তবে ভুলেও এই ডায়েট চলাকালীন সময় ভাত খাবেন না। কারণ কিটো ডায়েটে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ অনেক কম থাকে। আর তাই দ্রুত ওজন বশে আনা সম্ভব হয়।


    সতর্কতা-


    ১. অবশ্যই কিটো ডায়েট তিন মাসের বেশি করা যাবে না। তিন মাস ডায়েটের পর সাধারণভাবেই অল্প খেয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। কিছুদিন পর আবারো এই ডায়েট চার্ট মেনে চলুন।


    ২. কিটো ডায়েট এক সপ্তাহের জন্য করা যেতে পারে। এজন্য একইভাবে সাত দিন ডায়েট করুন। অতঃপর দুই দিনের জন্য বিরতি নিন। এই দুই দিন মাত্র চার ঘণ্টা খাওয়ার সুযোগ পাবেন। বাকি ২০ ঘণ্টা উপোস থাকতে হবে। এসময় শুধু পানি পান করা যাবে। এছাড়া গ্রিন টি ও ব্ল্যাক কফিও পান করতে পারেন। পারলে এই দুই দিন রোজা রাখতে পারেন। এজন্য সেহরির সময় শুধু হিমালয়ান পিঙ্ক সল্ট মিশ্রিত পানি পান করতে হবে। রোজা রাখলে ইফতারের সময় পাতে রাখুন- ডাবের পানি, ভিনেগার মিশ্রিত পানি, ব্ল্যাক কফি, গ্রিন টি, মাছ, ডিম, বাদাম, কিংবা সবজি। পরে আবারো এই ডায়েট এক সপ্তাহের জন্য মেনে চলুন।


    এবার জেনে নিন ওজন কমানোর বিশেষ পরামর্শ। যা ডায়েটের পাশাপাশি মানতে হবে-


    ১. কার্বোহাইড্রেট ফুডস যেমন- ভাত, রুটি, আলু এমনকি গম বা ময়দা থেকে প্রস্তুতকৃত কোনো খাবার, বিস্কুট, মুড়ি ইত্যাদি খাওয়া যাবে না।  


    ২. এই ডায়েট চলাকালীন সময় মিষ্টি, দুধ, কলা, খেঁজুর এমনকি কোনো মিষ্টিজাতীয় ফলও খাওয়া যাবে না।


    ৩. কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত শাক-সবজি খেতে হবে। প্রতিবার খাওয়ার পূর্বে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার পান করুন।


    ৪. প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শসা, গাজর ও টমেটো রাখুন।


    ৫. প্রোটিনযুক্ত খাবারের মধ্যে রাখুন- ডিম, যেকোনো মাছ, মুরগির মাংস ও বাদাম।


    ৬. ডাবের পানিও পান করতে পারেন প্রতিদিন। দেরি করে সকালের নাস্তা এবং তাড়াতাড়ি রাতের খাবার শেষ করতে হবে।


    ৭. দিনে অন্তত দুই বেলার খাবার নির্ধারিত সময়ে খেতে হবে। বেলা ১১ টা থেকে ১২ টা ও সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রাত ৮ টার মধ্যে খাবার খাওয়াই উত্তম।


    ৮. অবশ্যই রাত ১০ টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ুন। 


    ৯. সেইসঙ্গে মানসিকভাবে সবসময় হাসিখুশি থাকার চেষ্ট করুন। দুশ্চিন্তা এড়িয়ে চলতে হবে।


    ১০. ক্ষুধা লাগলে পানি, গ্রিন টি, ফল কিংবা শসা খেতে পারেন। তবে অল্প পরিমাণে।


    ডা . জাহাঙ্গীর কবির এর কিটো ডায়েট চার্ট 

    কিটো ডায়েট চার্ট


    যারা শরীরের মেদ ও চর্বি কমিয়ে অতিরিক্ত ওজন কমাতে চাচ্ছেন তাদের ডায়েটিং, ব্যায়ামসহ নানা প্রচেষ্টার অন্ত নেই৷ কিন্তু সফলতার হার খুবই কম। এর সমাধানে বর্তমান সময়ে একটি ডায়েটিং পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। মূলত সফলতার হার থেকেই এ জনপ্রিয়তা অর্জিত হয়েছে।


    যারা দীর্ঘদিন বিভিন্ন কসরত করেও এতটুকু ওজন কমাতে পারেননি তারা এই ডায়েট পদ্ধতি অনুরসণ করে অল্প সময়ে বেশ সফলতা অর্জন করেছেন। এ পদ্ধতিটির নাম ‘কিটো ডায়েট’ বা ‘কিটোজনিক ডায়েট’।

    কিটোজেনিক ডায়েট হল সুপার লো-কার্ব ডায়েট। এই ডায়েটে কার্ব এক্সট্রিম (extreme) লেভেলে কম থাকবে আর ফ্যাট অনেক হাই থাকবে আর প্রোটিন মিড লেভেলে (mid level) থাকবে। আমাদের নরমাল ডায়েটে ৫০% কার্বোহাইড্রেট থাকে, ২০% প্রোটিন আর ৩০% ফ্যাট থাকে। টিপিক্যাল কিটোজেনিক ডায়েটে টোটাল ক্যালোরিক নিডের কার্ব ৫%, প্রোটিন ২৫% আর ফ্যাট থাকে ৭০%। মানে আপনি সারাদিন যতটা খাবার খাবেন তার মধ্যে খাবারের পার্সেন্টেজ এমন হবে। এ জন্য আপনাকে জানতে হবে কোন কোন খাবারে কী পরিমাণ কার্ব, প্রোটিন, ফ্যাট ইত্যাদি থাকে।


    # আপাতত মোটেও খাওয়া যাবে না: 

    ১) চালের তৈরি সব কিছু ( ভাত, চাউলের রুটি, চাল দিয়ে বানানো দ্রব্যাদি)।


    ২) গমের তৈরি সব কিছু (রুটি, পাওরুটি, বিস্কুট যে কোন প্রকার, গম দিয়ে বানানো অন্যান্য দ্রবাদি)

    ৩) কোন প্রকার ডাল খাওয়া যাবে না

    ৪) আলু, মিষ্টি আলু, গাছ আলু বা আলু সাদৃশ্য অন্যান্য আলু, যা শর্করা জাতীয় সবজি যেমন: মূলা।

    ৫) এছাড়া চিনি এবং চিনি দিয়ে বানানো দ্রব্যাদি পৃথিবীতে যা কিছু আছে তা খাওয়া যাবে না।

    ৬) দই, টক দই, দুধ এবং সরাসরি দুধ দিয়ে বানানো দ্রবাদি।

    ৭) মধু এবং মিষ্টি ফলমূল খাওয়া যাবে না। কেন খাওয়া যাবেনা সেটা পরে ব্যাখ্যা করছি।

    ৮) সয়াবিন তৈল, সূর্য মুখী তেল, রাইস ব্যান ওয়েল, ক্যানোলা ওয়েল, এবং সাধারণ কোন তেলে রান্না করা কিছু খাওয়া যাবে না।

    ৯) ফার্মের মুরগি, যে মুরগিগুলো টেনারির বর্জ্য থেকে উৎপাদিত খাদ্য খাওয়ানো হয়, সয়া খাওয়ানো হয়।

    ১০) গরুর মাংস, যে গরু বা ষাঁড় গুলো ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে মোটা তাজা করা হয়। খাসির ব্যাপারেও একই কথা।

    # যা খেতে বাঁধা নেই:

    ১) সবুজ শাক, সবজি৷ (গাজর, কচি সবুজ মিষ্টি কুমড়া খেলে অল্প পরিমাণ)

    ২) টক জাতীয় ফল। যেমন, জলপাই, আমলকী, একটি কচি ডাবের পানি।

    ৩) মাছ, যে কোন প্রকার খেতে পারবেন৷ তবে তৈলাক্ত দেশিয় মাছের ভেতর পাংকাশ, বোয়াল, ইলিশ সরপুঁটি, ব্রীগেড, গ্রাসকার্প, বাইম মাছ উত্তম৷ তৈলাক্ত বা সাগরের মাছ হলে আরো ভালো।

    ৪) গরু এবং খাসির মাংস খাওয়া যাবে তবে তা হতে হবে ইঞ্জেকশান মুক্ত এবং ঘাস, লতা পাতা বা খড় কুটো খেয়ে লালিত পালিত৷ তবে বেশি পরিমাণে খাওয়া যাবে না।

    ৫) গরু, বা খাসির পায়া খাওয়া যাবে। যেটা খাওয়া এই সময়ে খুবই উপকারী৷ এটাও অল্প পরিমানে খেতে হবে।

    ৬) মুরগির ডিম খেতে পারবেন৷ ফার্ম হলে সমস্যা নেই, তবে ওমেগা ৩ বা দেশি মুরগি বা হাস হলে বেশী ভালো।

    ৭) মাছের ডিমও খেতে চেষ্টা করবেন যথা সম্ভব।

    ৮) ঘি, অর্গানিক বাটার, এক্সট্রা ভার্জিন ওলিভয়েল, MCT ওয়েল, অর্গানিক Extra virgin cold pressed কোকোনাট ওয়েল৷ এগুলো সব ভাল শপে পাওয়া যায়, তবে নিজে তৈরী করাটাই শ্রেয়।

    ৯) যে কোন প্রকার বাদাম। চিনাবাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তা বাদাম, অন্যান্য বাদাম যা আছে৷ চাইলে বাদাম ব্লেন্ড করে সাথে উপরে উল্লেখিত নারকেল তেল দিয়ে বানাতে পারেন পিনাট বাটার৷ যেটা খেতে তুলনাহীন৷ তবে খাবেন অল্প পরিমাণে।

    ১০) রং চা বা কফি খেতে পারেন দুধ চিনি ছাড়া। গ্রীণ টি এর সাথে লেবু, আদা, সামান্য লবন মেশাতে পারেন। কফির সাথে, MCT ওয়েল, মাখন বা ঘি, এবং অর্গানিক কোকোনাট অয়েল মিশিয়ে বাটার কফি বানিয়ে খেতে পারেন৷ এতে ভালো কাজ হবে।

    # কীভাবে ডায়েট শুরু করবেন--

    > সকালের নাস্তা:

    ১) যাদের সকালে খাওয়ার অভ্যাস তারা আটটা বা সাড়ে আটটার দিকে দুধ চিনি ছাড়া এক কাপ চা খেতে পারেন। চায়ের মধ্যে যা দেবেন, আদা, লেবু, সামান্য লবণ।

    ২) অ্যাপেল সিডার ভিনেগার বা কোকনাট ভিনেগার খেতে পারেন কুসুম গরম পানির সাথে।

    ৩) এবং কুসুম গরম পানির সাথে লেবু চিপে খেতে পারেন।

    সকাল আটটায় নাস্তা খেলে দেড়টার ভেতর দুপুরের খাবার খেতে হবে। এছাড়া যাদের দেরিতে নাস্তা খাওয়ার অভ্যাস তারা এগারোটার দিকে উপরোক্ত পদ্ধতিতে নাস্তা করবেন এবং দুপুরের খাবার আড়াইটা তিনটায় খাবেন।

    ডা: জাহাঙ্গীর কবির ডায়েট চার্ট

    ডাক্তার জাহাঙ্গীর কবির ডায়েট চার্ট

    > দুপুরের খাবার:

    ১) দুপুরের খাওয়ার আগে অবশ্যই অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এক চামচ এক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে খাবেন। এতে আপনার গ্যাসের সমস্যা হবে না এবং চর্বি কাটতে সাহায্য করবে।

    ২) দুপুরের খাবারের ম্যানুতে শাক, সবজি, মাছ অথবা মাংস , ঘি এ ভাজা ডিম, ঘি'য়ে ভাজা বাদাম সাথে বাটার রাখতে পারেন এবং অবশ্যই টমেটো, গাজরসহ শসা বা শসার সালাদ রাখবেন।

    ৩) শাক, সবজি অবশ্যই এক্সট্রা ভার্জিন ওলিভয়েল দিয়ে রান্না করবেন। মাছ ভাজলে (ডীপ ফ্রাই থেকে বিরত থাকবেন এতে খাদ্যগুন নস্ট হয়) বা রান্না করলে এই তেল দিয়েই করবেন। সবজি যতটুকু সম্ভব কম সেদ্ধ করবেন। যেন সবজির গুণগত মান ঠিক থাকে।

    ৪) ডিম কুসুম সহ ঘি বা মাখন দিয়ে ভেজে খাবেন। এক দিনে সর্বোচ্চ ছয়টা ডিম কুসুম সহ খেতে পারবেন কোন সমস্যা নেই। কারণ ডিম প্রোটিন এবং ভালো ফ্যাটের উৎস তবে একবার ফ্যাট এ্যাডাপটেশন হয়ে গেলে চাইলেও এত খেতে পারবেন না।

    ৫) দেশি মুরগি খেতে পারেন, এক দুই টুকরো অথবা উল্লিখিত গরুর মাংস । মাছ খেলে মাংস খাবেন না। মাংস খেলে মাছ খাবেন না। তবে প্রবাসে অবস্থানকরীগণ ফার্মের মুরগি এক টুকরো করে খেতে পারেন৷ কারণ সেখানে ফার্মের মুরগিকে আদর্শ খাবার খাওয়ানো হয় (যদিও মুরগী ব্যায়াম করে না যেটা দেশী মুরগী করে )।

    ৬) দুম্বা, উট, ভেড়ার মাংস খেলে এক টুকরোর বেশি নয়।

    > বিকেলের নাস্তা:

    বিকেলে ক্ষুধা লাগলে উপরে উল্লেখিত চা, বাটার কফি এবং বাদাম খাবেন যে কোন প্রকার মাখন বা ঘি দিয়ে ভাজা বা মেশানো।

    > রাতের খাবার:

    ১) রাতের খাবারের পূর্বেও ভিনিগার মিশ্রিত এক গ্লাস পানি খেয়ে নিবেন।

    ২) রাতের খাবার দুপুরের অনুরূপ খাবেন। আইটেম দুই একটা কম বেশি হোক কোন সমস্যা নেই।

    ৩) রাত আটটার আগেই সমস্ত খাবার শেষ করুন। এরপর আর পানি ছাড়া কিছুই খাবেন না।

    # যে বিষয় গুলো মানতেই হবে:

    ১) রাত দশটা বা সর্বোচ্চ এগারোটার ভেতর আপনাকে ঘুমিয়ে যেতে হবে৷ কারণ রাত দশটা থেকে দুইটার ভেতর আমাদের শরীরে গ্রোথ হরমোন নি:সরন হয়৷ এবং এই গ্রোথ হরমোনগুলো ফ্যাট বার্নিং এ প্রচুর সহায়তা করে। আপনি যদি এই প্রাকৃতিক বিষয়টি অগ্রাহ্য করেন তবে আপনার ডায়েট অসম্পূর্ণ থেকে যাবে এবং ভাল ফল পেতে ব্যর্থ হবেন।

    ২) খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠবেন৷ নামাজ পড়ে (মুসলমানেরা) হাঁটতে বের হবেন।খালিপেটে হাটা ফ্যাট বার্ণিং এর জন্য অত্যান্ত কার্যকরী । হাঁটার গতি নির্ভর করবে আপনার বয়স অনুসারে। বয়স যদি চল্লিশের উর্ধ্বে হয় স্বাভাবিক গতিতে হাঁটুন ৪০/৬০ মিনিট। বয়স যদি চল্লিশের নিচে হয় তবে জগিং করুন নয়তো জোরে জোরে হাঁটুন ৪০/৬০ মিনিট। তবে খেয়াল রাখবেন হাঁটতে হাঁটতে যেন হাঁপিয়ে না যান বা শ্বাস কষ্ট না হয়। যতটুকু হাঁটুন বা ব্যায়াম করুন শরীরের সাথে মানিয়ে করুন।

    ৩) দ্রুত মেদ ভুরি কমানোর জন্য ইয়োগা করতে পারেন৷ ইয়োগা করার পদ্ধতি YouTube এ দেখে নিন।

    ৪) উপরে লিখিত পদ্ধতিতে সাত থেকে আট দিন নিয়ম করে চলুন। এই সময়টায় আপনার শরীর ফ্যাট বার্নিং বা চর্বি গলাতে শিখে যাবে৷ এটা হচ্ছে আপনার ডায়েটিং এর প্রথম ধাপ।

    ডা জাহাঙ্গীর কবির ডায়েট

    ৫) এবার দ্বিতীয় ধাপে শুরু করুন রোজা রাখা৷ সেহরীতে শুধু পানি খেয়ে রোজা রাখা আরম্ভ করুন৷ স্বাভাবিক রোজার মতো দিনে পানি এবং সমস্ত কিছু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

    ৬) ইফতার করবেন বাদাম, মাখন এবং শসা দিয়ে৷ সাথে অন্যান্য সালাদ কিংবা টক ফল রাখতে পারেন।

    ৭) ভিনেগার মিশ্রিত পানি খেয়ে রাতের খাবার উপরে উল্লিখিত অনুরূপ খাবেন এবং অবশ্যই আটটার আগে সমস্ত খাবার শেষ করুন। বেশী ভালো ফল পেতে ইফতারের এক ঘন্টার ভেতর খাবার শেষ করুন এরপর পানি খেতে থাকুন।

    ৮) রোজা রাখা শুরু করলে বসা থেকে দাঁড়াতে মাথা সামান্য ঘুরতে পারে৷ সেক্ষেত্রে সামান্য লবন মিশ্রিত পানি খাবেন প্রতিদিন৷ এছাড়া ডাবের পানি খেতে পারেন৷ প্রতিদিন একটি কচি ডাব খাওয়া খুবই জরুরি।

    ৯) একটানা যতগুলো ফাস্টিং (রোজা) করতে পারবেন আপনি তত দ্রুত ফল পেতে থাকবেন। তবে ৭ দিন পর দুইদিন রোজা বিরতি দিবেন৷ ঐ দুইদিনও দুইবেলা খাবেন চার ঘন্টার ব্যাবধানে৷ খাদ্য মেনু আগেরগুলাই৷ বাকী সময় ওয়াটার ফাস্টিং করবেন৷ অর্থাৎ ভিনেগার, লেবু, গ্রীন টি, লবন মিশ্রিত পানি এগুলো খাবেন।


    ১০) যদি এক টানা রোজা রাখতে না পারেন তবে সপ্তাহে অন্তত দুইটা করে রোজা রাখুন৷ আর যাদের পুরো দিনে রোজা রাখতে সমস্যা আছে তারা উপরের ম্যানুগুলো অনুসরণ করে খাদ্যবিরতির সময়টা দীর্ঘ করবেন৷ অর্থাৎ আংশিক ফাস্টিং করে যাবেন৷ দুইবেলা খাবেন চার ঘন্টার ব্যাবধানে৷ খাদ্য মেনু আগেরগুলাই৷ বাকী বিশ ঘন্টা ওয়াটার ফাস্টিং করবেন৷ অর্থাৎ ভিনেগার, লেবু, গ্রিন টি, লবন মিশ্রিত পানি এগুলো খাবেন৷ সে সাথে নিয়মিত হাঁটুন এবং ব্যায়াম করুন। আশা করা যায় দেড়, দুই মাসের ভেতরেই আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে গেছেন।



    # আরো কিছু বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়:

    ১) যতটুকু সম্ভব টেনশন ফ্রী থাকার চেষ্টা করবেন।

    ২) হাসি খুশি থাকবেন।

    ৩) প্রতিদিন হাঁটার সময় বা হাঁটার পরে সকালের স্নিগ্ধ রোদ গায়ে লাগানোর চেষ্টা করবেন৷ কারণ রোদে থাকা ভিটামিন ডি আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

    ৪) রাত আটটার ভেতর সমস্ত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যাবহার থেকে বিরত থাকুন এতে করে আপনার ঘুমের কোয়ালিটি ভালো হবে।

    ৫) মুসলমান হলে নিয়মিত নামাজ পড়বেন। বেশি বেশি নফল নামাজ পড়বেন। এতে আপনার ফরজ আদায় হওয়ার পাশাপাশি শারীরিক কিছু ব্যায়াম হবে৷ যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। অন্য ধর্মের হলে নিজ নিজ ধর্মের রীতি অনুসারে ইবাদত করুন। আর সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস রাখুন এবং ভরসা রাখুন। অবশ্যই আপনি সফলকাম হবেন।

    ডা জাহাঙ্গীর কবির ডায়েট 


    ৬) বাহিরের সকল খাবার পরিহার করুন।

    ৭) তরকারির জন্য প্যাকেটজাত মসলা না কিনে নিজেরা গোটা মসলা মেশিনে ভাঙ্গিয়ে নিন৷ সকল প্রকার প্যাকেটজাত দ্রব্য পরিহার করার চেষ্টা করুন।

    ৮) রান্নায় সয়াবিন তেলের পরিবর্তে এক্সটা ভার্জিন অলিভওয়েল ব্যবহার করতে না পারলে আপাতত মন্দের ভালো হিসেবে শরিষার তৈল ব্যবহার করুন৷ সেটাও প্যাকেটজাত না কিনে পারলে নিজেরা মেশিনে প্রক্রিয়া করে তৈরি করে নিন।

    [নতুন যারা ডায়েট শুরু করতে চাচ্ছেন এ চার্টটি তাদের জন্য। এ লেখাটির যাবতীয় তথ্য ডা. জাহাঙ্গীর কবির এর ফেসবুক পেজ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।]


    ট্যাগ : ডায়েট কি? | What's Diet? ডায়েটডায়েট চার্ট কি? | What's Diet chart? ডায়েট চার্ট ওজন কমানোর ডায়েটক্যালরি চার্টকিটো ডায়েট কি? | What's Keto Diet? কিটো ডায়েটডা . জাহাঙ্গীর কবির এর কিটো ডায়েট চার্ট কিটো ডায়েট চার্টডা: জাহাঙ্গীর কবির ডায়েট চার্টডা জাহাঙ্গীর কবির ডায়েট


    Post a Comment

    0Comments

    প্রতিদিন ১০০-২০০ টাকা ইনকাম করতে চাইলে এখানে কমেন্ট করে জানান। আমরা আপনায় কাজে নিয়ে নেবো। ধন্যবাদ

    Post a Comment (0)