হুমায়ুন আহমেদের উক্তি | হুমায়ুন আহমেদের প্রেমের উক্তি | হুমায়ুন আহমেদের উক্তি সমূহ | হুমায়ূন আহমেদের কিছু কথা | হুমায়ূন আহমেদের বিখ্যাত উক্তি সমূহ
প্রিয় পাঠকবৃন্দ,
আসসালামুআলাইকুম রাহমাতুল্লাহে ওবারাকাতুহু। আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি।
প্রতিদিনের মতো আমি আজ আমাদের প্রিয় কবি হুমায়ুন আহমেদের উক্তি | হুমায়ুন আহমেদের প্রেমের উক্তি | হুমায়ুন আহমেদের উক্তি সমূহ | হুমায়ূন আহমেদের কিছু কথা | হুমায়ূন আহমেদের বিখ্যাত উক্তি সমূহ নিয়ে আলোচনা করব এবং হুমায়ুন আহমেদের উক্তি | হুমায়ুন আহমেদের প্রেমের উক্তি | হুমায়ুন আহমেদের উক্তি সমূহ | হুমায়ূন আহমেদের কিছু কথা | হুমায়ূন আহমেদের বিখ্যাত উক্তি সমূহ আলোচনার মধ্যে বেশ কিছু উক্তি তুলে ধরব।
হুমায়ুন আহমেদের উক্তি
আমি লক্ষ করেছি আমার অনেক বন্ধুরা মায়ান আহমেদের উক্তি লিখে সার্চ করছে কিন্তু পছন্দমত অথবা একত্রিত অনেকগুলো উক্তি কোন সাইটে পাচ্ছে না আমি তাদের সুবিধার্থে আজ এখানে হুমায়ূন আহমেদের উক্তি তুলে ধরেছি।আপনারা এখানে অনেকগুলো হুমায়ুন আহমেদের উক্তি পেয়ে যাবেন।
কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের উক্তি মেলা । কিছু বাস্তবিক চরিত্রের উন্মেষ-
বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলায় জন্ম নেয়া হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন একাধারে ছোট গল্পকার, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, গীতিকার, চিত্রনাট্যকার এবং চলচিত্র নির্মাতা। হুমায়ূন আহমেদ রচিত হিমু, শুভ্র, মিসির আলী চরিত্রগুলো তাকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে গিয়েছে। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হিসেবে তিনি সমাদৃত। সমসাময়িক সাহিত্যিকদের তুলনায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা এই কথা সাহিত্যিক ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর জন্মগ্রহন করেন এবং ২০১২ সালের ১৯ জুলাই মরনব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরন করেন। তবে তিনি সর্বদা আমাদের মনে বেঁচে থাকবেন তার কর্মের দ্বারা, তার স্বরচিত চরিত্র দ্বারা, অনুকরনীয় উক্তি দ্বারা, হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া বানী দ্বারা । হুমায়ূন আহমেদের উক্তি গুলো নিয়েই আজকের আয়োজন।
হুমায়ূন আহমেদের উক্তি
হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয় বানী গুলো বিভিন্ন মাধ্যমে সংগ্রহ করে আমরা আত্মপ্রকাশ ব্লগে একত্র করেছি। সব উক্তি সংগ্রহ করা সম্ভব না হলেও ক্ষুদ্র চেষ্টা হিসেবে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করে কিছু উক্তি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি উক্তির নিজস্ব দিক এবং প্যাটার্ন রয়েছে, যা আপনার জীবন আদর্শ বদলে দিতে পারে।
1 হুমায়ূন আহমেদের উক্তি । বাস্তবিক বাণীসমূহ
1.1 নারী নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের উক্তি । নারী চরিত্রের বিশেষ কিছু দিক
1.2 প্রেম ও ভালবাসা বিষয়ক হুমায়ূন আহমদের উক্তি । প্রেমিক হৃদয়ের বচন
1.3 জীবন দর্শন নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের উক্তি, যা বদলে দিতে পারে জীবন আদর্শ
নারী নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের উক্তি | নারী চরিত্রের বিশেষ কিছু দিক
নারী হৃদয় নিয়ে অনেক সাহিত্যিক অনেক কিছুই বলেই গেছেন। তবে তাদের সব কথা আমাদের অন্তরে এমনভাবে স্থান পায়নি যেমন ভাবে পেয়েছে হুমায়ূন আহমেদের উক্তি গুলোর মাধ্যমে। তাকে নারী বিশ্লেষক বললেও ভুল বলা হবে না। নারী বিষয়ে হুমায়ূন আহমেদের বানী গুলো নীচে পর্যায়ক্রমে দেয়া হলো –
নারী নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের উক্তি
‘‘পৃথিবীর সব মেয়েদের ভেতর অলৌকিক একটা ক্ষমতা থাকে। কোন পুরুষ তার প্রেমে পড়লে মেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তা বুঝতে পারে। এই ক্ষমতা পুরুষদের নেই। তাদের কানের কাছে মুখ নিয়ে কোন মেয়ে যদি বলে- ‘শোন আমার প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছে। আমি মরে যাচ্ছি।’
তারপরেও পুরুষ মানুষ বোঝে না। সে ভাবে মেয়েটা বোধ হয় এপেন্ডিসাইটিসের ব্যাথায় মরে যাচ্ছে!’’
“পৃথিবীতে সব নারীদের ডাক উপেক্ষা করা যায়, কিন্তু ‘মা’ এর ডাক উপেক্ষা করার ক্ষমতা প্রকৃতি আমাদের দেয়নি।”
“যে নারীকে ঘুমন্ত অবস্থায় সুন্দর দেখায় সেই প্রকৃত রূপবতী।”
“মেয়েরা ব্যাক্তিগত চাহিদার কাছে কখনো পরাজিত হয় না।” – আমিই মিসির আলী শীর্ষক বই থেকে সংরহীত।
“মেয়েদের মন পৃথিবীর সবচেয়ে স্পর্শকর জায়গা। এই মন অনেক কঠিন বিষয় সহজে মেনে নেয়, আবার অনেক সহজ বিষয় সহজে মেনে নিতে পারে না।”
“মেয়েদের আসল পরীক্ষা হচ্ছে সংসার। ঐ পরীক্ষায় পাশ করতে পারলে সব পাশ!” – “প্রিয়তমেষু” শীর্ষক বই থেকে সংগ্রহীত
হুমায়ূন আহমেদের কিছু কথা
আমি আজ আপনাদের সাথে হুমায়ূন আহমেদের কিছু কথা নারী বিষয়ক তুলে ধরবো। আপনারা যারা নারী বিষয়ক হুমায়ূন আহমেদের কিছু কথা খুঁজছেন তারা এখান থেকে নারী বিষয়ক হুমায়ূন আহমেদের কিছু কথা দেখে নিন।
“তরুণী মেয়েদের হঠাৎ আসা আবেগ হঠাৎ চলে যায়। আবেগকে বাতাস না দিলেই হলো।আবেগ বায়বীয় ব্যাপার, বাতাস পেলেই তা বাড়ে। অন্য কিছুতে বাড়ে না|”
“ভদ্র ছেলেদের জন্য মেয়েদের মনে কখনও প্রেম জাগে না। যা জাগে সেটা হল সহানুভূতি |”
“মেয়েদের স্বভাবই হচ্ছে হালকা জিনিস নিয়ে মাতামাতি করা।”
“মেয়েরা ভয়ঙ্কর দুর্যোগেও সাজ ঠিক রাখতে ভোলে না।”
“বেশিরভাগ রূপবতী মেয়ে নকল হাসি হাসে। হাসার সময় ঢং করার চেষ্টা করে। তাদের হাসি হায়েনার হাসির মতো হয়ে যায়।”
“মেয়েদের সবচে বেশি আনন্দ হয়, যখন ঝগড়াতে স্বামীকে হারাতে পারে। স্বামীর পরাজিত মুখ স্ত্রীর কাছে যুদ্ধে জয়ের মতো।”
নারী নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের উক্তি
“একটি ছেলে যখন মিথ্যা বলে তখন বোঝা যায় ছেলেটি মিথ্যা বলছে। কিন্তু একটি মেয়ে যখন মিথ্যা বলে তখন বোঝার উপায়নেই মেয়েটি মিথ্যা বলছে।”
“রূপবতী নারীদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে নেই । প্রত্যাখ্যান করলে অভিশাপ লাগে। রূপের অভিশাপ । রূপ তখন ধরা দেয় না । রূপের অভিশাপে পরা ভয়াবহ ব্যাপার।”
“প্রকৃতি শুধুমাত্র মেয়েদের মধ্যেই বিপরীত গুণাবলীর দর্শণীয় সমাবেশ ঘটিয়েছে, মেয়েকে যেহেতু সব সময়ই সন্তান ধারণ করতে হয়, হেতু প্রকৃতি তাকে করল – শান্ত, ধীর, স্থির। একই সঙ্গে ঠিক একই মাত্রায় তাকে করল- অশান্ত, অধীর, অস্থির” – “অনীশ” শীর্ষক বই থেকে সংগ্রহীত।”
“মেয়েদের তৃতীয় নয়ন থাকে। এই নয়নে সে প্রেমে পড়া বিষয়টি চট করে বুঝে ফেলে।”
“অতিরিক্ত রূপবতীরা বোকা হয়, এটা জগতের স্বঃতসিদ্ধ নিয়ম।”
“প্রতিটা মেয়ে হয়ত তার স্বামীর কাছে রানী হয়ে থাকতে পারে না। কিন্তু প্রতিটা মেয়েই তার বাবার কাছে রাজকন্যা হয়ে থাকে।”
“মেয়েরা গোছানো মানুষ পছন্দ করে না। মেয়েরা পছন্দ করে অগোছালো মানুষ।”
“কাজল ছাড়া মেয়ে দুধ ছাড়া চায়ের মত।”
হুমায়ূন আহমেদের প্রেমের উক্তি | প্রেম নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের উক্তি
প্রেম ও ভালবাসা বিষয়ক হুমায়ূন আহমদের উক্তি । প্রেমিক হৃদয়ের বচন
প্রেম ভালবাসা নিয়ে আমাদের সকলেরই নিজস্ব কিছু মতামত রয়েছে। তবে প্রেম ও ভালোবাসা নিয়ে করা হুমায়ূন আহমেদের উক্তি গুলো প্রানবন্ত এবং মন ছুঁয়ে যাওয়া। অনেকটা নিজ মনের প্রতিফলন। প্রেম ভালোবাসা নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের বানী অসংখ্য। যে কয়টা বানী দ্বারা বিষয় পরিস্ফুটিত হয় এবং সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে নীচে দেওয়া হলো –
প্রেম নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের উক্তি
“ভালোবাসা একটা পাখি। যখন খাঁচায় থাকে তখন মানুষ তাকে মুক্ত করে দিতে চায়। আর যখন খোলা আকাশে তাকে ডানা ঝাপটাতে দেখে তখন খাঁচায় বন্দী করতে চায়।”
“চট করে কারও প্রেমে পড়ে যাওয়া কোনো কাজের কথা না।”
“অতি রূপবতীদের কারও প্রেমে পড়তে নেই। অন্যরা তাদের প্রেমে পড়বে, তা-ই নিয়ম।”
“গভীর প্রেম মানুষকে পুতুল বানিয় দেয়। প্রেমিক প্রেমিকার হাতের পুতুল হন কিংবা প্রেমিকা হয় প্রেমিকের পুতুল। দুজন এক সঙ্গে কখনো পুতুল হয় না। কে পুতুল হবে আর কে হবে সূত্রধর তা নির্ভর করে মানসিক ক্ষমতার উপর। মানসিক ক্ষমতা যার বেশী তার হাতেই পুতুলের সুতা।”
“একজন প্রেমিকের কাছে চন্দ্র হলো তার প্রেমিকার মুখ। আর জ্যোস্না হলো প্রেমিকার দীর্ঘশ্বাস।”
“ভালোবাসা ও ঘৃনা দুটাই মানুষের চোখে লিখা থাকে।”
“পৃথিবীতে অনেক ধরনের অত্যাচার আছে। ভালবাসার অত্যাচার হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ানক অত্যাচার। এ অত্যাচারের বিরুদ্ধে কখনো কিছু বলা যায় না, শুধু সহ্য করে নিতে হয়।”
“এই পৃথিবীতে প্রায় সবাই, তার থেকে বিপরীত স্বভাবের মানুষের সাথে প্রেমে পড়ে|”
প্রেম নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের উক্তি
“যখন মানুষের খুব প্রিয় কেউ তাকে অপছন্দ, অবহেলা কিংবা ঘৃণা করে তখন প্রথম প্রথম মানুষ খুব কষ্ট পায় এবং চায় যে সব ঠিক হয়ে যাক । কিছুদিন পর সে সেই প্রিয় ব্যক্তিকে ছাড়া থাকতে শিখে যায়। আর অনেকদিন পরে সে আগের চেয়েও অনেকবেশী খুশি থাকে যখন সে বুঝতে পারে যে কারো ভালবাসায় জীবনে অনেক কিছুই আসে যায় কিন্তু কারো অবহেলায় সত্যিই কিছু আসে যায় না।”
“যে ভালোবাসা না চাইতে পাওয়া যায়, তার প্রতি কোনো মোহ থাকে না।”
“করুণাও এক ধরনের ভালোবাসা, তবে তা ক্ষতিকারক ভালোবাসা। এই ভালোবাসা মানুষকে অসুস্থ করে দেয়।”
“প্রেমের তো কোন বর্ণ নেই। কালো মেয়ের প্রেম যেমন, রূপবতি মেয়ের প্রেমও একই রকম।”
“যার রাগ বেশি সে নিরবে অনেক ভালোবাসতে জানে, যে নিরবে ভালোবাসতে জানে তার ভালোবাসার গভীরতা বেশি, আর যার ভালোবাসার গভীরতা বেশি তার কষ্টও অনেক বেশি।”
“যে ভালবাসা যত গোপন,সেই ভালবাসা তত গভীর।”
“কাউকে ভালোবাসলে বেশি কাছে যাবার চেষ্টা করতে নাই।”
“তাতে করে কাছে যাবার আকুতি দেখে সে হয়তো দূরে চলে যেতে পারে। কেননা, মানুষ সোজা পথের চেয়ে বাকা পথে হাটতে আনন্দ পায় বেশি। কিন্তু সব কিছু হারিয়ে সোজা পথেই আসতে হয়। সেই সময়ে নতুন করে ভালোবাসার ইচ্ছা টা আর থাকে না।”
“বাস্তবতা এতই কঠিন যে কখনও কখনও বুকের ভিতর গড়ে তোলা বিন্দু বিন্দু ভালবাসাও অসহায় হয়ে পড়ে।”
প্রেম নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের উক্তি
“যে জিনিস চোখের সামনে থাকে তাকে আমরা ভুলে যাই। যে ভালোবাসা সব সময় আমাদের ঘিরে রাখে। তার কথা আমাদের মনে থাকে না…. মনে থাকে হঠাৎ আসা ভালোবাসার কথা।”
“যদি আপনি অন্তর থেকে কাউকে চান, জেনে রাখুন সেই মানুষটিও আপনাকে ভেবেই ঘুমাতে যায়।”
“কাউকে প্রচন্ডভাবে ভালোবাসার মধ্যে এক ধরনের দুর্বলতা আছে। নিজেকে তখন তুচ্ছ এবং সামান্য মনে হয়। এই ব্যাপারটা নিজেকে ছোট করে দেয়।”
“ভালোবাসার মাঝে হালকা ভয় থাকলে, সেই ভালোবাসা মধূর হয়।কেননা, হারানোর ভয়ে প্রিয়য়জনের প্রতি ভালোবাসা আরো বেড়ে যায়।”
“প্রত্যেক ভালবাসায় দুইজন সুখী হলেও তৃতীয় একজন অবশ্যই কষ্ট পাবেই, এটাই হয়তো প্রকৃতির নিয়ম।”
“যুদ্ধ এবং প্রেমে কোনো কিছু পরিকল্পনা মতো হয় না।”
হুমায়ুন আহমেদের উক্তি সমূহ
আমি এখানে হুমায়ূন আহমেদের উক্তি সমূহ তালিকা তুলে ধরেছি। এবং এই হুমায়ুন আহমেদের উক্তি সমূহ তালিকার মধ্যে হুমায়ূন আহমেদের উক্তি বেশকিছু অন্তর্ভুক্ত করেছি।
প্রেম ও ভালবাসা নিয়ে হুমায়ূন আহমদের আরো বেশ কিছু উক্তি করেছেন। তাঁর প্রেম ভালবাসার জনপ্রিয় উক্তি গুলোকে একত্রে এক পোষ্টে নিয়ে আসা হয়েছে, জেনে নিতে পারেন সেগুলো – হুমায়ূন আহমদের জনপ্রিয় প্রেম ও ভালবাসার উক্তি
জীবন দর্শন নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের উক্তি, যা বদলে দিতে পারে জীবন আদর্শ
আমাদের প্রত্যেকের জীবন দর্শন আলাদা এবং আমরা এক একজন জীবনকে এক-একভাবে দেখি। তবে আমাদের সকলের জীবন দর্শনেই কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। এই সীমাবদ্ধতা পূরণ করা সম্ভব গুনী ব্যাক্তিদের সাহচর্যে, তাদের জীবন দর্শন অনুকরণের মাধ্যমে , তাদের বানীগুলোকে হৃদয়ে ধারন করে। সব দর্শন যে আমাদের অনুকরণীয় হতে হবে এমন নয়, যে দর্শন গুলো আমাদের জীবনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ আমাদের সেগুলোই অনুসরণ করতে হবে। চলুন পড়া যাক, এমন কিছু হুমায়ূন আহমেদের উক্তি, যা জীবন বদলে দিতে পারে।
জীবন দর্শন নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের উক্তি
“পৃথিবীতে আসার সময় প্রতিটি মানুষই একটি করে আলাদিনের প্রদীপ নিয়ে আসে…কিন্তু খুব কম মানুষই সেই প্রদীপ থেকে ঘুমন্ত দৈত্যকে জাগাতে পারে।”
“কিছু কিছু মানুষ ভাগ্যকে নিজের হাতে গড়ে, আবার কারো কারো কাছে ভাগ্য আপনি এসে ধরা দেয়।”
“মানুষ ট্রেইনের মত এক লাইনে চলে। তবে বিশেষ ঘটনার পর নতুন লাইন পাওয়া যায়।”
“মানুষ শুধু যে মানুষের কাছ থেকে শিখবে তা না। পশু পাখির কাছ থেকে অনেক কিছু শেখা যায়।”
“তুমি একটা খারাপ কাজ করেছো তার মানে তুমি একজন মানুষ, তুমি সেই খারাপ কাজটার জন্য অনুতপ্ত তার মানে তুমি একজন ভাল মানুষ।”
“যে সব মানুষের নাক সেনসেটিভ হয় তাদের কান কম সেনসেটিভ হয়। প্রকৃতি একটা বেশী দিলে অন্যটা কমিয়ে দেয়।”
“মিথ্যা হলো শয়তানের বিয়ের মন্ত্র। মিথ্যা বললেই শয়তানের বিয়ে হয়। বিয়ে হওয়া মানেই সন্তান-সন্ততি হওয়া। একটা মিথ্যার পর আরো অনেকগুলি মিথ্যা বলতে হয় এই কারণেই।পরের মিথ্যাগুলি শয়তানের সন্তান।”
“যে মানব সন্তান ক্ষুদ্র কামনা জয় করতে পারে সে বৃহৎ কামনাও জয় করতে পারে।”
“বিপদ যখন আসে একটার পর একটা আসে। বিপদরা পাঁচ ভাইবোন। এদের মধ্যে খুব মিল। এই ভাইবোনরা কখনো একা কারো কাছে যায় না। প্রথম একজন যায়, তারপর তার অন্য ভাইবোনরা উপস্থিত হয়।”
“বিরক্তিকর কোনো মানুষ ফ্রড হতে পারে না । পৃথিবী তে ফ্রড মাত্রই ইন্টারেস্টিং ক্যারেক্টার হয়।”
জীবন দর্শন নিয়ে হুমায়ূন আহমদের উক্তি
“এ জগতে যুক্তিহীন কিছু ঘটে না। অযুক্তি হল অবিদ্যা। এ পৃথিবীতে অবিদ্যার স্থান নেই।”
“এই পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের কখনো অপরিচিত মনে হয় না” – “দারুচিনি দ্বীপ” শীর্ষক বই থেকে সংগ্রহীত।
“প্রতিটা মানুষের জীবনে কষ্ট আছে শুধুতা প্রকাশ করারপদ্ধতি ভিন্ন। নির্বোধরা প্রকাশ করে চোখের পানি দিয়ে আর বুদ্ধিমানরা প্রকাশ করে মৃদু হাসি দিয়ে।”
“মনে রেখো, আজকের দিনটিই তোমার সেই ভবিষ্যৎ যা নিয়ে তুমি গতকাল চিন্তিত ছিলে।”
“মানুষ হয়ে জন্মানোর সবচেয়ে বড় কষ্ট হচ্ছে মাঝে মাঝে তার সবকিছু পেছনে ফেলে চলে যেতে ইচ্ছা করে, কিন্তু সে যেতে পারে না। তাকে অপেক্ষা করতে হয়। কিসের অপেক্ষা তাও সে ভালমত জানে না।” – “রজনী” শীর্ষক বই থেকে সংগ্রহীত।
“সন্দেহভাজন একজন মানুষ যত ভালো কাজই করুক তার কাজকে দেখা হয় সন্দেহের চোখে।” – ‘হরতন ইশকাপন’ শীর্ষক বই থেকে সংগ্রহীত।”
“পিথাগোরাস বলে গেছেন, তিন খুব শক্তিশালী সংখ্যা। তিনে-এ আছে আমি, তুমি এবং সর্বশক্তিমান তিনি। সেজন্যই ত্রিভুবন, ত্রিকাল এবং ত্রিসত্যি। কবুল বলতে হয় তিনবার। তালাক বলতে হয় তিনবার। পৃথিবীতে রঙও মাত্র তিনটা। লাল, নীল এবং হলুদ। বাকি সব রং এই তিনের মিশ্রণ।”
“কিছু মানুষের উপর আপনি কখনোই আস্থা রাখতে পারেন না। এরা নিজের সুখের জন্য ঝুলন্ত অবস্থায় পাহাড়ের চূড়া থেকে আপনার হাত ছেড়ে দিতেও দ্বিধাবোধ করে না।”
“কল্পনা শক্তি আছে বলেই সে মিথ্যা বলতে পারে । যে মানুষ মিথ্যা বলতে পারে না, সে সৃষ্টিশীল মানুষ না, রোবট টাইপ মানুষ।”
“জীবনে কখনো কাউকে বিশ্বাস করতে যেও না। কারন,যাকেই তুমি বিশ্বাস করবে সেই তোমাকে ঠকাবে।”
জীবন দর্শন নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের উক্তি
“আমাদের মধ্যে সম্মান করা এবং অসম্মান করার দুটি প্রবণতাই প্রবলভাবে আছে। কাউকে পায়ের
নিচে চেপে ধরতে আমাদের ভালো লাগে, আবার মাথায় নিয়ে নাচানাচি করতেও ভালো লাগে।”
“সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে কেউ মিথ্যা বলতে পারে না। মিথ্যা বলতে হয় অন্যদিকে তাকিয়ে।”
“বিবাহ এবং মৃত্যু এই দুই বিশেষ দিনে লতা-পাতা আত্মীয়দের দেখা যায়। সামাজিক মেলামেশা হয়। আন্তরিক আলাপ আলোচনা হয়।”
“হাসিতে খুব সহজেই মানুষকে চেনা যায় । সব মানুষ একই ভঙ্গিতে কাঁদে কিন্তু হাসার সময় একেক জন একেক রকম করে হাসে।”
“পৃথিবীতে অসংখ্য খারাপ মানুষ আছে, কিন্তু একজনও খারাপ বাবা নেই।”
“ভালো মানুষের রাগ থাকে বেশি। যারা মিচকা শয়তান তারা রাগে না। পাছায় লাথি মারলেও লাথি খেয়ে হাসবে।”
“অন্ধকার বলে কিছু নেই, আলোর অনুপস্থিতিকে অন্ধকার বলে। তেমনি কষ্ট বলেও কিছু নেই, সুখের সাময়িক অনুপস্থিতিকে কষ্ট বলে।”
“পৃথিবীতে ফিনিক ফোটা জোছনা আসবে। শ্রাবন মাসে টিনের চালে বৃষ্টির সেতার বাজবে। সেই অলৌকিক সঙ্গীত শোনার জন্য আমি থাকব না।”
“সেই বেশী হাসে, যে গোপনে কাঁদে । সেই বেশী নিজেকে হ্যাপি দেখায়, যে নিরবে একা থাকে। সেই বলে সুখের কোন অভাব নেই, যার জীবনে কষ্ট ছাড়া আর কিছু নাই।”
“পুরুষ মানুষকে চোখে চোখে রাখতে হয়। চোখের আড়াল হলেই এরা অন্য জিনিস।”
“অধিকাংশ মানুষ কল্পনায় সুন্দর, অথবা সুন্দর দূর থেকে। কাছে এলেই আকর্ষণ কমে যায়। কারো সম্পর্কে যত কম জানা যায়, সে তত ভাল মানুষ।”
জীবন দর্শন নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের উক্তি
“মানুষ হবার অনেক যন্ত্রণার একটি হচ্ছে, যা বলতে প্রাণ কাঁদে তা কখনো বলা হয় না।”
“সাধারন হওয়াটা একটা অসাধারন বিষয়, সবাই সাধারন হতে পারে না।”
“ভাঙা মন নিয়ে যে হাসতে জানে, তার মত শক্তিশালী মানুষ খুঁজে পাওয়া কষ্টকর।”
“খুব বুদ্ধিমান মানুষদের এটা একটা সমস্যা। নিজেদের তৈরি কথা ছোট ছোট ফাঁদে তারা নিজেরা ধরা পড়ে।”
“লাজুক ধরনের মানুষ বেশির ভাগ সময়ই মনের কথা বলতে পারে না। মনের কথা হড়বড় করে বলতে পারে শুধু মাত্র পাগলরাই। পাগলরা মনে হয় সে কারণেই সুখি।”
“মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ গুলোই ধরনীর আসল রুপ দেখতে পায়।”
“কান্নার সঙ্গে তো সমুদ্রের খুব মিল আছে। সমুদ্রের জল নোনা। চোখের জল নোনা। সমুদ্রে ঢেউ ওঠে। কান্নাও আসে ঢেউয়ের মতো। যুদ্ধ এবং প্রেমে কোনো কিছু পরিকল্পনা মতো হয় না।”
“মিথ্যা বলা মানে আত্মার ক্ষয়। জন্মের সময় মানুষ বিশাল এক আত্মা নিয়ে পৃথিবীতে আসে। মিথ্যা বলতে যখন শুরু করে তখন আত্মার ক্ষয় হতে থাকে। বৃদ্ধ বয়সে দেখা যায়, আত্মার পুরোটাই ক্ষয় হয়ে গেছে।”
“এই পৃথিবীতে চোখের জলের মতো পবিত্রতো আর কিছু নেই । এই পবিত্র জলের স্পর্শে সব গ্লানি- সব মালিন্য কেটে যায়।” “কুহক” শীর্ষক বই থেকে সংগ্রহীত।
“যারা মিথ্যে বলেনা তারা খুবই বিপজ্জনক। তারা যখন একটা দুটো মিথ্যা বলে তখন সেইটাকে সত্যি বলে ধরে নেয়া হয়। এক হাজার ভেড়ার পালে একটা নেকড়ে ঢুকে পড়ার মত। এক হাজার সত্যির মধ্যে একটা মিথ্যা। ভয়ংকর মিথ্যা।”
জীবন দর্শন নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের উক্তি
“সাহসী মানে সবসময় গর্জে উঠা নয়। অনেক সময় সাহসী তারাই যারা দিন শেষে শান্ত গলায় বলে আমি আবার কালকে চেষ্টা করবো।”
“যার ওপর মায়া পড়েছে তার সঙ্গে শুধু কথা বলতে ইচ্ছে করে। এই ইচ্ছেটিই বিপজ্জনক। কথা বলা মানেই মায়া বাড়ানো।”
“মন খারাপ ভাব দূর করার জন্য এমন কিছু করা দরকার যেন মনটা আর ও খারাপ হয়, মনখারাপে মন খারাপে কাটাকাটি |”
“সব পুরুষের ভেতরে শয়তান থাকে। ছোট শয়তান, মাঝারি শয়তান, বড় শয়তান। চেহারা দেখে কিছু বোঝার উপায় নেই। যে যতো বড় শয়তান তার চেহারা ততটাই ভাজা মাছ উল্টে খেতে পারি না টাইপ।” – ‘হিমু এবং হার্ভার্ড p.h.d বল্টু ভাই’ শীর্ষক বই থেকে সংগ্রহীত।
“ভোর বেলায় মানুষের মেজাজ মোটামুটি ভালো থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খারাপ হতে থাকে, বিকাল বেলায় মেজাজ সবচে বেশি খারাপ হয়, সন্ধার পর আবার ভালো হতে থাকে। এটাই সাধারণ নিয়ম।” – ‘তন্দ্রাবিলাস’ গল্পবই থেকে সংগৃহীত।
“অনেক কিছুই বই পড়ে শেখা যায় না। যে কোনোদিন মিষ্টি খায় নাই, সে কি কোনো বই পড়ে বুঝতে পারবে মিষ্টির স্বাদ কী ! যে কোনোদিন লাল রঙ দেখে নাই, বই পড়ে সে কি বুঝবে লাল রঙ কী?”
“আয়না দেখলে আয়নার সামনে দাড়াতে ইচ্ছা করে । খুবই ক্ষুদ্র ইচ্ছা এবং নির্দোষ ইচ্ছা । তবু অতি ক্ষুদ্র ইচ্ছাকে প্রশ্রয় দিতে নেই। একবার প্রশ্রয় দিলে সব ইচ্ছাকে প্রশ্রয় দিতে মন চাইবে।” – ‘দরজার অপাশে’ শীর্ষক বই থেকে সংগ্রহীত।”
“মানুষের কষ্ট দেখাও কষ্টের কাজ।”
“তুমি যখন ভাল করতে থাকবে, মানুষ তোমাকে হিংসা করতে শুরু করবে। না চাইলেও তোমার শত্রু জন্মাবে।”
“সঠিক সিদ্ধান্তের ক্ষমতা আছে শুধুই আল্লাহপাকের। মানুষকে মাঝে মাঝে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রমাণ করতে হয় যে সে মানুষ।”
“গাধা এক ধরনের আদরের ডাক। অপরিচিত বা অর্ধ-পরিচিতদের গাধা বলা যাবে না। বললে মেরে তক্তা বানিয়ে দেবে। প্রিয় বন্ধুদেরই গাধা বলা যায়। এতে প্রিয় বন্ধুরা রাগ করে না বরং খুশি হয়।”
“একজন মানুষকে সত্যিকারভাবে জানার উপায় হচ্ছে তার স্বপ্নটা জানা।”
“আবেগ প্রবণ মানুষ খুব বোকা হয়ে থাকে। তারা খুব সহজেই মানুষকে বিশ্বাস করে ফেলে। তাই তারা প্রতারিত হয় বেশি, কষ্টও পায় বেশি।”
জীবন দর্শন নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের উক্তি
“মানুষ নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করে। সে চায় অন্যরা তাকে খুঁজে বের করুক।”
“মাঝে মাঝে আত্মার সম্পর্ক রক্তের সম্পর্ককেও অতিক্রম করে।”
“বয়সকালেই মানুষ ছোট খাট ভুল করতে থাকে। ছোটখাটো ভুল করা যখন অভ্যাস হয়ে যায় তখন করে বড় ভুল।”
“কখনো কখনো তোমার মুখটা বন্ধ রাখতে হবে। গর্বিত মাথাটা নত করতে হবে এবং স্বীকার করে নিতে হবে যে তুমি ভুল। এর অর্থ তুমি পরাজিত নও, এর অর্থ তুমি পরিণত এবং শেষ বেলায় জয়ের হাসিটা হাসার জন্য ত্যাগ স্বীকারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।”
“নামে কিছু আসে যায় না। আসে যায় কর্মে। যিশুখ্রিষ্টকে বিশুব্রিষ্ট ডাকলেও তাঁর যিশুত্ব কিছুমাত্র কমবে না।”
“ঈশ্বর যদি কাউকে মারতে চান তাহলে কি তার কোন আয়োজন করার প্রয়োজন আছে ? তাহলে মরতে কিসের ভয় , একবারই তো মরতে হবে।”
“হারিয়ে যাওয়া মানুষ ফিরে আসলে সে আর আগের মত থাকে না। কেমন জানি অচেনা অজানা হয়ে যায় । সবই হয়তো ঠিক থাকে কিন্তু কি যেন নাই, কি যেন নাই।”
“তুমি দশটি সত্য এর মাঝে একটি মিথ্যা মিশিয়ে দাও, সেই মিথ্যাটিও সত্য হয়ে যাবে কিন্তু তুমি দশটি মিথ্যার মাঝে একটি সত্য মিশাও, সত্য সত্যই থেকে যাবে আর মিথ্যা হবে না। সত্য আসলেই সুন্দর।”
“নোংরা কথা শুনতে নিষিদ্ধ আনন্দ আছে, কথা যত নোংরা তত মজা।”
“রাত্রি কখনও সূর্যকে পায় না, তাতে ক্ষতি নেই। কারণ সে পেয়েছে অনন্ত নক্ষত্রবীথি।
“অনন্ত নক্ষত্রবীথি” শীর্ষক বই থেকে সংগৃহীত।”
“কিছু কিছু পুরুষ আছে যারা রুপবতী তরুনীদের অগ্রাহ্য করে একধরনের আনন্দ পায়। সচরাচর এরা নিঃসঙ্গ ধরনের পুরুষ হয় এবং নারী সঙ্গের জন্য তীব্র বাসনা বুকে পুষে রাখে।”
৬৪ বছরের জীবনে হুমায়ূন আহমদ আমাদের দিয়ে গেছেন অনেক কিছুই। জীবনের শেষ সময়েও তিনি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করার জন্য কাজ করে গিয়েছেন। তিনি তার গল্প, উপন্যাস, নাটক, সিনেমা এবং কালজয়ী চরিত্র সৃষ্টি দ্বারা পাঠক হৃদয়ে আজীবন বেঁচে থাকবেন। আমাদের সীমাবদ্ধতা, আমরা হুমায়ূন আহমেদের সব সৃষ্টি এবং হুমায়ূন আহমদের উক্তি গুলোকে এক আর্টিকেলে আনতে পারিনি।
হুমায়ূন আহমেদের বিখ্যাত বাণী সমূহ
হুমায়ুন আহমেদের বাণী সমূহের মধ্যে হুমায়ূন আহমেদের বিখ্যাত বাণী সমূহ গুলো আমি এখানে তুলে ধরেছি।বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তী হুমায়ূন আহমেদ ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত নেত্রকোণা মহুকুমার মোহনগন্জে তার মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। হুমায়ূন আহমেদের লেখা সকল গল্প ও উপন্যাস আমাদের বর্তমান প্রজন্মের কাছে কতটা জনপ্রিয়তা পেয়েছে তা আমরা গত কয়েক বছরের দিকে তাকালেই বুঝে যাই। তিনি তার লেখনির মধ্য দিয়ে মানুষের মনের ভিতরের কথাগুলো প্রকাশ করেছেন, এই জন্যই তিনি এতটা জনপ্রিয়।
নিম্নে হুমায়ূন আহমেদের বিখ্যাত উক্তি ও বাণীগুলো বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংগ্রহ করে লেখা হয়েছে, যদি ভালো লাগে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
”পৃথিবীতে অসংখ্য খারাপ মানুষ আছে, কিন্তু একজনও খারাপ বাবা নেই।”
–হুমায়ূন আহমেদ
”যে ভালোবাসা না চাইতে পাওয়া যায়, তার প্রতি কোনো মোহ থাকে না।”
—হুমায়ূন আহমেদ
”ওর কিছু নিজস্ব বিচিত্র লজিক আছে। সে ঐ লজিকে চলে । অন্য কারো কথাই শোনেনা । আমার কথাও শুনবেনা ।”
—-হুমায়ূন আহমেদ
”মা হল পৃথিবীর একমাত্র ব্যাংক, যেখানে আমরা আমাদের সব দুঃখ, কষ্ট জমা রাখি এবং বিনিময়ে নেই বিনাসূদে অকৃত্রিম ভালোবাসা”
—হুমায়ূন আহমেদ
”মেয়েরা ভয়ঙ্কর দুর্যোগেও সাজ ঠিক রাখতে ভোলে না।”
—হুমায়ূন আহমেদ
”মেয়ে জাতটাই হচ্ছে মায়াবতীর জাত ।”
—হুমায়ূন আহমেদ
আবেগ লুকাতে হয় । অতি আবেগ মানুষকে সামনে এগুতে দেয় না
—-হুমায়ূন আহমেদ
আমরা যে জিনিস বুঝতে পারিনা তাকেই ভয় পাই।
—হুমায়ূন আহমেদ
অধিকাংশ মানুষ কল্পনায় সুন্দর, অথবা সুন্দর দুর থেকে। কাছে এলেই আকর্ষণ কমে যায়। মানুষই একই। কারো সম্পর্কে যত কম জানা যায়, সে তত ভাল মানুষ।
—হুমায়ূন আহমেদ
সমুদ্রের জীবনে যেমন জোয়ার-ভাটা আছে, মানুষের জীবনেও আছে। মানুষের সঙ্গে এই জায়গাতেই সমুদ্রের মিল।
—-হুমায়ূন আহমেদ
মেয়েদের চরিত্রের একটা বিশেষ দিক হল, যেই মুর্হূতে তারা অপর পক্ষের আগ্রহ টের পায়, সেই মুর্হূতে তারা দপ করে নিভে যায়।
বয়সকালেই মানুষ ছোট খাট ভুল করতে থাকে। ছোটখাটো ভুল করা যখন অভ্যাস হয়ে যায় তখন করে বড় ভুল !
সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে কেউ মিথ্যা বলতে পারে না। মিথ্যা বলতে হয় অন্যদিকে তাকিয়ে !
বিপদ যখন আসে একটার পর একটা আসে। বিপদরা পাঁচ ভাইবোন। এদের মধ্যে খুব মিল। এই ভাইবোনরা কখনো একা কারো কাছে যায় না। প্রথম একজন যায়, তারপর তার অন্য ভাইবোনরা উপস্থিত হয়।
পৃথিবীতে আসার সময় প্রতিটি মানুষই একটি করে আলাদিনের প্রদীপ নিয়ে আসে…কিন্তু খুব কম মানুষই সেই প্রদীপ থেকে ঘুমন্ত দৈত্যকে জাগাতে পারে।
পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ সম্ভবত কষ্ট পাবার জন্যই জন্মায়। টাকা পয়সার কষ্ট নয়- মানসিক কষ্ট।
সবাই তোমাকে কষ্ট দিবে, কিন্ত তোমাকে এমন একজনকে খুজে নিতে হবে, যার দেয়া কষ্ট তুমি সহ্য করতে পারবে।
এই পৃথিবীতে প্রায় সবাই, তার থেকে বিপরীত স্বভাবের মানুষের সাথে প্রেমে পড়ে।
কিছু কিছু মানুষ ভাগ্যকে নিজের হাতে গড়ে, আবার কারো কারো কাছে ভাগ্য আপনি এসে ধরা দেয়!
ভালো মানুষের রাগ থাকে বেশি। যারা মিচকা শয়তান তারা রাগে না। পাছায় লাথি মারলেও লাথি খেয়ে হাসবে।
প্রেমে পড়া মানে নির্ভরশীল হয়ে পড়া। তুমি যার প্রেমে পড়বে সে তোমার জগতের একটা বিরাট অংশ দখল করে নেবে। যদি কোনো কারণে সে তোমাকে ছেড়ে চলে যায় তবে সে তোমার জগতের ঐ বিরাট অংশটাও নিয়ে যাবে। তুমি হয়ে পড়বে শূণ্য জগতের বাসিন্দা
হাসিতে খুব সহজেই মানুষকে চেনা যায় ।সব মানুষ একই ভঙ্গিতে কাঁদে কিন্তু হাসার সময় একেক জন একেক রকম করে হাসে
আমাদের সবার ভুবনই আলাদা। এই ভুবনও একদিন ভাঙবে। আমরা অচেনা এক বৃত্তের দিকে যাত্রা শুরু করব। সেই বৃত্ত কেমন কে জানে! পৃথিবীতেই এত রহস্য। না জানি কত রহস্য অপেক্ষা করছে অদেখা ভুবনে।
যে মানব সন্তান ক্ষুদ্র কামনা জয় করতে পারে সে বৃহৎ কামনাও জয় করতে পারে।
বিবাহ এবং মৃত্যু এই দুই বিশেষ দিনে লতা-পাতা আত্মীয়দের দেখা যায়। সামাজিক মেলামেশা হয়। আন্তরিক আলাপ আলোচনা হয়।
হাসিতে খুব সহজেই মানুষকে চেনা যায় ।সব মানুষ একই ভঙ্গিতে কাঁদে কিন্তু হাসার সময় একেক জন একেক রকম করে হাসে।
ভদ্র ছেলেদের জন্য মেয়েদের মনে কখনও প্রেম জাগে না। যা জাগে সেটা হল সহানুভূতি|
একজন মানুষকে সত্যিকারভাবে জানার উপায় হচ্ছে তার স্বপ্নটা জানা।
চাঁদের বিশালতা মানুষের মাঝেও আছে, চাঁদ এক জীবনে বারবার ফিরে আসে, ঠিক তেমন মানুষ প্রিয় বা অপ্রিয় যেই হোক,একবার চলে গেলে আবার ফিরে আসে।
যে একদিন পড়িয়েছে সে শিক্ষক । সারাজীবনই শিক্ষক। আবার যে একদিন চুরি করেছে সে কিন্তু সারাজীবনই চোর না, তাহলে পৃথিবীর সব মানুষই চোর হত।
মানুষ শুধু যে মানুষের কাছ থেকে শিখবে তা না। পশু পাখির কাছ থেকে অনেক কিছু শেখা যায়।
মিথ্যা হলো শয়তানের বিয়ের মন্ত্র। মিথ্যা বললেই শয়তানের বিয়ে হয়। বিয়ে হওয়া মানেই সন্তান-সন্ততি হওয়া। একটা মিথ্যার পর আরো অনেকগুলি মিথ্যা বলতে হয় এই কারণেই।পরের মিথ্যাগুলি শয়তানের সন্তান।
মেয়েদের স্বভাবই হচ্ছে হালকা জিনিস নিয়ে মাতামাতি করা।
ভাল লাগা এমন এক জিনিস যা একবার শুরু হলে সব কিছুই ভালো লাগতে থাকে।
সব মানুষকেই বিনয়কে এদেশে দুর্বলতা মনে করা হয়, বদমেজাজকে ব্যক্তিত্ব ভাবা হয়।
যুদ্ধ এবং প্রেমে কোনো কিছু পরিকল্পনা মতো হয় না। ভালবাসাবাসির জন্যে অনন্তকালের প্রয়োজন নেই।একটি মুহূর্তই যথেষ্ট।
দুঃসময়ে কোনো অপমান গায়ে মাখতে হয় না। ভালোবাসা ও ঘৃনা দুটাই মানুষের চোখে লিখা থাকে!
পৃথিবীতে অনেক ধরনের অত্যাচার আছে। ভালবাসার অত্যাচার হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ানক অত্যাচার। এ অত্যাচারের বিরুদ্ধে কখনো কিছু বলা যায় না, শুধু সহ্য করে নিতে হয়।
তরুণী মেয়েদের হঠাৎ আসা আবেগ হঠাৎ চলে যায়। আবেগকে বাতাস না দিলেই হলো।আবেগ বায়বীয় ব্যাপার, বাতাস পেলেই তা বাড়ে। অন্য কিছুতে বাড়ে না |
একজন সাধুর সঙ্গে তুমি যদি কিছুদিন থাক তোমার মধ্যে সাধু স্বভাব চলে আসবে। দুষ্ট লোকের সঙ্গে কিছুদিন থাক তোমার মধ্যে ঢুকবে দুষ্ট স্বভাব।
মনের তীব্র ব্যাথা কমানোর একটি উপায় হচ্ছে কিছু লেখা। যে লেখা ব্যক্তিগত দুঃখকে ছড়িয়ে দেয় সবদিকে।
মেয়েরা সাধারণত টিপ দেওয়ার ব্যাপারে খুব সাবধানী হয়। টিপ এক পাশে হলে সংসারে সতীন জোটে- তাই বাড়তি সাবধানতা।
কোন পরিবারে একজন কেউ কানে কম শুনলে বাকি সবাই জোরে কথা বলে।
বড় রকমের অসুখবিসুখের সময় মানুষের মন দুর্বল থাকে। মানুষের ব্যথা – বোধের মূল কেন্দ্র মস্তিস্ক।
মেয়েরা সিরিয়াস টাইপ পুরুষ পছন্দ করে।যারা কথায় কথায় রসিকতা করে মেয়েরা তাদের ছ্যাবলা ভাবে।
বাবা-মা’র প্রথম সন্তান হচ্ছে চমৎকার একটি জীবন্ত খেলনা। এই খেলনার সবই ভালো। খেলনা যখন হাসে, বা-মা হাসে। খেলনা যখন কাঁদে বাবা-মা’র মুখ অন্ধকার হয়ে যায়।
মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলোই ধরণীর আসল রূপ দেখতে পায়।
মেয়েরা গোছানো মানুষ পছন্দ করে না। মেয়েরা পছন্দ করে অগোছালো মানুষ।
লাজুক ধরনের মানুষ বেশীর ভাগ সময়ই মনের কথা বলতে পারেনা। মনের কথা হড়বড় করে বলতে পারে শুধু মাত্র পাগলরাই। পাগলরা মনে হয় সেই কারণেই সুখী।
প্রেমে পড়া মানে নির্ভরশীল হয়ে পড়া। তুমি যার প্রেমে পড়বে সে তোমার জগতের একটা বিরাট অংশ দখল করে নেবে। যদি কোনো কারণে সে তোমাকে ছেড়ে চলে যায় তবে সে তোমার জগতের ঐ বিরাট অংশটাও নিয়ে যাবে। তুমি হয়ে পড়বে শূণ্য জগতের বাসিন্দা।
কেও কারও মত হতে পারে না। সবাই হয় তার নিজের মত। তুমি হাজার চেষ্টা করেও তোমার চাচার বা বাবার মত হতে পারবে না। সব মানুষই আলাদা।
আমার সঙ্গে কি আছে জানিস? পদ্ম। নীলপদ্ম। পাচটা নীলপদ্ম নিয়ে ঘুরছি। কি অপূর্ব পদ্ম। কাউকে দিতে পারছিনা। দেয়া সম্বব নয়. হিমুরা কাউকে নীলপদ্ম দিতে পারে না।
বেশিরভাগ রূপবতী মেয়ে নকল হাসি হাসে। হাসার সময় ঢং করার চেষ্টা করে। তাদের হাসি হায়েনার হাসির মতো হয়ে যায়।
বিবাহ এবং মৃত্যু এই দুই বিশেষ দিনে লতা-পাতা আত্মীয়দের দেখা যায়। সামাজিক মেলামেশা হয়। আন্তরিক আলাপ আলোচনা হয়।
বড় বোকামিগুলি বুদ্ধিমান মানুষরাই করে।
দরিদ্র পুরুষদের প্রতি মেয়েদের একপ্রকার মায়া জন্মে যায়, আর এই মায়া থেকে জন্মায় ভালোবাসা।
জোছনা দেখতে দেখতে, আমার হটাৎ মনে হলো, প্রকৃতির কাছে কিছু চাইতে নেই, কারণ প্রকৃতি মানুষের কোনো ইচ্ছাই অপূর্ণ রাখে না ।
বিরক্তিকর কোনো মানুষ ফ্রড হতে পারে না । পৃথিবী তে ফ্রড মাত্র ই ইন্টারেস্টিং ক্যারেক্টার হয় ।
জানালার ওপাশের অন্ধকার থেকে আমার সঙ্গীরা আমায় ডাকে। একদিন যাদের সঙ্গ পেয়ে আজ নিঃসঙ্গতায় ডুবছি।
বন্ধুত্ব তখনই গাঢ় হয় যখন কেউ কাউকে চিনে না।
কষ্ট মানুষকে পরিবর্তন করে, আবার কষ্ট মানুষকে শক্তিশালীও করে ।
মেয়ে জাতটা বড় অদ্ভুত। কী বললে পুরুষ মানুষের মন ভালো হয় সেটা যেমন জানে, আবার কী বললে পুরুষ মানুষের মাথা খারাপ হয়ে যায় সেটাও জানে।
আমরা কাউকেই হারাতে চাই না, কিন্তু সবাইকেই হারাতে হয়।
—-হুমায়ূন আহমেদ
সব মানুষের মাঝে একজন মহাপুরুষ বাস করে। তাঁরা কখনো প্রকাশিত হন। কখনো হন না।
—-হুমায়ূন আহমেদ
শহরের সাথে গ্রামের এই বুঝি পার্থক্য। শহরে দৃষ্টি আটকে যায়। গ্রামে যায় না।
—–হুমায়ূন আহমেদ
না পাওয়া ভালোবাসা গুলো সব সময় সত্যি মনে হয়, পাবার পর কত জন মূল্য দিতে পারে?
—–হুমায়ূন আহমেদ
জীবনটা আসলেই অনেক সুন্দর! এতো বেশি সুন্দর যে, মাঝে মাঝে অসহ্য লাগে।
—-হুমায়ূন আহমেদ
ফেলে আসা দিনগুলোই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বেশি সুন্দর হয়। যেমন ধরুন আপনার স্কুল লাইফ। সত্যিই সেই দিনগুলো দারুন ছিলো।
——হুমায়ূন আহমেদ
তুমি আমার জন্যে দু’ফোটা চোখের জল ফেলেছ–তার প্রতিদানে আমি “জনম জনম কাঁদিব।
——হুমায়ূন আহমেদ
যারা বেশি কথা বলে তারা মানুষ হিসেবে ভাল হয়।
—–হুমায়ূন আহমেদ
সব মানুষের জীবনের কোন না কোন সময় অদ্ভূত পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। তখন সে যুক্তির সিঁড়ি থেকে সরে দাঁড়ায়। নিজেকে সমার্পন করে রহস্যময়তার কাছে।
——হুমায়ূন আহমেদ
ট্যাগ: হুমায়ুন আহমেদের উক্তি | হুমায়ুন আহমেদের প্রেমের উক্তি | হুমায়ুন আহমেদের উক্তি সমূহ | হুমায়ূন আহমেদের কিছু কথা | হুমায়ূন আহমেদের বিখ্যাত উক্তি সমূহ