রসুন,কিসমিস, লেবু, আপেল, বেল খেলে কি হয় ও খাওয়ার উপকরিতা

 

কি খেলে কি হয়,  রসুন খেলে কি হয়, কিসমিস খেলে কি হয় ,লেবু খেলে কি হয়,  লেবুর উপকারিতা ,আপেল খেলে কি হয় ,বেল খেলে কি হয় , বেলের উপকারিতা

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি বারাকাতুহু । আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আল্লাহর রহমতে আপনাদের দোয়ায় আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। 


আমরা প্রতিদিন বহু রকমের খাবার খেয়ে থাকি। আমরা অনেকেই জানিনা কোন খাবারে কোন পুষ্টিমান বিদ্যমান আছে! কি খেলে কোন উপকার হতে পারে। কি খেলে কোন রোগ থেকে বাঁচা যায় । আমরা জানি না কি খেলে কি হয়। এজন্য আপনাদের সুবিধার্থে আমরা আজ আপনাদের সামনে কি খেলে কি হয়রসুন খেলে কি হয়, কিসমিস খেলে কি হয় ,লেবু খেলে কি হয়লেবুর উপকারিতা ,আপেল খেলে কি হয় ,বেল খেলে কি হয় , বেলের উপকারিতা এ সম্পর্কে তুলে ধরেছি। 


    রসুন খেলে কি হয়

    আমরা তরকারিতে বিভিন্ন খাবার এই রসুন ব্যবহার করে থাকি।  আমরা জানি না অনেকেই রসুন খেলে কি হয়। রসুনের উপকারিতা সম্পর্কে। অনেক গুন আছে আমাদের রোগ থেকে বাঁচতে ও শরীর সুস্থ রাখতে রসুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । রসুন খেলে কি হয় এটা নিচে দেয়া হল আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন। 

    রসুনের আশ্চর্য সাত স্বাস্থ্যকর গুণ

    কাঁচা রসুন সেবনে শরীর সুস্থ থাকে। আর নিয়মিত সেবনে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

    রান্নায় অনন্য স্বাদ যুক্ত করে রসুন। শত্তিশালী সুঘ্রাণের কারণে সবজি, মাংস থেকে শুরু করে কাচ্চি, কারি রান্না রসুন ছাড়া চিন্তাই করা যায় না। উপমহাদেশের রান্নায় দীর্ঘদিন ধরেই রসুন ব্যবহার হচ্ছে। আর বহির্বিশ্বে এর পরিচিতি কম নয়। রসুনকে অনেকেই বলে থাকেন ‘পাওয়ার হাউস অব মেডিসিন অ্যান্ড ফ্লেভার’। কারণ কাঁচা বা সিদ্ধ রসুন কোয়া সেবনে শরীর সুস্থ থাকে। আর নিয়মিত সেবনে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।


    ভারত উপমহাদেশে আদিকাল থেকেই বিভিন্ন রোগে কাঁচা রসুন সেবনের প্রচলন আছে। এ ছাড়া আরো অনেক কাজে রসুন ব্যবহার হয়। অনেক সংস্কৃতিতেই এখনো রসুনের ব্যবহার বেশ প্রচলিত। আমাদের পূর্বপুরুষরা পোকা দমণে রসুন ব্যবহার করেছেন, তেমনি মধ্যযুগে ইউরোপবাসী এটি ব্যবহার করেছেন প্লেগ দমনে।


    রসুনে আছে সালভারভিত্তিক যৌগ অ্যালিসিন, যা অনেক রোগ নিরাময়ে কাজ করে। কাঁচা রসুন চিবিয়ে খাওয়ায় শরীরে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাশ প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরি হয়। অনেকের দাবি, রসুন নিয়মিত সেবনে অনেক ক্যানসার প্রতিরোধ হয়।


    রসুনের সাতটি ব্যবহার এবং এর ফলে স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাবের বিষয়ে জানানো হলো ঃ


    রক্ত পরিষ্কার রাখে

    প্রতিদিন সকালে রসুনের দুটি কোয়া ও এক গ্লাস পরিমাণ গরম পানি সেবন করতে হবে। আর দিনে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। এতে রক্ত পরিষ্কার হবে এবং ত্বক ভালো থাকবে। আর ওজন কিছুটা কমাতে চাইলে সকালে রসুনের সঙ্গে পান করা গরম পানিতে কিছুটা লেবুর রস দিতে হবে।


    ঠান্ডা ও জ্বরে

    প্রায়ই ঠান্ডা ও জ্বরে পড়েন এমন ব্যক্তিদের জন্য রসুন হতে পারে এক মহৌষধ। শরীর থেকে জ্বর আর ঠান্ডা দূর করতে প্রতিদিন দু-তিন কোয়া রসুন কাঁচা খেতে হবে। এ ছাড়া রান্না করা বা চায়ের সঙ্গেও রসুন খাওয়া যায়। আর রসুনের গন্ধ খারাপ লাগলে এর সঙ্গে আদা ও মধু মিশিয়ে নেওয়া যায়। এভাবে নিয়মিত সেবনে ঠান্ডা ও জ্বর শুধু সাময়িক দূর হবে না বরং শরীরে এগুলোর প্রতিরোধক্ষমতাও বাড়বে।


    হৃদরোগ থেকে বাঁচতে যত্ন

    প্রতিদিন রসুনের কয়েকটি কোয়া কাঁচা বা আধা সিদ্ধ করে সেবনে কেলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকে। আর রক্তচাপ ও রক্তে চিনির মাত্রা ঠিক রাখতেও রসুন কাজ করে। রসুনের মধ্যে থাকা সালফার-ভিত্তিক যৌগ অ্যালিসিন মূলত স্বাস্থ্যে এই ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এ ক্ষেত্রে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, রসুন কাঁচা সেবন সবচেয়ে ভালো। সিদ্ধ করা হলে অ্যালিসিনের ঔষধি গুণ কমতে থাকে।


    ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুঘটিত রোগ প্রতিরোধে

    ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুঘটিত রোগ প্রতিরোধে হাজার বছর ধরেই রসুন ব্যবহৃত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুদের কৃমি দূর করতে রসুনের নির্যাস ভালো কাজ করে। রসুনের নির্যাস থেকে ‘মাউথ ওয়াশ’ (মুখের ভেতর পরিষ্কারের তরল) তৈরি করা যায়। এটি নিয়মিত ব্যবহারে মাড়িতে ব্যাকটেরিয়ার বিস্তার বন্ধ হয়।


    ক্যানসার প্রতিরোধে

    প্রতিদিন নিয়মিত কাঁচা ও রান্না রসুন সেবনের মাধ্যমে পাকস্থলী ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করা যায়। বেশ কয়েকটি গবেষণায় এই দাবি করা হয়েছে। এ ছাড়া নিয়মিত রসুন সেবনে শরীরে সব ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হয়।


    ত্বক ও চুলের যত্নে


    নিয়মিত রসুন সেবনে ত্বক সুন্দর হয় ও বয়সের ছাপ দূর হয়। এ ছাড়া ফাঙ্গাশ ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে ত্বক সুরক্ষায় নিয়মিত রসুন সেবন করতে হবে। আর চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজাতে রসুন ভালো কাজ করে। এই উপকার পেতে মাথায় নিয়মিত রসুনের নির্যাস বা রসুন সমৃদ্ধ তেল ব্যবহার করতে হবে।


    কাটা সারিয়ে তুলতে

    সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রসুনের অনেক ব্যবহার বিস্মৃত হয়ে গেছে, যার একটি হলো কাটা সারিয়ে তোলা। কাঠ বা বাঁশে ছোট টুকরো শরীরে কোথাও ঢুকে গেলে তা বের করে সেখানে রসুনের কোয়া কেটে লাগিয়ে দিতে হবে। একই সঙ্গে শরীরের ওই অংশে ব্যান্ডেজ করে দিতে হবে। কয়েকদিনের মধ্যেই সেরে উঠবে ওই কাটা।


    রসুন ব্যবহারে সাবধানতা

    হাঁপানি রোগী বা শ্বাসকষ্ট আছে এমন ব্যক্তিরা রসুন ব্যবহারে সাবধান থাকুন। অনেক ক্ষেত্রেই রসুন ব্যবহারে এমন রোগীদের মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অপারেশনের আগে রসুন সেবন বন্ধ রাখতে হবে। আর চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দিনে দু-তিনটির বেশি রসুনের কোয়া খাওয়া যাবে না।


    কিসমিস খেলে কি হয়

    কিসমিস মূলত তৈরি হয় শুকনো আঙ্গুর থেকে। অনেকেই আছে কিসমিস খুব পছন্দ করে কিন্তু তারা জানেনা কিসমিস খেলে কি হয় কিসমিসের উপকারিতা সম্পর্কে। কিসমিস  খেলে কি হয় আপনার এখানে জানতে পারবেন। 

    কিসমিসের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা

    কিসমিসের সাথে সকলেই আমরা পরিচিত। কিসমিস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কিসমিস হল আঙুর ফলের শুকনা রূপ। তাই কিসমিসকে শুকনো ফলের রাজাও বলা হয়। সোনালী-বাদামী রংয়ের চুপসানো ভাঁজ হওয়া ফলটি খুবই শক্তিদায়ক। এটি তৈরি করা হয় সূর্যের তাপ অথবা মাইক্রোওয়েভ ওভেনের সাহায্যে। তাপের ফ্রুক্টোজগুলো জমাট বেঁধে পরিণত হয় কিশমিশে। আর এভাবেই আঙ্গুর শুকিয়ে তৈরি করা হয় মিষ্টি স্বাদের কিসমিস। যেকোন মিষ্টি খাবারের স্বাদ এবং সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য কিসমিস ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও পোলাও, কোরমা এবং অন্যান্য অনেক খাবারে কিসমিস ব্যবহার কর হয়। রান্নার কাজে ব্যবহার করা হলেও কিসমিস সাধারণত কেউ খান না। অনেকে এটাকে শুধু খাওয়াকে ক্ষতিকর মনে করেন। অথচ পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম কিসমিসে রয়েছে এনার্জি ৩০৪ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট ৭৪.৬ গ্রাম, ডায়েটরি ফাইবার ১.১ গ্রাম, ফ্যাট ০.৩ গ্রাম, প্রোটিন ১.৮ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৮৭ মিলিগ্রাম, আয়রন ৭.৭ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৭৮ মিলিগ্রাম ও সোডিয়াম ২০.৪ মিলিগ্রাম। এটি রক্তে শর্করার মাত্রায় ঝামেলা তৈরি করে না। এটি খেলে শরীরের রক্ত দ্রুত বৃদ্ধি পায়, পিত্ত ও বায়ুর সমস্যা দূর হয়। এটি হৃদপিণ্ডের জন্যও অনেক উপকারি।


    দেহে শক্তি সরবরাহ করতে


    দুর্বলতা দূরীকরণে কিসমিসের জুড়ি নেয়। দেহে শক্তি সরবরাহ করতে কিসমিসের অবদান অনেক বেশি। কিসমিসে রয়েছে চিনি, গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ, যা তাৎক্ষণিকভাবে দেহে এনার্জি সরবরাহ করে থাকে। তাই দুর্বলতার ক্ষেত্রে কিসমিস খুবই উপকারী।


    দাঁত এবং মাড়ির সুরক্ষাতে


    বাচ্চারা ক্যান্ডি ও চকলেট খেয়ে দাঁত ও মাড়ির ক্ষতি করে থাকে। কিন্তু এগুলির পরিবর্তে বাচ্চাদের কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস করালে দাঁতের সুরক্ষা হবে। আবার একই স্বাদ পাওয়ার সাথে সাথে বিপুল পরিমাণ উপকারও পাবে। চিনি থাকার পাশাপাশি কিসমিসে রয়েছে ওলিনোলিক অ্যাসিড, যা মুখের ভেতরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাঁধা দেয়।


    হাড়ের সুরক্ষাতে


    কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, যা হাড় মজবুত করতে বেশ ভূমিকা পালন করে। কিসমিসে আরো রয়েছে বোরন নামক মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস, যা হাড়ের ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। প্রতিদিন কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস হাড়ের ক্ষয় এবং বাতের ব্যথা থেকে দূরে রাখবে। বর্তমানে সময়ে অনেক রুগী অস্টিওপরোসিস (হাড়ের একধরনের রোগ) আক্রান্ত হচ্ছেন। বোরন নামক খনিজ পদার্থের অভাবে এই রোগ হয়। কিশমিশে আছে প্রচুর পরিমাণ বোরন, যা অস্টিওপরোসিস রোগের প্রতিরোধক। সুতরাং পরিবারের সবাইকে কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস করানো উচিত।


    ইনফেকশনের সম্ভাবনা দূরীকরণে


    কিসমিসের মধ্যে রয়েছে পলিফেনলস এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিইনফেমেটরী উপাদান। যা কাঁটা-ছেড়া বা ক্ষত হতে ইনফেকশন হওয়ার হাত থেকে দূরে রাখে।


    ক্যান্সার প্রতিরোধে


    কিসমিসের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের কোষগুলোকে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল ড্যামেজের হাত থেকে রক্ষা করে এবং ক্যান্সারের কোষ উৎপন্ন হওয়ায় বাধা প্রদান করে। কিসমিসে আরো রয়েছে ক্যাটেচিন, যা পলিফেনলিক অ্যাসিড। এটি ক্যান্সার মুক্ত রাখতে সাহায্য করে। খাবারে প্রচুর পরিমাণ আঁশ থাকলে কোলোরেক্টারাল ক্যান্সার ঝুঁকি কমে যায়। এক টেবিল চামচ কিশমিশ ১ গ্রাম পরিমাণ আঁশ থাকে। সুতরাং কিসমিসের আঁশ ক্যান্সারের ঝুঁকি একেবারে কমিয়ে দেয়।


    কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে


    কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা আমাদের পরিপাকক্রিয়া দ্রুত হতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।


    রক্তশূন্যতা দূর করতে


    রক্তশূন্যতার কারণে অবসাদ, শারীরিক দুর্বলতা, বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। এমনকি, বিষণ্ণতাও দেখা দিতে পারে। কিশমিশে আছে, প্রচুর পরিমাণে লৌহ উপাদান, যা রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।


    জ্বর নিরাময় করতে


    কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ব্যাকটেরিয়ারোধী, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ফলে এটা ভাইরাল এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে জ্বর নিরাময় করতে সাহায্য কারে।


    দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধিকরনে


    রক্তে ভিটামিন এ, এ-বিটা ক্যারোটিন এবং এ-ক্যারোটিনয়েড থাকে। কিসমিস এন্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারে। যা চোখের ফ্রি-রেডিকল দূর করতে সক্ষম। কিসমিস খেলে সহজে শরীরে বয়সের ছাপ পড়ে না। দৃষ্টি শক্তি হ্রাস ও চোখে ছানি পড়ে না। পাশাপাশি পেশী শক্তি হ্রাস পায় না। কিসমিস চোখের জন্য খুব উপকারি।


    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে


    কিশমিশ শুধুমাত্র রক্তের মধ্যে থাকা বিষো উপাদান কমায় তাই না, বরং রক্তচাপও কমায়। কিশমিশের প্রধান উপাদান, পটাশিয়াম, রক্তের চাপ কমাতে সাহায্য করে। শরীরে থাকা উচ্চমাত্রার সোডিয়াম, রক্তচাপ বাড়ার প্রধান কারণ। কিশমিশ শরীরের সোডিয়াম মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।


    এন্টি কোলেস্ট্রোরেল উপাদানে


    কিশমিশে কোন কোলেস্ট্রোরেল নাই–এটাই বড় কথা না। বরং কিশমিশে আছে এন্টি-কোলোস্ট্রোরেল উপাদান যা রক্তের খারাপ কোলোস্ট্রোরেলকেহ্রাস করতে সাহায্য করে। কিশমিশের দ্রবণীয় আশ, লিভার থেকে কোলোস্ট্রোরেল দূর করতে সাহায্য করে। এক কাপ কিশমিশে আছে ৪ গ্রাম পরিমাণ দ্রবণীয় আঁশ। পলিফেনল নামক এন্টি-অক্সিডেন্টও কোলোস্ট্রোরেল শোষণকারী এনজাইমকে নিয়ন্ত্রণ করে।


    অনিদ্রা


    অনেকের ঠিকমত ঘুম আসে না। তাদের জন্য কিসমিস অনেক উপকারি। কারন কিশমিসের মধ্যে রয়েছে প্রচুর আয়রন যা মানুষের অনিদ্রার চিকিৎসায় বিশেষভাবে উপকারী। তাই আজ থেকে কিসমিস খাওয়া শুরু করুন, দেখবেন অনেক উপকার পাবেন।


    এসিডিটি কমাতে


    রক্তে অধিক মাত্রায় এসিডিটি (অম্লতা) বা টক্সিসিটি (বিষ উপাদান) থাকলে, তাকে বলা হয়, এসিডোসিস। এসিডোসিসের (রক্তে অম্লাধিক্য) কারণে বাত, চর্মরোগ, হৃদরোগ ও ক্যান্সার হতে পারে। কিশমিশ রক্তের এসিডিটি কমাতে সাহায্য করে।


    পরিপাক তন্ত্রের উপকারিতায়


    কিসমিস কোষ্ঠ্যকাঠিন্য থেকে রক্ষা করে। নিয়মিত কিসমিস খেলে হজমশক্তি ভাল থাকে। এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল (মুখ থেকে পায়ু) পথ থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়।


    মুখের স্বাস্থ্য রক্ষাকরনে


    অনেকে মিষ্টি স্বাদের জন্য কিসমিসকে কেন্ডির সাথে তুলনা করে ভুল করেন। তারা মনে করেন এটি দাঁত ও মুখের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। কিসমিসে অলিনিলীক এসিড থাকে। এটি মুখের ভিতর ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার জন্ম ব্যহত করে।


    ওজন বাড়াতে


    কিসমিসে প্রচুর ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ থাকে। তাই এটি ওজন বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। যদি সঠিক নিয়মে ওজন বাড়াতে চান তবে আজই কিসমিস খেতে পারেন।


    মস্তিষ্কের জন্য উপকারি


    কিসমিসে থাকা বোরন মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারি। বোরন ধ্যান বাড়াতে সহায়ক। ফলে কাজে মনোযোগ বাড়ে। এটি বাচ্চাদের পড়াশোনাতেও মনোযোগী করে তুলতে পারে।


    কিসমিসের অপকারিতা


    কিসমিসে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বিদ্যমান আছে। এতে এমন কোন ক্ষতিকর উপাদান নেয়, যার ফলে দেহের কোন ক্ষতি হতে পারে। তাই আপনারা নিশ্চিন্তে কিসমিস খেতে পারেন।


    কিশমিশ উপকারিতা:

    ভালো রাখে মুখের স্বাস্থ্য

    ক্যান্ডির মতো দাঁতে লেগে থাকেনা কিশমিশ, ফলে থাকে না ক্যাভিটি তৈরির আশঙ্কা। বরং কিশমিশের পাইথোনিউট্রিয়েন্ট, অলিয়ানলিক এসিড নামে পরিচিতি যা ব্যাকটেরিয়া থেকে তৈরি দাঁতের ক্যাভিটি ধ্বংস করে মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।


    রক্তশূন্যতা রোধ করে

    রক্তে লৌহের পরিমাণ কম হলে অবশাদ, দুর্বলতা, হতাশায় ভুগতে পারেন, ব্যহত হতে পারে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে লৌহ আছে যা রক্তশূণ্যতায় ভোগা রোগির খুবই উপকারি।

    এছাড়া রক্ত ও লোহিত কণিকা তৈরি জন্য দরকার ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও কপার, যা কিশমিশে থাকে। এককাপ কিশমিশ ৬মি.গ্রা. লৌহের যোগান দেয়, যা প্রতিদিনের লৌহের চাহিদার ১৭ শতাংশ পূরণ করত পারে।


    হাড় সুস্থ রাখে

    আজকাল অস্টিওপোরোসিস রোগে অনেকেই ভুগে থাকেন। হাড়ের এই রোগ প্রতিরোধ করতে বোরন নামের খনিজ পদার্থ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর কিশমিশ বোরনের অন্যতম উৎস। বোরনে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম— যা হাড় গঠনের পাশাপাশি শরীরে টেসটোসটেরন এবং ইস্ট্রোজেনের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।


    অ্যাসিডিটি স্বাভাবিক করে

    অতিরিক্ত অ্যাসিডিটি বা রক্ত দুষিত হওয়াকে বলে অ্যাসিডোসিস, যা থেকে আরথ্রাইটিস, চামড়া রোগ, হৃদরোগ এবং ক্যান্সার হতে পারে।


    অ্যান্টাসিডস হিসেবে পরিচিতি দুটি উপাদান ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম শরীরের ক্ষরীয়ভাব স্বাভাবিক করে অ্যাসিডোসিসের হাত থেকে বাঁচায়। আর এই উপাদানগুলো কিশমিশে রয়েছে।


    আঁশে পূর্ণ

    কোলোরেক্টাল ক্যান্সার থেকে মুক্ত থাকার জন্য যারা খ্যাদ্যাভ্যাসে আঁশযুক্ত খাদ্য রাখতে চান তাদের জন্য কিশমিশ হতে পারে আদর্শ খাবার। কারণ এক টেবিল-চামচ কিশমিশ আপনাকে দিতে পারে এক গ্রাম হজম সহায়ক আঁশ।


    দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে

    নিয়মিত কিশমিশ খেলে বৃদ্ধ বয়সে দৃষ্টিহীন হওয়ার সম্ভবনা কমে যায়। পাশাপাশি কিশমিশে থাকা পলিফেনল উপাদান ক্ষতিকারক ফ্রি-রেডিকেলস ধ্বংস করে চোখকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে।    


    অ্যান্টি কোলেস্টের উপাদান

    কিশমিশে কোলেস্টেরলের পরিমাণ শূন্য। শুধু তাই নয়, এতে আছে অ্যান্টি কোলেস্টেরল উপাদান যা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। এছাড়া কিশমিশে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার যকৃত থেকে খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে সহায়তা করে। এককাপ কিশমিশ থেকে ৪ গ্রাম দ্রবণীয় ফাইবার পাওয়া যায়।

    তাছাড়া কিশমিশে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পলিফেনল কোলেস্টেরলকে শরীর থেকে এনজাইম শোষণ করা থেকে বিরত রাখতে সাহায্য করে।      


    মস্তিষ্কের খাদ্য

    কিশমিশে থাকা বোরন মস্তিষ্কের খাদ্য হিসেবে কাজ করে। তাছাড়া বোরন মনোযোগ বৃদ্ধি, চোখের সঙ্গে হাতের সামঞ্জস্য বাড়ানো স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ করতে সাহায্য করে। একশ গ্রাম কিশমিশ থেকে ২.২ মি.গ্রা. বোরন পাওয়া যায়।   


    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে

    বিষাক্ত পদার্থ দূর করে রক্ত শুধু পরিষ্কারই করে না, পাশাপাশি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে কিশমিশ। মূলত কিশমিশে থাকা পটাসিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

    সাধারণত উচ্চ মাত্রার সোডিয়াম শরীরে রক্তচাপ বাড়ায়। কিশমিশ শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।


    লেবু খেলে কি হয়

     আমরা প্রায় সবাই লেবু খেয়ে থাকি। কিন্তু অনেকেই জানিনা লেবু খেলে কি হয় । লেবুর উপকারিতা সম্পর্কে ।   নিত্যদিনই আমরা লেবু খেয়ে থাকি। কিন্তু জানিনা লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। আপনাদের সঙ্গে আজ লেবু খেলে কি হয় এ সম্পর্কে বলব। 

    লেবুর উপকারিতা

    লেবুর পুষ্টিগুণ অনেক। এর মধ্যে লেবুর একটা প্রধান উপকারিতা হলো ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ইত্যাদির তৈরি করা রোগ বালাই দূরীকরণ এবং শরীরের সার্বিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি। আর অন্যটা হচ্ছে হজম শক্তি বাড়ানো এবং যকৃৎ পরিষ্কারের মাধ্যমে ওজন কমানোর ক্ষমতা। লেবুর স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো-


    ১. লেবুর রস চুলের দারুণ লাইটেনার হিসেবে করে। কোনো কিছু দেয়ার প্রয়োজন নেই। লেবুর রস চুলে দিয়ে নিন। এতে সূর্যের তাপ মাথাকে গরম করতে পারবে না।


    ২. জেল ম্যানিকিউর নখকে দুর্বল করে দেয়। এতে নখ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। লেবুর রস থাকতে ভয় নেই। অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে তাকে নখ ভিজিয়ে রাখুন। এতে ক্ষয়প্রাপ্ত নখ সুন্দর ও সুস্থ হয়ে উঠবে।


    ৩. শীতের শুষ্ক ঠোঁটে যেমন চামড়া ওঠে, আপনার ঠোঁট তেমন হয়ে থাকলে লেবুই ভরসা। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে লেবুর রস ঠোঁটে দিয়ে ঘুমিয়ে যান। এতে আপনার অধর হবে স্ফীত, কোমল ও মসৃণ।


    ৪. চুলে তেল দিতে হয়। কিন্তু শ্যাম্পু করার পরও তাতে তেল চিটচিটে ভাব থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে লেবুর রস বিস্ময়কার কাজ দেয়। লেবুর রসে অ্যাসট্রিনজেন্ট রয়েছে, যা তেলতেলে অংশ শুষে নেয়। চুল হয় ঝরঝরে।


    ৫. লেবুতে ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক এসিড রয়েছে। এই রস শুধু ত্বকের তেলতেলে ভাবই দূর করে না, সেই সঙ্গে ত্বককে উজ্জ্বল করে দেয়। তবে এই ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে এসপিএফ ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।


    ৬. বয়সের ছাপ পড়ে বলিরেখার মাধ্যমে। তা ছাড়া অনেকের এমনিতেই বলিরেখা পড়তে পারে। এসব বলিরেখা দূর করতে মানুষ কতো পয়সা খরচ করে দামি দামি ক্রিম ব্যবহার করেন। কিছুটা কাজ হলেও নানা রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অথচ লেবুর রস এই বলিরেখা দূর করতে দারুণ কার্যকর। রেখাগুলোতে লেবুর রস দিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন এবং ধুয়ে ফেলুন।


    ৭. দাঁতের যত্নে ভালো পেস্টের চেয়েও ভালো কাজ করে লেবুর রস। অল্প পরিমাণ বেকিং সোডার সঙ্গে কিছু লেবুর রস মিশিয়ে পেস্টের মতো বানান। তার পর দাঁত মেজে দেখুন কী ফল দাঁড়ায়।


    ৮. মানুষের কনুই এবং হাঁটুর অংশটি খসকসে হয়। এই অংশ দুটিকে মসৃণ এবং সুন্দর করে দেয় লেবুর রস। এক টেবিল চামচ লবণ, সামান্য অলিভ ওয়েল এবং কিছু লেবুর রস মিশিয়ে লাগান। দেখুন জাদুর মতো কাজ করবে।


    ৯. যাদের ত্বকে ময়েশ্চারাইজারের অভাব রয়েছে তারা কয়েক ফোঁটা ডাবের পানিতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে ঘষুন। দেখবেন, ত্বক সুন্দর কোমল হয়েছে। আবার লেবুর রসে তা উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।


    ১০. ডিওডরেন্ট ব্যবহার না করলেও চলবে। লেবুর রসের সাইট্রিক এসিড থাকে যা বাজে গন্ধ হটিয়ে দেয়। তাই দুর্গন্ধের স্থানে লেবুর রস মেখে নিন। দুর্গন্ধ চলে যাবে।


    ১১. নাকের ওপর বা ত্বকে ব্ল্যাক হেড সৌন্দর্য হানি ঘটায়। লেবুর রস এসব ব্ল্যাক হেডের গোড়া নরম করে তাদের তুলে আনে। লেবুর রসের সঙ্গে আর কিছু মেশানোর প্রয়োজন নেই। বেশ ভালো করে ত্বকে রস দিয়ে ঘষুন।


    ১২. মুখের শ্রী বৃদ্ধি করার জন্য এক টুকরো লেবুর রসের সঙ্গে দুই চামচ দুধ মিশিয়ে তুলার সাহায্যে মুখে প্রলেপ লাগান। ১৫ – ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলু্ন।


    ১৩. মুখের ব্রন এবং ব্রনের দাগ সরানোর জন্য লেবুর রস ত্বকে মাখা একান্ত দরকার। তৈলাক্ত ত্বকে ব্রনের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। লেবু কিংবা গাজরের রস অল্প একটু চিনির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে এর হাত থেকে সহজেই রেহাই পাওয়া যায়।


    ১৪. আধা চা চামচ লেবুর রস, এক চা চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে ও গলায় লাগান। ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার ত্বকে আদ্রতা আনবে। মেক আপ করার আগে মুখে এই রূপটানটি লাগালে মুখ উজ্জল হবে।


    আপেল খেলে কি হয়

    আমাদের প্রায় সবারই আপেল পছন্দের একটি ফল। আজ আমরা জানবো আপেল খেলে কি হয়  ও  আপেলের উপকারিতা এ সম্পর্কে। 

    আপেল উপকারী একটি ফল। এটি আপনি প্রতিদিনই খেতে পারেন এতে আছে দারুণ সব উপকার। প্রতিদিন এক গাদা ভিটামিন ট্যাবলেট না খেয়ে খান একটি করে আপেল।


    ১। আপেল স্মৃতি বিনষ্ট হওয়া রোধ করে।

    ২। লাং, কোলন ও প্রস্টেট ক্যান্সাররোধ করে।

    ৩। কোলেস্টেরল কমায়।

    ৪। ওজন নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে।

    ৫। হাড়ের সুরক্ষা করে।

    ৬। ওজন নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে।

    ৭। এজমা নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে।


    প্রবাদে আছে, ‘প্রতিদিন একটি আপেল খেলে আর চিকিৎসকের কাছে যাওয়া লাগে না।’ আপেলের গুণ অনেক। তবে লাল আপেলের চেয়ে সবুজ আপেলের গুণ বেশি। সবুজ আপেল লাল আপেলের মতো তেমন স্বাদযুক্ত না হলেও এই আপেলের রয়েছে অনেক উপকারিতা। জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।


    ১. আঁশ

    সবুজ আপেলে রয়েছে আঁশ। আঁশ হজমে সাহায্য করে। এটি বাউয়েল মুভমেন্ট ঠিক রাখে, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।


    ২. হাড় শক্ত করে

    সবুজ আপেলের মধ্যে রয়েছে আয়রন, কপার, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজম পটাশিয়াম ইত্যাদি। এই মিনারেলগুলো হাড়কে শক্ত রাখে। এটি থাইরয়েড গ্রন্থির সঠিক কার্যক্রমে সাহায্য করে।


    ৩. কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করে

    সবুজ আপেলের আঁশ কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে কাজ করে।


    ৪. বিপাক ক্ষমতা বাড়ায়

    সবুজ আপেলের আঁশ হজম ভালো করে। বাউল মুভমেন্ট ভালো করে। এ জন্য এটি বিপাক ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।


    ৫. রক্তের বাজে কোলেস্টেরল কমায়

    সবুজ আপেল রক্ত থেকে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়। ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায়।


    ৬. আলঝেইমার রোগ প্রতিরোধ করে

    সবজু আপেলে থাকা উপাদান মানসিক স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে। এটি প্রবীণ বয়সে আলঝেইমার রোগ প্রতিরোধে কাজ করে।


    ৭. লিভার সুস্থ রাখে

    সবুজ আপেলের মধ্যে থাকা উপাদান লিভারকে ভালো রাখে। এটি বিভিন্ন ধরনের লিভারের সমস্যা প্রতিরোধ করে।


    ৮. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

    সবুজ আপেলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ও মিনারেল। এগুলো বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। তাই সবুজ আপেলকে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখুন।


    বেল খেলে কি হয়

    বেল খেলে কি হয় এ সম্পর্কে আমরা জানবো। 

    বেল একটি পুষ্টিকর ফল। এতে থাকে প্রচুর শর্করা, প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ লবণ। গ্রীষ্মের কাঠফাটা দুপুরে এক গ্লাস বেলের শরবত খেলে কার না প্রাণ জুড়ায়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বেলের জুড়ি নেই। 

    বেলের উপকারিতা

    (১) বেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও পটাশিয়াম। প্রতি ১০০ গ্রাম বেলে খাদ্যশক্তি আছে ৮৭ কিলোক্যালরি, জলীয় অংশ ৭৭ দশমিক ৫ গ্রাম, শর্করা ১৮ দশমিক ৮ গ্রাম, আমিষ ২ দশমিক ছয় গ্রাম, চর্বি শূন্য দশমিক ২ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৮ মিলিগ্রাম, লোহা শূন্য দশমিক ৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-১ শূন্য দশমিক শূন্য ৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-২ শূন্য দশমিক শূন্য ২ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন সি ৯ মিলিগ্রাম।


    (২) কচি বেল টুকরা করে কেটে রোদে শুকিয়ে নিলে তাকে বেল শুট বলে। যাদের আলসার আছে, তারা বেল শুটের সঙ্গে পরিমাণমতো বার্লি মিশিয়ে রান্না করে নিয়মিত খেলে আলসার দ্রুত সেরে যায়।


    (৩) গরমের সময় পরিশ্রমের পর বেলের শরবত খেলে ক্লান্তি ভাব দূর হয়। বেলের ভিটামিন ‘এ’ চোখের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোর পুষ্টি জোগায়। এর ফলে চোখের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।


    (৪) বেল পেটের নানা অসুখ সারাতে অত্যন্ত কার্যকর। দীর্ঘমেয়াদি আমাশয় ও ডায়রিয়া রোগে কাঁচা বেল নিয়মিত খেলে দ্রুত আরোগ্য লাভ করা সম্ভব। বেলের শাঁস পিচ্ছিল বলে এই ফল পাকস্থলীর জন্য উপকারী। খাবারও সঠিকভাবে হজম করতে সাহায্য করে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।


    (৫) যাদের পাইলস আছে, তাদের জন্য নিয়মিত বেল খাওয়া উপকারী। এতে আছে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি গ্রীষ্মকালীন বহু রোগবালাই দূরে রাখে। জন্ডিসের সময় পাকা বেল গোলমরিচের সঙ্গে শরবত করে খেলে উপকার পাওয়া যায়। নিয়মিত বেল খেলে কোলন ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা কমে। সর্দি হলে বেলপাতার রস এক চামচ খেলে সর্দি ও জ্বর–জ্বর ভাব কেটে যায়।


    ট্যাগ : কি খেলে কি হয়, রসুন খেলে কি হয়, কিসমিস খেলে কি হয় ,লেবু খেলে কি হয়, লেবুর উপকারিতা ,আপেল খেলে কি হয় ,বেল খেলে কি হয় , বেলের উপকারিতা