আরবি মাসের নাম | আরবি শব্দের বাংলা অর্থ | আরবি সাত দিনের

RA Tipu
0
আরবি মাসের নাম, আরবি হরফ, আরবি ভাষা, বাংলা টু আরবি, আরবি সংখ্যা, আরবি শব্দের বাংলা অর্থ, আরবি ভাষা শিক্ষা, আরবি বর্ণমালা, আরবি শিক্ষা, আরবি মাস, আরবি বার মাসের নাম, আরবি হরফ বাংলা উচ্চারণ সহ	, আরবি সাত দিনের নাম, আরবি শব্দার্থ

    আরবি মাসের নাম | আরবি মাস | আরবি বার মাসের নাম

    মহররম : জাহেলি সময় এই মাসে কোনো ধরনের যুদ্ধবিগ্রহ ও রক্তপাত করা হারাম ও অবৈধ ছিল বলে এই মাস কে মুহাররমুল হারাম নামে নামকরণ করা হয়েছে।

    সফর : সফর শব্দটি সিফর থেকে নির্গত। এর অর্থ শূন্য হওয়া, জাহেলি যুগে সফর মাসে লোকেরা যুদ্ধের জন্য বের হয়ে গেলে ঘর শূন্য হয়ে যেত, তাই সফরের মাসের নাম সফর রাখা হয়েছে।

    রবিউল আউয়াল : এই মাসের নামকরণকালে ফসলে রবি, অর্থাৎ বসন্তকাল ছিল। তাই এর নামকরণ হয়েছে রবিউল আউয়াল।

    রবিউসসানি : এর নামের নামকরণকালে বসন্তের শেষের দিকে পড়ার কারণে রবিউল আখের অথবা শেষ বসন্ত নাম রাখা হয়।

    জুমাদাল উলা : জুমাদা শব্দটি এসেছে জুমুদ থেকে, যার অর্থ জমে যাওয়া, স্থবির হওয়া। যখন এই মাসের নাম রাখা হয়, তখন ঠাণ্ডার মৌসুম আরম্ভ হয়, কেননা ঠাণ্ডার কারণে বেশির ভাগ জিনিস জমে যায়। এ জন্য এ মাসের নাম এভাবে রাখা হয়।

    আরবি শিক্ষা

    জুমাদাল উখরা : এই মাসের নাম রাখার মূলকারণ হলো,  শীতের প্রচণ্ডতায় পানি পর্যন্ত জমে যেত এই মাসের শেষে।

    রজব : রজব শব্দটি রজিব থেকে উদ্ভূত হয়েছে। এর অর্থ হলো সম্মান করা। আরববাসী যেহেতু এ মাসকে সম্মান করত এবং শাহরুল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহর মাস বলত, তাই এ মাসের নাম রজব বা সম্মানিত মাস রাখা হয়।

    শাবান : শাবান শাব শব্দ থেকে উদ্ভূত হয়েছে। এর অর্থ হলো বের হওয়া, প্রকাশ হওয়া, বিদীর্ণ হওয়া। যেহেতু এ মাসে বিপুল কল্যাণ প্রকাশিত হয়, মানুষের রিজিক উৎপাদন ও বণ্টিত হয় এবং তাকদিরের ফয়সালাগুলোও বণ্টন করে দেওয়া হয়। তাই এ মাসের নাম শাবান রাখা হয়েছে।

    রমজান : রমজান শব্দের মূল অর্থ হচ্ছে জ্বালানো-পোড়ানো। যেহেতু এই মাসে মুমিনের গুনাহগুলো জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দেওয়া হয়। এ মাসের নাম রমজান রাখা হয়।

    শাওয়াল : শাওয়াল শব্দটি ‘শাওল’ মূলধাতু থেকে নির্গত, অর্থ বাইরে গমন করা। এখানে আরববাসী নিজ ঘরবাড়ি ত্যাগ করে ভ্রমণে যেত। তাই এর নামকরণ করা হয় শাওয়াল।

    জুলকদ/জিলকদ : ‘জুল/জিল’ অর্থ ওয়ালা আর ‘কাদাহ’ অর্থ বসা, যেহেতু এ মাস সম্মানিত মাসের একটি। আরবরা এ মাসে যুদ্ধবিগ্রহ বন্ধ করে বাড়িতে বসে থাকত।

    জুলহজ/জিলহজ : জুলহজ/জিলহজ শব্দটি সম্ভবত হাজ্জাহ থেকে নেওয়া হয়েছে। এর অর্থ একবার হজ করা। অথবা শব্দটি ‘হিজ’ শব্দ থেকে নেওয়া হয়েছে। এর মানে অর্থবছর। যেহেতু এই মাস বছরের শেষাংশে আসে এবং এর দ্বারাই পূর্ণ বছরের সমাপ্তি ঘটে, তাই এই মাসের নামকরণ হয়েছে জুলহজ/জিলহজ।

    আরবি হরফ | আরবি ভাষা | বাংলা টু আরবি

    আরবি লিপির উৎপত্তি আরামীয় লিপি হতে।আরামীয় লিপি খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতক থেকেই প্রচলিত ছিল।তবে এতে ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা আরবি ভাষার তুলনায় কম ছিল।তাই একে আরামীয় বর্ণ আরবি ভাষার একাধিক বর্ণ নির্দেশে ব্যবহার করা হতো।এই দ্ব্যর্থতা দূর করার জন্য ৭ম শতক থেকে বর্ণগুলির নিচে বা উপরে বিভিন্ন অতিরিক্ত চিহ্ন ব্যবহার করা শুরু হয়। এই চিহ্নগুলিই আরবিকে স্বতন্ত্র লিপি হিসেবে অন্যান্য লিপি থেকে পৃথক করেছে। এছাড়া পবিত্র কুরআনের বিশুদ্ধ পঠন নিশ্চিত করার জন্য আরও কিছু চিহ্ন আরবি লিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যাদের মধ্যে হ্রস্ব স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনদ্বিত্ব নির্দেশকারী চিহ্নগুলি অন্যতম

    আরবি হরফ বাংলা উচ্চারণ সহ

    আরবি মাসের নাম, আরবি হরফ, আরবি ভাষা, বাংলা টু আরবি, আরবি সংখ্যা, আরবি শব্দের বাংলা অর্থ, আরবি ভাষা শিক্ষা, আরবি বর্ণমালা, আরবি শিক্ষা, আরবি মাস, আরবি বার মাসের নাম, আরবি হরফ বাংলা উচ্চারণ সহ	, আরবি সাত দিনের নাম, আরবি শব্দার্থ

    আরবি শব্দের বাংলা অর্থ | আরবি শব্দার্থ


    প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনাদের সুবিধার্থে আমরা কিছু আরবি শব্দের বাংলা অর্থ  নিচে দিয়ে রেখেছি।আমাদের সাইটে যেকোন আরবি শব্দের বাংলা অর্থ খুব সহজে পেয়ে যাবেন।
    • বিসমিল্লাহ 
    বিসমিল্লাহ শব্দের অর্থ হচ্ছেঃআল্লাহর নামে শুরু
    বিসমিল্লাহ বলার তাৎপর্য আল্লাহর বারাকাহ ও নিরাপত্তা অর্জন।
    • আলহামদুলিল্লাহ
    আলহামদুলিল্লাহ শব্দের অর্থ হচ্ছেঃ সকল প্রশংসা আল্লাহ
    আলহামদুলিল্লাহ বলার তাৎপর্য হচ্ছে প্রশংসা ও শুকরিয়া আদায়
    • সুবহানাল্লাহ
    সুবহানাল্লাহ শব্দের অর্থ হচ্ছেঃ আল্লাহ পবিত্র
    সুবহানাল্লাহ বলার তাৎপর্য হচ্ছে আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করা
    • আল্লাহু আকবার
    আল্লাহু আকবার শব্দের অর্থ হচ্ছেঃআল্লাহর সবচেয়ে বড়
    আল্লাহু আকবার বলার তাৎপর্য হচ্ছে আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা করা ও সবার উপরে স্থান দেওয়া
    • লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ
    লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ শব্দের অর্থ হচ্ছেঃআল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নাই 
    লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলার তাৎপর্য হচ্ছে আল্লাহর একাত্মতা ঘোষণা করা তার সাথে অন্য কাউকে শরীক না করা
    • জাযাকাল্লাহু খাইরান
    জাযাকাল্লাহু খাইরান এর অর্থ হচ্ছেঃ আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন
    জাযাকাল্লাহু খাইরান বলার তাৎপর্য হচ্ছে অন্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা
    • মাশাআল্লাহ 
    মাশাআল্লাহ শব্দের অর্থ হচ্ছেঃ আল্লাহ যেমন চেয়েছেন
    মাশাআল্লাহ বলার তাৎপর্য হচ্ছে আল্লাহর প্রশংসা করা
    • ইনশাআল্লাহ
    ইনশাআল্লাহ শব্দের অর্থ হচ্ছেঃযদি আল্লাহ চান
    ইনশাআল্লাহ বলার তাৎপর্য হচ্ছে আল্লাহর উপর ভরসা করা
    • আস্তাগফিরুল্লাহ 
    আস্তাগফিরুল্লাহ শব্দের অর্থ হচ্ছেঃআমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই
    আস্তাগফিরুল্লাহ বলার তাৎপর্য হচ্ছে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া ও তওবা করা
    • ফি আমানিল্লাহ
    ফি আমানিল্লাহ শব্দের অর্থ হচ্ছেঃ আল্লাহর নিরাপত্তায় সোপর্দ করলাম
    ফি আমানিল্লাহ বলার তাৎপর্য হচ্ছে আল্লাহর কাছে নিরাপত্তা চাওয়া ,ভরসা করা
    • নাউজবিল্লাহ
    নাউজবিল্লাহ শব্দের অর্থ হচ্ছেঃআল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া
    নাউজুবিল্লাহ বলার তাৎপর্য হচ্ছে মন্দ কিছু দেখলেও শুনলে আল্লাহর কাছে আশ্রয়ের প্রার্থনা করা 
    • ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহির রাজিউন
    ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহির রাজিউন এর অর্থ হচ্ছেঃনিশ্চয়ই আমরা মহান আল্লাহর জন্য এবং আমরা তার দিকেই ফিরে যাবো
    ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহির রাজিউন বলার তাৎপর্য হচ্ছে মৃত্যু ও পরকালে স্মরণ করা
    • সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি
    সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি এর অর্থ হচ্ছেঃমহাপবিত্র আল্লাহ এবং সকল প্রশংসা তাঁর জন্য
    সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি বলার তাৎপর্য হচ্ছে আল্লাহর পবিত্রতা ও প্রশংসা ঘোষণা করা
    • সুবহানাল্লাহিল আযীম
    সুবহানাল্লাহিল আযীম এর অর্থ হচ্ছেঃমহাপবিত্র আল্লাহ, যিনি মহান।
    সুবহানাল্লাহিল আযীম বলার তাৎপর্য হচ্ছে আল্লাহর পবিত্রতা ও বড়ত্ব ঘোষণা

    আরবি ভাষা শিক্ষা

    সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য।আমরা তারই প্রশংসা করি ও তার কাছেই সহায়তা কামনা করি।দুরুদ এবং সালাম নাযিল হোক মহান রবের রাসূল (সাঃ) এর প্রতি ও সেসব লোকদের প্রতিযারা কেয়ামত পর্যন্ত নবীর পথের অনুসরণ করবে। অতঃপর …, অনেক ভাইয়েরা আমার কাছে আরবি ভাষা শেখার বিষয়ে এবং কিভাবে কুরআন ও সুন্নাহকে সর্বোত্তম উপায়ে বোঝা যায় সে প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করে। তাদের প্রশ্নের জবাবে আমি এই ছোট্ট কবিতাটি উল্লেখ করছি। আল্লাহ যেন আমাদের কাজে একনিষ্ঠতা এবং সাফল্য দান করেন। সালাফদের কিছু অংশ একথা বলতেন,
    মান দাখালা ফিল ইলমি জুমলাতান, খারাজা মিনহু জুমলাতান।অর্থাৎ যে এক নিমিষেই জ্ঞানের রাজ্যে প্রবেশ করেছে, জ্ঞান এক নিমিষেই তাকে পরিত্যাগ করবে।

    আরবি বর্ণমালা

    যেকোনো বিষয়ের শিক্ষার্থীর জন্য এটি অপরিহার্য যে সে তার পাঠ্য বিষয়ের বুঝ হাসিল করবে এবং সেটির মূল বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা অর্জন করবে। আরবিতে এটিকে বলা হয়, “তাসাওয়ুর”। পশ্চিমা জগতে আরবি শেখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হলো “তাসাওয়ুর” এর ঘাটতি। যে কেউ বর্তমানে পশ্চিমা বাজারগুলোতে আরবি শেখার অসংখ্য বইগুলো দেখলেই পারেন। এতো বইয়ের ছড়াছড়িতে এটি ধরে নেওয়া যেতে পারে যে, মুসলিম জগতের সকলেই এতোদিনে আরবি শিখে ফেলার কথা। কিন্তু বাস্তবে এমনটি নয়। এতো কিতাব থাকা সত্ত্বেও আরবি শেখায় ঘাটতি পড়ার প্রধান কারণ হলো “তাসাওয়ুর” এর অভাব যা আমি ইতিপূর্বে উল্লেখ করেছি।কোনো ইচ্ছা নেই যাদের আরবি শেখার  এবং শুধু মুখে মুখেই দাবি করে যে তারা আরবি শিখতে চায়,কিন্তু কোনো প্রচেষ্টা করেনা তারা এ বিষয়ে,তাদের জন্য আমি আল্লাহর কাছে দুআ করি যে আল্লাহ তাদেরকে আরবি শেখার তৌফিক দান করুন ও তাদের অন্তরে কুরআন ও সুন্নাহের ভাষা উপলব্ধি করার ইচ্ছা জাগ্রত করে দেন।

    আরবি সাত দিনের 

    প্রিয় বন্ধুরা আমরা জানি আপনারা অনেক সময় ইন্টার্নেটের সাহায্যে আরবি সাত দিনের নাম জানতে চাও।আমরা আমাদের সাইটে আরবি মাসের নামের পাশাপাশি আরবি সাত দিনের নাম দিয়ে রেখেছি।
    "আরবি সাত দিনের নাম নিচে দেওয়া হলো"
    শনিবার-ইমুল সাবত
    রবিবার-ইয়ামুল আহাদ
    সোমবার-  ইয়ামুল ইতনায়িন
    মঙ্গলবার-ইয়ামুল তালাতা
    বুধবার-ইয়ামুল আরবায়া
    বৃহঃবার-ইয়ামুল খামসা
    শুক্রবার-ইয়ামুল জুময়াহ

    tags:আরবি মাসের নাম, আরবি হরফ, আরবি ভাষা, বাংলা টু আরবি, আরবি সংখ্যা, আরবি শব্দের বাংলা অর্থ, আরবি ভাষা শিক্ষা, আরবি বর্ণমালা, আরবি শিক্ষা, আরবি মাস, আরবি বার মাসের নাম, আরবি হরফ বাংলা উচ্চারণ সহ , আরবি সাত দিনের নাম, আরবি শব্দার্থ

    Post a Comment

    0Comments

    প্রতিদিন ১০০-২০০ টাকা ইনকাম করতে চাইলে এখানে কমেন্ট করে জানান। আমরা আপনায় কাজে নিয়ে নেবো। ধন্যবাদ

    Post a Comment (0)