ওজন কমানোর উপায় | ওজন কমাতে কি খেতে হবে | লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায় | প্রাকৃতিক উপায় ওজন কমানোর উপায়

 

ওজন কমানোর উপায়,ওজন কমানোর জন্য কি খেতে হবে,লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়,প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর উপায়,মেটেবলিজম কমিয়ে ওজন কমানোর উপায়

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি বারাকাতুহু।  প্রিয় গ্রাহক ,আপনারা সবাই কেমন আছেন? আল্লাহর রহমতে আপনাদের দোয়ায় আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। 

আজ আপনাদের সাথে আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেয়ার করতে এসেছি ওজন কীভাবে কমানো যায়। বর্তমান যুগে সবাই সুন্দর সুস্থ ও সুন্দর একটা স্লিম বডি আশা করে। অনেকেরই দেখা যায় ওজন অনেক বেড়ে গেছে। আপনাার এখান থেকে ওজন কমানোর উপায় ,ওজন কমাতে কি খেতে হবে ,লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায় ,প্রাকৃতিক উপায় ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। 


    ওজন কমানোর উপায়

    শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়া নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয় অনেককেই। কারণ স্থূল দেহ বা বর্ধিত ওজন মানুষের শরীরে ক্ষতিকর রোগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়, পাশাপাশি হ্রাস করে কর্মক্ষমতাও। তাই দেখা যায়, অল্প পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে ওঠে অনেকেই। ওজন কমাতে কোনো চেষ্টারই ত্রুটি করে না বাড়তি ওজনের মানুষ। অনেকেই আছেন যারা ভাবেন ভাত খেয়ে ওজন কমানো যায় না। কথাটি সম্পূর্ণ ভুল। পরিমিত পরিমাণ ভাত ওজন কমাতে বেশ সহায়ক। নিয়ম করে রাতের বেলা এই চার্টটি অনুসরণ করেই দেখুন ওজন কমে যাবে!ওজন কমানোর  জন্য সাহায্য করে এই চার্ট আবার চিকন হওয়ার খাদ্য তালিকা  ও বলা যায়। 

    ভাত ও ওজন কমানোর খাবার এর মধ্যে একটি:

    # ভাতের পরিমাণ ১ কাপ হতে হবে। কোনো ভাবেই এর চাইতে বেশি নয়।

    # ১ টুকরো মাছ/ মাংস। মাঝারি আকৃতির এক টুকরো মাছ/ মাংস শরীরের আমিষের চাহিদা পূরণ করবে।

    # ১ কাপ সবজি। কম তেলে বা তেলবিহীন সবজি ভাজি ফ্যাট অনেকাংশে কমায়। ১ কাপ পরিমাণ সবজি অবশ্যই ডায়েট চার্টে রাখবেন। সব চাইতে ভালো হয় কাঁচা সবজির সালাদ রাখলে।


    রুটি ও চিকন হওয়ার খাদ্য তালিকার মধ্যে একটি:

    # ১ কাপ ডাল। ডাল ফ্যাট কাটাতে সহায়তা করে। পাশাপাশি পুষ্টি যোগায় শরীরে।

    # ১ টি ফল ও দই। খাবার শেষে ১ টি কলা, ১ টি আপেল কিংবা ১ টি কমলা খাবেন। এই ফলগুলো ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। আর ১/৪ কাপ টক দই। এটা খাবার হজমে সাহায্য করবে।

    # ২/৩ টি পাতলা আটার রুটি। রুটিটি অবশ্যই আটার হতে হবে। লাল আটা হলে ভালো হয়। ময়দা ও পাউরুটি হলে চলবে না। কারণ ময়দার রুটি ও পাউরুটি খেলে ওজন বাড়ে।

    # কম তেলে বা তেল বিহীন ১/২ কাপ সবজি আটার রুটির সঙ্গে খেতে পারেন।

    # ডিম প্রোটিনের খুব ভালো একটি উৎস। ডিমের সাদা অংশে ক্যালোরি অনেক কম থাকে। তাই ১টি ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। কিংবা এক টুকরো মাছ বা মাংস যা আপনার পছন্দ।

    # কলা, আপেল কিংবা কমলা এই তিনটি ফলের যেকোনো ১টি খাবেন। দই খেতে চাইলে ২/৩ টেবিল চামচ খেতে পারেন।


    ওজন কমানোর জন্য কি খেতে হবে

    ওজন কমানোর জন্য আমরা অনেক সময়ই খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেই অথবা ওষুধ ব্যবহার করে থাকি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই ।আমাদের এগুলো কোনোভাবেই করা উচিত নয় । দেখা যায় মেয়েদের ওজন কমানোর জন্য তারা বেশিরভাগ সময়ই খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেয়। তারা সঠিকভাবে জানে না কি খাবার খেলে ওজন কমে যাবে ।এখানে আমরা ওজন কমানোর জন্য কি খেতে হবে তার একটি তালিকা দিয়েছি। ওজন কমানোর টিপস গুলো দেখে নিতে পারেন। 

    #ওজন কমাতে দারচিনি: 

    প্রতিদিনের রান্নায় অনেক ধরনের মসলা খাওয়া হয়। দারচিনিও এক ধরনের মসলাবিশেষ। ওজন কমাতে ইচ্ছুক সব মানুষেরই খাদ্যতালিকায় এটি রাখা উচিত। খাবারের মধ্যে চিনির পরিবর্তে দারচিনির গুঁড়ো ছড়িয়ে দিলে তা খাবারের স্বাদে বৈচিত্র্য আনার পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করবে। কারণ এক থেকে চার চা চামচ দারচিনি গুঁড়ো শতকরা ২০ ভাগ দ্রুত শর্করার বিপাকে ভূমিকা রাখে, যা শরীরে সামগ্রিকভাবে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে দেয় এবংদ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে । 


    #লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়

    লেবু শরীরের মেদ কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। শরীরে খাদ্য গ্রহণের পর তা ক্যালরি থেকে মেদে পরিণত হতে বাধা দেয় এবং শক্তিতে পরিণত করে থাকে লেবু। গরম পানিতে লেবুর রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াটা ওজন কমানোর একটি কার্যকর উপায় হিসেবে স্বীকৃত।


    #ডিমের সাদা অংশ খেয়ে খুব সহজে ওজন কমানোর উপায়

     অনেকেই মনে করেন ডিম খেলে ওজন বাড়ে। কথাটি সম্পূর্ণ ভুল। তবে ওজন কমাতে চাইলে ডিমের কুসুম এড়িয়ে চলাই ভালো। সকালে একটি/ দুটি ডিমের সাদা অংশ খেলে তা অনেকটা সময় ধরে পেটে থাকে এবং কম ক্ষুধার উদ্রেক করে। এতে অন্যান্য খাওয়া কম হয়। ডিম প্রোটিনের খুব ভালো একটি উৎস। এতে করে শরীরের জন্যও বেশ ভালো যাদ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে। । ডায়েট যারা করেন তারা একটি ডিম রাখুন সকালের নাস্তায়। পুরো দিনটি শরীরে কাজ করার ক্ষমতা পাবেন পাশাপাশি এটি একটি   স্বাস্থ্য কমানোর উপায় । 


    #আপেল খেয়ে দ্রুত স্লিম হওয়ার উপায়  :

    আপেল সম্পর্কে একটি প্রচলিত কথা হল ‘দিনে মাত্র একটি আপেল খেলে ডাক্তারের প্রয়োজন হয় না’। কিন্তু আপনি জানেন কি, আপেল ওজন কমাতে অনেক বেশি কার্যকরি একটি  খাবার? একটি আপেলে ৪-৫ গ্রাম ফাইবার থাকে। তা ক্ষুধার উদ্রেক কমায়। এবং শরীরে জমে থাকা ফ্যাট কাটতে সাহায্য করে। যখন হুটহাট ক্ষুধা লাগে তখন অনেকেই অস্বাস্থ্যকর হাবিজাবি খাবার খান যা শরীরের জন্য ভালো না এবং ওজনও বাড়িয়ে তোলে ও । সুতরাং মুটিয়ে যাওয়া দূর করতে একটি আপেল রাখুন সাথে রাখুন। যা দ্রুত ওজন কমায়। 


    প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর উপায়

    খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিলেই বা কোন ওষুধ খেলেই যে আমাদের খুব সহজে ওজন কমে যাবে। এমন নয় প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানো সম্ভব। আমরা এখানে প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর উপায় তুলে ধরেছি । আপনারা সহজেই প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমিয়ে ফেলতে পারেন। 


    ফুলকপি


    এই নামটা পড়ে একটু অবাক হচ্ছেন কি! না হবেন না, কারণ সত্যিই ফুলকপি ওজন কমাতে সাহায্য করে। লো ক্যালোরি খাবার হওয়ার পাশাপাশি এতে ফাইবারও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। তাই পেট অনেকক্ষণ ভর্তি থাকে। তা ছাড়াও এতে ইন্ডোল, গ্লুকোসাইনোলেট এবং থায়োসাইনেট রয়েছে যা শরীর থেকে টক্সিন বের করতেও সাহায্য করে।


    #দারুচিনি

    মাঝে মাঝে আমরা কিছু খাবারে সামান্য চিনি দিয়ে থাকি খাবারটিকে হালকা মিষ্টি ও সুস্বাদু করার জন্য। পরবর্তীতে চিনির বদলে দারুচিনি গুঁড়ো দিয়ে দিন। খাবারে ভিন্ন স্বাদ যোগ করার পাশাপাশি এটা দেহের চর্বি কমিয়ে ওজন কমিয়ে দেয়। 


    #রসুন ওজন কমাতে সাহায্য করে

    যেকোনো খাবারে রসুনের ছোঁয়া বদলে দেয় তার পুরো স্বাদ, কিন্তু জানেন কি এই রসুন ওজন কমাতেও একইভাবে সাহায্য করে! রসুনে মজুত অ্যালিসিন উচ্চ কোলেস্টেরল ও ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি ব্লাড শুগারও কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও অ্যাপেটাইট কনট্রোল করতেও রসুন উপযোগী। ফলে ওজন খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে থাকে।


    #আমন্ড মোটা কমানোর উপায় বলা যায় । 

     ওজন কমাতে সাহায্য করে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে জলে ২-৩টে আমন্ড ভিজিয়ে রাখবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ভিজিয়ে রাখা আমন্ড খেয়ে নেবেন। সারাদিনে খিদে পেলেও চিপসের পরিবর্তে চোখ বন্ধ করে আমন্ড বেছে নিতে পারেন। তবে ওই আখরোটের মতোই একসঙ্গে বেশি পরিমাণে খাবেন না। তাতে ফল উল্টো হবে।


    টোম্যাটো


    টোম্যাটো খেলে শরীরে কোলেসিসটোকিনিন নামে এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয় যা স্টম্যাক এবং ইনটেস্টাইনের মধ্যে যে ভাল্ভ রয়েছে তা টাইট করে দেয়। ফলে পেট ভর্তি লাগে। তাই অনায়াসেই ওভারইটিং এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। আর প্রয়োজনের অতিরিক্ত না খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনাও থাকে না।

    মেটেবলিজম কমিয়ে ওজন কমানোর উপায়

    মেটাবলিজম কমিয়ে ওজন কমানোর উপায় ও আছে । আমরা নিচের খাবারগুলো খেয়ে  মেটাবলিজম কমিয়ে দ্রুত ওজন কমাতে পারব। 

    ক্যাপসিকাম

    ক্যাপসিকামে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন সি খুব সহজে ও খুব দ্রুত ওজন কমাতে সহায়তা করে। লাল, হলুদ কিংবা সবুজ যে কোন ধরণের ক্যাপসিকাম খেতে পারেন রান্নায় ব্যবহার করে। সব থেলে ভালো উপায় হচ্ছে সালাদে ক্যাপসিকাম খাওয়া। যা মেটাবলিজম কমিয়ে  ওজন কমতে বেশ সাহায্য করবে।


    অলিভ অয়েল

    অলিভ অয়েলে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে, যা পেট ভর্তিভাব তৈরি করে। ফলে যখন তখন খিদে পাওয়া প্রবণতাও কমে যায়। এছাড়াও এতে পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা শরীরে মজুত ফ্রি র্যাডিরলস্ দূর করতে সাহায্য করে। যা মেটাবলিজম কমিয়ে দ্রুত ওজন কমায় । 


    ওটস

    ওটস আমরা সবাই চিনি। কিন্তু খেতে খুব বেশি সুস্বাদু নয় তাই অনেকেই এড়িয়ে চলি। সকালের নাস্তায় এক বাটি ওটস খেলে ওজন খুব দ্রুত কমে যায়। ওটস হচ্ছে ওজন কমানোর খুব ভালো একটি খাদ্য উপাদান। ওটসে রয়েছে প্রচুর ফাইবার। ওজন সমস্যায় ভোগা সকল রোগীকে ডাক্তাররা ওটস খাবার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।



    ওজন কমানোর উপায় লেবু

    মধু ও লেবু আসলেই যে কার্যকরী, তা পরীক্ষিত এবং সারা বিশ্বে সমাদৃত ও স্বীকৃত। ওজন কমাতে দুটি প্রাকৃতিক উপাদান লেবু ও মধুর সম্পর্কে অনেকেই জানেন। ওজন কমানো ছাড়াও লেবু ও মধুর অনেক গুণাগুণ আছে। এটি শরীর থেকে টক্সিন বের করে। শরীরের ভেতরের নালীগুলোর সব ময়লা বের করে দেয়। মেটাবলিজম/হজম শক্তি বাড়ায়, ফলে ওজন কমে। ঠাণ্ডা লাগলে লেবু ও মধুর কফ বের করতে সাহায্য করে এবং ঠাণ্ডা লাগলে গলাব্যথা করলেও এটি উপকারী । কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।


    #পানি জাতীয় খাবার খেয়ে খুব সহজে দ্রুত স্লিম হওয়ার উপায় জানুন । একরকম    মেয়েদের ওজন কমানোর উপায় ও বলা যায়। 

    ওজন কমাতে সবচাইতে ভালো উপাদান হলো পানি। যদি শুধু পানীয়জল খেতে ভালো না লাগে তাহলে এর সঙ্গে অল্প লেবু বা শসা কিংবা টমেটোও যোগ করে নিতে পারেন। এতে বেশি ক্যালোরি যেমন যোগ হবে না, তেমনি অন্যরকম একটা ফ্লেভারও পাবেন। 


    সবজির শরবত:

    জন কমাতে বিভিন্ন তরিতরকারি কিংবা সবজির শরবত বা জুস পান করা বেশ ভালো একটি উপায় কিন্তু। এই জুসে একদিকে যেমন আঁশ থাকে, তেমনি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে থাকে বিভিন্ন পুষ্টির সমাহারও। শরীরের জ্বালানি হিসেবে এই উপাদানগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এতে কম পরিমাণ সোডিয়াম পাবেন, যা আপনার জন্য উপকারী। আবার আপনি অনুভব করবেন অন্যরকম এক সজীবতাও।


    চিনিমুক্ত চা:

    চিনিমুক্ত চা, বিশেষ করে সবুজ চা শরীরকে সজীব করে তোলে। এটি শরীরকে খুব তাড়াতাড়ি চাঙ্গা করে তোলে, ফলে আপনি পাবেন বেশ ঝরঝরে একটা অনুভূতি। চেষ্টা করুন গরম বা ঠাণ্ডা সবুজ চায়ে কম চিনিবিশিষ্ট খানিকটা মধু মেশাতে। এভাবে খেতে পারেন লাল চা বা র’ চাও, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা আপনার  দেহ থেকে চর্বি কমিয়ে দ্রুত ওজন কমিয়ে দিবে । 


    ট্যাগ : ওজন কমানোর উপায়,ওজন কমানোর জন্য কি খেতে হবে,লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়,প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর উপায়,মেটেবলিজম কমিয়ে ওজন কমানোর উপায়