শামসুর রহমানের কবিতা সমগ্র | Shamsur Rahman Poem - Time Of BD - Education Blog

হ্যাপি নিউ ইয়ার ২০২৩ ভিজিটর বন্ধুরা। দোয়া করি, এই বছরের প্রতিটি মুহুর্ত যেনো সকলের অনেক আনন্দে কাটে।

শামসুর রহমানের কবিতা সমগ্র | Shamsur Rahman Poem

 

শামসুর রহমানের শ্রেষ্ঠ কবিতা, শামসুর রহমানের কবিতা, শামসুর রহমানের কবিতা সমগ্র, একটি ফটোগ্রাফ কবিতা, একটি ফটোগ্রাফ শামসুর রহমানের কবিতা, পণ্ডশ্রম কবিতা, পরিশ্রম শামসুর রহমানের কবিতা, তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা কবিতা, তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা শামসুর রহমানের কবিতা,

    শামসুর রহমানের শ্রেষ্ঠ কবিতা | শামসুর রহমানের কবিতা

    টাইম অফ বিডি এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি বারকাতুহু । প্রিয় পাঠকবৃন্দ কেমন আছেন আপনারা সবাই ? আশা করছি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় আমিও ভাল আছি। আজকে আমরা আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম শামসুর রাহমানের শ্রেষ্ট কবিতাশামসুর রহমানের কবিতা, । আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।

    একটি ফটোগ্রাফ কবিতা | একটি ফটোগ্রাফ শামসুর রহমানের কবিতা

    এই যে আসুন, তারপর কী খবর?

    আছেন তো ভাল? ছেলেমেয়ে?’ কিছু আলাপের পর

    দেখিয়ে সফেদ দেয়ালের শান্ত ফটোগ্রাফটিকে

    বললাম জিজ্ঞাসু অতিথিকে–

    ’এই যে আমার ছোট ছেলে, যে নেই এখন,

    পাথরের টুকরোর মতন

    ডুবে গেছে আমাদের গ্রামের পুকুরে

    বছর-তিনেক আগে কাক-ডাকা গ্রীষ্মের দুপুরে।’

    কী সহজে হয়ে গেল বলা,

    কাঁপলো না গলা

    এতটুকু, বুক চিরে বেরুলো না দীর্ঘশ্বাস, চোখ ছলছল

    করলো না এবং নিজের কন্ঠস্বর শুনে

    নিজেই চমকে উঠি, কি নিস্পৃহ, কেমন শীতল।

    তিনটি বছর মাত্র তিনটি বছর

    কত উর্ণাজাল বুনে

    কেটেছে, অথচ এরই মধ্যে বাজখাঁই

    কেউ যেন আমার শোকের নদীটিকে কত দ্রুত রুক্ষ চর

    করে দিলো। অতিথি বিদায় নিলে আবার দাঁড়াই

    এসে ফটোগ্রাফটির প্রশ্নাকুল চোখে,

    ক্ষীয়মান শোকে।

    ফ্রেমের ভেতর থেকে আমার সন্তান

    চেয়ে থাকে নিষ্পলক,তার চোখে নেই রাগ কিংবা অভিমান।

    সংকলিত

    পণ্ডশ্রম কবিতা | পরিশ্রম শামসুর রহমানের কবিতা

    এই নিয়েছে ঐ নিল যাঃ! কান নিয়েছে চিলে,

    চিলের পিছে মরছি ঘুরে আমরা সবাই মিলে।

    কানের খোঁজে ছুটছি মাঠে, কাটছি সাঁতারবিলে,

    আকাশ থেকে চিলটাকে আজ ফেলব পেড়ে ঢিলে।

    দিন-দুপুরে জ্যান্ত আহা, কানটা গেল উড়ে,

    কান না পেলে চার দেয়ালে মরব মাথা খুঁড়ে।

    কান গেলে আর মুখের পাড়ায় থাকল কি-হে বল?

    কানের শোকে আজকে সবাই মিটিং করি চল।

    যাচ্ছে, গেল সবই গেল, জাত মেরেছে চিলে,

    পাঁজি চিলের ভূত ছাড়াব লাথি-জুতো কিলে।

    সুধী সমাজ! শুনুন বলি, এই রেখেছি বাজি,

    যে-জন সাধের কান নিয়েছে জান নেব তার আজই।

    মিটিং হল ফিটিং হল, কান মেলে না তবু,

    ডানে-বাঁয়ে ছুটে বেড়াই মেলান যদি প্রভু!

    ছুটতে দেখে ছোট ছেলে বলল, কেন মিছে

    কানের খোঁজে মরছ ঘুরে সোনার চিলের পিছে?

    নেইকো খালে, নেইকো বিলে, নেইকো মাঠে গাছে;

    কান যেখানে ছিল আগে সেখানটাতেই আছে।

    ঠিক বলেছে, চিল তবে কি নয়কো কানের যম?

    বৃথাই মাথার ঘাম ফেলেছি, পণ্ড হল শ্রম।

    সংকলিত

    তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা কবিতা | তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা শামসুর রহমানের কবিতা

    তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা,

    তোমাকে পাওয়ার জন্যে

    আর কতবার ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায় ?

    আর কতবার দেখতে হবে খাণ্ডবদাহন ?

    তুমি আসবে ব’লে, হে স্বাধীনতা,

    সাকিনা বিবির কপাল ভাঙলো,

    সিঁথির সিঁদুর গেল হরিদাসীর।

    তুমি আসবে ব’লে, হে স্বাধীনতা,

    শহরের বুকে জলপাইয়ের রঙের ট্যাঙ্ক এলো

    দানবের মত চিৎকার করতে করতে

    তুমি আসবে ব’লে, হে স্বাধীনতা,

    ছাত্রাবাস বস্তি উজাড হলো। রিকয়েললেস রাইফেল

    আর মেশিনগান খই ফোটালো যত্রতত্র।

    তুমি আসবে ব’লে, ছাই হলো গ্রামের পর গ্রাম।

    তুমি আসবে ব’লে, বিধ্বস্ত পাডায় প্রভূর বাস্তুভিটার

    ভগ্নস্তূপে দাঁডিয়ে একটানা আর্তনাদ করলো একটা কুকুর।

    তুমি আসবে ব’লে, হে স্বাধীনতা,

    অবুঝ শিশু হামাগুডি দিলো পিতামাতার লাশের উপর।

    তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা, তোমাকে পাওয়ার জন্যে

    আর কতবার ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায় ?

    আর কতবার দেখতে হবে খাণ্ডবদাহন ?

    স্বাধীনতা, তোমার জন্যে এক থুত্থুরে বুডো

    উদাস দাওয়ায় ব’সে আছেন – তাঁর চোখের নিচে অপরাহ্ণের

    দুর্বল আলোর ঝিলিক, বাতাসে নডছে চুল।

    স্বাধীনতা, তোমার জন্যে

    মোল্লাবাডির এক বিধবা দাঁডিয়ে আছে

    নডবডে খুঁটি ধ’রে দগ্ধ ঘরের।

    স্বাধীনতা, তোমার জন্যে

    হাড্ডিসার এক অনাথ কিশোরী শূন্য থালা হাতে

    বসে আছে পথের ধারে।

    তোমার জন্যে,

    সগীর আলী, শাহবাজপুরের সেই জোয়ান কৃষক,

    কেষ্ট দাস, জেলেপাডার সবচেয়ে সাহসী লোকটা,

    মতলব মিয়া, মেঘনা নদীর দক্ষ মাঝি,

    গাজী গাজী ব’লে নৌকা চালায় উদ্দান ঝডে

    রুস্তম শেখ, ঢাকার রিকশাওয়ালা, যার ফুসফুস

    এখন পোকার দখলে

    আর রাইফেল কাঁধে বনে জঙ্গলে ঘুডে বেডানো

    সেই তেজী তরুণ যার পদভারে

    একটি নতুন পৃথিবীর জন্ম হ’তে চলেছে –

    সবাই অধীর প্রতীক্ষা করছে তোমার জন্যে, হে স্বাধীনতা।

    পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে জ্বলন্ত

    ঘোষণার ধ্বনিপ্রতিধ্বনি তুলে,

    মতুন নিশান উডিয়ে, দামামা বাজিয়ে দিগ্বিদিক

    এই বাংলায়

    তোমাকেই আসতে হবে, হে স্বাধীনতা।

    সংকলিত


    Tag: শামসুর রহমানের শ্রেষ্ঠ কবিতা, শামসুর রহমানের কবিতা, শামসুর রহমানের কবিতা সমগ্র, একটি ফটোগ্রাফ কবিতা, একটি ফটোগ্রাফ শামসুর রহমানের কবিতা, পণ্ডশ্রম কবিতা, পরিশ্রম শামসুর রহমানের কবিতা, তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা কবিতা, তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা শামসুর রহমানের কবিতা, 

    Next Post Previous Post
    No Comment
    Add Comment
    comment url

     আমাদের সাইটের সকল পিডিএফ এর পাসওয়ার্ড হচ্ছে timeofbd.com