৭ দিনে মেদ কমানোর উপায় | ওজন কমানোর ওষুধ ও ব্যায়াম

Oziha Noor
0
৭ দিনে মেদ কমানোর উপায়,হেঁটে ওজন কমানোর উপায় , ওজন কমানোর টিপস , ওজন কমানোর ব্যায়াম ,প্রাকৃতিক ভাবে ওজন কমানোর উপায় ,ওজন কমানোর ওষুধ


  আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি বারাকাতুহু ।আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আমি আল্লাহর রহমতে আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। 


আপনার কি ওজন নিয়ে চিন্তিত ! কোন ভাবে ওজন কমাতে পারছেন না ! আজ আমরা নিয়ে এসেছি কিভাবে খুব সহজেই অল্প পরিশ্রমে অল্প সময় এর মধ্যে ওজন কমিয়ে নিজেকে সুন্দর সুস্থ রাখা যায় এ বিষয় নিয়ে। আপনার এখানে কিভাবে  ৭ দিনে মেদ কমানোর উপায়,হেঁটে ওজন কমানোর উপায় , ওজন কমানোর টিপস , ওজন কমানোর ব্যায়াম ,প্রাকৃতিক ভাবে ওজন কমানোর উপায়  ও ওজন কমানোর ওষুধ   সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়ে যাবেন। 


    ৭ দিনে মেদ কমানোর উপায়

    আমরা অনেকেই জানিনা   কি খেলে ওজন কমে। এজন্য আমরা ভুলভাল  ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট অনুসরণ করে থাকি । অনেকেই দেখা যায় খুব দ্রুত মেদ ঝরিয়ে নিজেকে ফিট দেখাতে চাই ।এজন্য আমরা এখানে ৭ দিনে মেদ কমানোর উপায় আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি। 


    ১ম দিন

    প্রথম দিনই হচ্ছে আপনার ডায়েট প্ল্যানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। প্রথম দিন হচ্ছে শুধুই ফল খাবার দিন। সারাদিনে যেকোনো সময়ে যত খুশি তত ফল খান। তবে একটি ফল বাদে, আর সেটি হচ্ছে কলা। কলা বাদে যেকোনো ফলই আপনি খেতে পারবেন প্রথম দিন। বিশেষ করে তরমুজ এবং খরমুজ বেশি করে খাবেন। এতে করে পেট অনেকক্ষণ পর্যন্ত ভরা থাকবে। আর কমপক্ষে ৮-১২ গ্লাস পানি অবশ্যই পান করবেন। তবে একটি কথা মাথায় রাখবেন, আপনি যদি সত্যিই এই প্ল্যানটি কার্যকর করতে চান তবে ফল ছাড়া অন্য কোন কিছুই খাবেন না এবং খেয়াল রাখবেন যাতে পেট কখনোই খালি না থাকে। যখনই ক্ষুধা ভাব আসবে তখনই ফল খাবেন এবং অবশ্যই পানি পান করতে ভুলবেন না। পানি খেয়ে ওজন কমানোর উপায়  ও বলা যায় এটা কে । 


    ২য় দিন 

    ১ম দিন যেমন শুধুই ফলমূল খেয়েছেন, তেমন করেই ২য় দিন শুধুই শাক সবজি খাবেন। কাঁচা বা রেঁধে যেকোন ভাবেই খেতে পারেন আপনার পছন্দের সবজি। তবে রাঁধার সময় অবশ্যই তেল ব্যবহার করবেন না। সবজিতে তেল ব্যবহার করলে ওজন কমানোর উদ্দেশ্যটাই বিফলে যাবে। তাই তেল ব্যবহার না করে আধা সেদ্ধ করে বা নিজের পছন্দ অনুযায়ী রেঁধে খান। সবজির মধ্যে খেতে পারেন গাজর, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শশা, লেটুস, শিম ইত্যাদি। তবে যদি আপনার খাবারের তালিকায় আলু রাখতে চান তবে দিনের অন্য কোন সময়ে না খেয়ে সকাল বেলাতেই খান। কারণ সকাল বেলায় সেদ্ধ আলু খেলে আলুতে যে পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট রয়েছে তা সারাদিনের বিভিন্ন কাজে বার্ন হয়ে যাবে এবং ফ্যাটও জমবে না এবং এটা একটা মেদ কমানোর উপায়। সারাদিনে আপনার ইচ্ছেমত সবজি খেয়ে নিন আর অবশ্যই ৮-১২ গ্লাস পানি পান করতে ভুলবেন না। আর সারাদিন এত শাক সবজি খাওয়ার জন্যে অন্যান্য দিনের চাইতে এই দিনে টয়লেটে বেশি যাওয়া লাগতে পারে। তবে এর ফলে ডাইজেস্টিভ সিস্টেম পরিষ্কার হয়ে যাবে এবং দ্রুত মেদ কমাবে। 


    ৩য় দিন

    ডায়েট প্ল্যানের ৩য় দিন হচ্ছে সবজি এবং ফল খাওয়ার দিন। এই দিন আপনি যেকোনো সবজি ও ফল ইচ্ছেমত পেট ভরে খেতে পারবেন। তবে এই দিনের খাবারের তালিকা থেকে কলা এবং আলু বাদ দিবেন। যেকোনো সময় খিদে লাগলেই ফল বা সবজি খেয়ে নিন, আর সারাদিনে ৮-১২ গ্লাস পানি অবশ্যই পান করবেন। এই খাওয়ার নিয়ম ভক্তি সহকারে পালন করবেন কারন এটি খুব সহজে ওজন কমানোর উপায় । 


    ৪র্থ দিন

    এই দিন শুধু কলা আর দুধই হবে সারা দিনের খাবার। কলা এবং দুধ ছাড়া আর কোন কিছুই খাওয়া যাবে না। তবে এই দিন ব্যতিক্রম হচ্ছে আপনি নিজের ইচ্ছেমত খেতে পারবেন না। সারাদিনে ৮-১০ টি কলা এবং ৩ গ্লাস দুধের বেশি খাওয়া যাবে না


    অনেকেই হয়তো চিন্তা করছেন যে এই দিন হয়তো খিদে লাগতে পারে। সেই ধারনা ভুল, খিদে কমানোর উপায় এটি এবং দিনের শেষে আপনি নিজেই লক্ষ্য করবেন যে এই খাবারেই বেশ কেটে গেছে সারাদিন। তবে তার জন্যে এই সীমিত কলা এবং দুধ ঠিকমতো ভাগ করে নিতে হবে যে দিনের কোন সময়ে কতটুকু করে খাবেন। সকালের খাবারে একটি কলা এবং এক গ্লাস দুধ রাখুন এবং দুপুরের আগে বা সকাল ১১-১২ টার দিকে আরো দুটি কলা খেতে পারেন। দুপুরে এক গ্লাস দুধ এবং ২ টি কলা খান। আর বিকেল বেলা নাস্তায় প্রয়োজন অনুযায়ী ২-৩ টি কলা খেতে পারবেন

    আর রাতের বেলা বাকি এক গ্লাস দুধ এবং দুটি কলা খেয়ে নিন। এই নিয়ম অনুযায়ী দুধ এবং কলা ভাগ করে নিলে সারাদিনে একদমই ক্ষুধা অনুভব করবেন না এবং এই ফর্মুলা মেয়েদের ওজন কমানোর উপায় । 


    ৫ম দিন

    এই দিনের ডায়েটে প্রথমবারের মত দুপুরে ভাত খেতে পারবেন। তবে শুধুই ভাত এবং তা এক কাপের বেশি নয়। আর সারাদিনে ৬-৭ টি বড় সাইজের টমেটো খেয়েই পার করে দিতে হবে এই ডায়েটের ৫ম দিন। তবে এই দিন শরীরে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার বেশ সম্ভাবনা রয়েছে, তাই অবশ্যই কমপক্ষে ১২-১৫ গ্লাস পানি পান করতে হবে  এভাবে প্রচুর শাক সবজি ও পানি খাওয়াও পেটের মেদ কমানোর উপায়। 


    ৬ষ্ঠ দিন

    ডায়েটের এই ৬ষ্ঠ দিনে আবারো সেই ভেজিটেবল ডায়েট করতে হবে। সারাদিনে যত খুশি সবজি খেতে পারবেন, তবে তেল দিয়ে রান্না করবেন না। আর দুপুরে সবজির সাথে এক কাপ ভাতও খেতে পারবেন। দিনে অবশ্যই ৮-১২ গ্লাস পানি পান করতে ভুলবেন না যেন। সব থেকে ভালো মেয়েদের ওজন কমানোর উপায় এটি। 


    ৭ম দিন

    ডায়েট প্ল্যানের এই শেষ দিনে সারাদিন যেকোন সবজি এবং দুপুরে এক কাপ ভাত আপনি খেতে পারবেন। তবে এইদিনে বোনাস হচ্ছে এর সাথে আপনি নিজের পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো ফলের জুসও খেতে পারবেন। বিশেষ করে জাম্বুরা, তরমুজ, কমলা এসব ফলের জুস বেশি করে খাবেন।

    ৭ দিন শেষে আপনার শরীরের ওজন অন্তত ৪-৫ কেজি তো কমবেই, সাথে সাথে শাক সবজি, ফলমূল এসব পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার জন্য চেহারায়ও উজ্জ্বলতা আসবে। আর এই ডায়েট প্ল্যান অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনার ডাইজেস্টিভ সিস্টেমও ইম্প্রুভ করবে। তবে একটি কথা মাথায় রাখবেন, একটানা ৭ দিনের বেশি এই ডায়েট অনুসরণ করবেন না, দরকার হলে ১৫ বা ২০ দিনের গ্যাপ দিয়ে আবার শুরু করতে পারেন। 

    এই হলো আপনাদের ৭দিনে ওজন কমানোর উপায় । 


    হেঁটে ওজন কমানোর উপায়

    বেশি শুয়ে বসে কাজ করলে বা শুয়ে বসে থাকলে তলপেটের মেদ জমে ওজন বৃদ্ধি পায়। এজন্য আমাদের উচিত স্বাভাবিক হাঁটাচলা ও কাজ করা। আমরা এখানে হেঁটে ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে তুলে ধরেছি আশাকরি আপনাদের এই হেঁটে ওজন কমানোর তথ্য ভাল লাগবে। 


    হাঁটুন:

    ওজন কমাতে হাঁটার কোনো বিকল্প নেই। আর হাঁটা তো কেবল ওজনই কমাবে না, কমাবে হৃদরোগের ঝুঁকিও। বিষণ্ণতা বা মন খারাপ ভাবও কমে যাবে অনেক। প্রতিদিন 1 থেকে 2 কিলোমিটার হাঁটার অভ্যাস করুন সকালে অথবা বিকালে হাঁটার ফলে শরীর তরতাজা থাকে মন প্রফুল্ল থাকে । ওজন কমাতে হাঁটার এর ভূমিকা অনেক বেশি প্রতিদিন নিয়ম করে হেঁটে ওজন কমানো সম্ভব অতএব প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন যেন একদিনও  মিস না যায়। হাঁটলে শরীর থেকে অতিরিক্ত চর্বি কেটে যায় । অতএব আপনারা প্রতিদিন হেঁটে দেহের অতিরিক্ত চর্বি গলিয়ে ফেলতে পারেন। 


    ওজন কমানোর টিপস

    ওজন কমাতে খাবার গ্রহণে সাবধানতার গুরুত্ব অসীম। এজন্য আমরা আপনাদের জন্য ওজন কমানোর কিছু টিপস নিচে দিলাম। 

    ওজন কমাতে ১২ টি বিশেষ টিপসঃ


    ১. পানি পান করুন

    পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করলে শরীর আর্দ্র থাকে, এতে আপনার পেট ভরা এমন ভাবও তৈরি হবে। ক্ষুধাও কম লাগবে, এ কারণে আপনি কম খাবেন, ধীরে ধীরে ওজনও কমবে তাতে। দিনে অন্তত ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করুন।  

    ২. ফ্রিজ পরিষ্কার করুন

    শুনে হাসি পাচ্ছে? ওজন কমানোর সঙ্গে আবার ফ্রিজ পরিষ্কারের সম্পর্ক কী? সম্পর্ক আছে। ফ্রিজ বা রান্নাঘরে যেসব উচ্চমাত্রার ক্যালরিসমৃদ্ধ খাবার রয়েছে বা ফাস্টফুড রয়েছে, সেগুলো সরান। এর বদলে স্বাস্থ্যকর খাবার রাখুন। রাখুন ফল ও সবজি। স্বাস্থ্যকর খাবার সামনে থাকলে এসব খাওয়ার অভ্যাসও ধীরে ধীরে তৈরি হবে। 

    ৩. চিনি ও শর্করা থেকে দূরে

    চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার থেকে ১৫ দিন অন্তত দূরে থাকুন। পাশাপাশি শর্করাজাতীয় খাবার কম খান। ভাত, রুটি কম খান। এসব খাবার কম খেলে ওজন দ্রুত কমবে। 

    ৪. প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খান

    প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাদ্যতালিকায় রাখুন। এতে পেশি স্বাস্থ্যকর হবে। প্রোটিন খাবার বাদ দিলে শরীরে এর বাজে প্রভাব পড়বে। ডিম, দুধ, মুরগির মাংস, ডাল খাদ্যতালিকায় রাখুন। তবে লাল মাংস (গরু, খাসি) এড়িয়ে চলুন। 

    ৫. সবজি খান বেশি বেশি

    খুব সহজ কথা। সবজি খেলে ওজন কমে। হ্যাঁ, তাই থালায় বেশি বেশি সবজি রাখুন। সবজির মধ্যে রয়েছে পুষ্টি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো শরীর ভালো রাখতে সাহায্য করে। 

    ৬. ক্যালরি গ্রহণ 

    আপনার শরীরের জন্য কতটুকু ক্যালরি দরকার, সে অনুযায়ী ক্যালরিসমৃদ্ধ খাবার খান। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    ৭. খাবার বাদ দেবেন না

    না খেয়ে কিন্তু ওজন কমানো যায় না। তাই কোনো বেলার খাবারকে বাদ দেওয়া যাবে না। দিনে অন্তত ছয়বার খান। তিনবেলা বড় খাবার ও তিনবেলা ছোট খাবার—এভাবে খাবারকে ভাগ করুন। একেবারে খুব বেশি না খেয়ে অল্প পরিমাণ খাবার খান। 

    ৮. ফাস্টফুডকে না বলুন

    প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্টফুড, কোমল পানীয়, সোডা—এই খাবারগুলোকে একেবারে না বলুন। এগুলোর মধ্যে উচ্চ পরিমাণ ক্যালরি থাকে, এতে ওজন বাড়ে। 

    ৯. ছোট থালায় খান

    বড় থালায় খেলে বেশি খাওয়া হয়ে যায়। তাই ছোট থালায় খান। খাবার কম খেতে চামচও ব্যবহার করতে পারেন। হাত দিয়ে খেলে বেশি খাবার একবারে আপনি মুখে দেন। হাতের বিকল্প চামচ ব্যবহার করলে খাবার কম গ্রহণ করা হয়।


    ১০. আয়নার সামনে বসে খান

    শুনতে হয়তো অদ্ভুত লাগছে, তবে গবেষণায় বলা হয়, যেসব লোক আয়নার সামনে বসে খায়, তাদের ওজন দ্রুত কমে। কীভাবে? তারা নিজেকে দেখতে থাকে আর ভাবতে থাকে, ওজন কমানো দরকার। এই ভাবনা কাজে দেয় কি না, একবার পরীক্ষা করে দেখতে পারেন! 

    ১১. হাঁটুন

    ওজন কমাতে হাঁটার কোনো বিকল্প নেই। আর হাঁটা তো কেবল ওজনই কমাবে না, কমাবে হৃদরোগের ঝুঁকিও। বিষণ্ণতা বা মন খারাপ ভাবও কমে যাবে অনেক। 

    ১২. একটু কম খান

    আগে যেখানে হয়তো তিনটি রুটি খেতেন, সেখানে একটি রুটি খান বা যেখানে এক থালা ভাত খেতেন, সেখানে এক কাপ ভাত খান। এর বদলে পেট ভরুন সবজি আর ফল দিয়ে।


    ওজন কমানোর ব্যায়াম 

    শুধু খাবার কন্ট্রোল করলে বা ডায়েট চার্ট ফলো করলে ওজন কমবে এমন নয়। অবশ্যই আমাদের ডায়েট চার্ট ফলো করার সাথে সাথে ওজন কমানোর ব্যায়াম করা উচিত । শরীরের অতিরিক্ত চর্বি গলানোর জন্য ব্যায়ামের উপকারিতা অপরিসীম। আপনাদের সুবিধার্থেে আমরা নিচে কিছু ওজন-কমানোর-ব্যায়াম তুলে ধরলাম। 

    দ্রুত পেটের মেদ কমানোর ৫ টি ব্যায়ামঃ

    দ্রুত পেটের মেদ কমাতে চাইলে নিয়মিত করুন এই ব্যায়ামগুলো :


    ১. সিট আপ

    কোনো একটি সমতল জায়গায় বা মেঝেতে শুয়ে পড়ুন। এবার পা দুটো ভাঁজ করে দিন। হাত থাকবে হাঁটু বরাবর সোজা, সামনের দিকে। এবার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে সোজা সামনের দিকে উঠে বসুন। পা ভাঁজ অবস্থায় থাকবে। এবার আবার আগের অবস্থায় শুয়ে যান। বসা অবস্থায় বেশিক্ষণ থাকবেন না। উঠে আবার শুয়ে পড়বেন, আবার উঠে বসুন। এভাবে হবে একবার। আপনি এভাবে মোট ১২ বার করবেন। ১২ বার হয়ে গেলে এক মিনিট শুয়ে বিশ্রাম নেবেন। এক মিনিট পরে ঠিক একই নিয়মে আবার শুরু করবেন। আবার ১২ বার করবেন। এভাবে ১২ বারে হবে এক সেট। আপনাকে এভাবে দুই সেট করতে হবে প্রাথমিক অবস্থায়। পরে সেট বাড়িয়ে তিন সেট করতে পারেন।


    ২. ক্রাঞ্চেস

    সোজা হয়ে মেঝেতে শুয়ে পড়ুন। পা দুটো একটু ফাঁকা রেখে ভাঁজ করে দিন। হাত দুটো আপনার মাথার দুই পাশে অর্থাৎ কানের পেছনে রাখুন। এবার নিশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে ওপরের দিকে উঠুন। খেয়াল রাখবেন মুখ দিয়ে ফুঁ দেওয়ার মতো করে নিশ্বাস ছাড়তে হবে এবং ঘাড়ে কোনো চাপ দেবেন না। আপনি মনোযোগ দেবেন আপনার পেটের মাংসপেশিতে। ঘাড় বাঁকা করবেন না। ঘাড় সোজা থাকবে এবং আপনি তাকিয়ে থাকবেন ওপরের দিকে অর্থাৎ সিলিংয়ের দিকে। এবার নিশ্বাস নিতে নিতে নিচের দিকে নামবেন, তবে পুরো মেঝেতে আপনার মাথা লেগে যাবে না; মেঝে থেকে আপনার মাথায় কিছুটা ফাঁক থাকবে। এভাবে আবার ওপরে উঠুন এবং নিচের দিকে ক্রাঞ্চ করে নামুন। খুব দ্রুতও করা যাবে না। মাঝারি একটা তালে করতে হবে। আপনি এভাবে মোট ১২ বার করবেন। ১২ বার হয়ে গেলে এক মিনিট শুয়ে বিশ্রাম নেবেন। এবং এক মিনিট পরে ঠিক একই নিয়মে আবার শুরু করবেন। আবার ১২ বার করবেন। এভাবে ১২ বারে হবে এক সেট; এভাবে দুই সেট করতে হবে। আপনার পেটের মাংসপেশির সংকোচন ও প্রসারণের দিকে খেয়াল রাখুন।


    ৩. লেগ রেইস

    সোজা হয়ে মেঝেতে শুয়ে পড়ুন। পা দুটো জোড়া করে সোজা ৯০ ডিগ্রি ওপরে তুলে দিন। হাত দুটো সোজা পাশে থাকবে। এবার নিশ্বাস নিতে নিতে পা দুটো জোড়া অবস্থায় নিচে নামান। তবে পা দুটো মেঝেতে লেগে যাবে না। আপনার পায়ের সঙ্গে মেঝের কিছুটা দূরত্ব থাকবে। ওই অবস্থায় নিশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে আবার পা দুটো ৯০ ডিগ্রি ওপরে তুলে দিন। আবার নিচে নামান। মাথা থেকে কোমর পর্যন্ত মেঝেতে লেগে থাকবে। এভাবে ১২ বার করে দুই সেট করুন। এই ব্যায়াম তলপেটের জন্য খুবই উপকারী।


    ৪. রাশিয়ান এবস টুইস্

    পা দুটো সামনে সোজা করে দিয়ে বসে যান। এবার পা দুটো ভাঁজ করে পায়ের পাতা মেঝে থেকে একটু উঁচুতে নিয়ে যান। কোমর থেকে শরীরের ওপরের অংশ একটু পেছন দিকে নিয়ে যান। এবং হাত দুটো নমস্কারের ভঙ্গিতে রেখে একবার ডানদিকে ঘুরে ডান কোমরের কাছে আবার বা দিকে ঘুরে বা কোমরের কাছে আনুন। এভাবে ১২ বার করে দুই সেট করবেন। এতে আপনার কোমরের পাশের মেদ এবং তল পেটের মেদ কমবে।


    ৫. প্লাংক

    উপুড় হয়ে শুয়ে সামনে দুই হাত ভাঁজ করে কনুইয়ের ওপর এবং পায়ের টোয়ের ওপর ভর দিয়ে, একটু উঁচু হয়ে শরীরকে একটি সমান্তরাল অবস্থায় রাখতে হবে। এভাবে ঠিক এই অবস্থায় থাকুন ১০-১৫ সেকেন্ড। প্রথম দিকে ১০-১৫ সেকেন্ড থাকবেন। পরে আস্তে আস্তে সময় বাড়িয়ে ৪০-৪৫ সেকেন্ড পর্যন্ত করতে পারবেন। এভাবে একবার হলো। এভাবে করবেন দুই থেকে তিনবার। প্রতিবার করার পর একটু বিশ্রাম নেবেন। এতে আপনার পেটের সঙ্গে সঙ্গে পিঠ এবং হাতের মেদও কমবে।


    প্রাকৃতিক ভাবে ওজন কমানোর উপায়:

     

    যে ৮টি মশলা ওজন কমায়:

    আমরা খাবার তৈরিতে নানা মসলা ব্যবহার করি। কিন্তু আমাদের অনেকের হয়তো অজানা যুগ যুগ ধরে ব্যবহার করে আসা মসলাগুলোতে রয়েছে বিস্ময়কর কিছু ঔষধিগুণ। মসলা শুধু আমাদের খাবারের স্বাদ আর ঘ্রাণই বাড়ায় না, এদের আছে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং মেটাবলিজম বাড়ায়। ফলে এগুলো ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। যারা ওজন কমাতে চান তারা জেনে নিতে পারেন কোন কোন মসলা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে:


    ১। দারুচিনি:

    ওজন কমাতে দারুচিনি বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। নিয়মিত দারুচিনি খেলে ক্ষুধা কমে যায়। শরীরের জমে থাকা মেদ গলাতে সাহায্য করে। এটি শরীরের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এছাড়াও পেটের রোগ, ইনফ্লুয়েঞ্জা, টায়ফয়েড, টিবি ও ক্যান্সার প্রতিরোধে দারুচিনি অনন্য ভূমিকা রাখে।


    ২। এলাচ:

    এলাচে রয়েছে নানা রকম রাসায়নিক উপাদান। যেমন: টর্পিন, টপিনিনোল, সিনিওল, এসিটেট, টপিনিল ইত্যাদি। এইসব উপাদান শরীরের ফ্যাটবার্ন করার ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে শরীরে ফ্যাট জমে না।


    ৩। আদা:

    আদা শুধু সর্দি-কাশিতেই উপকারি না, এর রয়েছে অনেক গুণ। পেট পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে আদা রাখতে পারে বিশেষ ভূমিকা। এটি পাচনতন্ত্রে জমে থাকা খাবার পরিষ্কার করে দেয় ফলে ফ্যাট জমতে পারে না। ফ্যাট না জমলে তো ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবেই। আর গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিস সমস্যাতেও আদা খুবি কার্যকরী। এছাড়া আদার রস শরীরের জমে থাকা চর্বি দূর করতে সহায়তা করে।


    ৪। হলুদ:

    হলুদের বিশেষ গুণ এই যে, এটি ফ্যাট টিস্যু তৈরি হতে দেয় না। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।


    ৫। মরিচ:

    মরিচে রয়েছে অ্যাকজেলিক এসিড, কিউনিক এসিড, অ্যামিনো এসিড, এস্কার্বিক এসিড, সাক্সিনিক এসিড, শিকিমিক এসিড, ফোলিক এসিড, সাইট্রিক এসিড, ম্যালিক এসিড, মেলানিক এসিড, আল্ফা-এমিরন, ক্যান্সিডিনা, ক্যারোটিন্স, ক্রিপ্টোক্যানসিন, ফ্ল্যাভনয়েডস প্রভৃতি। এগুলো ওজন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। আর মরিচের ক্যাপসিসিন ক্ষুধাও নিয়ন্ত্রণ করে। গবেষণায় দেখা গেছে মরিচ মেটাবলিজম বাড়িয়ে বেশি ক্যালরি বার্ন করতে সহায়তা করে।


    ৬। মৌরি:

    মৌরি পাচনতন্ত্রের উপকার করে, খিদে কমায়। আর এটি লিভারেরও উপকার করে। মৌরি মাউথ ফ্রেশনার হিসেবেও কাজ করে।


    ৭। ইসবগোল:

    ইসবগোল পেট পরিষ্কার রাখে, হজম শক্তি বাড়ায়। আর ক্ষুধা অনুভব কমায়। প্রতি রাতে শোয়ার আগে ইসবগোল খেলে ওজন কমবে। কোন কোন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ প্রতিবেলা খাবারের ১০ মিনিট পূর্বে তিন চামচ ইসবগোল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।


    ৮। জিরা:

    বদহজম, পেট ফোলা এবং খাবারে অরুচি সমস্যায় জিরা খুবই উপকারি। পাইলস সমস্যায় মিছরির সাথে জিরা মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। নিয়মিত জিরা খেলে ওজন কমে। বেশি খাবার খাওয়ার অস্বস্তি থেকেও জিরাপানি মুক্তি দেয়।


    ওজন কমানোর ওষুধ   

    বর্তমান বাজারে বিভিন্ন ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ পাওয়া যায়। এখানে কিছু ভুড়ি কমানো ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত দেয়া হলো। 

     ওজন কমাতে হারবাল ঔষধঃ(বাংলাদেশে পাওয়া যায়)

    মেদ ভুঁড়ি কমানোর জন্য বাংলাদেশ ইউনানি ফর্মুলায় ন্যাচারাল উপাদানে তৈরি ভেষজ ঔষধ স্লিম পাউডার পাওয়া যায়। যা আপনার শরীরের ৫-৮ কেজি ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং আপনার শরীরের অতিরিক্ত মেদ ভুঁড়ি কমিয়ে আপনাকে করে তুলবে আকর্ষণী ও স্মার্ট।

    কার্যকারিতাঃ 

    মেদ ভুঁড়ি অতিরিক্ত চর্বি কমায়, শরীরের অতিরিক্ত চর্বি জমতে বাধা দান করে এবং সাধারন বিষণ্ণতা দূর করে, এ ছাড়াও স্লিম পাউডার শরীরের বাড়তি ওজন কমিয়ে শরীরকে স্লিম, স্মার্ট এবং আকর্ষণী করে তোলে।

    মাত্রাঃ চিকিৎসকের নির্দেশ মতে ।

    পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াঃ নির্দিষ্ট মাত্রায় সেবনে কোনরূপ বিরূপ ক্রিয়া নেই ।

    আরো কিছু ওজন কমাতে হারবাল ঔষধ:

    • আজওয়াইন 
    • জিরা সিয়াই 
    • লুক মশগুল 
    • মর যন জোশ
    • চন্দ রস
    • নবীন চিরতা


    অ্যাপল সাইডার ভিনেগার সেবন:


    কীভাবে খাবেন:

    ১ থেকে ২ চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার এর সাথে ১ গ্লাস হাল্কা গরম পানি মিশিয়ে নিন।এই মিশ্রণ ৩ বার খাবার গ্রহণের ৩০ মিনিট আগে পান করুন। তারপর নিয়ম মাফিক খাবার গ্রহণ করুন। তবে কেউ চাইলে এই মিশ্রন এ লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।


    তবে খুব বেশি পরিমাণ এ গ্রহণ না করাই ভালো। কারণ সকল ভিনেগারে অ্যাসিটিক এসিড থাকে যা অতিরিক্ত গ্রহনের ফলে গলায় ক্ষতি করতে পারে।


    এবার জেনে নিই, এটি আসলে কীভাবে কাজ করে-


    (১) এটি ক্ষুদা কমায়ঃ ACV খুব তাড়াতাড়ি খাবারের তৃপ্তি এনে দেয়। ফলে বেশি খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকা যায়।


    (২) ACV রক্ত শর্করাকে কন্ট্রোল করেঃ শরীর এর রক্ত শর্করা যখন স্থির থাকে তখন শুধুমাত্র যখন দরকার তখনই ক্ষুদা অনুভব হয়। অন্যান্য সময় খাবার গ্রহণ এড়িয়ে চলা যায়।


    (৩) ACV চর্বি জমাট বাধাকে প্রতিরোধ করেঃযারা প্রতিদিন অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার পান করে তাদের বিপাক ক্রিয়া বেড়েযায় এবং খুব দ্রুত চর্বি বার্ন করতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমান এ অরগানিক এসিড এবং এনজাইম রয়েছে যা বিপাক বাড়াতে সাহায্য করে এবং যা চর্বি গলাতেও সাহায্য করে থাকে।


    (৪) ইন্সুলিন-এর ক্রিয়াঃ ইনসুলিন ‘চর্বি’(Fat) সঞ্চয়কে প্রভাবিত করে। এই হরমোনটি ব্লাড গ্লুকজ-এর সাথে সম্পর্কিত। এই হরমনের ঘাটতির কারনেই ডায়বেটিস দেখা দেয়। তাই যারা ডায়বেটিস রোগী বিশেষকরে টাইপ ২ ডায়বেটিস রয়েছে যাদের, তাদের জন্য অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করতে পারে।


    (৫) শরীরকে রোগ মুক্ত করতেঃ এই পানীয় টি হজমে সাহায্য করে, সেই সাথে বিপাক হার বাড়িয়ে শরীর থেকে বর্জ্য বের করে দিতে সাহায্য করে। যার ফলে শরীর সুস্থ্য ও রোগ মুক্ত থাকে।


    শুধুমাত্র ওজন কমানো ছাড়াও আ্যপেল সাইডার ভিনেগার গায়ের ‘চামড়া’(Skin) সুন্দর রাখতে, খসখসে ভাব দূর করতে এবং চুল পড়া রোধে সাহায্য করে। তাই গ্রীন টি’র মত এই পানীয়টি করে তুলতে পারে আপনাকে আরো সুন্দর ও আকর্ষণীয়।


    ট্যাগ : ৭ দিনে মেদ কমানোর উপায়,হেঁটে ওজন কমানোর উপায় , ওজন কমানোর টিপস , ওজন কমানোর ব্যায়াম ,প্রাকৃতিক ভাবে ওজন কমানোর উপায় ,ওজন কমানোর ওষুধ   

    Tags

    Post a Comment

    0Comments

    প্রতিদিন ১০০-২০০ টাকা ইনকাম করতে চাইলে এখানে কমেন্ট করে জানান। আমরা আপনায় কাজে নিয়ে নেবো। ধন্যবাদ

    Post a Comment (0)