আদা - টমেটোর উপকারিতা ও অপকারিতা

Oziha Noor
0

 

আদার উপকারিতা| আদা খাওয়ার উপকারিতা,আদার উপকারিতা,আদা খাওয়ার নিয়ম,টমেটোর উপকারিতা ও অপকারিতা,টমেটোর উপকারিতা,টমেটোর অপকারিতা

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু।প্রিয় পাঠকবৃন্দ! আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন । আল্লাহর রহমতে আপনাদের দোয়ায় আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। 


 আজ আমরা আপনাদের সামনে নিয়ে এসেছি নতুন কিছু তথ্য নিয়ে । আপনারা অনেকেই আদার উপকারিতা| আদা খাওয়ার উপকারিতা,আদার উপকারিতা,আদা খাওয়ার নিয়ম,টমেটোর উপকারিতা ও অপকারিতা,টমেটোর উপকারিতা,টমেটোর অপকারিতা সম্পর্কে জানেন না এ সম্পর্কে জানতে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং পছন্দ হলে প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন। 


     আদার উপকারিতা| আদা খাওয়ার উপকারিতা

    আদার উপকারিতা

    আদা মূলত একটি মসলা হিসেবে ব্যবহার করে থাকি আমরা।কিন্তু আদা আমাদের দেহের জন্য অনেক উপকারী । আদার উপকারিতা | আদা খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি আমাদের উচিত আদার উপকারিতা | আদা খাওয়ার উপকারিতা জানা। আপনাদেরকে আদার  উপকারিতা জানানোর জন্য এ পোস্ট। 

    » আদার রস শরীর শীতল করে এবং হার্টের জন্য উপকারী।


    » কাশি এবং হাঁপানির জন্য আদার রসের সাথে মধু মিশিয়ে সেবন করলে বেশ উপশম হয়।


    » ঠান্ডায় আদা ভীষণ উপকারী। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট, যা শরীরের রোগ-জীবাণুকে ধ্বংস করে। জ্বর জ্বর ভাব, গলাব্যথা ও মাথাব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।


    » বমি বমি ভাব দূর করতে এর ভূমিকা অপরিহার্য। তাই বমি বমি ভাব হলে কাঁচা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন। এতে মুখের স্বাদ বৃদ্ধি পায়।


    » অসটিও আর্থ্রাইটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস-এই অসুখগুলোয় সারা শরীরের প্রায় প্রতিটি হাড়ের জয়েন্টে প্রচুর ব্যথা হয়। এই ব্যথা দূর করে আদা। তবে রান্না করার চেয়ে কাঁচা আদার পুষ্টিগুণ বেশি।


    » মাইগ্রেনের ব্যথা ও ডায়াবেটিস জনিত কিডনির জটিলতা দূর করে আদা। গর্ভবতী মায়েদের সকালবেলা, বিশেষ করে গর্ভধারণের প্রথম দিকে সকালবেলা শরীর খারাপ লাগে। কাঁচা আদা দূর করবে এ সমস্যা।


    » দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, আদার রস দাঁতের মাড়িকে শক্ত করে, দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা জীবাণুকে ধ্বংস করে।


    » দেহের কোথাও ক্ষতস্থান থাকলে তা দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে আদা। এতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এজেন্ট, যা যেকোনো কাটাছেঁড়া, ক্ষতস্থান দ্রুত ভালো করে।


    » রক্তের অনুচক্রিকা এবং হৃদযন্ত্রের কার্যক্রম ঠিক রাখতেও আদা দারুণ কার্যকর। মুখের রুচি বাড়াতে ও বদহজম রোধে আদা শুকিয়ে খেলে বাড়বে হজম শক্তি।


    » আমাশয়, জন্ডিস, পেট ফাঁপা রোধে আদা চিবিয়ে বা রস করে খেলে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া যারা গলার চর্চা করেন তাদের গলা পরিষ্কার রাখার জন্য আদা খুবই উপকারী।


    » ঠান্ডায় টনসিলাইটিস, মাথাব্যথা, টাইফয়েড জ্বর, নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ হওয়া, বসন্তকে দূরে ঠেলে দেয় আদা। ওভারির ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করে আদা।


    আদা খাওয়ার নিয়ম

    আদা একটি উপকারী মসলা। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই ভালো । কিন্তু এই আদা খাওয়ার নিয়ম আছে ।আমাদের সকলেরই আদা খাওয়ার নিয়ম জেনে খাওয়া উচিত। আপনারা এখান থেকে আদা খাওয়ার নিয়ম দেখে নিতে পারেন। 

    এই বমির ভাব দূর করতেও আদা খেতে বলা হয়। আদা বদহজম দূর করে পাকস্থলীকে দ্রুত খালি করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, খাবার খাওয়ার কিছু আগে এক টুকরা আদা খেয়ে নিলে আর বদহজম হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। এটা অনেকটা খাওয়ার ২০ মিনিট আগে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাওয়ার মতো।

    আদার উপকারিতা ও অপকারিতা

    আদার উপকারিতা

    মূলত আমরা জানি, আদা রান্নার কাজে মসলা হিসেবে যুক্ত হয়ে খাবারকে সুস্বাদু করে। এই আদা প্রচুর পুষ্টিগুণসম্পন্ন।আদার উপকারিতা অনেক  । এই আদার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না । তাই আপনাদের সুবিধার্থে আদার উপকারিতা ও অপকারিতা  তুলে ধরলাম। 


    ১০০ গ্ৰাম আদায় আছে ৮০ ক্যালরি, স্নেহ পদার্থ ০.৮ গ্রাম, সম্পৃক্ত চর্বি ০.২ গ্রাম, পলি স্যাচুরেটেড চর্বি ০.২ গ্রাম, মনো আনস্যাচুরেটেড চর্বি ০.২ গ্রাম, সোডিয়াম ১৩ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৪১৫ মিলিগ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ১৮ গ্রাম, আঁশ ২ গ্রাম, সুগার ১.৭ গ্রাম, প্রোটিন ১.৮ গ্রাম, ভিটামিন সি ৮%, ভিটামিন বি-৬ ১০%, ক্যালসিয়াম ১%, আয়রন ৩%, ম্যাগনেশিয়াম ১০%। আদায় কোনো কোলেস্টেরল নেই।


     আদায় রাসায়নিক উপাদান পাওয়া যায় ৪০০-এর বেশি। এর মধ্যে গবেষকেরা এর ‘জিনজেরল কম্পাউন্ড’-এর পুষ্টিগত ভূমিকাকে মুখ্য হিসেবে খুঁজে পেয়েছেন। এই উপাদানটি আদার স্বাদ ও গন্ধের জন্য দায়ী। এই জিনজেরলে আছে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি ক্ষমতা, যা মানবদেহের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাহায্য করে। এবার দেখে নেওয়া যাক মানুষের শরীরের কোন কোন সমস্যাকে দূর করে আদা আমাদের সুস্থ রাখতে পারে।


     ১. পেটের খারাপ প্রশমিত করে

     আদার কিছু রাসায়নিক উপাদান আছে, যা পাকস্থলীর ব্যথা নিরসন করে ও খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে। গর্ভবতী নারীদের গর্ভের শুরুর দিকে যে ‘মর্নিং সিকনেস’ হয়, সেটা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কাঁচা আদা মুখে রেখে অল্প অল্প করে চিবিয়ে খেতে বলা হয়। এতে বমি বমি ভাব দূর হয়।


     অস্ত্রোপচারের পর ও ক্যানসারের রোগীদের কেমোথেরাপি দেওয়ার পর অনেকেরই বমির ভাব হয়। এই বমির ভাব দূর করতেও আদা খেতে বলা হয়।


     আদা বদহজম দূর করে পাকস্থলীকে দ্রুত খালি করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, খাবার খাওয়ার কিছু আগে এক টুকরা আদা খেয়ে নিলে আর বদহজম হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। এটা অনেকটা খাওয়ার ২০ মিনিট আগে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাওয়ার মতো। আদা খেলেই যদি সেই উপকার পাওয়া যায়, তবে আর ওষুধ কেন? এতে তো কোনো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই ওষুধের মতো।


     ২. প্রদাহ দূর করে

     অস্থিসন্ধির সমস্যা বা যেকোনো জয়েন্ট ড্যামেজের কারণে যে চরম বেদনাদায়ক সমস্যার সৃষ্টি হয়, সেগুলো হলো রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ও অস্টিও আর্থ্রাইটিস। এসব ব্যথা থেকে উপশম পাওয়ার জন্য সম্পূরক চিকিৎসা বা সাপ্লিমেন্ট হিসেবে আদা ব্যবহার করা হয় এর প্রদাহরোধী গুণের কারণে।


    ৩. রক্তের শর্করা কমায়

     খাদ্যে আদার উপস্থিতি বাড়ালে রক্তের শর্করার পরিমাণ কমানো সম্ভব। এতে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কম থাকে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীকে যদি ১২ সপ্তাহ ধরে ১ হাজার ৬০০ মিলিগ্রাম আদা খাওয়ানো হয়, তাহলে তার ইনসুলিন সেনসিটিভ বাড়ে, রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমে, সার্বিক কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। প্রতিদিন ২ গ্রাম করে আদা ওষুধ হিসেবে খেলে দেখা যায় অনেক টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীর ফাস্টিংয়ে ব্লাড সুগার কমে আসে। এটা টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীর জন্য সুখবরই বটে।


     ৪. ক্যানসারের ঝুঁকি কমাবে আদা

     উদ্ভিদের মূল বা কাণ্ড অনেক ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধক অস্ত্র হিসেবে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। সে রকমই আদার মধ্যে থাকা জিনজেরল ক্যানসার সেলের বৃদ্ধিকে প্রতিহত করে। আদা বিশেষ করে খাদ্যনালির ক্যানসার প্রতিরোধী ভূমিকায় অনন্য। কারণ, এই জিনজেরল একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা পাকস্থলীতে সৃষ্টি হওয়া প্রাত্যহিক ক্ষতকে সারিয়ে দিয়ে ক্যানসার সেলের বৃদ্ধিকে প্রতিহত করে। এই অ্যান্টি-অক্সিডেশনের ফলে মানবশরীরে বার্ধক্যের গতিও মন্থর হয়।


     ৫. মাসিকের ব্যথা কমায়

     মাসিকের সময় অনেকের পেটে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। এর জন্য অনেক সময় ব্যথানাশক ওষুধ খেতে হয়। আদা খেলে মাসিকের কারণে হওয়া ব্যথা কমে। মাসিকের ব্যথার সঙ্গে পেটে গ্যাসের সমস্যাও হয়। আদা খেলে দুই সমস্যাই দূর হওয়া সম্ভব।


     ৬. সর্দি, কাশি, ঠান্ডা লাগা উপশম ও প্রতিরোধে আদা

     ঠান্ডা লাগলে আমরা সাধারণত কমলা, লেবু ইত্যাদি ভিটামিন সি-জাতীয় ফল খেতে বলে থাকি। এ ক্ষেত্রে আদার রসও কম ভূমিকা রাখে না। উদ্ভিদের মূলের একটি গুণ হচ্ছে শরীর গরম করা। ঠান্ডা লাগায় আদা খেলে শরীর গরম হয়, শরীরে ঘামের সৃষ্টি হয়, এর ফলে শরীর থেকে ঠান্ডাজনিত সংক্রমণ দূর হয়। বিষয়টি ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ার মতো। কাশি হলে সকালবেলা খালি পেটে এক টুকরা আদা, এক চামচ মধু ও চার-পাঁচটি তুলসীপাতা একসঙ্গে চিবিয়ে আস্তে আস্তে রসটা খেলে কিছুক্ষণ পর কফ উঠতে শুরু করে, তাতে আরাম বোধ হয়। এটি নিয়মিত কিছুদিন খেলে ঠান্ডাজনিত কাশি সেরে যাবে, এটি পরীক্ষিত।


     ৭. রোগ প্রতিরোধে আদা

     আদার জিনজেরল দেহের যেকোনো ইনফেকশনকে প্রতিহত করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, আদা রেসপিরেটরি সেংশাল ভাইরাস প্রতিহত করে ঠান্ডা লাগা থেকে সৃষ্ট শ্বাসনালির সংক্রমণ ও ঠান্ডাজনিত লক্ষণগুলোকে প্রতিরোধ করে। তাই দেখা যাচ্ছে, প্রতিদিন নিয়ম করে সামান্য আদা খেলে অনেক অসুস্থতাকে প্রতিরোধ করা সম্ভব।


     খাবারে আদার বিবিধ ব্যবহার

     অনেক উপায়ে আদা খাওয়া যায়। কেনার সময় টাটকা আদা দেখে কেনা উচিত। শুকনা পরিষ্কার গুঁড়া আদার তুলনায় এই টাটকা সতেজ রসাল আদায় জিনজেরল ভালো পাওয়া যায়। আদার জমিন মসৃণ হলে ভালো। কোঁচকানো বা এবড়োখেবড়ো কি না, সেটা দেখে আদা কেনা উচিত। কেনার পর ভালোভাবে ধুয়ে ওপরের বাদামি ছাল ছিলে নিয়ে কেটে বা বেটে যেমন খুশি ব্যবহার করা যায়। তবে মনে রাখতে হবে, ছিলে রাখা আদা বেশিক্ষণ বাইরে রাখা যাবে না। বাইরের তাপমাত্রার কারণে ছেলা আদা দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। ছেলা আদা তাৎক্ষণিক প্রয়োজন না হলে রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করতে হবে।

    মাছ বা মাংস মেরিনেট করা বা রান্নায়, সালাদে, স্যুপে, বিভিন্ন রকম স্মুদি তৈরিতে, চা তৈরিতে, বিভিন্ন রকম ডিটক্স ওয়াটার বানাতে, মুড়ি-চানাচুর মাখানোতে, আচার, চাটনি তৈরিতে, চিউইং জিনজার বানাতে আদা ব্যবহার করা যায়।


     বাজারে টাটকা আদা ছাড়াও আদার গুঁড়া পাওয়া যায় মসলা হিসেবে। কাঁচা আদা ও গুঁড়া আদার মধ্যে স্বাদ ও গন্ধে পার্থক্য আছে। তবে যত উপকারই করুক না কেন, মাত্রাতিরিক্ত আদা খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে।


     কাদের আদা কম খাওয়া উচিত

     বিশেষজ্ঞরা বলেন, আদা যকৃৎকে উদ্দীপিত করে পিত্তরস তৈরিতে, যা পিত্তথলি বা গলব্লাডারে জমা হয়। যাঁদের গলব্লাডারে পাথর আছে, তাঁদের অতিরিক্ত আদা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।

     শেষ করছি আদার সাতকাহন। সেই সঙ্গে শেয়ার করছি আদা দিয়ে তৈরি কিছু অসাধারণ রেসিপি।

     স্টিমড জিনজার চিকেন


     উপকরণ

     চিকেন উইংস ৬ পিচ (২ টুকরা করে কাটা মোট ১২ টুকরা), পুরোনো আদা ১০ সেন্টিমিটার (পানি ছাড়া আধা বাটা), আধা ইঞ্চি করে কাটা গ্রিন অনিয়ন বা পেঁয়াজ কলি আধা কাপ, সয়াসস ২ টেবিল চামচ, ফিশ সস ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো , সাদা তেল ৩ টেবিল চামচ, পানি ১ কাপের ৪ ভাগের ৩ ভাগ।


     প্রণালি 

    মাছ বা মাংস মেরিনেট করা বা রান্নায়, সালাদে, স্যুপে, বিভিন্ন রকম স্মুদি তৈরিতে, চা তৈরিতে, বিভিন্ন রকম ডিটক্স ওয়াটার বানাতে, মুড়ি-চানাচুর মাখানোতে, আচার, চাটনি তৈরিতে, চিউইং জিনজার বানাতে আদা ব্যবহার করা যায়।


     বাজারে টাটকা আদা ছাড়াও আদার গুঁড়া পাওয়া যায় মসলা হিসেবে। কাঁচা আদা ও গুঁড়া আদার মধ্যে স্বাদ ও গন্ধে পার্থক্য আছে। তবে যত উপকারই করুক না কেন, মাত্রাতিরিক্ত আদা খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে।


     কাদের আদা কম খাওয়া উচিত

     বিশেষজ্ঞরা বলেন, আদা যকৃৎকে উদ্দীপিত করে পিত্তরস তৈরিতে, যা পিত্তথলি বা গলব্লাডারে জমা হয়। যাঁদের গলব্লাডারে পাথর আছে, তাঁদের অতিরিক্ত আদা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।

     শেষ করছি আদার সাতকাহন। সেই সঙ্গে শেয়ার করছি আদা দিয়ে তৈরি কিছু অসাধারণ রেসিপি।



     স্টিমড জিনজার চিকেন


     উপকরণ

     চিকেন উইংস ৬ পিচ (২ টুকরা করে কাটা মোট ১২ টুকরা), পুরোনো আদা ১০ সেন্টিমিটার (পানি ছাড়া আধা বাটা), আধা ইঞ্চি করে কাটা গ্রিন অনিয়ন বা পেঁয়াজ কলি আধা কাপ, সয়াসস ২ টেবিল চামচ, ফিশ সস ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো , সাদা তেল ৩ টেবিল চামচ, পানি ১ কাপের ৪ ভাগের ৩ ভাগ।


    টমেটোর উপকারিতা


    শীতকালীন সবজির মধ্যে টমেটো অন্যতম। পুষ্টিসমৃদ্ধ এ সবজিকে গ্রামাঞ্চলে অনেকেই বিলাতি বেগুন নামে চেনে। টমেটো (পাকা) দেখতে খুবই আকর্ষণীয় এবং খেতেও সুস্বাদু। কাঁচা ও রান্না উভয় অবস্থায় খাওয়া যায়। টমেটো দিয়ে টক তরকারি, সালাদ এবং প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা যায় সস, স্যুপ, জ্যাম, জেলি, কেচাপ, মোরব্বা এসব লোভনীয় খাবার। এর রয়েছে বহু গুণ। প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা টমেটোতে ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-সি আছে ৩৫১ মাইক্রোগ্রাম এবং ২৭ মিলিগ্রাম আর ভিটামিন-বি, শর্করা, আমিষ, ক্যালসিয়াম ও লৌহের পরিমাণ যথাক্রমে ০.৩৩ মিলিগ্রাম, ৩.৬ গ্রাম, ১.১ গ্রাম, ৪৮ মিলিগ্রাম এবং ০.৪ মিলিগ্রাম। প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে টমেটো ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান- লাইকোপেন, যা দেহকোষ থেকে বিষাক্ত ফ্রিরেডিক্যালকে সরিয়ে প্রোস্টেট ক্যান্সারসহ মূত্রথলি, অন্ননালি এবং অগ্নাশয়ের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। পাশাপাশি হৃদরোগকে করে প্রতিহত। টমেটো হজমের জন্য বেশ উপকারী। এর রস স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে দেহ ও দাঁতকে নিরোগ রাখে। টমেটোর রস কেবল স্কার্ভিই নয়, রিকেটস এবং বেরিবেরির মতো কঠিন রোগেরও নিরাময় ঘটায়। টমেটো বার্ধক্য রোধে সহায়তা করে দেহকে সজীব রাখে। এ ছাড়া শরীরের মেদ নিয়ন্ত্রণ করে এবং দেহের শক্তিকে রাখে অটুট।


    টমেটো একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর সবজি। টমেটো শীতকালীন সবজি হলেও এখন সারা বছর পাওয়া যায়। কাঁচা কিংবা পাকা দুভাবে টমেটো খাওয়া যায়। খাবারের স্বাদ বাড়াতে টমেটোর জুড়ি মেলা ভার। অনেকে আবার সালাদে টমেটো খেয়ে থাকেন। শুধু খাবারে স্বাদই বাড়ায় না, টমেটো থেকে তৈরি হয় নানা রকমের কেচাপ, সস।


    • পুষ্টিতে ভরপুর টমেটো। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, কে, ফলেট এবং পটাসিয়াম। টমেটো থেকে আরও পাওয়া যায় থায়ামিন, নায়াসিন, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং কপার। এ ছাড়াও এই এক কাপের টমেটোর মধ্যেই থাকে দুই গ্রামের মতো ফাইবার। অনেকটা পানিও রয়েছে এর মধ্যে।


    • চর্মরোগের জন্য টমেটো অত্যন্ত কার্যকর উপাদান। ত্বকে যদি কোনো সমস্যা হয়ে থাকে, তবে প্রক্রিয়াজাত করে টমেটোর ব্যবহার করতে পারেন। চর্মরোগ নিরাময়ে এর রস কাজ করে থাকে।


    • মুখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে এবং বয়সের ছাপ দূর করতে টমেটো বেশ কার্যকর। এর রস মুখের ত্বক মসৃণ ও কোমল করে। বয়স বাড়তে থাকলে মানুষের মুখে যে বয়সের ছাপ পড়ে, তা টমেটো দেওয়ার ফলে সেই ছাপ লুকাতে সাহায্য করে।


    • এটি খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একটি বা দুটি টমেটো খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অনেক ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে সাহায্য করে।


    • রক্তস্বল্পতা দূরীকরণে সাহায্য করে। যাঁরা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য টমেটো বেশ উপকারী। প্রতিদিন

    এক বা দুইবার টমেটো খেলে রক্তস্বল্পতার সমস্যা অনেকটাই দূর হতে পারে।


    • সর্দি-কাশি প্রতিরোধেও টমেটো বেশ কার্যকর। সর্দি-কাশি হলে এক বা দুটি টমেটো নিয়ে স্লাইস করে অল্প চিনি বা অল্প লবণ দিয়ে পাত্রে গরম করে স্যুপ তৈরি করে খেতে পারেন। এর ফলে সর্দি-কাশিতে উপকার পাবেন।


    • জ্বরের নিরাময়ে সহায়ক। গায়ের তাপমাত্রা নানান কারণে বাড়তে পারে। সামান্য জ্বর হলে টমেটো খেলেই আরাম পেতে পারেন।


    • মাড়ি থেকে রক্তপাত নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ভিটামিন সির অভাবে মাড়ি থেকে যদি রক্তপাত হয়। টমেটোতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। তাই প্রতিদিন একটি করে টমেটো খেলে মাড়ি থেকে যদি রক্তপাতের বিষয় থাকে উপকার পাবেন।


    • নিয়মিত টমেটো খেলে ত্বক সুস্থ থাকে। আর ত্বক হয়ে উঠবে প্রাণবন্ত। সূর্যের ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ফলে ত্বকে বলিরেখা পড়ার পরিমাণ কমে যায়।


    • টমেটোর মধ্যে রয়েছে লাইকোপেন এবং ভিটামিন এ। যা অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এই রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাই নিয়মিত টমেটো খেতে পারেন।


    • এর মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম। যা হাড়ের জন্য অনেক উপকার। আপনার হাড় দুর্বল থাকে তবে টমেটো খেতে পারেন।


    টমেটো সস ও কেচাপ যেকোনো খাবারের সঙ্গে বিশেষ করে মুখরোচক ভাজাভাজি বা নাশতার সঙ্গে খেলে মজা লাগে। আজকাল নানা নতুন কায়দার গরুর মাংস, মুরগির মাংস রান্নায় টমেটো সস মেশানো হয়। তাতে স্বাদে ভিন্নতা আসে। খেতেও সুস্বাদু হয়।


    টমেটোর উপকারিতা ও অপকারিতা

    টমেটোর উপকারিতা


    টমেটোতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। তাই প্রতিদিন একটি করে টমেটো খেলে মাড়ি থেকে যদি রক্তপাতের বিষয় থাকে উপকার পাবেন। নিয়মিত টমেটো খেলে ত্বক সুস্থ থাকে। আর ত্বক হয়ে উঠবে প্রাণবন্ত।


    টমেটো একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর সবজি। টমেটো শীতকালীন সবজি হলেও এখন সারা বছর পাওয়া যায়। কাঁচা কিংবা পাকা দুভাবে টমেটো খাওয়া যায়। খাবারের স্বাদ বাড়াতে টমেটোর জুড়ি মেলা ভার। অনেকে আবার সালাদে টমেটো খেয়ে থাকেন। শুধু খাবারে স্বাদই বাড়ায় না, টমেটো থেকে তৈরি হয় নানা রকমের কেচাপ, সস।


     • পুষ্টিতে ভরপুর টমেটো। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, কে, ফলেট এবং পটাসিয়াম। টমেটো থেকে আরও পাওয়া যায় থায়ামিন, নায়াসিন, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং কপার। এ ছাড়াও এই এক কাপের টমেটোর মধ্যেই থাকে দুই গ্রামের মতো ফাইবার। অনেকটা পানিও রয়েছে এর মধ্যে।


     • চর্মরোগের জন্য টমেটো অত্যন্ত কার্যকর উপাদান। ত্বকে যদি কোনো সমস্যা হয়ে থাকে, তবে প্রক্রিয়াজাত করে টমেটোর ব্যবহার করতে পারেন। চর্মরোগ নিরাময়ে এর রস কাজ করে থাকে।


     • মুখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে এবং বয়সের ছাপ দূর করতে টমেটো বেশ কার্যকর। এর রস মুখের ত্বক মসৃণ ও কোমল করে। বয়স বাড়তে থাকলে মানুষের মুখে যে বয়সের ছাপ পড়ে, তা টমেটো দেওয়ার ফলে সেই ছাপ লুকাতে সাহায্য করে।


     • এটি খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একটি বা দুটি টমেটো খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অনেক ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে সাহায্য করে।


     • রক্তস্বল্পতা দূরীকরণে সাহায্য করে। যাঁরা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য টমেটো বেশ উপকারী। প্রতিদিন

     এক বা দুইবার টমেটো খেলে রক্তস্বল্পতার সমস্যা অনেকটাই দূর হতে পারে।


     • সর্দি-কাশি প্রতিরোধেও টমেটো বেশ কার্যকর। সর্দি-কাশি হলে এক বা দুটি টমেটো নিয়ে স্লাইস করে অল্প চিনি বা অল্প লবণ দিয়ে পাত্রে গরম করে স্যুপ তৈরি করে খেতে পারেন। এর ফলে সর্দি-কাশিতে উপকার পাবেন।


     • জ্বরের নিরাময়ে সহায়ক। গায়ের তাপমাত্রা নানান কারণে বাড়তে পারে। সামান্য জ্বর হলে টমেটো খেলেই আরাম পেতে পারেন।


     • মাড়ি থেকে রক্তপাত নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ভিটামিন সির অভাবে মাড়ি থেকে যদি রক্তপাত হয়। টমেটোতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। তাই প্রতিদিন একটি করে টমেটো খেলে মাড়ি থেকে যদি রক্তপাতের বিষয় থাকে উপকার পাবেন।


     • নিয়মিত টমেটো খেলে ত্বক সুস্থ থাকে। আর ত্বক হয়ে উঠবে প্রাণবন্ত। সূর্যের ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ফলে ত্বকে বলিরেখা পড়ার পরিমাণ কমে যায়।


     • টমেটোর মধ্যে রয়েছে লাইকোপেন এবং ভিটামিন এ। যা অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এই রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাই নিয়মিত টমেটো খেতে পারেন।


     • এর মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম। যা হাড়ের জন্য অনেক উপকার। আপনার হাড় দুর্বল থাকে তবে টমেটো খেতে পারেন।


     টমেটো সস ও কেচাপ যেকোনো খাবারের সঙ্গে বিশেষ করে মুখরোচক ভাজাভাজি বা নাশতার সঙ্গে খেলে মজা লাগে। আজকাল নানা নতুন কায়দার গরুর মাংস, মুরগির মাংস রান্নায় টমেটো সস মেশানো হয়। তাতে স্বাদে ভিন্নতা আসে। খেতেও সুস্বাদু হয়।


    টমেটো একটি মজাদার সবজি। আমাদের দেশে প্রায় সারা বছর টমেটো পাওয়া যায়। ছোট বড় সকলের কাছেই টমেটো খুব প্রিয়। রয়েছে টমেটোর অনেক গুণাগুণ। পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতাও অনেক। টমেটো কাঁচা ও রান্না করে খাওয়া যায়। তবে কাঁচা টমেটো থেকে বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়। অনেকেই জানে না তাদের প্রিয় সবজি টমেটোর স্বাস্থ্য উপকারিতা ও গুণাগুণ সম্পর্কে।


    ক্যানসার দূরে রাখে: কয়েকটি গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, টমেটোতে থাকা উচ্চমানের লাইকোপিন প্রস্টেট, কোলন ও পাকস্থলির ক্যানসারের সেল তৈরি হতে দেয় না। লাইকোপিন হচ্ছে এক প্রকার প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা ক্যান্সারের সেল তৈরিতে বাধা দেয়।

    গবেষণায় আরও জানা গেছে, কাঁচা টমেটোর চাইতে রান্না করা টমেটোতে লাইকোপিনের পরিমাণ বেশি থাকে। সুতরাং আজ থেকে তরকারিতে যত খুশি টমেটো ব্যবহার করতে পারেন।

    সুস্থ ত্বক: টমেটো উচ্চ লাইকোপিন সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি ত্বকের ভালো ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। টমেটো থেঁতো করে ক্লিনজার হিসেবে ব্যবহারের প্রচলন অনেক দিনের। এটা থেঁতো করে মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। রোদে পোড়া ভাব, বলিরেখা ও চোখের নিচে কালো দাগ দূর করতে বিশেষজ্ঞরা টমেটো ব্যবহারের কথা বলেন।

    মজবুত হাড়: তুলতুলে নরম এ ফলটি (সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয়) মজবুত হাড় গঠনে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন কে। আর এ দুটি উপাদানই শক্ত হাড় গঠন ও টিস্যুর পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

    হৃদপিণ্ডের ভালো বন্ধু: টমেটোতে ভিটামিন-বি ও পটাশিয়াম থাকায় এটি কোলেস্টেরল ও অতিরিক্ত রক্তচাপ কমায়। টমেটোর জুস খেয়ে সহজেই হার্ট অ্যাটাক ও অন্যান্য হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারেন।

    অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মানেই টমেটো। টমেটোতে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন-এ ও ভিটামিন সি। এসব ভিটামিন ও বিটা ক্যারোটিন রক্তে জমা হওয়া সব টক্সিনকে শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে সহায়তা করে।

    কিডনির সুরক্ষায়: টমেটোর সালাদ নিয়মিত খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ভয় থাকবে না।

    আপেল, নাশপাতি, আঙুর, কলা ইত্যাদি ফলের চেয়ে টমেটো অনেক কম দামী হলেও এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অন্যান্য ফলের চেয়ে চারগুণ বেশি। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, কে, লাইকোপেন, ফলিক এসিড, ক্রোমিয়াম ও গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনসমূহ। ত্বকের সুস্থতা, চেহারায় উজ্জ্বলতা প্রদানের পাশাপাশি টমেটো হার্ট ভালো রাখে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, হজমে সাহায্য করে, ব্রণ দূর করে, রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে, কিডনি সুস্থ রাখে। টমেটোতে প্রচুর ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

    আসুন টমেটোর গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে নেই-


     টমেটোতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। তাই প্রতিদিন একটি করে টমেটো খেলে মাড়ি থেকে যদি রক্তপাতের বিষয় থাকে উপকার পাবেন। নিয়মিত টমেটো খেলে ত্বক সুস্থ থাকে। আর ত্বক হয়ে উঠবে প্রাণবন্ত।


    টমেটোর অপকারিতা

     অতিরিক্ত কোনো কিছুই শরীরের জন্য ভালো  না না টমেটোর উপকারিতা যেমন আছে ঠিক তেমনি টমেটোর অপকারিতা ও আছে। আপনাদের সবার উচিত টমেটোর অপকারিতা সম্পর্কে জানা। 


    মজাদার কোনো ফ্রাই খাচ্ছেন? সঙ্গে এক চামচ টমেটো সস বা টাটকা টমেটোর খানিকটা সালাদ? তোফা! স্বাদটা তখন বেড়ে যায় বহুগুণ। একই সঙ্গে শরীরে কিছু ভিটামিন আর পুষ্টিও যোগ হয়। সবজি বা ঝালঝোলেও মুখরোচক সবজি টমেটোর কদর কম নয়। কিন্তু টমেটো খেতে হবে পরিমাণমতো। এর অন্যথা হলেই শরীর-স্বাস্থ্য একটু গড়বড় হয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞরা তা-ই বলছেন।


    অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর টমেটোর আছে নানা গুণ। টমেটো হচ্ছে একমাত্র সবজি, যাতে চার রকমের ক্যারোটিনয়েড বা ভিটামিন ‘এ’ আছে বিপুল পরিমাণে। এই ক্যারোটিনয়েড বা ভিটামিন ‘এ’ ত্বক ও চোখের সুস্থতা এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটিকে ফল হিসেবেও বিবেচনা করা যায়। বিশ্বজুড়ে টমেটোর নানা রকম ব্যবহার রয়েছে। এটি ত্বকের যত্নেও ব্যবহার হতে দেখা যায়। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে এটি মানুষকে রক্ষা করে বলে ধারণা করা হয়। খাবারে স্বাদ আনতেও অনেকে টমেটো ব্যবহার করেন। কিন্তু জানেন কি, টমেটোর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে, যা এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়।


    অতিরিক্ত টমেটো খেলে হজমে গন্ডগোল থেকে শুরু করে কিডনির সমস্যা, চুলকানির মতো শরীরে নানা সমস্যা হতে পারে। বেশি টমেটো খাওয়ার কয়েকটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিন:


    অম্লের প্রবাহ: টমেটোতে ম্যালিক অ্যাসিড ও সাইট্রিক অ্যাসিড আছে, যা পাকস্থলীতে অতিরিক্ত অ্যাসিড বা অম্লের প্রবাহ তৈরি করতে পারে। তাই বেশি টমেটো খেলে বুক জ্বালা করতে পারে। এমনকি পেটে গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড বেশি হয়ে হজমে গন্ডগোল হয়। যাঁরা প্রায়ই পেটের সমস্যায় ভোগেন বা যাঁদের গ্যাস্ট্রোওফাজাল রিপ্লেক্স রোগ (জিইআরডি) আছে, তাঁদের অতিরিক্ত টমেটো খাওয়া থেকে দূরে থাকা উচিত।


    অ্যালার্জি: টমেটোতে হিস্টামিন নামের একধরনের যৌগ আছে, যা থেকে ত্বকে ছোপ ছোপ দাগ বা র‍্যাশ দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া নানা রকম অ্যালার্জি হতে পারে। যাঁদের টমেটো খেলে অ্যালার্জি হয়, তাঁরা টমেটোর ধারেকাছেও যাবেন না। কারণ, টমেটো মুখে দিলেই মুখের ভেতর চুলকানি, জিব ও গাল ফুলে যাওয়া, সর্দি ও গলা চুলকানোর মতো মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।


    কিডনিতে পাথর: শুনতে আশ্চর্য লাগলেও অতিরিক্ত টমেটো খেলে কিডনিতে পাথর দেখা দিতে পারে। কারণ, টমেটোতে আছে ক্যালসিয়াম ও অক্সালেট। শরীরে এর মাত্রা বেড়ে গেলে তা শরীর থেকে সহজে দূর হয় না। এ উপাদান শরীরে জমে কিডনির পাথর তৈরি করতে শুরু করে।


    গিঁটে বাত: অতিরিক্ত টমেটো খেলে গিঁটে বাত দেখা দিতে পারে। এমনকি অস্থিসন্ধিগুলো ফুলে উঠতে পারে। কারণ, এতে সোলানিন নামে বিশেষ অ্যালকালয়েড থাকে। এ যৌগ বিভিন্ন কোষে ক্যালসিয়াম তৈরির জন্য দায়ী। এ যৌগের পরিমাণ বেড়ে গেলে তা প্রদাহ তৈরি শুরু করে।


    লাইকোপিনোডার্মিয়া: টমেটোতে লাইকোপেন আছে, এটা সবার জানা। টমেটোর লাইকোপেন প্রোস্টেট ও অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার রোধে সাহায্য করে। এটি অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের ঝুঁকি প্রায় ৩১ শতাংশ কমাতে পারে। তবে অতিরিক্ত লাইকোপেন থেকে লাইকোপিনোডার্মিয়া নামের একধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। রক্তে লাইকোপেন বেড়ে গেলে ত্বকের রং বদলাতে শুরু করে। চিকিৎসকেরা বলেন, শরীরের জন্য লাইকোপেন ভালো হলেও দৈনিক ৭৫ মিলিগ্রামের বেশি গ্রহণ করা হলে তা লাইকোপিনোডার্মিয়ার দিকে চলে যেতে পারে।


    ডায়রিয়া: টমেটোতে সালমোনেলা নামের একধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। এটি ডায়রিয়ার জন্য দায়ী। তবে যাঁরা টমেটো সহ্য করতে পারেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে ছাড়া টমেটো খেলে ডায়রিয়া কম দেখা যায়।


    পরামর্শ: স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর হলেও টমেটো পরিমিত খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।


    ট্যাগ : আদার উপকারিতা| আদা খাওয়ার উপকারিতা,আদার উপকারিতা,আদা খাওয়ার নিয়ম,টমেটোর উপকারিতা ও অপকারিতা,টমেটোর উপকারিতা,টমেটোর অপকারিতা 


    Post a Comment

    0Comments

    প্রতিদিন ১০০-২০০ টাকা ইনকাম করতে চাইলে এখানে কমেন্ট করে জানান। আমরা আপনায় কাজে নিয়ে নেবো। ধন্যবাদ

    Post a Comment (0)