ঘুমানোর দোয়া বাংলায় | ঘুমানোর আগের দোয়া | ঘুমের দোয়া অর্থ সহ | ঘুমানোর দোয়া বাংলা অর্থসহ | ghumanor dua in bangla

Monjurul Hasan Manik
0

ঘুমানোর দোয়া বাংলায়, ঘুমানোর আগের দোয়া, ঘুমের দোয়া অর্থ সহ, ঘুমানোর দোয়া বাংলা অর্থসহ, ghumanor dua in bangla, ঘুমানোর, ঘুমানোর দোয়া, ঘুমানোর দোয়া অর্থসহ, ঘুমানোর আগে আমল, ঘুমানোর আগে কোন দোয়া পড়তে হয়, আল্লাহুমা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া

    ঘুমানোর আগে কোন দোয়া পড়তে হয় ?

    প্রিয় পাঠকবৃন্দ, আশাকরি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন। আজ আপনাদের জানাতে যাচ্ছি ঘুমানোর দোয়া অর্থসহ আর ঘুমানোর আগে আমল সম্পর্কে। আমরা অনেকেই ঘুমানোর দোয়া অর্থসহ এবং ঘুমানোর আগে আমল সম্পর্কে বিস্তারিত জানিনা আর অনেক ওয়েবসাইটে ঘুরাঘুুুরি করেও এগুলো খুজে পাইনা। তাই আপনাদের সুুুবিধার জন্য আমরা ঘুমানোর দোয়া অর্থসহ এবং ঘুমানোর আগে আমল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করতে যাচ্ছি।

    ঘুমানোর দোয়া বাংলা অর্থসহ

    "‏ اَللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوتُ وَأَحْيَا"

    ঘুমানোর দোয়া বাংলায়

    বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুমা বিসমিকা অমুতু ওয়া আহইয়া।

    ঘুমের দোয়া অর্থ সহ

    বাংলা অর্থঃ ‘হে আল্লাহ! আপনারই নামে মরে যাই আবার আপনারই নামে জীবন লাভ করি।’

    ঘুমানোর আগের আমল

    হজরত হুযাইফাহ রাদিয়াল্লাহ আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাতের বেলায় নিজ বিছানায় শোয়ার (ঘুমানোর আগে) সময় নিজ হাত গালের নিচে রাখতেন।অতঃপর বলতেন,

    " ‏ اَللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوتُ وَأَحْيَا"

    বাংলা উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া।

    বাংলা অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনারই নামে মরে যাই আবার আপনারই নামে জীবন লাভ করি।’

    আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাতকে বিশ্বনবির ঘুমানোর এ ছোট্ট আমলটি নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

    এছাড়া বিভিন্ন হাদিসে আরো বিভিন্ন ঘুমানোর আগে আমল এর কথা উঠে এসেছে। আমরা সেগুলো পর্যায়ক্রমিক ভাবে তুলে ধরবো।

    ** 'রাসুলুল্লাহ (সা), হযরত আলি (রা) কে বললেন, "প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে ৫টি কাজ না করে ঘুমাতে যাবেনা।

    (১) চার হাজার দিনার সদকা আদায় করে ঘুমাবে।
    (২) এক খতম কোরআন শরীফ পড়ে ঘুমাবে।
    (৩) জান্নাতের মূল্য দিয়ে ঘুমাবে।
    (৪) উভয় পক্ষের বিবাদ মিটিয়ে ঘুমাবে।
    (৫) এক হজ্জ আদায় করে ঘুমাবে।''

    তখন হযরত আলি (রা) বললেন, ''এটটা খুবই কঠিন কাজ এবং আমার দ্বারা এটি সম্ভব নয়।

    তখন রাসুলুল্লাহ (সা) পুনরায় বললেন,
    (১) চারবার সূরা ফাতিহা পড়ে ঘুমালে চার হাজার দিনার সদকা আদায়ের সমান সাওয়াব পাবে।
    (২) তিনবার সূরা ইখলাস পড়ে ঘুমালে এক খতম কোরআন পড়ার সাওয়াব পাবে।
    (৩) তিনবার দূরুদ শরীফ পড়ে ঘুমালে জান্নাতের মূল্য আদায়েরর সমান সাওয়াব পাবে।
    (৪) দশবার ইস্তেগফার পড়ে ঘুমালে উভয়ের বিবাদ মিটানোর সমান সাওয়াব পাবে। (ইস্তেগফারঃ তাওবা আস্তাগফিরুল্লাহা রাব্বি মিন কুল্লী জাম্বিউ ওয়াতুবু ইলাইহি লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহি আলিয়্যিল আযিম।)
    (৫) তিনবার কালেমা তামযিদ পড়ে ঘুমালে এক হজ্জ আদায়ের সমান সাওয়াব পাবে।
    তখন হযরত আলি (রা) এটা আমি প্রতি রাতে আদায় করবো। (সহিহ বুখারি)**

    এছাড়া বিভিন্ন হাদিস আরো অনেক আমলের কথা উঠে এসেছে। আমরা সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।

    (১) হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন রাতে বিছানায় (ঘুমাতে) যেতেন, তখন তার দুইহাত একত্রিত করে হাতের তালুতে ফুঁ দিতেন এবং সুরা ইখলাছ, সুরা ফালাক্ব ও সুরা নাস পড়তেন। অতঃপর (এ তিন সুরা পড়ে হাতের তালুতে ফুঁ দিয়ে) দু’হাত দ্বারা যত দূর সম্ভব শরীর মুছে ফেলতেন। মাথা, মুখ ও শরীরের সম্মুখভাগ মুছতেন। এরূপ তিনবার করতেন।’ (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম, মিশকাত)

    (২) হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, যদি কেউ ঘুমানোর আগে আয়তুল কুরসি পাঠ করে, তাহলে শয়তান তার কাছে আসতে পারে না।’ (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম, মিশকাত)

    (৩) হজরত আবু মাসউদ আনসারি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যদি কেউ রাতে সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করবে। তার জন্য আয়াত দুটি যথেষ্ট হবে।’ (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম, মিশকাত)

    (৪) হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ বিছানায় ঘুমাতে যায়, তখন যেন সে বলে-بِاسْمِكَ رَبِّىْ وَضَعْتُ جَنْبِىْ وَبِكَ أَرْفَعُهُ اِنْ أَمْسَكْتَ نَفْسِىْ فَارْحَمْهَا وَاِنْ اَرْسَلْتَهَا فَاحْفَظْهَا بِمَا تَحْفَظُ بِهِ عِبَادَكَ الصَّالِحِيْن

    বাংলা উচ্চারণ : ‘বিসমিকা রাব্বি ওয়াদাতু জাম্বি ওয়া বিকা আরফাউহু ইন আমসাকতা নাফসি ফারহামহা ওয়া ইন আরসালতাহা ফাহফাজহা বিমা তাহফাজু বিহি ইবাদাকাস সালিহিন।’

    বাংলা অর্থ : হে আমার প্রভু! তোমার নামে আমার পার্শ্ব রাখলাম এবং তোমার নামেই উঠব। যদি তুমি আমার আত্মাকে রেখে (মৃত্যু) দাও তবে তার প্রতি দয়া কর। আর যদি ফেরত (জাগিয়ে) দাও, তাহলে তার প্রতি লক্ষ্য রাখ। যেমনভাবে তুমি লক্ষ্য রাখ তোমার নেক বান্দাদের দিকে।’ (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম, মিশকাত)

    (৫) রাসুল (সা.) বলেন, ‘তুমি যখন শয্যা গ্রহণ করবে, তখন আয়াতুল কুরসি পড়বে। তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে সর্বদা তোমার জন্য একজন রক্ষক থাকবে এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান তোমার কাছে আসতে পারবে না।’ (সহিহ বুখারি)

    (৬) রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, ‘কোরআনের মধ্যে ৩০ আয়াতবিশিষ্ট একটি সুরা আছে, যেটি কারো পক্ষে সুপারিশ করলে তাকে মাফ করে দেওয়া হয়। সুরাটি হলো তাবারাকাল্লাজি বিয়াদিহিল মুলক (সুরা মুলক)। তিনি এটি না পড়ে কখনো ঘুমাতে যেতেন না।’ ( জামি তিরমিজি)

    (৭) রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, ‘যদি কোনো মুসলমান রাতে আল্লাহকে স্মরণ করে অজু শেষে শয়ন করে এবং রাতে জাগ্রত হয়ে দুনিয়া ও আখিরাতের কোনো কল্যাণ আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে, আল্লাহ তাআলা তা দান করেন।’ (আবু দাউদ)

    (৮) আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) সাহাবীগণকে বললেন, 'তোমরা কি এক রাতে এক তৃতীয়াংশ কোরআন পড়তে পারনা?' প্রস্তাবটি সাহাবিদের জন্য কঠিন মনে হল। তাই তাঁরা বলে উঠলেন, “হে আল্লাহর রাসুল, এই কাজ আমাদের মধ্যে কে করতে পারবে”? (অর্থাৎ কেউ পারবে না।)। তিনি বললেন, “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ, আল্লাহুস স্বামাদ (সুরা ইখলাস) কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান”। (অর্থাৎ, এই সুরা পড়লে এক তৃতীয়াংশ কুরআন পড়ার সমান নেকী পাওয়া যাবে)। (সহিহ বুখারি, নাসায়ী, আবু দাউদ, মুসনাদে আহমদ)

    ঘুমানোর আগে হযরত মুহম্মদ (সা) আমাদের কিছু কাজ করতে আদেশ এবং কিছু কাজ করতে নিষেধ করেছেন। আমরা সেগুলোও পর্যায়ক্রমিকভাবে জানবো।

    রাসুলুল্লাহ (সা) যে কাজগুলো করতে আদেশ করেছেন

    (১) জাবের (রা) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা) বলেছেন, ‘তোমরা রাতে পানাহারের পাত্রগুলো ঢেকে রেখো। ঘরের দরজাগুলো বন্ধ রেখো। আর সাঁঝের বেলা তোমাদের বাচ্চাদের ঘরে আটকে রেখো, কারণ এ সময় জিনেরা ছড়িয়ে পড়ে

    ঘুমানোর আগে কোন দোয়া পড়তে হয়

    প্রিয় পাঠকবৃন্দ, আশাকরি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন। আজ আপনাদের জানাতে যাচ্ছি ঘুমানোর দোয়া অর্থসহ আর ঘুমানোর আগে আমল সম্পর্কে। আমরা অনেকেই ঘুমানোর দোয়া অর্থসহ এবং ঘুমানোর আগে আমল সম্পর্কে বিস্তারিত জানিনা আর অনেক ওয়েবসাইটে ঘুরাঘুুুরি করেও এগুলো খুজে পাইনা। তাই আপনাদের সুুুবিধার জন্য আমরা ঘুমানোর দোয়া অর্থসহ এবং ঘুমানোর আগে আমল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করতে যাচ্ছি।

    ghumanor dua in bangla

    "‏ اَللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوتُ وَأَحْيَا"

    বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুমা বিসমিকা অমুতু ওয়া আহইয়া।

    বাংলা অর্থঃ ‘হে আল্লাহ! আপনারই নামে মরে যাই আবার আপনারই নামে জীবন লাভ করি।’

    ঘুমানোর আগের আমল

    হজরত হুযাইফাহ রাদিয়াল্লাহ আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাতের বেলায় নিজ বিছানায় শোয়ার (ঘুমানোর আগে) সময় নিজ হাত গালের নিচে রাখতেন।অতঃপর বলতেন,

    ঘুমানোর আগের দোয়া

    " ‏ اَللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوتُ وَأَحْيَا"

    বাংলা উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া।

    বাংলা অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনারই নামে মরে যাই আবার আপনারই নামে জীবন লাভ করি।

    এছাড়া বিভিন্ন হাদিসে আরো বিভিন্ন ঘুমানোর আগে আমল এর কথা উঠে এসেছে। আমরা সেগুলো পর্যায়ক্রমিক ভাবে তুলে ধরবো।

    ** 'রাসুলুল্লাহ (সা), হযরত আলি (রা) কে বললেন, "প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে ৫টি কাজ না করে ঘুমাতে যাবেনা।

    (১) চার হাজার দিনার সদকা আদায় করে ঘুমাবে।
    (২) এক খতম কোরআন শরীফ পড়ে ঘুমাবে।
    (৩) জান্নাতের মূল্য দিয়ে ঘুমাবে।
    (৪) উভয় পক্ষের বিবাদ মিটিয়ে ঘুমাবে।
    (৫) এক হজ্জ আদায় করে ঘুমাবে।

    তখন হযরত আলি (রা) বললেন, ''এটটা খুবই কঠিন কাজ এবং আমার দ্বারা এটি সম্ভব নয়।

    তখন রাসুলুল্লাহ (সা) পুনরায় বললেন,

    (১) চারবার সূরা ফাতিহা পড়ে ঘুমালে চার হাজার দিনার সদকা আদায়ের সমান সাওয়াব পাবে।
    (২) তিনবার সূরা ইখলাস পড়ে ঘুমালে এক খতম কোরআন পড়ার সাওয়াব পাবে।
    (৩) তিনবার দূরুদ শরীফ পড়ে ঘুমালে জান্নাতের মূল্য আদায়েরর সমান সাওয়াব পাবে।
    (৪) দশবার ইস্তেগফার পড়ে ঘুমালে উভয়ের বিবাদ মিটানোর সমান সাওয়াব পাবে। (ইস্তেগফারঃ তাওবা আস্তাগফিরুল্লাহা রাব্বি মিন কুল্লী জাম্বিউ ওয়াতুবু ইলাইহি লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহি আলিয়্যিল আযিম।)
    (৫) তিনবার কালেমা তামযিদ পড়ে ঘুমালে এক হজ্জ আদায়ের সমান সাওয়াব পাবে।

    তখন হযরত আলি (রা) এটা আমি প্রতি রাতে আদায় করবো। (সহিহ বুখারি)**

    এছাড়া বিভিন্ন হাদিস আরো অনেক আমলের কথা উঠে এসেছে। আমরা সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।

    (১) হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন রাতে বিছানায় (ঘুমাতে) যেতেন, তখন তার দুইহাত একত্রিত করে হাতের তালুতে ফুঁ দিতেন এবং সুরা ইখলাছ, সুরা ফালাক্ব ও সুরা নাস পড়তেন। অতঃপর (এ তিন সুরা পড়ে হাতের তালুতে ফুঁ দিয়ে) দু’হাত দ্বারা যত দূর সম্ভব শরীর মুছে ফেলতেন। মাথা, মুখ ও শরীরের সম্মুখভাগ মুছতেন। এরূপ তিনবার করতেন।’ (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম, মিশকাত)

    (২) হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, যদি কেউ ঘুমানোর আগে আয়তুল কুরসি পাঠ করে, তাহলে শয়তান তার কাছে আসতে পারে না।’ (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম, মিশকাত)

    (৩) হজরত আবু মাসউদ আনসারি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যদি কেউ রাতে সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করবে। তার জন্য আয়াত দুটি যথেষ্ট হবে।’ (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম, মিশকাত)

    (৪) হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ বিছানায় ঘুমাতে যায়, তখন যেন সে বলে-بِاسْمِكَ رَبِّىْ وَضَعْتُ جَنْبِىْ وَبِكَ أَرْفَعُهُ اِنْ أَمْسَكْتَ نَفْسِىْ فَارْحَمْهَا وَاِنْ اَرْسَلْتَهَا فَاحْفَظْهَا بِمَا تَحْفَظُ بِهِ عِبَادَكَ الصَّالِحِيْن

    বাংলা উচ্চারণ : ‘বিসমিকা রাব্বি ওয়াদাতু জাম্বি ওয়া বিকা আরফাউহু ইন আমসাকতা নাফসি ফারহামহা ওয়া ইন আরসালতাহা ফাহফাজহা বিমা তাহফাজু বিহি ইবাদাকাস সালিহিন।’

    বাংলা অর্থ : হে আমার প্রভু! তোমার নামে আমার পার্শ্ব রাখলাম এবং তোমার নামেই উঠব। যদি তুমি আমার আত্মাকে রেখে (মৃত্যু) দাও তবে তার প্রতি দয়া কর। আর যদি ফেরত (জাগিয়ে) দাও, তাহলে তার প্রতি লক্ষ্য রাখ। যেমনভাবে তুমি লক্ষ্য রাখ তোমার নেক বান্দাদের দিকে।’ (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম, মিশকাত)

    (৫) রাসুল (সা.) বলেন, ‘তুমি যখন শয্যা গ্রহণ করবে, তখন আয়াতুল কুরসি পড়বে। তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে সর্বদা তোমার জন্য একজন রক্ষক থাকবে এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান তোমার কাছে আসতে পারবে না।’ (সহিহ বুখারি)

    (৬) রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, ‘কোরআনের মধ্যে ৩০ আয়াতবিশিষ্ট একটি সুরা আছে, যেটি কারো পক্ষে সুপারিশ করলে তাকে মাফ করে দেওয়া হয়। সুরাটি হলো তাবারাকাল্লাজি বিয়াদিহিল মুলক (সুরা মুলক)। তিনি এটি না পড়ে কখনো ঘুমাতে যেতেন না।’ ( জামি তিরমিজি)

    (৭) রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, ‘যদি কোনো মুসলমান রাতে আল্লাহকে স্মরণ করে অজু শেষে শয়ন করে এবং রাতে জাগ্রত হয়ে দুনিয়া ও আখিরাতের কোনো কল্যাণ আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে, আল্লাহ তাআলা তা দান করেন।’ (আবু দাউদ)

    (৮) আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) সাহাবীগণকে বললেন, 'তোমরা কি এক রাতে এক তৃতীয়াংশ কোরআন পড়তে পারনা?' প্রস্তাবটি সাহাবিদের জন্য কঠিন মনে হল। তাই তাঁরা বলে উঠলেন, “হে আল্লাহর রাসুল, এই কাজ আমাদের মধ্যে কে করতে পারবে”? (অর্থাৎ কেউ পারবে না।)। তিনি বললেন, “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ, আল্লাহুস স্বামাদ (সুরা ইখলাস) কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান”। (অর্থাৎ, এই সুরা পড়লে এক তৃতীয়াংশ কুরআন পড়ার সমান নেকী পাওয়া যাবে)। (সহিহ বুখারি, নাসায়ী, আবু দাউদ, মুসনাদে আহমদ)

    ঘুমানোর আগে হযরত মুহম্মদ (সা) আমাদের কিছু কাজ করতে আদেশ এবং কিছু কাজ করতে নিষেধ করেছেন। আমরা সেগুলোও পর্যায়ক্রমিকভাবে জানবো।

    রাসুলুল্লাহ (সা) যে কাজগুলো করতে আদেশ করেছেন

    (১) জাবের (রা) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা) বলেছেন, ‘তোমরা রাতে পানাহারের পাত্রগুলো ঢেকে রেখো। ঘরের দরজাগুলো বন্ধ রেখো। আর সাঁঝের বেলা তোমাদের বাচ্চাদের ঘরে আটকে রেখো, কারণ এ সময় জিনেরা ছড়িয়ে পড়ে এবং কোনো কিছুকে দ্রুত পাকড়াও করে। নিদ্রাকালে বাতিগুলো নিভিয়ে দেবে। কেননা অনেক সময় ছোট ক্ষতিকারক ইঁদুর প্রজ্বালিত সলতেযুক্ত বাতি টেনে নিয়ে যায় এবং গৃহবাসীকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেয়।’ (সহিহ বুখারি)

    (২) ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, 'রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি সুরমাদানি ছিল। প্রতি রাতে (ঘুমানোর আগে) তিনি ডান চোখে তিনবার এবং বাঁ চোখে তিনবার সুরমা লাগাতেন।' (জামি তিরমিজি)

    (৩) রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যদি তোমাদের কেউ শয্যায় যায়, তখন সে যেন তার লুঙ্গির ( বস্ত্র বা অন্য যেকোনো পরিষ্কার সামগ্রী) দ্বারা বিছানাটা ঝেড়ে নেয়। কারণ সে জানে না যে বিছানার ওপর তার অনুপস্থিতিতে পীড়াদায়ক কোনো কিছু আছে কি না। তারপর এই দোয়া পড়বে—''হে আমার রব! আপনারই নামে আমার শরীরটা বিছানায় রাখলাম এবং আপনারই নামে আবার উঠব"।’ (সহিহ বুখারি)

    রাসুলুল্লাহ (সা) যেগুলো করতে নিষেধ করেছেন

    (১) রাসুল (সা) বলেছেন, ' তোমরা এশার নামাজের পর গল্পগুজব ও গভীর রাত পর্যন্ত সময় নষ্ট না করে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়। (মুসনাদে আবি ইয়ালা)

    (২) ইবনে ওমর (রা) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (সা) বলেছেন তোমরা ঘরে কখনো একাকী রাত যাপন করোনা এবং একাকী সফর করোনা।’ (মুসনাদে আহমাদ)

    (৩) রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বেষ্টনীবিহীন ছাদে রাতে ঘুমালো (কোনো বিপদ বা দুর্ঘটনা ঘটলে) তার সম্পর্কে (আল্লাহর) কোনো জিম্মাদারি নেই।’ (আবু দাউদ)

    ট্যাগঃ ঘুমানোর, ঘুমানোর দোয়া, ঘুমানোর দোয়া অর্থসহ, ঘুমানোর আগে আমল, ঘুমানোর আগে কোন দোয়া পড়তে হয়, আল্লাহুমা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া। কোনো কিছুকে দ্রুত পাকড়াও করে। নিদ্রাকালে বাতিগুলো নিভিয়ে দেবে। কেননা অনেক সময় ছোট ক্ষতিকারক ইঁদুর প্রজ্বালিত সলতেযুক্ত বাতি টেনে নিয়ে যায় এবং গৃহবাসীকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেয়।’ (সহিহ বুখারি)

    (২) ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, 'রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি সুরমাদানি ছিল। প্রতি রাতে (ঘুমানোর আগে) তিনি ডান চোখে তিনবার এবং বাঁ চোখে তিনবার সুরমা লাগাতেন।' (জামি তিরমিজি)

    (৩) রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যদি তোমাদের কেউ শয্যায় যায়, তখন সে যেন তার লুঙ্গির ( বস্ত্র বা অন্য যেকোনো পরিষ্কার সামগ্রী) দ্বারা বিছানাটা ঝেড়ে নেয়। কারণ সে জানে না যে বিছানার ওপর তার অনুপস্থিতিতে পীড়াদায়ক কোনো কিছু আছে কি না। তারপর এই দোয়া পড়বে—''হে আমার রব! আপনারই নামে আমার শরীরটা বিছানায় রাখলাম এবং আপনারই নামে আবার উঠব"।’ (সহিহ বুখারি)

    ট্যাগঃ ঘুমানোর দোয়া বাংলায়, ঘুমানোর আগের দোয়া, ঘুমের দোয়া অর্থ সহ, ঘুমানোর দোয়া বাংলা অর্থসহ, ghumanor dua in bangla, ঘুমানোর, ঘুমানোর দোয়া, ঘুমানোর দোয়া অর্থসহ, ঘুমানোর আগে আমল, ঘুমানোর আগে কোন দোয়া পড়তে হয়, আল্লাহুমা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া।

    Post a Comment

    0Comments

    প্রতিদিন ১০০-২০০ টাকা ইনকাম করতে চাইলে এখানে কমেন্ট করে জানান। আমরা আপনায় কাজে নিয়ে নেবো। ধন্যবাদ

    Post a Comment (0)