মাহে রমজান ২০২৪ | মাহে রমজানের শুভেচ্ছা | মাহে রহমানের ছবি ২০২৪

RA Tipu
0
মাহে রমজান | মাহে রমজান এসেছে, মাহে রমজানের শুভেচ্ছা, আহলান সাহলান মাহে রমজান,মাহে রমজান এলো বছর ঘুর, খোশ আমদেদ মাহে রমজান, আহলান সাহলান মাহে রমজান অর্থ, স্বাগতম হে মাহে রমজান, পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা, রমজান এলো এলো মাহে রমজান, স্বাগতম মাহে রমজান, সবাইকে মাহে রমজানের শুভেচ্ছা


    মাহে রমজান | মাহে রমজান এসেছে

    আসসালামু আলাইকুম,প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন?আশা করি আপনারা আল্লাহর অশেষ কৃপায় ভালো আছেন।আমিও ভাল আছি,আলহামদুলিল্লাহ।দেখতে দেখতেই ২০২৪ সালের পবিত্র মাহে রমজান চলে আসছে।পবিত্র মাহে রমজান মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ মাস।মহান রবের নৈকট্য লাভের জন্য আমাদের কে দান করেছেন আত্মশুদ্ধির এই মাসে।এই মাসের ফজিলত ও গুরুত্ব জানার জন্য প্রতি রমজান মাসের পূর্বে আমরা সকলেই ইন্টারনেটের সহায়তায় জানার চেষ্টা করি।তাছাড়া রমজানের ক্যালেন্ডাররমজানের বিভিন্ন আকর্ষণীয় ছবি জন্য আমরা ইন্টারনেটের সহায়তা নিয়ে থাকি।আপনাদের আকাঙ্ক্ষিত ডাটাগুলো আমরা আমাদের সাইটে রেখেছি।

    মাহে রমজানের শুভেচ্ছা

    প্রিয় বন্ধুরা আপনাদেরকে প্রথমেই জানাই ২০২৪ সালের পবিত্র মাহে রমজানের অগ্রিম শুভেচ্ছা।পবিত্র মাহে রমজানের মধ্য দিয়ে আমি সহ আপনারা সবাই যেন আত্মশুদ্ধি  নিয়ে গড়ে ওঠি।পবিত্র মাহে রমজান যেন আমাদের সকলের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে।তাই পবিত্র মাহে রমজানে সকলে আত্মশুদ্ধি কামনা করি

    আহলান সাহলান মাহে রমজান | মাহে রমজান এলো বছর ঘুরে

    রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে বছর ঘুরে আবার এল পবিত্র মাহে রমজান।মহান আল্লাহর অপার কৃপায় বরকতপূর্ণ পবিত্র শাবান মাস অতিবাহিত করছি আমরা। ইতিমধ্যে মাসটির অর্ধেকেরও বেশি চলে গেছে। করোনাভাইরাসের আক্রমণে সারাবিশ্ব এক আতঙ্কের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে। আমরা কেউ বলতে পারি না পবিত্র মাহে রমজানের রোজা রাখার তাওফিক আমাদের হবে কিনা।

    তাই শাবান মাসের এ দিনগুলোতে রমজান পাওয়ার জন্য অনেক বেশি দোয়া করা উচিত। আল্লাহ তাআলা যেন তার অপার অনুগ্রহে এই মহামারি থেকে বিশ্ববাসীকে রক্ষা করেন।মুমিন-মুত্তাকি বান্দা বরকতময় শাবান মাস থেকেই পবিত্র মাহে রমজানের চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। তারা শাবান মাসেই একটি রুটিন তৈরি করে নেয় যে, গত বছরের রমজান থেকে এবারের রমজানে কী কী নেক আমল বেশি করবেন

    শাবান মাস আসার আগেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুই হাত তুলে এ দোয়া পাঠ করতেন এবং সাহাবাদেরও পড়তে বলতেন,যা হাদিস থেকে বর্ণিত-

    اَللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِىْ رَجَبَ وَ شَعْبَانَ وَ بَلِّغْنَا رَمَضَانَ

    উচ্চারণ :‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজবাও ওয়া শাবানা ওয়া বাল্লিগনা ইলা শাহরির রমাদান।’(মুসনাদে আহমাদ)

    অর্থ : "হে আল্লাহ! তুমি আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসে বরকত দাও এবং আমাদেরকে রমজান পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দাও"।

    খোশ আমদেদ মাহে রমজান

    এ মাসকে বলা হয় মাহে রমজানের আগমনী বার্তার মাস। শাবান মাস মূলত পবিত্র মাহে রমজানের প্রস্তুতির মাস। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শাবান মাসে অন্যান্য মাসের তুলনায় বেশি বেশি নফল রোজা, কুরআন তেলাওয়াত ও নামাজ আদায়ের মাধ্যমে রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন।

    উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেছেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনো নফল রোজা রাখতে শুরু করলে আমরা বলাবলি করতাম, তিনি বিরতি দেবেন না। আর রোজার বিরতি দিলে আমরা বলতাম যে, তিনি মনে হয় এখন আর নফল রোজা রাখবেন না। আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রমজান ব্যতীত অন্য কোনো মাসে পূর্ণ এক মাস রোজা পালন করতে দেখিনি। কিন্তু শাবান মাসে তিনি বেশি নফল রোজা রেখেছেন।’ (মুসলিম)

    হাদিসের অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, ‘শাবান মাস ছাড়া অন্য কোনো মাসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এত অধিক হারে নফল রোজা আদায় করতেন না।’ (বুখারি)

    তামাম মাখলুকাতের মধ্যে সেরা সৃষ্টি হওয়া সত্ত্বেও বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজানের চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণের আগে থেকেই রোজা রাখা শুরু করতেন। বেশি বেশি নফল নামাজ, ইবাদত-বন্দেগিও করতেন।

    আহলান সাহলান মাহে রমজান অর্থ | স্বাগতম হে মাহে রমজান

    ‘সুস্বাগতম রমাদান মাস’। ‘হে আল্লাহ রজব ও শাবান মাস আমাদের জন্য বরকতময় করুন এবং রমাদান আমাদের নসিব করুন!’ এই আকুল প্রার্থনা কবুল হলো। তাই আনন্দচিত্তে সুস্বাগতম জানাচ্ছি মহিমান্বিত মাহে রমাদানকে। হজরত আবু হুরায়রা (রাহ.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন: যখন রমাদান মাস আসে, তখন জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়; শয়তানকে শৃঙ্খলিত করা হয়। (বুখারি, খণ্ড: ৩, হাদিস: ১,৭৭৮)। রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে এল মাহে রমাদান। প্রিয় নবী (সা.) বলেন: রমাদানের প্রথম অংশ রহমত বা দয়া করুণা, মধ্যের অংশ মাগফিরাত বা ক্ষমা, শেষাংশ নাজাত বা মুক্তি। (বায়হাকি)।

    রহমতের বারিতে স্নাত হয়ে, ক্ষমার মহিমায় উজ্জীবিত নব জীবন লাভ করে, নাজাত বা অনন্ত মুক্তির নতুন দিগন্তের জান্নাতি আহ্বানে অফুরান কল্যাণের পথে অভিযাত্রার সুবর্ণ সুযোগ মাহে রমাদান।

    রমাদান বা রমজান শব্দের অর্থ হলো প্রচণ্ড গরম, সূর্যের খরতাপে পাথর উত্তপ্ত হওয়া, সূর্যতাপে উত্তপ্ত বালু বা মরুভূমি, মাটির তাপে পায়ে ঠোসা পড়ে যাওয়া; পুড়ে যাওয়া, ঝলসে যাওয়া; সেদ্ধ হওয়া, জ্বর, তাপ ইত্যাদি। রমাদানে ক্ষুধা-তৃষ্ণায় রোজাদারের পেটে আগুন জ্বলে। রমাদান মাসে পাপ-তাপ পুড়ে ছাই হয়ে রোজাদার নিষ্পাপ হয়ে যায়। হাদিস শরিফে এই মাসকে ‘রমাদান আল মোবারক’ বরকতময় রমাদান বা প্রাচুর্যময় রমাদান এবং ‘রমাদান আল করিম’ সম্মানিত ও মহিমান্বিত রমাদান নামে অভিহিত করা হয়েছে। (লিসানুল আরব)।

    পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা

    রোজাকে আরবি ভাষায় বলা হয় ‘সিয়াম’। সিয়াম হচ্ছে বহুবচন, একবচন ‘সওম’ অর্থ বিরত থাকা। ফারসি, উর্দু, হিন্দি ও বাংলায় সওমকে বলা হয় ‘রোজা’। কোরআনুল কারিমে এসেছে: হে যারা ইমান এনেছ! তোমাদের প্রতি ‘সিয়াম’-এর ফরজ বিধান নির্ধারণ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের জন্য; যেন তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করতে পারো। (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৮৩)। 

    হজরত আবু হুরায়রা (রাহ.) বর্ণনা করেন, মহানবী হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন: যে ব্যক্তি ইমানের সহিত সওয়াবের নিয়তে রমাদান মাসে 

    সওম পালন করবে, তার অতীতের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। (বুখারি শরিফ, প্রথম খণ্ড, হাদিস: ৩৭)।

    প্রিয় নবী রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন: যে ব্যক্তি ইমানের সহিত সওয়াবের উদ্দেশে রমাদান মাসে রাতে ইবাদত করবে, তারাবির নামাজ আদায় করবে, তার অতীতের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। (বুখারি, প্রথম খণ্ড, হাদিস: ৩৬)। রমাদান মাসে রয়েছে প্রভুর করুণার পরম পূর্ণতার রাত্রি লাইলাতুল কদর বা শবে কদর তথা মহিমাময় মহা মর্যাদাপূর্ণ সম্মানিত রজনী। বিশ্বনবী হজরত রাসুলে আকরাম (সা.) বলেন: যে ব্যক্তি ইমানের সহিত সওয়াবের আশায় লাইলাতুল কদরে ইবাদতে রাত্রি অতিবাহিত করবে, তার অতীতের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। (বুখারি, প্রথম খণ্ড, হাদিস: ৩৪)।

    রমজান এলো এলো মাহে রমজান

    প্রিয় নবীজি (সা.) বলেন: জান্নাতে রায়্যান নামক একটি দরজা আছে। এ দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন রোজাদারেরাই শুধু প্রবেশ করবে। তাদের প্রবেশের পরেই এই দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে। তাদের ছাড়া আর কেউ এই দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। (বুখারি, খণ্ড: ৩, হাদিস: ১৭৭৫)। রমাদান মাসে প্রতিটি নেক আমলের ফজিলত সত্তর গুণ বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। একেকটি নফল ইবাদতের সওয়াব বা বিনিময় ফরজ ইবাদতের সমান দান করা হয়। তাই রমাদানে কোরআন পড়ুন, কোরআন বুঝুন, কোরআনের মতো জীবন গড়ুন।

    প্রাপ্তবয়স্ক, স্বাভাবিক জ্ঞানসম্পন্ন ও সুস্থ সব নারী-পুরুষের জন্য রমাদান মাসে রোজা পালন বাধ্যতামূলক ফরজ ইবাদত। ঋতুমতী নারী, সন্তান প্রসবকারী মা, অসুস্থ ব্যক্তিরা রোজা-পরবর্তী সময়ে কাজা আদায় করবেন। এমন অক্ষম ব্যক্তি, যিনি পুনরায় সুস্থ হয়ে রোজা পালনের সামর্থ্য লাভের সম্ভাবনা বিদ্যমান নেই, তাঁরা রোজার জন্য ফিদইয়া প্রদান করবেন। অর্থাৎ প্রতিটি রোজার জন্য একটি সদকাতুল ফিতরের সমান দান করবেন। জাকাত গ্রহণের উপযুক্তদেরই এই ফিদইয়া প্রদান করা যাবে।

    রমাদানের পবিত্রতা রক্ষা করুন। রমাদানে ইবাদতের পরিবেশ বজায় রাখুন। রমাদানের ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নতসমূহ পালন করুন। দুনিয়ার শান্তি ও পরকালের মুক্তি নিশ্চিত করুন। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলা বলেন: রোজা আমারই জন্য, আমিই এর বিনিময় প্রতিদান দেব। (বুখারি, খণ্ড: ২, পৃষ্ঠা: ২২৬)।

    স্বাগতম মাহে রমজান | সবাইকে মাহে রমজানের শুভেচ্ছা

    পরিশেষে-

    আমরা যদি শাবান মাসের অবশিষ্ট দিনগুলোতে নফল ইবাদতে অতিবাহিত করি আর আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে এভাবে দোয়া করতে শুরু করি যে-

    ‘হে আল্লাহ!  আমি যেন আগত রমজানে আগের তুলনায় অনেক বেশি ইবাদত-বন্দেগি, দান-খয়রাত, কুরআন তেলাওয়াতসহ সব নেক কাজ করতে পারি,তুমি আমাকে সুস্থ রাখ।

     এই দোয়াও করা উচিত  আমাদের একই সাথে,আল্লাহ'তাআলা যেন তার অপার মহিমায় রমজানের আগেই সারাবিশ্বকে প্রাণঘাতী মহামারি করোনার আক্রমণ থেকে রক্ষা করেন আর মুসলিম উম্মাহ যেন সুন্দরভাবে রমজানের দিনগুলো অতিবাহিত করার সৌভাগ্য পান।

    আসুন একাগ্রচিত্তে প্রভুর দরবারে সকাতর দোয়া করি-

    ‘হে দয়াময়! তুমি তোমার অপার রহমতে বিশ্বমানবতাকে ক্ষমা কর। রহমত, বরকত আর ক্ষমার দিনগুলোতে নিষ্ঠার সাথে তোমার ইবাদত করার সুযোগ করে দাও। মসজিদে গিয়ে ইবাদত করা থেকে আর বিরত রেখো না। আমরা আমাদের গোনাহের জন্য তোমার কাছে ক্ষমার ভিখারী, তুমি আমাদের ক্ষমা করে তোমার রহমতের চাদরে আবৃত করে নাও। আমিন।


    tags: মাহে রমজান | মাহে রমজান এসেছে, মাহে রমজানের শুভেচ্ছা, আহলান সাহলান মাহে রমজান,মাহে রমজান এলো বছর ঘুর, খোশ আমদেদ মাহে রমজান, আহলান সাহলান মাহে রমজান অর্থ, স্বাগতম হে মাহে রমজান, পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা, রমজান এলো এলো মাহে রমজান, স্বাগতম মাহে রমজান, সবাইকে মাহে রমজানের শুভেচ্ছা

    Post a Comment

    0Comments

    প্রতিদিন ১০০-২০০ টাকা ইনকাম করতে চাইলে এখানে কমেন্ট করে জানান। আমরা আপনায় কাজে নিয়ে নেবো। ধন্যবাদ

    Post a Comment (0)