সমাসের নাতি পুতি সব গুলোর খুব সহজ টেকনিক দেখে নিন এখানে

Admin
1
সমাস চেনার সহজ উপায়ঃ আপনাদের জন্য আজকে নিয়ে হাজির হলাম সমাস অধ্যায় নিয়ে। আশা করি এই পোস্টটি পড়ার পর আর কারো সমাস চেনার উপায় কারো থেকে জানা লাগবেনা। এই পোস্টে আমি চেষ্টা করেছি সমাস কি,  সমাস কত প্রকার, সমাস কি কি তার আলোচনা করতে টেকনিকালি ভাবে। সমাস আসলেই সোজা বুঝতে পারলে। খুব মনযোগ দিয়ে পড়বেন এই সমাস পোস্টটি। তাহলে দেখবেন শিখা হয়ে গেছে আপনার এই সমাস অধ্যায়টি।   দ্বিগু সমাসের উদাহরণ | দ্বিগু সমাসে কোন পদের প্রাধান্য থাকে | দ্বিগু সমাসের প্রকারভেদ | দ্বিগু সমাসের উদাহরণ কোনটি দ্বিগু সমাসঃ  যে সমাসের পূর্বপদ সংখ্যাবাচক এবং সমাসটি  সমষ্টি অর্থ প্রকাশ করে, তাকে দ্বিগু সমাস বলে।     দ্বিগু সমাস চেনার উপায় | দ্বিগু সমাস চেনার কৌশল আচ্ছা, দ্বিগু শব্দের “দ্বি ” মানে কী?  দ্বিতীয় শব্দে “দ্বি ” আছে না? আমরা ২  বুঝাতে “দ্বি ” শব্দটি ব্যবহার করি। ২ মানে  কী? একটি সংখ্যা। তাহলে যে শব্দে  সংখ্যা প্রকাশ পাবে এখন থেকে  সেটাকেই “দ্বিগু ” সমাস বলে ধরে  নিবেন। যেমন পরীক্ষায় আসলো শতাব্দী  কোন সমাস? আচ্ছা শতাব্দী মানে হল শত  অব্দের সমাহার। অর্থাৎ প্রথমেই আছে “শত  ” মানে একশ, যা একটি সংখ্যা। সুতরাং এটি  দ্বিগু সমাস। একইভাবে ত্রিপদী ( তিন  পদের সমাহার)এটি ও দ্বিগু সমাস। কারণ  এখানে ও একটি সংখ্যা (৩) আছে। এবার  যেকোন ব্যাকরণ বই নিয়ে দ্বিগু সমাসের  যত উদাহরন আছে সব এই সুত্রের সাহায্যে  মিলিয়ে নিন।  কর্মধারয় সমাস | কর্মধারয় শব্দের অর্থ | কর্মধারয় সমাস চেনার উপায় | মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ কোনটি |  কর্মধারয় সমাসে কোন পদ প্রধান      এবার আসি কর্মধারয় সমাসে। খুব বেশি  আসে পরীক্ষায় এখান থেকে। কর্মধারয়  সমাসে “যে /যিনি/যারা ” এই শব্দগুলো  থাকবেই। যেমন: চালাকচতুর – এটি কোন  সমাস? চালাকচতুর মানে ‘যে চালাক সে  চতুর ‘ তাহলে এখানে ‘যে ‘ কথাটি  আছে,অতএব এটি কর্মধারয় সমাস। তবে  কর্মধারয় সমাস ৪ প্রকার আছে। মুলত এই ৪  প্রকার থেকেই প্রশ্ন বেশি হয়। প্রথমেই  আসুন মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস চিনি।  নামটা খেয়াল করুন, মধ্যপদলোপী। মানে  মধ্যপদ অর্থাৎ মাঝখানের পদটা লোপ  পাবে মানে চলে যাবে। সহজ করে বললে  হয়, যেখানে মাঝখানের পদটা চলে যায়  সেটিই মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস।  যেমনঃ সিংহাসন - কোন সমাস? সিংহাসন  মানে ‘সিংহ চিহ্নিত যে আসন ‘। তাহলে  দেখুন এখানে ‘সিংহ চিহ্নিত যে আসন ‘  বাক্যটি থেকে মাঝখানের “চিহ্নিত ”  শব্দটি বাদ দিলে অর্থাৎ মধ্যপদ “চিহ্নিত ”  শব্দটি লোপ পেলে হয় “সিংহাসন “।  যেহেতু মধ্যপদলোপ পেয়েছে, অতএব এটি  মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস। উপমান  কর্মধারয় সমাস কিভাবে চিনবেন ?  যদি ২টি শব্দ তুলনা করা যায় তবে সেটি  হবে উপমান কর্মধারয় সমাস। যেমনঃ  তুষারশুভ্র – কোন সমাসের উদাহরন? এটি  পরীক্ষায় অনেকবার এসেছে। শব্দটি  খেয়াল করুন “তুষারশুভ্র “। তুষার মানে বরফ,  আর শুভ্র মানে সাদা। বরফ তো দেখতে  সাদা। তাহলে তো এটি তুলনা করা যায়।  অতএব এটি উপমান কর্মধারয়। একইভাবে  “কাজলকালো “এটিও উপমান কর্মধারয়  সমাস। কারণ কাজল দেখতে তো কালো  রঙেরই হয়। তার মানে তুলনা করা যাচ্ছে।  অতএব এটি উপমান কর্মধারয়। এটি অন্যভাবে  ও মনে রাখা যায়। উপমান মানে Noun +  Adjective. যেমন তুষারশুভ্র শব্দটির তুষার  মানে বরফ হল Noun, আর শুভ্র মানে সাদা হল  Adjective। কাজলকালো শব্দটির কাজল হল  Noun, এবং কালো হল Adjective। অতএব Noun +  Adjective = উপমান কর্মধারয় সমাস।   উপমিত কর্মধারয় মানে যেটা তুলনা করা যাবে  না। বিগত বছরের একটি প্রশ্ন ছিল :সিংহপুরুষ  – কোন সমাসের উদাহরণ? খেয়াল করুন  শব্দটি। সিংহপুরুষ মানে সিংহ আর পুরুষ।  আচ্ছা সিংহ কি কখনো পুরুষ হতে পারে  নাকি পুরুষ কখনো সিংহ হতে পারে? একটা  মানুষ আর অন্যটা জন্তু, কেউ কারো মত  হতে পারেনা। অর্থাৎ তুলনা করা যাচ্ছে  না। তার মানে যেহেতু তুলনা করা  যাচ্ছেনা, অতএব এটি উপমিত কর্মধারয়  সমাস। চন্দ্রমুখ শব্দটি কোন সমাস? খেয়াল  করুন মুখ কি কখনো চাঁদের মত হতে পারে,  নাকি চাঁদ কখনো মুখের মত হতে পারে?  কোনোটাই কোনটার মত হতে পারেনা।  অর্থাৎ তুলনা করা যাচ্ছে না। তার মানে  যেহেতু তুলনা করা যাচ্ছেনা, অতএব এটি  উপমিত কর্মধারয় সমাস। এটিও অন্যভাবে  মনে রাখা যায়। উপমিত মানে Noun+ Noun.  যেমন - পুরুষসিংহ শব্দটির পুরুষ ও সিংহ দুটোই  Noun। অর্থাৎ Noun+ Noun। একইভাবে চন্দ্রমুখ  শব্দটির চন্দ্র ও মুখ দুটিই Noun । অর্থাৎ Noun+  Noun। অতএব । অর্থাৎ Noun+ Noun= উপমিত  কর্মধারয় সমাস  রুপক কর্মধারয় সমাস  এটিও খুব সোজা। রুপ- কথাটি থাকলেই রুপক  কর্মধারয়। যেমনঃ বিষাদসিন্ধু -এটি কোন  সমাস? বিষাদসিন্ধু কে বিশ্লেষণ করলে হয়  “বিষাদ রুপ সিন্ধু “। যেহেতু এখানে রুপ  কথাটি আছে, অতএব এটি রুপক কর্মধারয়  সমাস। একইভাবে মনমাঝি -মনরুপ মাঝি,  ক্রোধানল -ক্রোধ রুপ অনল, এগুলো ও রুপক  কর্মধারয় সমাস, যেহেতু রুপ কথাটা আছে।  বাংলা ব্যাকরণ এর নিয়মানুসারে ব্যাকরণ  বুঝতে গেলে বিসিএস বা অন্য কোন  চাকরির জন্য আর প্রস্তুতি নেয়াটা অনেক  কঠিন হয়ে যাবে। কারণ বইতে যে ভাষায়  ব্যাখ্যা করা আছে তা বুঝা আর এভারেস্ট  জয় করা সমান কথা। তাই চেষ্টা করলাম সহজ  ভাষায় উপস্থাপন করতে।    সমাসের_নিয়ম | সমাস কত ভাবে নির্ণয় করা যায়    সমাস দুই ভাবে নির্ণয় করা যায়।  ১) সমস্তপদ দিয়ে  ২) ব্যাসবাক্য দিয়ে  .  প্রায় সবাই সমস্তপদ দিয়ে সমাস নির্ণয় করে। কিন্তু আমরা ২ নাম্বার পদ্ধতি অবলম্বন করবো।  .  প্রথমে পূর্বপদ, পরপদ, মধ্যপদ, সমস্তপদ, ব্যাসবাক্য চিনবো।  মুখ চন্দ্রের ন্যায় = মুখচন্দ্র।  এখানে, পূর্বপদ= মুখ  পরপদ= ন্যায়  মধ্যপদ= চন্দ্রের  সমস্তপদ= মুখচন্দ্র  ব্যাসবাক্য= মুখ চন্দ্রের ন্যায়।  অর্থাৎ ব্যাসবাক্যের প্রথম অংশ পূর্বপদ, মাঝের অংশ মধ্যপদ আর শেষের পদ হলো পরপদ আর এসবের সমষ্টি সমস্তপদ।  সমাস চেনার উপায় | সমাস নির্ণয়ের সহজ উপায়    দ্বন্দ্ব সমাসঃ ব্যাস বাক্যের মাঝখানে ও/ এবং/আর থাকবে।  যেমনঃ আমি, তুমি ও সে= আমরা [মাঝখানে ও আছে]    অলুক দ্বন্দ্বঃ ব্যাসবাক্যের মাঝখানে ও/এবং/আর ইত্যাদি থাকবে এবং পূর্বপদের বিভক্তি লোপ পাবে না।  যেমনঃ দুধে ও ভাতে =দুধেভাতে। [দুধে শব্দের বিভক্তি লোপ পায় নি]  .   কর্মধারয় সমাসঃ  ব্যাসবাক্যের মাঝখানে যে থাকবে এবং যিনি........তিনি, যে......সে, যাহা......তাহা থাকবে।  কর্মধারয় সমাস ৪ প্রকার।    মধ্যপদলোপী কর্মধারয়ঃ ব্যাসবাক্যের মাঝখানের পদ লোপ পাবে।  যেমনঃ হিমালয় নামক পবর্ত = হিমালয়পবর্ত। [এখানে?মাঝখানের " নামক" পদটি লোপ পেয়েছে]    উপমান কর্মধারয়ঃ ব্যাসবাক্যের মাঝখানে "ন্যায়" থাকবে।  যেমনঃ শশের (খরগোশের) ন্যায় ব্যস্ত = শশব্যস্ত।    উপমিত কর্মধারয়ঃ ব্যাসবাক্যের শেষে "ন্যায়" থাকবে।  যেমনঃ মুখ চন্দ্রের ন্যায় = মুখচন্দ্র।   রূপক কর্মধারয়ঃ ব্যাসবাক্যের মাঝখানে "রূপ" থাকবে।  যেমনঃ বিদ্যা রূপ ধন = বিদ্যাধন।    তৎপুরুষ সমাসঃ ব্যাসবাক্যে ২য়া থেকে ৭মী বিভক্তি থাকবে। যদি ২য়া বিভক্তি থাকে তাহলে ২য়া তৎপুরুষ সমাস, ৩য়া থাকলে ৩য়া তৎপুরুষ সমাস এভাবে ৭মী বিভক্তি থাকলে ৭মী তৎপুরুষ সমাস।  .  বিভক্তি | বিভক্তি কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি | তীর্যক বিভক্তি কাকে বলে | বিভক্তি ও অনুসর্গের পার্থক্য | কারক বিভক্তি | বিভক্তি মনে রাখার কৌশল  ২য়াঃ কে, রে  ৩য়াঃ দ্বারা, দিয়ে, কর্তৃক  ৪র্থীঃ কে, রে এবং জন্যে, নিমিত্তে  ৫মীঃ হতে, থেকে, চেয়ে  ৬ষ্ঠীঃ র, এর  ৭মীঃ তে, এ, য়    শব্দ বিভক্তি | কারক বিভক্তি pdf | বিভক্তি শব্দের অর্থ কি | বিভক্তির প্রকারভেদ | কারক ও বিভক্তি প্রশ্ন | দ্বিতীয়া ও চতুর্থী বিভক্তির পার্থক্য | সকল কারকে শূন্য বিভক্তি যেমনঃ রজ্জু দ্বারা বন্ধ = রজ্জুবন্ধ। [এখানে ব্যাসবাক্যে দ্বারা আছে তাই ৩য়া তৎপুরুষ সমাস।]  যজ্ঞের নিমিত্ত ভূমি = যজ্ঞভূমি। [নিমিত্ত থাকায় ৪র্থী তৎপুরুষ ]  .   নঞ তৎপুরুষ সমাসঃ ব্যাসবাক্যের পূর্বপদে নঞ বা না থাকবে। যেমনঃ ন উক্ত = অনুক্ত।    বহুব্রীহি সমাসঃ ব্যাসবাক্যের শেষে "যার" থাকবে। যেমনঃ দশ হাতের সমাহার যার= দশভুজা [ব্যাসবাক্যে শেষে যার আছে]    নঞ বহুব্রীহি সমাসঃ ব্যাসবাক্যের পূর্বপদে নঞ বা না থাকবে এবং পরপদে "যার" থাকবে। যেমনঃ নি (নাই) দোষ যার= নির্দোষ।    মধ্যপদলোপী বহুব্রীহিঃ ব্যাসবাক্যের শেষে "যার" থাকবে এবং মাঝখানের পদ লোপ পাবে। যেমনঃ সোনার মতো উজ্জ্বল মুখ যার= সোনামুখী  (এখানে মধ্যপদের লোপে সমাস সৃষ্টি হয়েছে)    সংখ্যাবাচক বহুব্রীহিঃ ব্যাসবাক্যের পূর্বপদে সংখ্যাবাচক শব্দ এবং পরপদে "যার" থাকবে। যেমবঃ  সে (তিন) তার যার= সেতার।    ব্যাতিহার বহুব্রীহিঃ দুটি কর্তা একই ধরনের কাজ করবে। যেমনঃ হাতে হাতে যে যুদ্ধ = হাতাহাতি [এখানে দুই হাত মিলে একই কাজ করছে]    প্রত্যায়ান্ত বহুব্রীহিঃ বহুব্রীহি সমাসের পরে আ, এ, ও ইত্যাদি প্রত্যয় যুক্ত হয়ে যে সমাস তৈরি হয়, তাকে প্রত্যায়ান্ত বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমনঃ  এক দিকে চোখ যার =একচোখ+আ=একচোখা।    অলুক বহুব্রীহিঃ যে বহুব্রীহি সমাসের পূর্বপদে বিভক্তির লোপ হয় না তাকে অলুক বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমনঃ হাতে খড়ি দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে= হাতেখড়ি । [পূর্বপদ হাতে- এই শব্দের বিভক্তি সমস্তপদেও লোপ পায় নি]  .   দ্বিগু সমাসঃ ব্যাসবাক্যের পূর্বপদে সংখ্যাবাচক শব্দ থাকবে এবং পরপদে সমাহার থাকবে। যেমনঃ তিন ফলের সমাহার= ত্রিফলা।  .  বিঃদ্রঃ সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি আর দ্বিগু সমাসের মধ্যে মূল পার্থক্য হলো- সংখ্যাবাচক বহুব্রীহির পরপদে #যার থাকবে আর দ্বিগু সমাসের পরপদে #সমাহার থাকবে।  .   অব্যয়ীভাব সমাসঃ ব্যাসবাক্যে নিম্নের ১৫ টার একটি বুঝালেই অব্যয়ীভাব সমাস হবে। ১) সামীপ্য  ২) বিপষা  ৩) অভাব  ৪) পর্যন্ত  ৫) সাদৃশ্য  ৬) অনতিক্রম্যতা  ৭) অতিক্রান্ত  ৮) বিরোধ  ৯) ঈষৎ  ১০) পশ্চাৎ  ১১) ক্ষুদ্র অর্থে  ১২) পূর্ণ বা সমগ্র অর্থে  ১৩) দূরবর্তী অর্থে  ১৪) প্রতিনিধি অর্থে  ১৫) প্রতিদ্বন্দ্বী অর্থে  .  (৯ম-১০ম শ্রেণির বাংলা ২য় পত্র বইয়ে এই ১৫ টার উদাহরণ দেওয়া আছে। দেখে নিও।)  .   প্রাদী সমাসঃ ব্যাসবাক্যের পূর্বপদে প্র, প্রতি, অনু থাকবে। যেমনঃ প্র ভাত= প্রভাত।  .  #ঝ) নিত্য সমাসঃ গ্রামান্তর, দেশান্তর, আমরা, বিরানব্বই, কালসাপ, দর্শনমাত্র ইত্যাদি এগুলোই নিত্যসমাস।    উপপদ তৎপুরুষ সমাসঃ ব্যাসবাক্যের শেষে "যে/যা "   থাকবে।  যেমনঃ জলে চরে যে= জলচর    শর্টকাট_টেকনিক  দ্বন্দ্ব_সমাস : এবং,ও,আর (৩টি অব্যয়) থাকলে দ্বন্দ্ব সমাস।  #অলুক_দ্বন্দ্ব :ব্যাসবাক্যে ে ও ো থাকলে অলুক দ্বন্দ্ব।  #দ্বিগু_সমাস : ব্যসবাক্যে "সমাহার" থাকলে দ্বিগু সমাস।  #নঞ_তৎপুষ : শুরুতে ন থাকলে নঞ তৎপুষ।  #উপপদ_তৎপুষ : শেষে " যা" থাকলে উপপদ তৎপুরুষ সমাস।  #অলুক_তৎপুরুষ : পরিবর্তন না হলে অলুক তৎপুষ।  #কর্মধারায়_সমাস :ব্যসবাক্যের মাঝে "যে" থাকলে কর্মধারায় সমাস।  #মধ্যপদলোপী__কর্মধারায় : মাঝে বিভক্তি লোপ পেলে মধ্যপদলোপী কর্মধারায় সমাস।  #উপমান_কর্মধারায় : মাঝে "ন্যায়" থাকলে উপমান কর্মধারায় সমাস।  #উপমিত_কর্মধারায় : শেষে ন্যায়" থাকলে উপমিত কর্মধারায় সমাস।  #রুপক_কর্মধারায় : মাঝে "রুপ" থাকলে রুপক কর্মধারায়  #বহুব্রীহি_সমাস : শেষে "যার" থাকলে বহুব্রীহি সমাস।  #ব্যতিহার_বহুব্রীহি : হাতাহাতি, কানাকানি ইত্যাদি ব্যতিহার বহুব্রীহি।  #অব্যয়ীভাব_সমাস : পর্যন্ত, অভাব, সমীপে, অতিক্রম, গমন,সদৃশ ইত্যাদি অব্যয়ীভাব সমাস।  #প্রাদি_সামাস : প্র, পরা, প্রতি, অনু থাকলে প্রাদি সমাস।  #নিত্য_সমাস : "অন্য" দিয়ে সমাস হলে নিত্য সমাস।  কবিতা:  এবং,ও,আর মিলে যদি হয় দ্বন্দ্ব,  সমাহারে দ্বিগু হলে নয় সেটা মন্দ।  যে যা তা যিনি তিনি কর্মধারায়,  যে যার শেষে থাকলে বহুব্রীহি কয়।  অব্যয়ের অর্থ প্রাধান্য পেলে "অব্যয়ী" মেলে,  বিভক্তি লোপ পেলে তাকে তৎপুরুষ বলে।  বিঃ দ্রঃ কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারে।    .  আশা করি সবাই বুঝতে পেরেছেন। ভর্তি পরীক্ষায় এই টপিক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  ১ টা হলেও এখান থেকে প্রশ্ন আসবেই, তাই এই টপিক সম্পর্কে ভালো ধারণা আবশ্যক।

সমাস চেনার সহজ উপায়ঃ আপনাদের জন্য আজকে নিয়ে হাজির হলাম সমাস অধ্যায় নিয়ে। আশা করি এই পোস্টটি পড়ার পর আর কারো সমাস চেনার উপায় কারো থেকে জানা লাগবেনা। এই পোস্টে আমি চেষ্টা করেছি সমাস কিসমাস কত প্রকার, সমাস কি কি তার আলোচনা করতে টেকনিকালি ভাবে। সমাস আসলেই সোজা বুঝতে পারলে। খুব মনযোগ দিয়ে পড়বেন এই সমাস পোস্টটি। তাহলে দেখবেন শিখা হয়ে গেছে আপনার এই সমাস অধ্যায়টি। 

দ্বিগু সমাসের উদাহরণ | দ্বিগু সমাসে কোন পদের প্রাধান্য থাকে | দ্বিগু সমাসের প্রকারভেদ | দ্বিগু সমাসের উদাহরণ কোনটি

দ্বিগু সমাসঃ  যে সমাসের পূর্বপদ সংখ্যাবাচক এবং সমাসটি  সমষ্টি অর্থ প্রকাশ করে, তাকে দ্বিগু সমাস বলে।

 দ্বিগু সমাস চেনার উপায় | দ্বিগু সমাস চেনার কৌশল

আচ্ছা, দ্বিগু শব্দের “দ্বি ” মানে কী?
দ্বিতীয় শব্দে “দ্বি ” আছে না? আমরা ২
বুঝাতে “দ্বি ” শব্দটি ব্যবহার করি। ২ মানে
কী? একটি সংখ্যা। তাহলে যে শব্দে
সংখ্যা প্রকাশ পাবে এখন থেকে
সেটাকেই “দ্বিগু ” সমাস বলে ধরে
নিবেন। যেমন পরীক্ষায় আসলো শতাব্দী
কোন সমাস? আচ্ছা শতাব্দী মানে হল শত
অব্দের সমাহার। অর্থাৎ প্রথমেই আছে “শত
” মানে একশ, যা একটি সংখ্যা। সুতরাং এটি
দ্বিগু সমাস। একইভাবে ত্রিপদী ( তিন
পদের সমাহার)এটি ও দ্বিগু সমাস। কারণ
এখানে ও একটি সংখ্যা (৩) আছে। এবার
যেকোন ব্যাকরণ বই নিয়ে দ্বিগু সমাসের
যত উদাহরন আছে সব এই সুত্রের সাহায্যে
মিলিয়ে নিন।

কর্মধারয় সমাস | কর্মধারয় শব্দের অর্থ |
কর্মধারয় সমাস চেনার উপায় | মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ কোনটি |
কর্মধারয় সমাসে কোন পদ প্রধান



এবার আসি কর্মধারয় সমাসে। খুব বেশি

আসে পরীক্ষায় এখান থেকে। কর্মধারয়
সমাসে “যে /যিনি/যারা ” এই শব্দগুলো
থাকবেই। যেমন: চালাকচতুর – এটি কোন
সমাস? চালাকচতুর মানে ‘যে চালাক সে
চতুর ‘ তাহলে এখানে ‘যে ‘ কথাটি
আছে,অতএব এটি কর্মধারয় সমাস। তবে
কর্মধারয় সমাস ৪ প্রকার আছে। মুলত এই ৪
প্রকার থেকেই প্রশ্ন বেশি হয়। প্রথমেই
আসুন মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস চিনি।
নামটা খেয়াল করুন, মধ্যপদলোপী। মানে
মধ্যপদ অর্থাৎ মাঝখানের পদটা লোপ
পাবে মানে চলে যাবে। সহজ করে বললে
হয়, যেখানে মাঝখানের পদটা চলে যায়
সেটিই মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস
যেমনঃ সিংহাসন - কোন সমাস? সিংহাসন
মানে ‘সিংহ চিহ্নিত যে আসন ‘। তাহলে
দেখুন এখানে ‘সিংহ চিহ্নিত যে আসন ‘
বাক্যটি থেকে মাঝখানের “চিহ্নিত ”
শব্দটি বাদ দিলে অর্থাৎ মধ্যপদ “চিহ্নিত ”
শব্দটি লোপ পেলে হয় “সিংহাসন “।
যেহেতু মধ্যপদলোপ পেয়েছে, অতএব এটি
মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস। উপমান
কর্মধারয় সমাস কিভাবে চিনবেন ?
যদি ২টি শব্দ তুলনা করা যায় তবে সেটি
হবে উপমান কর্মধারয় সমাস। যেমনঃ
তুষারশুভ্র – কোন সমাসের উদাহরন? এটি
পরীক্ষায় অনেকবার এসেছে। শব্দটি
খেয়াল করুন “তুষারশুভ্র “। তুষার মানে বরফ,
আর শুভ্র মানে সাদা। বরফ তো দেখতে
সাদা। তাহলে তো এটি তুলনা করা যায়।
অতএব এটি উপমান কর্মধারয়। একইভাবে
“কাজলকালো “এটিও উপমান কর্মধারয়
সমাস। কারণ কাজল দেখতে তো কালো
রঙেরই হয়। তার মানে তুলনা করা যাচ্ছে।
অতএব এটি উপমান কর্মধারয়। এটি অন্যভাবে
ও মনে রাখা যায়। উপমান মানে Noun +
Adjective. যেমন তুষারশুভ্র শব্দটির তুষার
মানে বরফ হল Noun, আর শুভ্র মানে সাদা হল
Adjective। কাজলকালো শব্দটির কাজল হল
Noun, এবং কালো হল Adjective। অতএব Noun +
Adjective = উপমান কর্মধারয় সমাস
 উপমিত কর্মধারয় মানে যেটা তুলনা করা যাবে
না। বিগত বছরের একটি প্রশ্ন ছিল :সিংহপুরুষ
– কোন সমাসের উদাহরণ? খেয়াল করুন
শব্দটি। সিংহপুরুষ মানে সিংহ আর পুরুষ।
আচ্ছা সিংহ কি কখনো পুরুষ হতে পারে
নাকি পুরুষ কখনো সিংহ হতে পারে? একটা
মানুষ আর অন্যটা জন্তু, কেউ কারো মত
হতে পারেনা। অর্থাৎ তুলনা করা যাচ্ছে
না। তার মানে যেহেতু তুলনা করা
যাচ্ছেনা, অতএব এটি উপমিত কর্মধারয়
সমাস। চন্দ্রমুখ শব্দটি কোন সমাস? খেয়াল
করুন মুখ কি কখনো চাঁদের মত হতে পারে,
নাকি চাঁদ কখনো মুখের মত হতে পারে?
কোনোটাই কোনটার মত হতে পারেনা।
অর্থাৎ তুলনা করা যাচ্ছে না। তার মানে
যেহেতু তুলনা করা যাচ্ছেনা, অতএব এটি
উপমিত কর্মধারয় সমাস। এটিও অন্যভাবে
মনে রাখা যায়। উপমিত মানে Noun+ Noun.
যেমন - পুরুষসিংহ শব্দটির পুরুষ ও সিংহ দুটোই
Noun। অর্থাৎ Noun+ Noun। একইভাবে চন্দ্রমুখ
শব্দটির চন্দ্র ও মুখ দুটিই Noun । অর্থাৎ Noun+
Noun। অতএব । অর্থাৎ Noun+ Noun= উপমিত
কর্মধারয় সমাস
রুপক কর্মধারয় সমাস
এটিও খুব সোজা। রুপ- কথাটি থাকলেই রুপক
কর্মধারয়। যেমনঃ বিষাদসিন্ধু -এটি কোন
সমাস? বিষাদসিন্ধু কে বিশ্লেষণ করলে হয়
“বিষাদ রুপ সিন্ধু “। যেহেতু এখানে রুপ
কথাটি আছে, অতএব এটি রুপক কর্মধারয়
সমাস। একইভাবে মনমাঝি -মনরুপ মাঝি,
ক্রোধানল -ক্রোধ রুপ অনল, এগুলো ও রুপক
কর্মধারয় সমাস, যেহেতু রুপ কথাটা আছে।
বাংলা ব্যাকরণ এর নিয়মানুসারে ব্যাকরণ
বুঝতে গেলে বিসিএস বা অন্য কোন
চাকরির জন্য আর প্রস্তুতি নেয়াটা অনেক
কঠিন হয়ে যাবে। কারণ বইতে যে ভাষায়
ব্যাখ্যা করা আছে তা বুঝা আর এভারেস্ট
জয় করা সমান কথা। তাই চেষ্টা করলাম সহজ
ভাষায় উপস্থাপন করতে।

সমাসের_নিয়ম | সমাস কত ভাবে নির্ণয় করা যায়   

সমাস দুই ভাবে নির্ণয় করা যায়।
১) সমস্তপদ দিয়ে
২) ব্যাসবাক্য দিয়ে
.
প্রায় সবাই সমস্তপদ দিয়ে সমাস নির্ণয় করে। কিন্তু আমরা ২ নাম্বার পদ্ধতি অবলম্বন করবো।
.
প্রথমে পূর্বপদ, পরপদ, মধ্যপদ, সমস্তপদ, ব্যাসবাক্য চিনবো।
মুখ চন্দ্রের ন্যায় = মুখচন্দ্র।
এখানে, পূর্বপদ= মুখ
পরপদ= ন্যায়
মধ্যপদ= চন্দ্রের
সমস্তপদ= মুখচন্দ্র
ব্যাসবাক্য= মুখ চন্দ্রের ন্যায়।
অর্থাৎ ব্যাসবাক্যের প্রথম অংশ পূর্বপদ, মাঝের অংশ মধ্যপদ আর শেষের পদ হলো পরপদ আর এসবের সমষ্টি সমস্তপদ।

সমাস চেনার উপায় | সমাস নির্ণয়ের সহজ উপায়  

 দ্বন্দ্ব সমাসঃ ব্যাস বাক্যের মাঝখানে ও/ এবং/আর থাকবে।
যেমনঃ আমি, তুমি ও সে= আমরা [মাঝখানে ও আছে]

অলুক দ্বন্দ্বঃ ব্যাসবাক্যের মাঝখানে ও/এবং/আর ইত্যাদি থাকবে এবং পূর্বপদের বিভক্তি লোপ পাবে না।
যেমনঃ দুধে ও ভাতে =দুধেভাতে। [দুধে শব্দের বিভক্তি লোপ পায় নি]
.
 কর্মধারয় সমাসঃ  ব্যাসবাক্যের মাঝখানে যে থাকবে এবং যিনি........তিনি, যে......সে, যাহা......তাহা থাকবে।
কর্মধারয় সমাস ৪ প্রকার

মধ্যপদলোপী কর্মধারয়ঃ ব্যাসবাক্যের মাঝখানের পদ লোপ পাবে।
যেমনঃ হিমালয় নামক পবর্ত = হিমালয়পবর্ত। [এখানে?মাঝখানের " নামক" পদটি লোপ পেয়েছে]

উপমান কর্মধারয়ঃ ব্যাসবাক্যের মাঝখানে "ন্যায়" থাকবে।
যেমনঃ শশের (খরগোশের) ন্যায় ব্যস্ত = শশব্যস্ত।

উপমিত কর্মধারয়ঃ ব্যাসবাক্যের শেষে "ন্যায়" থাকবে।
যেমনঃ মুখ চন্দ্রের ন্যায় = মুখচন্দ্র।


রূপক কর্মধারয়ঃ ব্যাসবাক্যের মাঝখানে "রূপ" থাকবে।

যেমনঃ বিদ্যা রূপ ধন = বিদ্যাধন।

তৎপুরুষ সমাসঃ ব্যাসবাক্যে ২য়া থেকে ৭মী বিভক্তি থাকবে। যদি ২য়া বিভক্তি থাকে তাহলে ২য়া তৎপুরুষ সমাস, ৩য়া থাকলে ৩য়া তৎপুরুষ সমাস এভাবে ৭মী বিভক্তি থাকলে ৭মী তৎপুরুষ সমাস।
.

বিভক্তি | বিভক্তি কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি | তীর্যক বিভক্তি কাকে বলে | বিভক্তি ও অনুসর্গের পার্থক্য | কারক বিভক্তি | বিভক্তি মনে রাখার কৌশল 

২য়াঃ কে, রে
৩য়াঃ দ্বারা, দিয়ে, কর্তৃক
৪র্থীঃ কে, রে এবং জন্যে, নিমিত্তে
৫মীঃ হতে, থেকে, চেয়ে
৬ষ্ঠীঃ র, এর
৭মীঃ তে, এ, য়

শব্দ বিভক্তি | কারক বিভক্তি pdf | বিভক্তি শব্দের অর্থ কি | বিভক্তির প্রকারভেদ | কারক ও বিভক্তি প্রশ্ন | দ্বিতীয়া ও চতুর্থী বিভক্তির পার্থক্য | সকল কারকে শূন্য বিভক্তি

যেমনঃ রজ্জু দ্বারা বন্ধ = রজ্জুবন্ধ। [এখানে ব্যাসবাক্যে দ্বারা আছে তাই ৩য়া তৎপুরুষ সমাস।]
যজ্ঞের নিমিত্ত ভূমি = যজ্ঞভূমি। [নিমিত্ত থাকায় ৪র্থী তৎপুরুষ ]
.

 নঞ তৎপুরুষ সমাসঃ ব্যাসবাক্যের পূর্বপদে নঞ বা না থাকবে।

যেমনঃ ন উক্ত = অনুক্ত।


 বহুব্রীহি সমাসঃ ব্যাসবাক্যের শেষে "যার" থাকবে।

যেমনঃ দশ হাতের সমাহার যার= দশভুজা [ব্যাসবাক্যে শেষে যার আছে]

নঞ বহুব্রীহি সমাসঃ ব্যাসবাক্যের পূর্বপদে নঞ বা না থাকবে এবং পরপদে "যার" থাকবে।

যেমনঃ নি (নাই) দোষ যার= নির্দোষ।

মধ্যপদলোপী বহুব্রীহিঃ ব্যাসবাক্যের শেষে "যার" থাকবে এবং মাঝখানের পদ লোপ পাবে।

যেমনঃ সোনার মতো উজ্জ্বল মুখ যার= সোনামুখী
(এখানে মধ্যপদের লোপে সমাস সৃষ্টি হয়েছে)

সংখ্যাবাচক বহুব্রীহিঃ ব্যাসবাক্যের পূর্বপদে সংখ্যাবাচক শব্দ এবং পরপদে "যার" থাকবে।

যেমবঃ
সে (তিন) তার যার= সেতার।

ব্যাতিহার বহুব্রীহিঃ দুটি কর্তা একই ধরনের কাজ করবে।

যেমনঃ হাতে হাতে যে যুদ্ধ = হাতাহাতি [এখানে দুই হাত মিলে একই কাজ করছে]

প্রত্যায়ান্ত বহুব্রীহিঃ বহুব্রীহি সমাসের পরে আ, এ, ও ইত্যাদি প্রত্যয় যুক্ত হয়ে যে সমাস তৈরি হয়, তাকে প্রত্যায়ান্ত বহুব্রীহি সমাস বলে।

যেমনঃ  এক দিকে চোখ যার =একচোখ+আ=একচোখা।

অলুক বহুব্রীহিঃ যে বহুব্রীহি সমাসের পূর্বপদে বিভক্তির লোপ হয় না তাকে অলুক বহুব্রীহি সমাস বলে।

যেমনঃ হাতে খড়ি দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে= হাতেখড়ি । [পূর্বপদ হাতে- এই শব্দের বিভক্তি সমস্তপদেও লোপ পায় নি]
.

 দ্বিগু সমাসঃ ব্যাসবাক্যের পূর্বপদে সংখ্যাবাচক শব্দ থাকবে এবং পরপদে সমাহার থাকবে।

যেমনঃ তিন ফলের সমাহার= ত্রিফলা।
.
বিঃদ্রঃ সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি আর দ্বিগু সমাসের মধ্যে মূল পার্থক্য হলো- সংখ্যাবাচক বহুব্রীহির পরপদে #যার থাকবে আর দ্বিগু সমাসের পরপদে #সমাহার থাকবে।
.

 অব্যয়ীভাব সমাসঃ ব্যাসবাক্যে নিম্নের ১৫ টার একটি বুঝালেই অব্যয়ীভাব সমাস হবে।

১) সামীপ্য
২) বিপষা
৩) অভাব
৪) পর্যন্ত
৫) সাদৃশ্য
৬) অনতিক্রম্যতা
৭) অতিক্রান্ত
৮) বিরোধ
৯) ঈষৎ
১০) পশ্চাৎ
১১) ক্ষুদ্র অর্থে
১২) পূর্ণ বা সমগ্র অর্থে
১৩) দূরবর্তী অর্থে
১৪) প্রতিনিধি অর্থে
১৫) প্রতিদ্বন্দ্বী অর্থে
.
(৯ম-১০ম শ্রেণির বাংলা ২য় পত্র বইয়ে এই ১৫ টার উদাহরণ দেওয়া আছে। দেখে নিও।)
.

 প্রাদী সমাসঃ ব্যাসবাক্যের পূর্বপদে প্র, প্রতি, অনু থাকবে।

যেমনঃ প্র ভাত= প্রভাত।
.
#ঝ) নিত্য সমাসঃ গ্রামান্তর, দেশান্তর, আমরা, বিরানব্বই, কালসাপ, দর্শনমাত্র ইত্যাদি এগুলোই নিত্যসমাস।

উপপদ তৎপুরুষ সমাসঃ ব্যাসবাক্যের শেষে "যে/যা "

  থাকবে।
যেমনঃ জলে চরে যে= জলচর

শর্টকাট_টেকনিক
দ্বন্দ্ব_সমাস : এবং,ও,আর (৩টি অব্যয়) থাকলে দ্বন্দ্ব সমাস।
#অলুক_দ্বন্দ্ব :ব্যাসবাক্যে ে ও ো থাকলে অলুক দ্বন্দ্ব।
#দ্বিগু_সমাস : ব্যসবাক্যে "সমাহার" থাকলে দ্বিগু সমাস।
#নঞ_তৎপুষ : শুরুতে ন থাকলে নঞ তৎপুষ।
#উপপদ_তৎপুষ : শেষে " যা" থাকলে উপপদ তৎপুরুষ সমাস।
#অলুক_তৎপুরুষ : পরিবর্তন না হলে অলুক তৎপুষ।
#কর্মধারায়_সমাস :ব্যসবাক্যের মাঝে "যে" থাকলে কর্মধারায় সমাস।
#মধ্যপদলোপী__কর্মধারায় : মাঝে বিভক্তি লোপ পেলে মধ্যপদলোপী কর্মধারায় সমাস।
#উপমান_কর্মধারায় : মাঝে "ন্যায়" থাকলে উপমান কর্মধারায় সমাস।
#উপমিত_কর্মধারায় : শেষে ন্যায়" থাকলে উপমিত কর্মধারায় সমাস।
#রুপক_কর্মধারায় : মাঝে "রুপ" থাকলে রুপক কর্মধারায়
#বহুব্রীহি_সমাস : শেষে "যার" থাকলে বহুব্রীহি সমাস।
#ব্যতিহার_বহুব্রীহি : হাতাহাতি, কানাকানি ইত্যাদি ব্যতিহার বহুব্রীহি।
#অব্যয়ীভাব_সমাস : পর্যন্ত, অভাব, সমীপে, অতিক্রম, গমন,সদৃশ ইত্যাদি অব্যয়ীভাব সমাস।
#প্রাদি_সামাস : প্র, পরা, প্রতি, অনু থাকলে প্রাদি সমাস।
#নিত্য_সমাস : "অন্য" দিয়ে সমাস হলে নিত্য সমাস।
কবিতা:
এবং,ও,আর মিলে যদি হয় দ্বন্দ্ব,
সমাহারে দ্বিগু হলে নয় সেটা মন্দ।
যে যা তা যিনি তিনি কর্মধারায়,
যে যার শেষে থাকলে বহুব্রীহি কয়।
অব্যয়ের অর্থ প্রাধান্য পেলে "অব্যয়ী" মেলে,
বিভক্তি লোপ পেলে তাকে তৎপুরুষ বলে।
বিঃ দ্রঃ কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারে।

.
আশা করি সবাই বুঝতে পেরেছেন। ভর্তি পরীক্ষায় এই টপিক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  ১ টা হলেও এখান থেকে প্রশ্ন আসবেই, তাই এই টপিক সম্পর্কে ভালো ধারণা আবশ্যক।

Post a Comment

1Comments

প্রতিদিন ১০০-২০০ টাকা ইনকাম করতে চাইলে এখানে কমেন্ট করে জানান। আমরা আপনায় কাজে নিয়ে নেবো। ধন্যবাদ

Post a Comment