হুমায়ূন আহমেদের কবিতা সমগ্র | Humayun Ahmed poem

 

হুমায়ূন আহমেদের শ্রেষ্ঠ কবিতা, আমার আহমেদের কবিতা, হুমায়ূন আহমেদের কবিতা সমগ্র, বাসর কবিতা, হুমায়ূন আহমেদের বাসর কবিতা, রাশান রোলেট কবিতা, রাশান রোলেট হুমায়ূন আহমেদের কবিতা,

    হুমায়ূন আহমেদের শ্রেষ্ঠ কবিতা | আমার আহমেদের কবিতা

    টাইম অফ বিডি এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি বারকাতুহু । প্রিয় পাঠকবৃন্দ কেমন আছেন আপনারা সবাই ? আশা করছি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় আমিও ভাল আছি। আজকে আমরা আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম হুমায়ূন আহমেদের শ্রেষ্ট কবিতাহুমায়ূন আহমেদের কবিতা, । আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।

    বাসর কবিতা | হুমায়ূন আহমেদের বাসর কবিতা

    কপাটহীন একটা অস্থির ঘরে তার সঙ্গে দেখা ।

    লোহার তৈরি ছোট্ট একটা ঘর ।

    বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে কোন যোগ নেই ।

    ঘরটা শুধু উঠছে আর নামছে ।

    নামছে আর উঠছে ।

    মানুষ ক্লান্ত হয় –

    এ ঘরের কোন ক্লান্তি নেই।

    এ রকম একটা ঘরেই বোধহয় বেহুলার বাসর হয়েছিল ।

    নিশ্ছিদ্র লোহার একটা ঘর ।

    কোন সাপ সেখানে ঢুকতে পারবে না ।

    হিস হিস করে বলতে পারবে না, পাপ করো। পৃথিবীর সব আনন্দ পাপে ।

    পুণ্য আনন্দহীন । উল্লাসহীন ।

    পুণ্য করবে আকাশের ফিরিশতারা ।

    কারণ পুণ্য করার জন্যেই তাদের তৈরি করা হয়েছে ।

    লোহার সেই ঘরে ঢোকার জন্য সাপটা পথ খুঁজছিলো ।

    সেই ফাঁকে বেহুলা তাঁর স্বামীকে বললেন, কি হয়েছে, তুমি ঘামছ কেন ?

    আর তখন একটা সুতা সাপ ঢুকে গেলো।

    ফিসফিস করে কোন একটা পরামর্শ দিতে গেলো ।

    বেহুলা সেই পরামর্শ শুনলেন না বলেই কি লখিন্দরকে মরতে হল ?

    তার সঙ্গে আমার দেখা কপাটহীন একটা অস্থির ঘরে ।

    ঘরটা শুধু ওঠে আর নামে ।

    আমি তাকে বলতে গেলাম - আচ্ছা শুনুন, আপনার কি মনে হচ্ছে না

    এই ঘরটা আসলে আমাদের বাসর ঘর ?

    আপনি আর কেউ নন, আপনি বেহুলা ।

    যেই আপনি ভালবেসে আমাকে কিছু বলতে যাবেন

    ওম্নি একটা সুতা সাপ এসে আমাকে কামড়ে দেবে ।

    আমাকে বাঁচিয়ে রাখুন । দয়া করে কিছু বলবেন না ।


    সংকলিত

    রাশান রোলেট কবিতা | রাশান রোলেট হুমায়ূন আহমেদের কবিতা 

    টেবিলের চারপাশে আমরা ছ'জন

    চারজন চারদিকে ; দু'জন কোনাকুনি

    দাবার বোড়ের মত

    খেলা শুরু হলেই একজন আরেকজনকে খেয়ে ফেলতে উদ্যত ।

    আমরা চারজন শান্ত, শুধু দু'জন নিঃশ্বাস বন্ধ করে বসে আছে ।

    তাদের স্নায়ু টানটান।

    বেড়ালের নখের মত তাদের হৃদয় থেকে

    বেরিয়ে আসবে তীক্ষ্ম নখ ।

    খেলা শুরু হতে দেরি হচ্ছে,

    আম্পায়ার এখনো আসেনি।

    খেলার সরঞ্জাম একটা ধবধবে সাদা পাতা

    আর একটা কলম ।

    কলমটা মিউজিক্যাল পিলো হাতে হাতে ঘুরবে

    আমরা চারজন চারটা পদ লিখবো ।

    শুধু যে দু'জন নখ বের করে কোনাকুনি বসে আছে

    তারা কিছু লিখবে না ।

    তারা তাদের নখ ধারালো করবে

    লেখার মত সময় তাদের কোথায় ?

    প্রথম কলম পেয়েছি আমি,

    আম্পায়ার এসে গেছেন।

    পিস্তল আকাশের দিকে তাক করে তিনি বললেন,

    এ এক ভয়ংকর খেলা,

    কবিতার রাশান রোলেট -

    যিনি সবচে ভালো পদ লিখবেন

    তাকে তৎক্ষণাৎ মেরে ফেলা হবে ।

    আমার হাতে কলম কম্পমান

    সবচে সুন্দর পদ এসে গেছে আমার মুঠোয়।


     সংকলিত

    বাবার চিঠি কবিতা | বাবার চিঠি হুমায়ূন আহমেদের কবিতা

    আমি যাচ্ছি নাখালপাড়ায়।

    আমার বৃদ্ধ পিতা আমাকে পাঠাচ্ছেন তাঁর

    প্রথম প্রেমিকার কাছে।

    আমার প্যান্টের পকেটে সাদা খামে মোড়া বাবার লেখা দীর্ঘ পত্র।

    খুব যত্নে খামের উপর তিনি তাঁর প্রণয়িনীর নাম লিখেছেন।

    কে জানে চিঠিতে কি লেখা - ?

    তাঁর শরীরের সাম্প্রতিক অবস্থার বিস্তারিত বর্ণনা ?

    রাতে ঘুম হচ্ছেনা, রক্তে সুগার বেড়ে গেছে

    কষ্ট পাচ্ছেন হাঁপানিতে - এইসব হাবিজাবি। প্রেমিকার কাছে

    লেখা চিঠি বয়সের ভারে প্রসঙ্গ পাল্টায়

    অন্য রকম হয়ে যায়।

    সেখানে জোছনার কথা থাকে না,

    সাম্প্রতিক শ্বাসকষ্ট বড় হয়ে উঠে।

    প্রেমিকাও একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর

    রোগভুগের কথা পড়তে ভালবাসেন।

    চিঠি পড়তে পড়তে দরদে গলিত হন –

    আহা, বেচারা ইদানিং বড্ড কষ্ট পাচ্ছে তো ...



    সংকলিত



    Tag: হুমায়ূন আহমেদের শ্রেষ্ঠ কবিতা, আমার আহমেদের কবিতা, হুমায়ূন আহমেদের কবিতা সমগ্র, বাসর কবিতা, হুমায়ূন আহমেদের বাসর কবিতা, রাশান রোলেট কবিতা, রাশান রোলেট হুমায়ূন আহমেদের কবিতা,