এইচএসসি রাজশাহী বোর্ড, কুমিল্লা বোর্ড ,চট্টগ্রাম বোর্ড ,বরিশাল বোর্ড ২০১৮ এর বাংলা প্রথম পত্র প্রশ্ন ও সমাধান

Jemi
0
এইচএসসি রাজশাহী বোর্ড, কুমিল্লা বোর্ড ,চট্টগ্রাম বোর্ড ,বরিশাল বোর্ড ২০১৮ এর বাংলা প্রথম পত্র প্রশ্ন ও সমাধান


আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি বারকাতুহু।প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা কেমন আছো তোমরা সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছো। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি।


প্রতিদিনের মত আমরা আজ তোমাদের সাথে এইচএসসি রাজশাহি বোর্ড, কুমিল্লা বোর্ড, চট্টগ্রাম বোর্ড ,বরিশাল বোর্ড ২০১৮ এর বাংলা প্রথম পত্র প্রশ্ন ও সমাধান নিয়ে আলোচনা করব। তোমরা এইচএসসি রাজশাহি বোর্ড কুমিল্লা বোর্ড চট্টগ্রাম বোর্ড বরিশাল বোর্ড ২০১৮  এর বাংলা প্রথম পত্র প্রশ্ন ও সমাধান সম্পূর্ণটা এখানে পেয়ে যাবে। আশা করি আজকের বিষয়বস্তু তোমাদের উপকারে আসবে।


সৃজনশীল প্রশ্ন নং ১

এইচএসসি রাজশাহী বোর্ড, কুমিল্লা বোর্ড ,চট্টগ্রাম বোর্ড ,বরিশাল বোর্ড ২০১৮ এর বাংলা প্রথম পত্র প্রশ্ন ও সমাধান


কন্যার বাপ সবুর করিতে পারিতেন , কিন্তু বরের বাপ সবুর করিতে চাহিলেন না । তিনি দেখিলেন , মেয়েটির বিবাহের বয়স পার | হইয়া গিয়াছে , কিন্তু আর কিছুদিন গেলে সেটাকে ভদ্র বা অভদ্র কোনাে রকমে চাপা দিবার সময়টাও পার হইয়া যাইবে । মেয়ের বয়স অবৈধ রকমে বাড়িয়া গিয়াছে বটে , কিন্তু পণের টাকার আপেক্ষিক গুরুত্ব এখনাে তাহার চেয়ে কিঞিৎ উপরে আছে 

    অনুপমের পিসতুতাে ভাইয়ের নাম কী ? 

    উওর:অনুপমের পিসতুতাে ভাইয়ের নাম— বিনু । 

     অন্নপূর্ণার কোলে গজাননের ছােট ভাইটি'- উক্তিটি করাে এ বৈসাদৃশ্য নিরূপণ করো ।

    উওর: প্রশ্নোত উক্তিটিতে ব্যঙ্গার্থে দেবতা কার্তিকের সঙ্গে অনুপমের তুলনা করা হয়েছে । 

    দেবী দুর্গার দুই পুত্র অগ্রজ গণেশ ও অনুজ কার্তিকেয় । দেবী দুর্গার কোলে দেব সেনাপতি কার্তিকেয় অপূর্ব শােভা পায় । বড়াে হয়েও অনুপম কার্তিকের মতাে মায়ের কাছাকাছি থেকে মাতৃআজ্ঞ পালনে ব্যস্ত থাকে । তাই পরিণত বয়সেও তার স্বাধীন ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটে না । পাঠ্য গল্পের অনুপম পরিবারতন্ত্রের কাছে অসহায় ও ব্যক্তিত্বহীন একটি চরিত্র । উচ্চ শিক্ষিত হলেও তার নিজস্বতা বলতে কিছু নেই । তাকে দেখলে মনে হয় । আজও সে যেন মায়ের কোলে থাকা শিশুমাত্র । এজন্যই ব্যঙ্গ করে অনুপমকে গজাননের ছােটো ভাই কার্তিকের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে । 

    উদ্দীপকের বরের বাপের সাথে অপরিচিতা গল্পের অনুপমের মামার সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য নিরূপণ করো।

    উওর:যৌতুকের প্রতি মনােভাবের দিক থেকে উদ্দীপকের বরের বাপের সাথে অপরিচিতা ' গল্পের অনুপমের মামার সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য দুটোই রয়েছে ।

    অপরিচিতা ' গল্পে অনুপমের মামা যৌতুকলােভী চরিত্র । তিনি অনুপমের বিয়ের জন্য একটি জুতসই ঘর খুঁজছিলেন ; যেখানে না চাইলেও অনেক টাকা যৌতুক পাওয়া যাবে । অনেক খোঁজাখুঁজির পর ' শকুনাথ সেনের কন্যা কল্যাণীর সাথে মামা অনুপমের বিয়ে ঠিক করেন । বিয়ের দিনে মেয়ের বাড়ি থেকে দেয়া যৌতুরে গয়না নিয়ে অনুপমের মামা হীন মানসিকতার পরিচয় দেল । গয়নাগুলো আসল নকল তা পরীক্ষা করার জন্য তিনি বিয়েবাড়িতে সেকরাকে সঙ্গে নিয়ে আসেন ।

     উদ্দীপকের বরের বাবার মাঝেও যৌতুকলােভী মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায় । কেননা বিয়ের জন্য মেয়ের বয়স বেশি হলেও যৌতুকের পরিমাণ তার চেয়ে বেশি বলে তিনি এ বিয়ে নিয়ে তাগাদা দেন । উদ্দীপকের বরের বাবার যৌতুকলােভী মানসিকতার এ দিকটি ‘ অপরিচিতা ' গল্পের অনুপমের মামার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ । কিন্তু অনুপমের মামা যেমন গয়না পরীক্ষা করার জন্য সেকরাকে সাথে নিয়ে বিয়েবাড়িতে আসেন , তেমন বিষয় উদ্দীপকে বরের বাবার মাঝে দেখা যায় না । এছাড়া অনুপমের মামা মেয়ের বাবাকে যেভাবে অপমান করেছে , সে বিষয়টিও উদ্দীপকে বরের বাবার মাঝে অনুপস্থিত । সুতরাং বলতে পারি , যৌতুককে কেন্দ্র করে উভয় ঘটনা আবর্তিত হলেও উদ্দীপকের বরের বাপের সাথে অপরিচিতা গল্পের অনুপমের মামার সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য দুটোই রয়েছে । 

    উদ্দীপকের ঘটনাচিতে ‘ অপরিচিতা ' গল্পের প্রতিফলিত হয়েছে " - উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে ।

    উওর:

     উদ্দীপকের ঘটনাচিত্রে ‘ অপরিচিতা ' গল্পের যৌতুকপ্রথার মতাে সামাজিক অসংগতির দিকটি ফুটে উঠলেও যৌতুকের বিরুদ্ধে সম্মিতি প্রতিরােধের দিকটি অনুপস্থিত। 

    আলােচ্য গল্পে অনুপমের মামা চরিত্রের মাধ্যমে যৌতুকের মতাে ঘৃণ্য সামাজিক প্রথার দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে । অনুপমের মামা কন্যার | বাবার দেওয়া গয়না যাচাই করার জন্য বিয়েবাড়িতে সেকরাকে সঙ্গে নিয়ে আসেন । এতে কন্যার বাবা শম্ভুনাথ সেন অপমানিত বােধ করেন এবং কল্যাণীর সঙ্গে অনুপমের বিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানান । কল্যাণীও বাবার এ মতকে সমর্থন করেন । 

    উদ্দীপকে যৌতুকপ্রথার একটি দিক উপস্থাপিত হয়েছে , যেখানে বিয়ে | প্রসঙ্গে মেয়ের বাবার চেয়ে বরের বাবার তাড়া বেশি দেখা যায় । কেননা মেয়ের বয়স বেশি হওয়ায় যৌতুকের টাকার পরিমাণও বেশি । উদ্দীপকে উল্লিখিত বরের বাবার এ অর্থলােভী মানসিকতা অপরিচিতা ' গল্পের অনুপমের মামার সঙ্গে মিলে যায় ।

    অপরিচিতা ' গল্প ও উদ্দীপকে যৌতুকপ্রথার মতাে সামাজিক ব্যাধির বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে । তবে আলােচ্য গল্পে যৌতুকপ্রথার বিরুদ্ধে বাবা ও মেয়ের সম্মিলিত প্রতিরােধের প্রসঙ্গ এসেছে । ফলে অনুপমেরর সঙ্গে কল্যাণীর বিয়ে ভেঙে যায় এবং পরবর্তীতে কল্যাণী মেয়েদের শিক্ষাদানের জন্য নিজেকে নিয়ােজিত করে । এছাড়া গল্পের প্রতিটি বিষয় শ । নাটকীয় আবহের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে , যা উদ্দীপকে দেখা ৪। যায় না । অতএব বলতে পারি , যৌতুকপ্রথার সঙ্গে মিল থাকলেও উদ্দীপকের ঘটনাচিত্রে ‘ অপরিচিতা ' গল্পের খণ্ডাংশই প্রতিফলিত হয়েছে । প্রশ্নোক্ত উক্তিটি যথার্থ ।


    সৃজনশীল প্রশ্ন নং ২

    এইচএসসি রাজশাহী বোর্ড, কুমিল্লা বোর্ড ,চট্টগ্রাম বোর্ড ,বরিশাল বোর্ড ২০১৮ এর বাংলা প্রথম পত্র প্রশ্ন ও সমাধান


    আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম

    গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু - মুসলমান

     মিলিয়া বাউলা গান আর ঘাটু গান গাইতাম 

    বর্ষা যখন হইত গাজির গায়েন আইত

     রঙ্গো ঢঙ্গে গাইত , আনন্দ পাইতাম

     বাউলা গান ঘাটু গান আনন্দের তুফান

     গাইয়া সারিগান নাও দৌড়াইতাম ॥

     ” এই কবিতাংশে কৃষকদের এত আনন্দের কারণ তাদের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা । 


    পখাল ' শব্দটির অর্থ কী ? 

    উওর:পখাল ’ শব্দটির অর্থ পান্তা।

    ‘ শিরে দিয়ে বাঁকা তাজ ঢেকে রাখে টাক ’ – ব্যাখ্যা করাে।

    উওর:শিরে দিয়ে বাঁকা তাজ ঢেকে রাখে টাক উক্তিটি দ্বারা প্রবন্ধিক চাষীদের বিলাসিতার দিকটিকে বুঝিয়েছেন।

    এদেশে চাষীদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এতটাই খারাপ যে নুন আনতে পান্তা ফুরায়।আগে যেখানে চাষিরা নিজেদের বস্ত্র নিজেরাই তৈরি করত সেখানে আধুনিক সভ্যতার আগমনে বিলাসিতায় অভ্যস্ত হয়ে চাষিরা আরো হতদরিদ্র হয়ে পড়েছে। এর মানে সভ্যতার নানা উপাদান চাষীকে বিলাসী করে তুলেছে। আরে অবস্থাটিকে বোঝাতে প্রবন্ধ প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেছেন।


    উদ্দীপকে বর্ণিত গ্রামবাংলার মানুষের সাথে ' চাষার দুক্ষু প্রবন্ধে উল্লিখিত কৃষকের অবস্থার তুলনামূলক আলােচনা করাে । 

    উওর:উদ্দীপকে গ্রামবাংলার মানুষের সচ্ছল ও বর্ণিল জীবনযাপনের কথা উল্লেখ থাকলেও চাষার দুক্ষু ' প্রবন্ধে কৃষকদের দুর্দশাগ্রস্ত জীবনের কথা প্রতিফলিত হয়েছে । 

    ‘ চাষার দুক্ষু ' প্রবন্ধে আধুনিক সভ্যতার ফলে কৃষকদের দুর্দশার চিত্র ফুটে উঠেছে । লেখিকা উল্লেখ করেছেন , ভারতবর্ষে মুষ্টিমেয় কিছু শহুরে লােক সমৃদ্ধ ও সচ্ছল জীবনযাপন করলেও কৃষকদের পেটে খাদ্য নেই , শীতে গরম কাপড় নেই , অসুখে চিকিৎসা নেই । তখন টাকায় পঁচিশ সের চাল পাওয়া গেলেও কৃষকরা তা কিনতে পারত না । এমনকি কোনাে কোনাে অলের কৃষকরা পান্তা ভাতের সাথে লবণ পর্যন্ত জোটাতে পারত না । এই পরিস্থিতির জন্য লেখিকা এক শ্রেণির মানুষের সভ্যতা নামক বিলাসিতাকে দায়ী করেন । সে বিলাসিতা কৃষক রমণীদেরও মারাত্মকভাবে স্পর্শ করেছিল বলে তিনি মন্তব্য করেন । উদ্দীপকে কৃষরে অতীতের স্বনির্ভরতার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে । আগেকার দিনে কৃষকের গােলাভরা ধান ছিল , গােয়ালভরা গােরু ছিল । বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে গ্রামের সবাই আনন্দে মেতে উঠত । সেখানে না ছিল ধর্মের ভেদাভেদ , না ছিল কোনাে বৈষম্য । পৌষ - পার্বণ বা বর্ষা মৌসুমে সবাই একত্রে জারিগান , সারিগান , বাউলগানের আসর বসাত । উদ্দীপকের কৃষকদের এত আনন্দ ও স্বনির্ভরতার চিত্র ‘ চাষার দুক্ষু ' প্রবন্ধে অনুপস্থিত । সুতরাং বলতে পারি , উদ্দীপকে কৃষকদের আনন্দঘন ও উৎসবমুখর চিত্র প্রতিফলিত হলেও চাষার দুক্ষু ' প্রবন্ধে কৃষকদের বিপরীত জীবনচিত্রই  প্রকাশিত হয়েছে । 


    উদ্দীপকে বর্ণিত কৃষকদের মতাে সুখী - সমৃদ্ধ জীবন ফিরে পেতে চাষার দুক্ষু ' প্রবন্ধের কৃষকদের জীবনমান উত্তরণের উপায় কী বলে লেখিকা মনে করেন ? বিশ্লেষণ করাে।

    উওর:চাষার দুক্ষু ' প্রবন্ধের লেখিকা কৃষকদের দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য গ্রামে গ্রামে পাঠশালা প্রতিষ্ঠা ও কুটিরশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার প্রতি গুরুত্ব আরােপ করেছেন ।

     চাষার দুক্ষু ' প্রবন্ধে কৃষকদের দুর্দশা ও কৃষক রমণীদের বিলাসিতার ফলে সৃষ্ট সমস্যা তুলে ধরা হয়েছে । আধুনিক সভ্যতার কুপ্রভাবে কুটিরশিল্প ধ্বংস হলে ক্ষকদের জীবনে নেমে আসে সীমাহীন দুঃখ - কষ্ট । এছাড়া কৃষক রমণীরা বিলাসিতায় গা ভাসিয়ে যেভাবে অকর্মণ্য হয়েছে , প্রবন্ধের লেখিকা সে অবস্থার উত্তরণে যৌক্তিক কিছু প্রামর্শ দিয়েছেন । উদ্দীপকে কৃষকের অতীত ঐতিহ্যের কথা বর্ণিত হয়েছে । অতীতে কৃষকের অনেক কিছু থাকত । বর্ষাকালে বৃষ্টিমুখর দিনে তারা সমবেত হয়ে জারি , সারি , বাউল ওঘাটু গান গেয়ে আনন্দ প্রকাশ করত । তাদের এ আনন্দের মূল কারণ— তারা ছিল স্বনির্ভর ও নিজেদের ঐতিহ্যের প্রতি অনুরাগী । অতীতে কৃষকরা বিলাসিতায় মত্ত না হয়ে নিজেদের অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নয়নে ব্যস্ত থাকত । ‘ চাষার দুক্ষু ' প্রবন্ধে লেখিকা চাষিদের দুঃখ ও রমণীদের বিলাসিতা দূর করে কর্মমুখী করার বেশ কিছু কার্যকর পরামর্শ দিয়েছেন । লেখিকা দেশবন্ধুদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা যেন কৃষকের দুঃখ দূর করার জন্য যত্নবান হন । কৃষকদের এই মুমূর্ষ অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য লেখিকা গ্রামে গ্রামে পাঠশালা প্রতিষ্ঠার প্রতি গুরুত্ব প্রদান করেন । মরাইভরা ধান , ঢাকাই মসলিন ' ইত্যাদি লাভ করার জন্য নারীর হাতে তৈরি শিল্পসমূহ পুনরুদ্ধারেও গুরুত্ব দেন । এজন্য জেলায় জেলায় পাটের চাষ অথবা কার্পাসের চাষ প্রচুর পরিমাণে হওয়া প্রয়ােজন বলে তিনি মত দেন । এছাড়া চরকা ও এন্ডি সুতার প্রচলন হওয়া বাঞ্ছনীয় বলে তিনি মনে করেন । অতএব বলতে পারি , চাষার দুক্ষু ' প্রবন্ধের লেখিকা কৃষকদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য উপযুক্ত যে উপায়গুলাের কথা বলেছেন , তা বাস্তবায়ন করতে পারলেই তারা উদ্দীপকে বর্ণিত কৃষকদের মতাে সুখী - সমৃদ্ধ জীবন ফিরে পাবে ।


    সৃজনশীল প্রশ্ন নং ৩

    এইচএসসি রাজশাহী বোর্ড, কুমিল্লা বোর্ড ,চট্টগ্রাম বোর্ড ,বরিশাল বোর্ড ২০১৮ এর বাংলা প্রথম পত্র প্রশ্ন ও সমাধান


    রতন তার ছােট ভাইকে নিয়ে একদিন পঙ্খিরাজ ঘােড়ায় উড়ে উড়ে মঙ্গলগ্রহে নামে সেখানে অদ্ভুত আকৃতির অসংখ্য প্রাণী । তে , তিন পা - বিশিষ্ট একদল প্রাণী দেখে তারা বিমােহিত হয় । সেখানে একটি বাগানে প্রবেশ করতেই নীল যায় । ফিরে এসে পঙ্খিরাজ থেকে নামতে গিয়ে মাটিতে পড়ে যায় এবং ঘুম ভাঙতেই তার স্বপ্ন হারিয়ে যায়।


    মহাজাগতিক কিউরেটর ' গল্পে উল্লেখিত সৌরজগতের তৃতীয় গ্রহের নাম কি?

    উওর:মহাজাগতিক কিউরেটর গল্পে উল্লেখিত সৌরজগতের তৃতীয় গ্রহের নাম- পৃথিবী । 

    মানুষ নিজেরাই নিজেদের ধ্বংস করে'- কীভাবে ? 

    উওর:আত্মবিনাশী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মানুষ নিজেরাই নিজেদের ধ্বংস হবে । 

    কিউরেটরদের মতে , মানুষ মাত্র দুই মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছে । ন্তুি এর মাঝেই তারা যে শুধু তাদের নিজেরদেরকে বিপন্ন করেছে তাই নয় , পুরাে গ্রহটিকে ধ্বংস করে ফেলার ব্যবস্থা করেছে । তারা । গাছপাল ধ্বংস হুছে , জলাশয় ভরাট ছে , বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর নষ্ট ছে । পৃথিবীর পরিবেশ বিপন্ন হয় এমন বােমা ফাটিয়ে মানুষ আত্মবিনাশী কজে নিয়োজিত হচ্ছে । এভাবে মানুষ নিজেরাই নিজেদের ধ্বংস করছে ।

    রতনের একাকী মঙ্গল গ্রহ থেকে স্বস্থানে ফিরে আসার কারণটি মহাজাগতিক কিউরেটর গল্পের আলােকে ব্যাখ্যা করো।

    উওর:মহাজাগতিক কিউরেটর ’ গল্পে মানুষের আত্মকেন্দ্রিক প্রবণতা বর্ণিত হয়েছে , যা উদ্দীপকের রতনের মাঝেও লক্ষ করা যায় । 

    আলোচ্য গল্পে লেখক বিভিন্ন প্রাণীর সাথে তুলনা করে মানবচরিত্রের আত্মকেন্দ্রিকতা ও স্বার্থপরতার দিকটি উন্মােচন করেছেন । গল্পে দেখা যায় , মানুষ তার নিজের সুখের জন্য অন্যকে ধ্বংস করতেও দ্বিধা করে না । স্বার্থান্ধতা ও ধ্বংসাত্মক মনােভাবের কারণে সাধারণ প্রাণী পিপড়ার কাছে । মানুষের মর্যাদা দান হয়ে যায় । কেননা , পিপড়ার মাঝে শৃঙ্খলা ও এতবন্ধতার যে বৈশিষ্ট্য দেখা যায় , তা মানুষের মাঝে দেখা যায় না । উদ্দীপকের রতনের মধ্যে আত্মকেন্দ্রিকতা ও স্বার্থপরতার দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে । রতন তার ছােট ভাইকে নিয়ে মঙ্গলগ্রহে যায় । সেখানে একটি বাগানে প্রবেশ তেই নীল রঙের তিন পা - বিশিষ্ট একদল অদ্ভুত প্রাণী তাদের আক্রমণ করে । আত্মরক্ষার তাগিদে রতন তার ছােট ভাইকে অসহায় অবস্থায় ফেলে রেখে আপন স্থানে ফিরে আসে । নিজের জীবন বিপন্ন হওয়ার ভয়ে রতন ছােট ভাইয়ের কথা বিবেচনা করে না । এতে তার স্বার্থপর মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায় । বস্তুত , ‘ মহাজাগতিক কিউরেটর ' “ জ্ঞর মানুষ ও উদ্দীপকের রতন উভয়ের মাঝেই আত্মকেন্দ্রিক ও স্বার্থপর মনােভাবের প্রতিফলন লক্ষ করা যায় । 

    মহাজাগতিক কিউরেটর গল্পের পিপড়া আর মঙ্গল গ্রহের অদ্ভুত প্রাণীগুলাে যেন একই মুদ্রার এপিঠ - ওপিঠ— উক্তিটি বিশ্লেষণ করাে।

    উওর:মহাজাগতিক কিউরেটর ’ গল্পে পিঁপড়াকে সুশৃঙ্খল , একতাবদ্ধ ও সুবিবেচক প্রাণী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে । এর ভিত্তিতে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটিকে যৌক্তিক বিবেচনা করা যায় । 

    আলােচ্য গল্পে বলা হয়েছে , পিপড়া ক্ষুদ্র হলেও অত্যন্ত পরিশ্রমী ও সুবিবেচনাবােধসম্পন্ন প্রাণী । এরা একে অপরের প্রতি সহযােগিতাপূর্ণ আচরণ করে । আর এটি করতে গিয়ে এরা অকাতরে প্রাণ দিতেও কুণ্ঠাবােধ করে না । নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে এরা সদা তৎপর । প্রত্যেকের মধ্যেই কাজ বণ্টন করে দেওয়া হয় এবং এরা সুশৃঙ্খলভাবে সেই কাজ সম্পন্ন করে যায় । উদ্দীপকের রতন ও তার ছােট ভাই মঙ্গলগ্রহে যাওয়ার পর অদ্ভুত আকৃতির অসংখ্য প্রাণী দেখতে পায় । তারা একটি বাগানে প্রবেশ করলে তিন পা বিশিষ্ট একদল অদ্ভুত প্রাণী তাদের আক্রমণ করে । এক্ষেত্রে তিন পা - বিশিষ্ট প্রাণীদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ মানসিকতা লক্ষ করা যায় । বিপদের আশঙ্কায় এসব প্রাণী ভিনগ্রহবাসী রতন ও তার ছােট ভাইকে সম্মিলিতভাবে আক্রমণ । করে । মহাজাগতিক কিউরেটর গল্পে পিঁপড়াদের সুশৃঙ্খল ও সহমর্মিতাপূর্ণ জীবনের কথা বর্ণনা করা হয়েছে । পিপড়ারা যেকোনাে বিপদ সম্মিলিতভাবে প্রতিরােধের চেষ্টা করে । আলােচ্য উদ্দীপকের তিন পা - বিশিষ্ট অদ্ভুত প্রাণীদের মাঝেও বিপদ মােকাবিলায় সমবেত প্রচেষ্টার দিকটি লক্ষ করা নিজেদের ক্ষতির আশঙ্কায় এরা রতন ও তার ছােট ভাইকে দলবদ্ধভাবে আক্রমণ করেছে । তাই বলা যায় , মহাজাগতিক কিউরেটর গল্পের পিপড়া আর উদ্দীপকের মঙ্গল গ্রহের অদ্ভুত প্রাণীগুলাে যেন একই মুদ্রার এপিঠ - ওপিঠ- মন্তব্যটি যথার্থ ।


    সৃজনশীল প্রশ্ন নং ৪

    এইচএসসি রাজশাহী বোর্ড, কুমিল্লা বোর্ড ,চট্টগ্রাম বোর্ড ,বরিশাল বোর্ড ২০১৮ এর বাংলা প্রথম পত্র প্রশ্ন ও সমাধান


    হাজার হাজার সৈন্য যুদ্ধক্ষেত্রে পুতুলের মত দাঁড়িয়ে থাকে। মোহনলাল ও মীর মর্দান প্রাণপণে যুদ্ধ করেও মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতার কাছে পরাজিত হয়। ব্রিটিশ সৈন্যরা অনায়াসেই বাংলা দখল করে নেয়। এভাবেই ১৭৫৭ সালের ২৩শেজুন বাংলাদেশের স্বাধীনতার অবসান ঘটে।


    সৌমিত্রি কে?

    উওর: সৌমিত্রি হলেন লক্ষণ।

    হাই তাত উচিত কি তব কাজ- কে কেন এই উক্তিটি করেছিল?

    উওর:শত্রু লক্ষ্মণকে পথ দেখিয়ে লঙ্কায় নিয়ে আসা প্রসঙ্গে বিভীষণকে উদ্দেশ্য করে মেঘনাথ উক্তিটি করেছেন।

    ধর্ম ও ন্যায়ের অজুহাত দিয়ে তারই কাকা বিভীষণ রাম - লক্ষ্মণের পক্ষ দেয় । এবং তাকে হত্যা করার জন্য লক্ষ্মণকে পথ দেখিয়ে নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে।বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ ' কবিতার মেঘনাদ একজন দেশপ্রেমী রাম - রাবণের যুদ্ধে তাই সে স্বদেশ ও স্বজাতির পক্ষ অবলম্বন করে  নিয়ে আসে । বিভীষণের এহেন কাজের জন্য মেঘনাদ খেদের সঙ্গে প্রশ্নের উক্তিটি করেছে ।

    উদ্দীপকের মিরজাফর ‘ বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ ' কবিতার কোন চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে? তুলনামূলক আলোচনা করো।

    উওর:বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ ' কবিতায় বিভীষণ চরিত্রে স্বজাতি - বিদ্বেষের দিকটি বিশেষভাবে ফুটে উঠেছে । 

    “ বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ ' কবিতায় মেঘনাদ চরিত্রের মধ্য দিয়ে কবি স্বদেশপ্রেমের স্বরূপ তুলে ধরেছেন । এছাড়া এ কবিতায় স্বদেশ ও স্বজাতির প্রতি বিভীষণের বিশ্বাসঘাতকতার চিত্রও অঙ্কিত হয়েছে । উদ্দীপকের অনুচ্ছেদে ঐতিহাসিক চরিত্র মির জাফরের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত হয়েছে । পলাশির যুদ্ধে সেনাপতি মিরমদান ও মােহনলাল বাংলার স্বাধীনতাকে অক্ষুন্ন রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা করেন । কিন্তু প্রধান সেনাপতি মিরজাফর ইংরেজ বাহিনীর সঙ্গে আঁতাত করে দেশবাসীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে । সে ও তার সহযােদ্ধারা যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়েও যুদ্ধ না করে পুতুলের মতাে স্থির দাঁড়িয়ে থাকে । তাদের বিশ্বাসঘাতকতার পরিণামে ইংরেজ বাহিনী বাংলা দখল করে নেয় । “ বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ ' কবিতার বিভীষণের আচরণেও একই ধরনের বিশ্বাসঘাতকতার পরিচয় মেলে । সহােদর রাবণের সঙ্গ ত্যাগ করে সে শত্রু রামের পক্ষ অবলম্বন করে । শুধু তাই নয় , ভ্রাতুস্পুত্র মেঘনাদকে আক্রমণের জন্য লক্ষ্মণকে পথ দেখিয়ে নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে নিয়ে আসে সে । অর্থাৎ উদ্দীপকের মির জাফর ও আলােচ্য কবিতার বিভীষণের আচরণ প্রায় একই রকম । সে বিবেচনায় উদ্দীপকের মির জাফর ‘ বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ ' কবিতার বিভীষণের চরিত্রকে প্রতিনিধিত্ব করে ।

    উদ্দীপকের মূলভাব বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ কবিতার মূলভাব সাথে আংশিক সামঞ্জস্যপূর্ণ ” - উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন করো

    উওর:বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ ' কবিতায় বিভীষণের বিশ্বাসঘাতকতার বিপরীতে মেঘনাদের প্রগাঢ় দেশপ্রেমের পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে । 

    “ বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ ' একটি কাহিনিমূলক কবিতা । এ কবিতার প্রধান দুই চরিত্র মেঘনাদ ও বিভীষণের আদর্শিক দ্বন্দ্বই কবিতাটির মূল তাদের কথােপকথনের মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন দেশপ্রেমের অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে , অন্যদিকে প্রকাশ পেয়েছে ধর্মবােধ ও নৈতিকতা ।। উদ্দীপকের অনুচ্ছেদটি পলাশির যুদ্ধের ঐতিহাসিক পটভূমি নিয়ে রচিত । সেখানে নবাব বাহিনীর সঙ্গে প্রধান সেনাপতি মির জাফরের বিশ্বাসঘাতকত ও ইংরেজ বাহিনীর সঙ্গে তার আঁতাতের দিকটি প্রাধান্য পেয়েছে । তার চলে যায় বাংলা । এভাবে দেশবাসীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে শত্রু পক্ষাবলম্বন ' বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ ' কবিতারও অন্যতম দিক । ‘ বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ ' কবিতায় কাকা বিভীষণের সঙ্গে ভ্রাতু মেঘনাদের আচরণে তার গভীর দেশাত্মবােধ , বিরােচিত আচরণসহ বিষয় ।সঙ্গে তা অনেকটাই সাদৃশ্যপূর্ণ । এছাড়া এ কবিতায় বিভীষণের বিশ্বাসঘাতকতার দিকটিও পলাশির যুদ্ধে মির জাফরের ভূমিকার প্রতিনিধিত্ব করে । তবে মিরজাফর যেখানে অর্থ ও ক্ষমতার লােভে শত্রুপক্ষ অবলম্বন করেছে বিভীষণ তা করেনি । সে ধর্ম ও নৈতিকতার দোহাই দিয়ে রামের পক্ষ নিয়েছে । এ কবিতায় আত্মপক্ষ সমর্থনে বিভীষণের যে যুক্তি উপস্থাপিত হয়েছে , উদ্দীপকে তার প্রতিফলন ঘটেনি । তাছাড়া গুরুজন বিভীষণের প্রতি মেঘনাদের বিনয় ও সংযমের দিকটিও সেখানে উপেক্ষিত রয়ে গেছে । এসব দিক বিবেচনায় “ উদ্দীপকের মূলভাব “ বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ ' কবিতার মূলভাবের সাথে আংশিক সামঞ্জস্যপূর্ণ ” - উক্তিটি যথার্থ ।


    সৃজনশীল প্রশ্ন নং ৫

    এইচএসসি রাজশাহী বোর্ড, কুমিল্লা বোর্ড ,চট্টগ্রাম বোর্ড ,বরিশাল বোর্ড ২০১৮ এর বাংলা প্রথম পত্র প্রশ্ন ও সমাধান


    নমি আমি প্রতিজনে আদ্বিজ চন্ডাল

     প্রভু ,ক্রীতদাস!

    সিন্ধু মুলে জল বিন্দু বিশ্ব মূলে অনু 

    সমগ্র প্রকাশ 

    নমি কৃষি তন্তুজিবি স্থপতি ,তক্ষক 

    কর্ম চর্মকার!


    ঐকতান কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?

    উওর: ঐকতান কবিতাটি জন্মদিনে কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।

    যেথা পাই চিত্রময়ী বর্ণনার বাণী কুড়াইয়া আনী- ব্যাখ্যা করো।

    উওর: প্রশ্নোক্ত চররণটিরধ্যমে কবি তার কাব্যভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করতে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সাহিত্য সম্পদ কুড়িয়ে আনার কথা অকপটে স্বীকার করেছেন । 

    পৃথিবীর প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জনজীবনে রয়েছে নানা বৈচিত্র্য । নানা প্রান্তের লেখকরা তাদের নিজ নিজ অনুভূতি ও অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে কবিতা রচনা করেন । এভাবে পৃথিবীর বিচিত্র সৌন্দর্য , বৈচিত্র্যময় জনজীবন ও নানা প্রান্তের লেখকদের জীবনদৃষ্টির সমন্বয়ে বিশ্বসাহিত্য স্বতন্ত্র ভাব ও বিষয়ে সমৃদ্ধ হয় । তাই কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অকপটে স্বীকার করেন যে , তাঁর পক্ষে পৃথিবীর সর্বত্রগামী হওয়া সম্ভব নয় । তাই তিনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সাহিত্যের সম্পদ কুড়িয়ে এনে নিজের সৃষ্টিকর্মকে সমৃদ্ধ করেন । প্রশ্নোক্ত চরণটিতে এ কথাই প্রকাশ পেয়েছে ।

    উদ্দীপক ও ঐকতান কবিতার সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য আলোচনা করো।

    উওর: উদ্দীপকের সঙ্গে ' ঐকতান ' কবিতার সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য উভয়ই রয়েছে । ঐকতান ' কবিতায় জীবন - মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে কবি তার সীমাবদ্ধতা ও ব্যর্থতার স্বরূপ উপলব্ধি করতে পেরেছেন । তিনি বুঝতে পেরেছেন , এই বিরাট পৃথিবীর অনেক কিছুই তার অজানা ও অধরা রয়ে গেছে তিনি এও ! লক্ষ করেছেন , যে শ্রমজীবী মানুষের বিচিত্র কর্মভারে জগৎ - সংসার পরিচালিত হচ্ছে , তারাই উপেক্ষিত থেকে গেছে তার সৃষ্টিকর্মে ।উদ্দীপকের কবিতাংশে শ্রমজীবী মানুষদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হয়েছে । | কবি এখানে সমাজের অন্ত্যজ শ্রেণির উপেক্ষিত জনতার প্রতি প্রণতি জানিয়েছেন । কেননা , ব্রাত্যজন হিসেবে চিহ্নিত এসব মেহনতি মানুষের অবদানেই মানব সমাজের জয়যাত্রা সূচিত হয়েছে । তাদের শ্রম ও ঘামের এ ফলেই সভ্যতার চাকা আজও গতিশীল । এমনকি আমাদের প্রয়ােজনীয় প্রায় সকল দ্রব্যের মূল উৎপাদক তারা । উদ্দীপকের মানবদরদি কবির মতাে  ‘ ঐকতান ' কবিতার কবি তার সাহিত্যে এ শ্রেণির মানুষকে যথাযথ স্থান দিতে পারেননি । এ দিক থেকে কবিতাটি উদ্দীপকের সঙ্গে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ । তবে এ কবিতায় নিজের সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে নিয়ে শ্রমজীবী শ্রেণির অবদানকে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেছেন কবি । এছাড়া তাদের জীবনযন্ত্রণার কথকতাকে বাণীরূপ দেওয়ার জন্য তিনি আহ্বান করেছেন ভবিষ্যতের মহৎ কবির প্রতি । অন্ত্যজ শ্রেণির প্রতি কবির এ শ্রদ্ধাশীল মনােভাব উদ্দীপকের কবিতাংশের কবির মানসিকতাকেই তুলে ধরে , যা উদ্দীপকের সঙ্গে ‘ ঐকতান ' কবিতার সাদৃশ্য নির্দেশ করে।

     উদ্দীপকের আলোকে ঐকতান কবিতার মর্মার্থ বিশ্লেষণ করো।' 

    উওর:ঐকতান ' কবিতায় যুগপৎ কবি তাঁর নিজের এবং সমকালীন বাংলা সাহিত্যের সীমাবদ্ধতা উন্মােচনের পাশাপাশি শ্রমজীবী মানুষের অবদানের দিকটিকেও বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেছেন । 

     ঐকতান ' কবিতায় রবীন্দ্রনাথ সমগ্র জীবনের সাহিত্য ব্যর্থতার হিসাব খুঁজতে প্রয়াসী হয়েছেন । এরই অংশ হিসেবে আলােচ্য কবিতায় অকপটে নিজের সীমাবদ্ধতা ও অপূর্ণতার কথা ব্যক্ত করেছেন তিনি । আর তা করতে গিয়ে তার সাহিত্যে সমাজের বৃহত্তর অংশ হিসেবে শ্রমজীবীদের যথার্থ স্থান দিতে পারেননি বলে আক্ষেপ করেছেন তিনি । উদ্দীপকের কবিতাংশে কবি বিনম্রচিত্তে শ্রমজীবীদের অনবদ্য ভূমিকাকে স্মরণ করেছেন । তাদের বিচিত্র কর্মভারে সভ্যতার চাকা গতিশীল । তাদের অবদানেই আমরা সুখী ও সমৃদ্ধ জীবনযাপন করতে পারছি । আলােচ্য নাফল্য ওকবিতাংশে সমাজ সচেতন কবি তাই শ্রমজীবীদের বন্দনা করেছেন । কৃতজ্ঞতাভরে । একইভাবে ঐকতান ' কবিতার পটভূমিতেও কবি অবহেলিত শ্রমজীবীদের অবদানকে তুলে ধরতে অনাগত মৃত্তিকা - সংলগ্ন কবির আবাহন । । করেছেন । ঐকতান ' কবিতায় জীবন সায়াহ্নে দাড়িয়ে নিজের দীনতা উপলব্ধি করেছেন কবি । অন্যদিকে , উদ্দীপকের কবিতাংশের রচয়িতা একজন গণমানুষের কবি । আর তাই আলােচ্য কবিতাংশে তিনি দলিত ও উপেক্ষিত কর্মজীবীদের বন্দনা করেছেন , যা ‘ ঐকতান ' কবিতার অন্যতম বিষয় । সেখানে কবি সাধারণ মানুষের জীবনবাস্তবতার উল্লেখ না থাকাকেই তার সাহিত্যের বড় ব্যর্থতা বলে চিহ্নিত করেছেন । কারণ তিনি বিশ্বাস করেন , সমাজের বৃহত্তর অংশকে উপেক্ষা করে শিল্পসাধনা পূর্ণতা পায় না । তাই গভীর মনােবেদনা থেকে তিনি অনাগত গণমানুষের কবির আহ্বান করেছেন । তার প্রত্যাশা , অনাগত সে কবি সমাজের অন্ত্যজ শ্রেণির মানুষের আনন্দ - বেদনার অংশীদার হবেন । তাদের জীবন যাতনাকে তিনি তুলে ধরবেন মমত্বের সঙ্গে । এভাবে ‘ ঐকতান ' কবিতার মূলভাবে শ্রমজীবী শ্রেণির গুরুত্বের দিকটিই প্রাধান্য পেয়েছে ।


    সৃজনশীল প্রশ্ন নং ৬

    এইচএসসি রাজশাহী বোর্ড, কুমিল্লা বোর্ড ,চট্টগ্রাম বোর্ড ,বরিশাল বোর্ড ২০১৮ এর বাংলা প্রথম পত্র প্রশ্ন ও সমাধান


    ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনী নির্বিচারে অগণিত বাঙালিকে হত্যা করে।দেশে এমন অরাজকতা দেখে তরুণ-যুবক রফিক আর চুপ থাকতে পারে না। অপরিসীম সাহস নিয়ে সে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং জীবনের মায়া ত্যাগ করে দেশ ও দশের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করেন।


    ছাড়পত্র কাব্য গ্রন্থটি কত সালে প্রকাশিত হয়?

    উওর: ছাড়পত্র কাব্যগ্রন্থটি ১৯৪৮ সালে প্রকাশিত হয়।

    কবি কেন যৌবন শক্তির জয়গান করেছেন?

    উওর:যৌবনেরতিবাচক বৈশিষ্ট্যের জন্য কবি যৌবনশক্তির জয়গান করেছেন।

    আঠারাে বছর বয়সের তরুণরা শৈশব - কৈশােরের পরনির্ভরতার দিনগুলো । সচেতনভাবে মুছে ফেলতে উদ্যোগী হয় । এ বয়স অদম্য দুঃসাহসে সকল । বাধা - বিপত্তিকে পেরিয়ে যেতে প্রস্তুত থাকে । অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা উচু । করে দাড়াতে এ বয়সের তরুণরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে । এ বয়সের তরুণপ্রাণ কারও কাছে মাথা নিচু করে না । আর এ কারণেই কবি যৌবনশক্তির জয়গান করেছেন । 

    উদ্দীপকের রফিক আঠারো বছর বয়স কবিতার কোন বৈশিষ্ট্যের প্রতিনিধিত্ব করে? ব্যাখ্যা করো।

    উওর:উদ্দীপকের রফিকের মাঝে সাহসিকতা , উদ্দীপনা , কর্মস্পৃহা ও দুর্বার গতি লক্ষ করা যায় , যা আঠারাে বছর বয়স ' কবিতায় বর্ণিত বৈশিষ্ট্যকেই প্রতিনিধিত্ব করে।

     আলােচ্য কবিতায় আঠারাে বছর বয়সি তরুণদের অসীম সাহস ও আত্মত্যাগের মহান মন্ত্রে উজ্জীবিত হওয়ার দিকটি উঠে এসেছে । তাই তারা শত আঘাত - সংঘাতের মধ্যেও রক্তশপথ নিয়ে মানুষের কল্যাণে ঝাপিয়ে পড়তে পারে । এই বয়সি তরুণদের রয়েছে অফুরন্ত উদ্দীপনা , অসীম সাহসিকতা ও দুর্বার গতি । ফলে এই বয়সি তরুণরা স্থবিরতা , নিশ্চলতা , জরাজীর্ণতাকে অতিক্রম করতে পারে খুব সহজেই । তাই আলােচ্য কবিতায় কবি প্রগতি ও অগ্রগতির পথে এই বয়সি তরুণদের পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেছেন । উদ্দীপকে দুরন্ত - দুর্বার যৌবনকে অফুরন্ত প্রাণশক্তির আধার রূপে বর্ণনা করা হয়েছে । এখানে যুবক রফিকের মাধ্যমে অপরিসীম দেশপ্রেমের পরিচয় ফুটে উঠেছে । সে পাকিস্তানি বর্বরতা সহ্য করতে না পেরে জীবনের মায়া ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছে । তারুণ্যের হার না মানা মানসিকতার কারণেই সে দেশের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করতে পেরেছে । কারণ তারুণ্য অফুরন্ত প্রাণশক্তি নিয়ে সমস্ত বাধা পেরিয়ে এগিয়ে যায় অভীষ্ট লক্ষ্যে । আর তারুণ্যের এ বৈশিষ্ট্যই আঠারাে বছর বয়স ' কবিতায় কবি তুলে ধরেছেন । এ বয়সি তরুণদের তিনি দুঃসহ বলেছেন , যারা স্পর্ধায় মাথা তােলবার ঝুঁকি নেয় । একারণে কবি প্রত্যাশা করেছেন নানা সমস্যাপীড়িত দেশে তারুণ্য ও যৌবনশক্তি যেন জাতীয় জীবনের চালিকাশক্তি হয়ে দাড়ায় । অতএব , দেশের কল্যাণে তারুণ্যের এসকল বৈশিষ্ট্য ধারণ করায় উদ্দীপকের রফিক আঠারাে বছর বয়স ' কবিতার আঠারাে বছর বয়সি তরুণদের সার্থক প্রতিনিধি হয়ে উঠেছে । 

    আত্মত্যাগ ও মানবকল্যাণ ১৮ বছর বয়সের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য উদ্দীপক আঠারো বছর বয়স কবিতার আলোকে উক্তিটির তাৎপর্য মূল্যায়ন করো। 

    উওর:আত্মত্যাগ ও মানবকল্যাণ আঠারাে বছর বয়সের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য ’ - উদ্দীপক ও ‘ আঠারাে বছর বয়স ' কবিতার আলােকে উক্তিটি যথার্থ । 

    আলােচ্য কবিতায় কবি আঠারাে বছর বয়সকে বলেছেন দুঃসহ , দুর্বার ও নির্ভীক । এই বয়সের তরুণরা সমাজজীবনের নানা বিকার , অসুস্থতা ও সর্বনাশের অভিঘাতকে রুখে দিতে পারে । এজন্য কবি আলােচ্য কবিতার মূলভাবে আঠারাে বছর বয়সকে অদম্য প্রাণশক্তি ও দুর্বার সাহসিকতায় খুঁজে পেয়েছেন । উদ্দীপকে উঠে এসেছে দেশপ্রেমে সমুজ্জ্বল , অসীম প্রাণশক্তির আধার তারুণ্যের কথা । এখানে তরুণ রফিক দেশের মানুষের ওপর পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মমতা দেখে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছে । তারুণ্যের শক্তির জোরেই সে দেশের মানুষের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছে । অর্থাৎ রুণদের আছে সমস্যা ও বাধা পেরিয়ে যাওয়ার প্রবল মানসিক শক্তি । সেই শক্তি ও সাহসের বলেই রফিক আত্মত্যাগ করে হলেও মানবকল্যাণে নিয়ােজিত হয়েছে । আঠারাে বছর বয়স ' কবিতায় ঠিক একই চেতনার বহিঃপ্রকাশ লক্ষ করা যায় ।| আঠারাে বছর বয়স ' কবিতার মূলভাবে বলা হয়েছে , আঠারাে বছর বয়সের । আছে সমস্ত দুর্যোগ আর দুর্বিপাক মােকাবিলা করার অদম্য শক্তি । কবি তাই । সমস্যাপীড়িত এই দেশে আঠারাের তারুণ্যকে প্রত্যাশা করেছেন । অর্থাৎ , আলােচ্য কবিতা ও উদ্দীপক উভয়স্থানেই সমাজজীবনে তারুণ্যের উপস্থিতি । কামনা করা হয়েছে । আলােচ্য কবিতার কবি আঠারাে বছর বয়সি তরুণদের পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেছেন সমস্যাপীড়িত দেশের চালিকাশক্তি হয়ে দাঁড়াতে । আর উদ্দীপকে সেই ভাবের ফলস্বরূপ রফিককে দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে দেখা যায় । অর্থাৎ , আত্মত্যাগ ও মানবকল্যাণ আঠারাে বছর বয়সের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য এ দিকটি উভয়ক্ষেত্রেই সমানভাবে উঠে এসেছে ।


    সৃজনশীল প্রশ্ন নং ৭

     

    এইচএসসি রাজশাহী বোর্ড, কুমিল্লা বোর্ড ,চট্টগ্রাম বোর্ড ,বরিশাল বোর্ড ২০১৮ এর বাংলা প্রথম পত্র প্রশ্ন ও সমাধান



    রমজান ও হালিমার দশ বছরের সংসার । বিয়ের পর থেকে অনেক চেষ্টার পরও তাদের কোনাে সন্তান হয় না । অনেক খোঁজাখুঁজির পর তারা অনেক দূরের এক গ্রামে কেরামত নামক কবিরাজের সন্ধান পায় । সন্তান লাত্রে আশায় ব্যাকুল রমজান দুত হালিমাকে সেখানে নিয়ে যায় । কবিরাজ কেরামত অনেকক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে বলে , “ পেটে বেড়ি পড়ে বইলাই তাে স্ত্রীলােকের সন্তানাদি হয় না ; কারও পড়ে সাত প্যাচ , কারাে চৌদ্দ।


    মজিদ কাকে শাড়ি কিনে দিয়েছিল ?

    উওর:মজিদ হাসুনির মাকে শাড়ি কিনে দিয়েছিল । 

     ‘ ধান দিয়া কী হইব , মানুষের জান যদি না থাকে ।'— ব্যাখ্যা করো।

    উওর: প্রশ্নোক্ত উক্তিটিতে লালসালু উপন্যাসের রহিমার মাতৃহৃদয় বিচলিত হয়ে ওঠা দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে।

    মজিদের প্রথম স্ত্রী রহিমা তাকে ভক্তি ও শ্রদ্ধা করে। কিন্তু তার অল্প বয়সে দ্বিতীয় স্ত্রী জমিলার উপর নিজের প্রভাব বিস্তারের জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করে। এজন্য সে দুর্যোগপূর্ণ অন্ধকার রাতে জমিলাকে মাজারে বেঁধে রেখে আসে। মসজিদ যখন জমিলাকে ঝড় বৃষ্টির রাতে একা মাজার ধরে বেঁধে রেখেছে তখন রহিমা জমিলার কথা ভেবে বিচলিত হয়ে ওঠে। রহিমার এই উক্তির দাঁড়া মাতৃহৃদয় সন্তানের জন্য শঙ্কা প্রকাশ পেয়েছে।

    উদ্দীপকের রমজান ও লালসালু ' উপন্যাসের খালেক ব্যাপারীর মধ্যে বিদ্যমান সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য নির্ণয় করাে ।

    উওর:উদ্দীপকের রমজান ও ' লালসালু ' উপন্যাসের খালেক ব্যাপারীর চরিত্রে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য দুই’ই বিদ্যমান ।

     লালসালু ' উপন্যাসে খালেক ব্যাপারীর স্বামীভক্ত ও ধর্মভীরু স্ত্রী আমেনা । সতেরাে বছর সংসার করার পরও সে নিঃসন্তান । এছাড়া খালেক ব্যাপারীর দ্বিতীয় স্ত্রী তানু বিবির বছর বছর সন্তান জন্ম দেওয়ার বিষয়টি তার মাঝে হতাশা তৈরি করে । তাই সন্তান লাভের আশায় আমেনা বিবি আউয়ালপুরে আগত পীরের কাছ থেকে পানি পড়া খেতে চায় । কিন্তু গ্রামের ভণ্ড ধর্মব্যবসায়ী মজিদ খালেক ব্যাপারীকে সন্তান না হওয়ার কারণ হিসেবে পেটে বেড়ি পড়ার কথা বলে । আমেনা বিবির চিকিৎসার জন্য তাই সে মজিদের শরণাপন্ন হয় ।উদ্দীপকের রমজান ও হালিমা দশ বছর সংসার করার পরও তাদের কোনাে ।  স্ত্রীকে নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয় । ভণ্ড কেরামত কবিরাজ সন্তান না  হওয়ার জন্য পেটে বেড়ি পড়াকে দায়ী করে । একইভাবে উপন্যাসের । খালেক ব্যাপারীও মজিদের কথায় তার স্ত্রীর পেটের বেড়ি পরীক্ষা করতে চায় । অর্থাৎ কুসংস্কারে বিশ্বাসের দিক থেকে আলােচ্য উপন্যাসের খালেক সন্তান হয় না । অনেক খুঁজে কেরামত কবিরাজের সন্ধান পেলে রমজান তার ব্যাপারীর সাথে উদ্দীপকের রমজানের সাদৃশ্য রয়েছে । তবে উপন্যাসে বেড়ি খোঁজার জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থার উল্লেখ থাকলেও উদ্দীপকে সে বিষয়ে কোনাে আলােচনা নেই । মূলত ' লালসালু ' উপন্যাসের খালেক ব্যাপারীর পরনির্ভরশীল মনােভাব ও উদ্দীপকের রমজানের নিজের ইচ্ছায় বউকে কবিরাজের কাছে নিয়ে যাওয়ার দিক দিয়ে তাদের মধ্যে বৈসাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয় ।

    উদ্দীপকের রােমত কবিাজ এবং ' লালসালু ' উপন্যাসের মজিদের লােক ঠকানােই পেশা ” – উক্তিটি বিশ্লেষণ করাে । 

    উওর:লালসালু ' উপন্যাসে ভণ্ডপীর মজিদ চরিত্রের চাতুর্য ও কপটতার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে । 

    আলােচ্য উপন্যাসের মজিদ ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় মহব্বতনগর গ্রামে এসে প্রবেশ করে । এখানে এসে অজ্ঞাত এক কবরকে সে মােদাচ্ছের পীরের মাজার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে । এই মাজারটিকে কেন্দ্র করে তার 1 ধর্মব্যবসা শুরু হয় । কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষ দূর থেকে তার কাছে আসে পানি পড়া , তাবিজ - কবচ ইত্যাদি সংগ্রহের জন্য । তারা মাজারে মানত করে নানান জিনিস দান - সদকা দেয় । উদ্দীপকের কেরামত কবিরাজ গ্রামের মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে । সহজ - সরল মানুষ দূর - দূরান্ত থেকে তার কাছে আসে কবিরাজি চিকিৎসা নেওয়ার জন্য । কেরামতও মানুষের সরলতা ও অজ্ঞতার সুযােগ নিয়ে তাদের ঠকিয়ে নিজের ব্যবসার সমৃদ্ধি ঘটায় । লালসালু ' উপন্যাসের ভণ্ড মজিদ ও উদ্দীপকের কেরামত দুজনই ধর্মকে পুঁজি করে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে । সহজ - সরল ও কুসংস্কারে বিশ্বাসী মানুষকে ঠকানােই মূলত তাদের পেশা । এ কারণেই মজিদ মাজার | প্রতিষ্ঠা করে লােকজনের কাছ থেকে দান গ্রহণ করে এবং তাদের চিকিৎসার জন্য পানি পড়া দেয় । নানা অলৌকিক ঘটনা বর্ণনা করে সে সবার বিশ্বস্ত হয়ে ওঠে । আবার , খালেক ব্যাপারীর বউয়ের সন্তান না হওয়ার জন্য পেটে বেড়ি পড়ার কথা বলে সে । একইভাবে উদ্দীপকের কেরামত কবিরাজও মানুষের অজ্ঞতার সুযোেগ নিয়ে তাদেরকে ঠকায় । এভাবে মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করেই উদ্দীপকের কেরামত ও মজিদ উভয়েই নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে । সে বিবেচনায় বলা যায় , প্রশ্নোক্ত উক্তিটি যথার্থ ।


    সৃজনশীল প্রশ্ন নং ৮

    এইচএসসি রাজশাহী বোর্ড, কুমিল্লা বোর্ড ,চট্টগ্রাম বোর্ড ,বরিশাল বোর্ড ২০১৮ এর বাংলা প্রথম পত্র প্রশ্ন ও সমাধান


    বাড়িতে দুই বউ থাকার পরও বজলু চৌকিদার গতমাসে প্রথম স্ত্রীর অর্ধেক বয়সের একটি মেয়েকে বিয়ে করে ঘরে এনেছে।এই অল্প বয়সী বউকে বজলু কারো সামনে আসতে দেয় না। তার কথায় অন্যথা হলে বউকে কড়া শাসন করে।একদিন পাশের বাড়ির ছেলের সাথে কথা বলার অপরাধে ছোট বউকে শীতের রাতে ঘরের বাইরে বেঁধে রাখে সে। এ ঘটনায় প্রথম বউ খুব কষ্ট পায় এবং সারা রাত যে ঘুমায় না আবার কম বয়সী মেয়েটাকে ঘরে ডেকে নেবে এমন সাহস পায়না।

    মজিদকে দেখে প্রথমে জমিলার কি মনে হয়েছিল?

    উওর: মসজিদকে দেখে প্রথমে জমিলার দুলার (বরের) বাবা মনে হয়েছিল।

    জমিলা মজিদের মুখে থুতু দিয়েছিল কেন?

     উওর: মজিদ তার দ্বিতীয় স্ত্রী জমিলাকে শাস্তি দিতে জোর করে মাজারের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার সময় জমিলা নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে মজিদের মুখে থুতু দিয়েছিল।

    মজিদের আদেশে নামাজ পড়তে গিয়ে জমিলা জায়নামাজ এই ঘুমিয়ে পড়ে। বিষয়টি লক্ষ্য করে মজিদ জমির ওপর ফুলে ওঠে। জমিলা কে শাস্তি দেওয়ার জন্য সে তার হাত ধরে টানতে টানতে মাজারের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু জমিলা মাঝ উঠোনে এসে আর সামনে এগোতে চায় না।সে সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করে মসজিদের মুষ্টি থেকে নিজের হাত ছাড়াতে পারে না তখন সে হঠাৎ সোজা হয়ে মসজিদের কাছে এসে তার মুখে থুথু নিক্ষেপ করে।

    উদ্দীপকের বজলু চৌকিদারের মানসিকতা লালসালু উপন্যাসের কোন চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে? তোমার মতামত আলোচনা করো।

    উ: উদ্দীপকে বজলু চৌকিদার লালসালু উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র গজিদের প্রতিনিধিত্ব করে । 

    লালসালু ’ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র মজিদ । তার প্রথম স্ত্রী রহিমার বিয়ের অনেক দিন পরও সন্তান হয় না । তাই সন্তান লাভের আশায় সে দ্বিতীয় বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয় । নিজের বাসনা চরিতার্থ করতে সে অল্পবয়সি জমিলাকে বিয়ে করে । কিশােরী জমিলা তার চাঞল্যের কারণে মজিদের সব কথা মেনে চলাতে চায় না । এ কারণে , মজিদ তাকে রাতের অন্ধকারে মাজারে একা বেঁধে রাখাসহ নানাভাবে শাস্তি প্রদান করে । মজিদের এসকল আচরণের মাধ্যমে তার চরিত্রের নিষ্ঠুর ও ঘৃণ্য দিকটির পরিচয় পাওয়া যায় । উদ্দীপকের বজলু চৌকিদারের মাঝেও বহু বিয়ে করার মানসিকতা পরিলক্ষিত হয় । দুই স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও সে প্রথম স্ত্রীর অর্ধেক বয়সি আরেকটি মেয়েকে বিয়ে করে । এই অল্পবয়সি স্ত্রীকে বজলু চৌকিদার অন্য কোনো মানুষের সামনে যেতে বা তাদের সাথে কথা বলতে দেয় না । তার কথার অবাধ্য হলে নানাভাবে স্ত্রীকে শাস্তি দেয় । মজিদও প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও অল্পবয়সি জমিলাকে বিয়ে করে ও তার কথা না মানলে নানাভাবে শাস্তি দেয় । তাই বলা যায় , পূর্বের স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও বহু বিয়ে করার ইচ্ছা ও নিষ্ঠুর মানসিকতার কি থেকে উদ্দীপকের বজলু চৌকিদার চরিত্রটি ' লালসালু ' উপন্যাসের মজিদ চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে । 

    উদ্দীপকের আলোকে লালসালু উপন্যাসের মজিদ চরিত্র বিশ্লেষণ করো।

    উওর: লালসালু ' উপন্যাসে ভণ্ড ধর্মব্যবসায়ী মজিদ চরিত্রের বিভিন্ন দিক উপস্থাপন করা হয়েছে ।

     আলােচ্য উপন্যাসের মজিদ একজন ভণ্ড ও প্রতারক । ভাগ্য পরিবর্তনের ভাষায় মহব্বতনগর গ্রামে আসে সে । এখানে এসে একটি অজ্ঞাত কবরকে মাজার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে নিজের প্রভাব বিস্তার করে । সে এই গ্রামের একটি মেয়েকে বিয়ে করে । কিন্তু সন্তান না হওয়ায় পরবর্তীকালে অল্পবয়সি জমিলাকে দ্বিতীয় বিয়ে করে । চলা জমিলা মজিদের ধর্মব্যবসার দিকটিকে গুরুত্ব দেয় না । তাই সে মজিদের কথার অবাধ্য হয় । এ কারণে মজিদ জমিলাকে বশে আনার জন্য নানারকম শাস্তি প্রদান করে ; এমনি রাতের অন্ধকারে মাজারে বেঁধে রাখে । উদ্দীপকের বজলু চৌকিদারও দুই বউ থাকার পরও অল্পবয়সি একটি মেয়েকে বিয়ে করে ঘরে আনে । সে বউকে অনেক শাসন করে এবং কারও সাথে থা বলতে দেয় না । তার বউ পাশের বাড়ির ছেলের সাথে কথা বলার অপরাধে শীতের রাতে তাকে ঘরের বাইরে বেঁধে রাখে সে । লালসালু ' উপন্যাসের মজিদ ও উদ্দীপকের বজলু চৌকিদার দুজনই নিজেদের প্রভাব বিস্তারের জন্য বউদের অত্যাচার করে । মজিদ মহব্বতনগর গ্রামে এসে নিজেকে বিশ্বাসী ও শক্তিশালী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে ধর্মকে অবলম্বন করে । সে গ্রামের সহজ - সরল মানুষের আজ্ঞতার সুযােগে মাজারকেন্দ্রিক ব্যবসা শুরু করে । গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে বিচার সালিশেও সে উপস্থিত থাকে । কিন্তু সন্তান কামনার আশায় সে অল্পবয়সি জমিলাকে বিয়ে করলে নতুন বউ তার অবাধ্য হয় । ফলে সে বউকে নানারকম শাস্তি প্রদান করে । আবার , উদ্দীপকের বজলু চৌকিদার তৃতীয়বার বিয়ে করার পর অল্প বয়সী বউকে অবিশ্বাস্য সন্দেহের কারণে কারো সামনে আসতে দেয় না। আলোচ্য উপন্যাস উদ্দীপকে বউকে বশে রাখার জন্য অত্যাচারের দিকটিতে মজিদ ও বজলুর মিল রয়েছে। কিন্তু বজলুকে মজিদের মতো ভণ্ড প্রতারক অর্থলোভী চরিত্রে উপস্থাপন করা হয়নি। মূলত লালসালু উপন্যাসে মজিদ চরিত্রের কূটকৌশলের নানাদিক উপস্থাপিত হয়েছে।


    সৃজনশীল প্রশ্ন নং ৯

    এইচএসসি রাজশাহী বোর্ড, কুমিল্লা বোর্ড ,চট্টগ্রাম বোর্ড ,বরিশাল বোর্ড ২০১৮ এর বাংলা প্রথম পত্র প্রশ্ন ও সমাধান


     ব্যাংক ম্যানেজার মনােয়ার হােসেন অত্যন্ত সরলমনা ও উদার প্রকৃতির মানুষ । ব্যাংকের প্রতিটি কর্মচারীকে তিনি অগাধ বিশ্বাস করেন । তার মামার অনুরােধে মাকসুদ হাসান নামের এক ব্যক্তিকে তিনি ক্যাশিয়ার পদে নিয়ােগ দেন এবং সিন্দুকের চাবি হস্তান্তর করেন । একদিন রাতের অন্ধকারে নৈশপ্রহরীর সহায়তায় মাকসুদ হাসান ব্যাংকের সকল অর্থসম্পদ আত্মসাৎ করে আত্মগােপন করে।


    সিরাজউদ্দৌলা ' নাটকের প্রথম সংলাপ কার ? 

    উওর:সিজউদ্দৌলা ' নাটকের প্রথম সংলাপ ক্যাপ্টেন ক্লেটনের । 

    রবার্ট ক্লাইভ নারীর ছদ্মবেশে মিরনের বাড়িতে এসেছিল কেন?

    উওর:গুপ্তচরের চোখ ফাঁকি দিয়ে নবাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে যােগ দিতে রবার্ট ক্লাইভ নারীর ছদ্মবেশে মিরনের বাড়িতে এসেছিল ।

     নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে সিংহাসনচ্যুত করতে রবার্ট ক্লাইভ এবং নবাবের অমাত্যবর্গ মিনের বাড়িতে গােপন বৈঠক ডাকে । বৈঠকে মিরজাফর , ওয়াটস , রায়দুর্লভসহ সমস্ত বিশ্বাসঘাতকেরা উপস্থিত হয় । নবাবের গুপ্তচরেরা যেন এই গােপন বৈঠকের খবর না পায় এবং তাদের ধরতে না পারে সেজন্য রবার্ট ক্লাইভ নারীর ছদ্মবেশ ধারণ করে মিরনের বাড়িতে উপস্থিত হয়।

    উদ্দীপকের যে বিষয়গুলাে ‘ সিরাজউদ্দৌলা ' নাটকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ তার তুলনামূলক আলােচনা করাে । 

    উওর:উদ্দীপকে ব্যাংক ম্যানেজারের সরল বিশ্বাস এবং মাকসুদ হাসানের প্রতারণার বিষয়টি ‘ সিরাজউদ্দৌলা ' নাটকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ । 

    সিরাজউদ্দৌলা ' নাটকে নবাব ছিলেন উদার ও সরলমনা । নবাবের এ ধরনের মানসিকতার সুযােগ নিয়েছিল মিরজাফর ও তার দোসরেরা । তারা গােপনে ইংরেজদের সাথে পরামর্শ করে সিরাজউদ্দৌলাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র করে । বিশ্বাসঘাতক অমাত্যদের দ্বারা প্রতারিত হয়ে নির্মম পরিণতির শিকার হন নবাব । উদ্দীপকে ব্যাংক ম্যানেজার মনােয়ার হােসেন উদার প্রকৃতির মানুষ । তাই মাকসুদ হাসান নামের লােকটির প্রতি সহজেই নির্ভর করেছিলেন তিনি । কিন্তু মাকসুদ হাসান ব্যাংক ম্যানেজারের এই বিশ্বাসের মর্যাদা রাখেননি । তিনি গােপনে নৈশপ্রহরীর সহায়তায় ব্যাংকের সকল অর্থ সম্পদ আত্মসাৎ করে আত্মগােপন করেন । ব্যাংক ম্যানেজারের উদারতার বিপরীতে মাকসুদ হাসানের এ প্রতারণার বিষয়টি সিরাজউদ্দৌলা ' নাটকে বর্ণিত নবাবের সাথে অমাত্যবর্গের বিশ্বাসঘাতকতাকেই মনে করিয়ে দেয়।

    নবাব সিরাজউদ্দৌলার অদূরদর্শিতাসমূহ উদ্দীপকের ব্যাংক ম্যানেজারের আলােকে বিশ্লেষণ করাে । 

    উওর:উদ্দিপকের ব্যাংক ম্যানেজারের মতােই সিরাজউদ্দৌলা নাটকের নবাবও অদূরদর্শিতার কারণে প্রতারিত হয়েছিলেন । 

    আলােচ্য নাটকে নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে বেশ কিছু অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যায় । তিনি সহজেই তার অমাত্যবর্গকে বিশ্বাস করেছিলেন । মিরজাফর ও তার দোসরদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আভাস পেয়েও তাদের বিরুদ্ধে কঠোর কোনাে পদক্ষেপ নেননি তিনি । উল্টো মিরজাফরের ওপরই পলাশির যুদ্ধের দায়িত্বভার অর্পণ করেছেন । ফলে চরম মূল্য দিতে হয়েছে তাঁকে । মিরজাফর ও তার সহযােগীদের বিশ্বাসঘাতকতায় বাংলার স্বাধীনতা বিসর্জন দিতে বাধ্য হয়েছেন নবাব সিরাজউদ্দৌলা । উদ্দীপকে ব্যাংক ম্যানেজারের মধ্যে দূরদর্শিতার অভাব লক্ষণীয় । তিনি মামার অনুরােধে ভালাে - মন্দ না ভেবেই মাকসুদ হাসানকে ক্যাশিয়ার পদে চাকরি দিয়েছেন । আবার সরল বিশ্বাসের কারণে তার কাছে । সিন্দুকের চাবিও হস্তান্তর করেছেন । আর এই সুযােগ নিয়ে অসৎ চরিত্রের মাকসুদ ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ করে পালিয়েছেন । এ ঘটনায় ব্যাংক ম্যানেজারের অদূরদর্শিতা অনেকাংশেই ভূমিকা রেখেছে । ‘ সিরাজউদ্দৌলা ' নাটকে নবাবের পরিণতির জন্য তার অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত পরােক্ষ ভূমিকা পালন করেছে । তিনি যদি মিরজাফর ও তার অনুগতদের ওপর নির্ভর না করতেন তাহলে তাকে করুণ পরিণতি বরণ করতে হতাে । । উদ্দীপকের ব্যাংক ম্যানেজারের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযােজ্য । তিনিও ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন । সময়ােচিত সিদ্ধান্তই তাদের দুজনকে দুঃখজনক পরিণতি থেকে রক্ষা করতে পারত । তাই নিশ্চিতভাবেই বলা যায় , অদূরদর্শী সিদ্ধান্তই উদ্দীপকের ব্যাংক ম্যানেজার এবং আলােচ্য নাটকের নবাব সিরাজউদ্দৌলার নির্মম পরিণতির কারণ।

    Post a Comment

    0Comments

    প্রতিদিন ১০০-২০০ টাকা ইনকাম করতে চাইলে এখানে কমেন্ট করে জানান। আমরা আপনায় কাজে নিয়ে নেবো। ধন্যবাদ

    Post a Comment (0)