"সংস্কৃতি কথা" প্রবন্ধের মূল বক্তব্য আলোচনা করো | ধর্ম ও মতবাদ সংস্কৃতির পরিপন্থী কেন আলােচনা কর | ধার্মিক ও সংস্কৃতিবানের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধর

Admin
0
 
"সংস্কৃতি কথা" প্রবন্ধের মূল বক্তব্য আলোচনা করো

       
       

    "সংস্কৃতি কথা" প্রবন্ধের মূল বক্তব্য আলোচনা করো

    উত্তরঃ ধর্ম সাধারণ লোকের সংস্কৃতি আর সংস্কৃতি শিক্ষিত ও মার্জিত লোকের ধর্ম।সংস্কৃতি মানে উন্নতর জীবন সম্পর্কে চেতনা, সৌন্দর্য্য, আনন্দ-প্রেম, সম্পর্কে ধারণা। সাধারণ মানুষ ধর্মের মারফতেই তা পেয়ে থাকে। তাই তাদেরকে ধর্ম থেকে বঞ্চিত করা আর সংস্কৃতি থেকে বঞ্চিত করা সমান কথা। ধর্ম হচ্ছে জীবনের নিয়ন্ত্রণ। কাদেরকে নিয়ন্ত্রিত করে । ধর্ম মানুষকে পাপ থেকে , পতন থেকে রক্ষা করে ; কিন্তু মানুষের জীবনকে বিকশিত করে না । জীবনের নের বিকাশ সাধন করা । মনুষ্যত্বের বিকাশই সবচেয়ে বড় কথা । চলার পথে সে স্থলন পতন থেকে রক্ষা পাওয়াটাই বড় কথা না । তাই জীবনের গােলাপ ফোটাতে গিয়ে দু'একটা কাঁটা এসে গেলে সংস্কৃতিবান মানুষের তাতে ক্ষতি নেই । সমাজ সাধারণভাবে যেকে সৃষ্টি করে , মানুষ আবার নিজেকে গড়ে তােলে শিক্ষাদীক্ষা ও সৌন্দর্য সাধনার সহায়তায় । এই যে নিজেকে বিশেষভাবে গড়ে হেলা এরই নাম সংস্কৃতি । তাই সংস্কৃতিবান মানুষ স্বতন্ত্র সত্তা এবং আলাদা মানুষ । নিজের চিন্তা , নিজের ভাবনা ও নিজের কল্পনার | বিকাশ না হলে কালচার্ড বা সংস্কৃতিবান হওয়া যায় না । ধার্মিকের জীবন নিয়ন্ত্রণ করে ভয় আর পুরস্কারের লােভ । সংস্কৃতিবান মানুষের জীবনে ওসবের বালাই নেই । তারা সব কিছু করে ভালােবাসার তাগিদে । সত্যকে ভালােবাসা , সৌন্দর্যকে ভালােবাসা , | ভালােবাসাকে ভালােবাসা , বিনা লাভের আশায় ভালােবাসা , নিজের ক্ষতি স্বীকার করে ভালােবাসার নামই সংস্কৃতি । সংস্কৃতি মানে জীবনের values সম্পর্কে ধারণা । ধর্মের মতবাদ বা আদর্শও তা ধ্বংস করে দিতে পারে । তাই সে সম্পর্কে সাবধান হওয়া দরকার । মতীতে ধর্ম ঈশ্বরকে আচ্ছন্ন করেছিল , বর্তমানে মতবাদ বা আদর্শ মনুষ্যত্বকে আচ্ছন্ন করতে পারে । অনেকে আবার সংস্কারমুক্তিকেই সভৃতি বলে মনে করে । কিন্তু তা সত্য নয় । সংস্কারমুক্তি সংস্কৃতির একটি শর্তমাত্র । তাও অনিবার্য শর্ত নয় । অনিবার্য সত্য হচ্ছে ল্যবােধ । সংস্কারমুক্তি ছাড়াও সংস্কৃতি হতে পারে কিন্তু মূল্যবােধ ছাড়া সংস্কৃতি হতে পারে না । কবিতার মতাে বলতে গেলে বলতে স্ব সংস্কৃতি মানে সুন্দরভাবে , বিচিত্রভাবে মহভাবে বাঁচা । প্রকৃতি ও সংসার , মানব ও সংসারের মতাে অসংখ্য অনুভূতির শিকড় চালিয়ে দিয়ে বিচিত্র রস টেনে নিয়ে বাঁচা । মহত্ত্বের জীবনদানে নর - নারীর বিচিত্র সুখদুঃখে , ভ্রমণ কাহিনীর মারফতে , ইতিহাসের কতে , মানবসভ্যতার ক্রমবিকাশে , জীবনকাহিনীর মারফতে , জীবনের দুঃখ নিবারণের অঙ্গীকারে প্রচুরভাবে , গভীরভাবে বাঁচাই স্বকৃতি । বিশ্বের বুকে বুক মিলিয়ে , সবার পরশে পবিত্র করা তীর্থনীরে ’ স্নাত হয়ে বাঁচার নামই সংস্কৃতি । ২. সংস্কৃতি কথা প্রবন্ধের মূল বক্তব্য আলােচনা কর । | p জনা ; সৌন্দর্য , আনন্দ - প্রেম সম্পর্কে ধারণী । সাধারণ মানুষ ধর্মের মারফতেই তা পেয়ে থাকে । তাই তাদেরকে ধর্ম থেকে বঞ্চিত মা আর সংস্কৃতি থেকে বঞ্চিত করা এক কথা । ধর্ম হচ্ছে জীবনের নিয়ন্ত্রণ । কিন্তু সংস্কৃতিবান মানুষেরা সংস্কৃতির মাধ্যমেই ।

    ধর্ম ও মতবাদ সংস্কৃতির পরিপন্থী কেন আলােচনা কর

    ধর্ম ও মতবাদ সংস্কৃতির পরিপন্থী কেন আলােচনা কর 

     উত্তর : প্রগতিশীল জীবনদৃষ্টি সমাজ , রাজনীতি , ইতিহাস , ধর্মনিরপেক্ষ ও বিজ্ঞান মনস্ক বিয়ষচেতনা বাংলাদেশের প্রবন্ধ কায় মােতাহের হােসেন চৌধুরীকে বিশিষ্ট চিহ্নিত করেছে । মােতাহের হােসেন চৌধুরীর ‘ সংস্কৃতি কথা ’ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ । এই বন্ধে তিনি ধর্ম ও সংস্কৃতি সম্পর্কে এক অসাধারণ ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন । নিম্নে ধর্ম ও মতবাদ সংস্কৃতির পরিপন্থী কেন তার যাখ্যা দেওয়া হলাে :

     নিজের চিন্তা - ভাবনা ও কল্পনার বিকাশ না হলে কালচার্ড হওয়া যায় না । তাই সংস্কৃতিবান মানুষ সমাজের গণ্ডিতে বেড়ে উলেও নিজেকে সে গড়ে তােলে শিক্ষা - দীক্ষা ও সৌন্দর্য সাধনার দ্বারা । ধার্মিকের জীবন নিয়ন্ত্রিত হয় ভয় ও লােভ দ্বারা । এক্ষেত্রে সংস্কৃতিবান ব্যক্তি ধার্মিকের ন্যায় পারলৌকিক স্বর্গ কামনা না করে নিজের মধ্যে নিজেই সে স্বর্গ গড়ে তােলে । অপরদিকে ধর্মের ন্যায় | মতবাদও মানুষের আত্বাকে সংকীর্ণ করে । তার একমুখী চিন্তা সত্য ও সুন্দরের পথকে রুদ্ধ করে ফেলে । তাই ধর্ম ও মতবাধ উভয়ই জলচারের পরিপন্থী । ধর্ম মানুষকে পাপ থেকে রক্ষা করে পারলৌকিক স্বর্গে নিয়ে যায় । আর কালচার চায় মানুষকে বিকশিত পতে । সংস্কৃতির কথা গােলাপ তুলতে গিয়ে তার সাথে যদি দু একটি কাঁটা এসেও যায় তাতে ক্ষতি নেই । অপর দিকে জীবনের আলাপ ফোটানাের দিকে ধর্মের নজর নেই , বৃক্ষটিকে নিষকন্টক রাখাই তার উদ্দেশ্য । পরম বেদনায় অসংখ্য দুঃখের কাঁটায় বিক্ষত হয়ে অন্তরে গােলাপ ফোটানােই সংস্কৃতির শিক্ষা ।

    ধার্মিক ও সংস্কৃতিবানের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধর

    ধার্মিক ও সংস্কৃতিবানের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধর 

    উত্তর : প্রগতিশীল জীবনদৃষ্টি সমাজ , রাজনীতি , ইতিহাস , ধর্মনিরপেক্ষ ও বিজ্ঞান মনস্ক বিয়ষচেতনা বাংলাদেশে ধারায় মােতাহের হােসেন চৌধুরীকে বিশিষ্ট চিহ্নিত করেছে । মােতাহের হােসেন চৌধুরীর সংস্কৃতি কথা ' একটি গুরুত্বপর্ণ এই প্রবন্ধে তিনি ধর্ম ও সংস্কৃতি সম্পর্কে এক অসাধারণ ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন । নিম্নে ধার্মিক ও সংস্কৃতিবানের মধ্যে পার্থক ধরা হলাে : 

    ধার্মিক ও স্কৃতিবানের মধ্যে পার্থক্য : ধার্মিক ইন্দ্রিয় সাধনার পরিপন্থি । অপরদিকে সংস্কৃতিবান ব্যক্তি ইন্ডিয়া পঞ্চপ্রদীপ জ্বেলে জীবনকে উপলব্ধি করে থাকে । ধার্মিকেরা মতবাদীর মতােই নিষ্ঠুর এবং আত্মকেন্দ্রিক । তারা ভয় এবং বশবর্তী হয়ে জীবনকে পরিচালিত করে থাকে । কিন্তু সংস্কৃতিবাদীরা আত্মার ডাকে সাড়া দিয়ে আমিত্বকে প্রকাশ করে থাকে কোনাে বন্ধন নেই । মুক্ত চিন্তার অসংখ্য পথ তার সামনে থাকে । তাই সংস্কৃতিবান ব্যক্তি উদার আকাশের মতাে । জীবনের সমন্ধে ধারণাই তার কাছে বড় হয়ে দাঁড়ায় ।

     আলােচনার পরিসংহারে বলা যায় , সুন্দরভাবে , বিচিত্রভাবে , মহৎভাবে বাঁচার মধ্যেই রয়েছে সংস্কৃতিবানদের ধর্ম আই সাধনার পরিপন্থী হয়ে লােভ আর ভয়ের মধ্যেই রয়েছে সাধারণের ধর্ম । এক কথাই ধূলাের ধরায় স্বর্গ গড়ে তােলার নামই সংস্কৃতি।

    টাগঃ "সংস্কৃতি কথা" প্রবন্ধের মূল বক্তব্য আলোচনা করো, ধর্ম ও মতবাদ সংস্কৃতির পরিপন্থী কেন আলােচনা কর, ধার্মিক ও সংস্কৃতিবানের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধর্‌

    Post a Comment

    0Comments

    প্রতিদিন ১০০-২০০ টাকা ইনকাম করতে চাইলে এখানে কমেন্ট করে জানান। আমরা আপনায় কাজে নিয়ে নেবো। ধন্যবাদ

    Post a Comment (0)